সোমবার, ৩০ মার্চ, ২০১৫

‘‘প্রত্যেক মাসে আল্লাহর রাস্তায় তিন দিন সময় দিলে, পুরা মাস আল্লাহর রাস্তায় সময় লাগানোর সাওয়াব পাওয়া যায়’’ এ কথাটির কোনো দলীল আছে কি?

তাবলীগ বিরোধী অপপ্রচারের জবাব

‘‘প্রত্যেক মাসে আল্লাহর রাস্তায় তিন দিন সময় দিলে, পুরা মাস আল্লাহর রাস্তায় সময় লাগানোর  সাওয়াব পাওয়া যায়’’ এ কথাটির কোনো দলীল আছে কি? না কি মুরুব্বীদের তৈরী করা বেদ-আতি পন্থা?


 উত্তর : হ্যাঁ। কোরআন সুন্নাহ অনুসারে এর যথেষ্ট দলীল রয়েছে। এটি কোন বেদ-আতি পন্থা বা মুরুব্বীদের মনগড়া মতবাদ নয়। 

  দেখুন সহীহ বুখারীর বর্ণনায় রাসূল (সা.) বলেন :-

রবিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৫

আপনি কি আহলে হাদীস, বেদ-আতি ইত্যাদি ভাইদের সাথে খারাপ আচরণে অভ্যস্ত ?

আপনি কি আহলে হাদীস, বেদ-আতি ইত্যাদি ভাইদের সাথে খারাপ আচরণে অভ্যস্ত ? তাহলে আজই তা পরিহার করুন। 
দেখুন নিন্মে পুস্তিকাটির 21 নং পৃষ্ঠায় আল্লামা আশরাফ আলী থানভী (রহ.) এর একটি ঘটনা। এবং সম্পূর্ণ পুস্তিকাটি পড়ার চেষ্টা করুন, যা নিয়ে আসতে পারে আপনার জীবনে এক অসাধারণ পরিবর্তন।
ডাউন লোড লিংক : 
https://www.facebook.com/download/1558759437745706/%E0%A6%A6_%E0%A6%AC_%E0%A6%A8%20%E0%A6%93%20%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A6%AC.pdf

বুধবার, ১৮ মার্চ, ২০১৫

নিন্ম বাক্য পরিহার চাই, ‘‘বিক্রিত মাল ফেরৎ নাই’’

 নিন্ম বাক্য পরিহার চাই, 
‘‘বিক্রিত মাল ফেরৎ নাই’’

বর্তমানে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্টের মার্কেট, শপিংমল ও দোকান ইত্যাদির মাঝে একটি বাক্য শ্লোগান রূপ নিয়েছে আর তা হলো ‘‘বিক্রিত মাল ফেরৎ নাই’’। আসলে এটি কি কোন ইসলাম সম্মত আচরণ না কি ইসলাম বর্হিগত আচরণ? আসুন দেখি এর বিস্তারিত আলোচনা......

 একটি সহীহ হাদীস এর মাঝে রাসূল (সা.) বলেন-

❖ سنن أبي داود (3/ 274)
3460 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَقَالَ مُسْلِمًا أَقَالَهُ اللَّهُ عَثْرَتَهُ»

সোমবার, ১৬ মার্চ, ২০১৫

কোরআন সুন্নাহ এর আলোকে জান্নাত পাওয়ার 77টির অধিক উপায়

কোরআন সুন্নাহ এর আলোকে জান্নাত পাওয়ার 77টির অধিক উপায়
بسم الله الرحمن الرحيم
بضع سبع وسبعون سببا لدخول الجنة من القرآن وصحيح السنة
 مـقـدمـة
إن الحمد لله نحمده ونستعينه ونستغفره ، ونعوذ بالله من شرور أنفسنا وسيئات أعمالنا ، من يهده الله فلا مضل له ومن يضلل فلا هادي له ، وأشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له وأشهد أن محمدا عبده ورسوله أما بعد. هذه رسالة بعنوان ( ثلاثون سببا لدخول الجنة ) جمعت فيها عددا من الآيات والأحاديث الصحيحة التي ذكرت فيها أعمال تكون سببا بفضل الله في دخول فاعلها الجنة ، ولكن لا يعني أن هذه الأعمال تضمن لأي إنسان يعملها دخول الجنة ، مهما كان اعتقاده فالجنة لا يدخلها إلا مؤمن ، فلو قام أحد الكفار أو المشركين ببعض هذه الأعمال أو جميعها فلن تنفعه ولن تدخله الجنة لأن الله سبحانه وتعالى يقول : { ولقد أوحي إليك وإلى الذين من قبلك لأن أشركت ليحبطن عملك ولتكونن من الخاسرين } [ الزمر : 65]

রবিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৫

কিয়াস বা ইজতিহাদ নিয়ে আহলে হাদীসদের প্রতি চ্যালেঞ্জ

কিয়াস বা ইজতিহাদ নিয়ে আহলে হাদীসদের প্রতি চ্যালেঞ্জ

 কিয়াস বা ইজতিহাদও শরীয়তের প্রমাণ হয় 
 এটি অস্বিকার করা কস্মিনকালেও সম্ভব নয়! (মুফতী ছানা উল্লাহ)

  অস্বীকারকারীগণ, মাত্র একটি আয়াত আর একটি হাদীস কিয়াস বা ইজতিহাদ বিহীন বুঝিয়ে দিন..

 সাম্প্রতিক কালে আমাদের দেশসহ বিভিন্ন দেশে জন্ম হয়েছে, এক শ্রেণীর কিছু লোক, যারা নিজেকে আহলে হাদীস দাবী করে কোরআন, হাদীস ও ইজমায়ে উম্মত এর পরে যার স্থান তথা কিয়াস/ইজতিহাদকে অস্বিকার করে বসেছে, অথচ শরীয়তের মুল প্রমাণ এই চারটি জিনিসই যা মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনেও বর্ণনা করেছেন। দেখুন মহান আল্লাহর বাণী-

 {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ فَإِنْ تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّهِ وَالرَّسُولِ إِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ ذَلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا} [النساء: 59]

অথাৎ : হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রাসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর-যদি তোমরা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। (সূরা আন-নিসা, আয়াত : 59)।

শুক্রবার, ৬ মার্চ, ২০১৫

স্বামী স্ত্রীর দুধ পান করলে বিবাহ বন্ধনে কোন সমস্যা হবে কি?

স্বামী স্ত্রীর দুধ পান করলে বিবাহ বন্ধনে কোন সমস্যা হবে কি?
প্রশ্ন: স্বামীর জন্য স্ত্রীর স্তন ধরা ও চোষন করা বৈধ কি? এছাড়াও যদি কোন কারণ বশত: স্ত্রীর দুধ স্বামীর মুখে চলে যায়, এতে বিবাহের মাঝে কোন সমস্যা হবে কি? বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।

প্রশ্নকারী- কামাল উদ্দীন

জবাব: স্ত্রীর স্তন ধরা ও চোষন করা স্বামীর জন্য বৈধ, আর চোষন করতে গিয়ে যদি স্বামীর পেটে স্ত্রীর দুধ চলে যায় তাতে বিবাহের মাঝে কোন ধরনের সমস্যা হবে না। কেননা কোরআন সুন্নাহর আলোকে এটিকে হারাম বলা হয়নি। কিন্তু ইচ্ছাকৃত ভাবে স্ত্রীর দুধ পান করা মাকরুহ থেকে খালি নয়। নিন্মে সব উক্তিগুলোর প্রমাণ পেশ করা হলো।

বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ, ২০১৫

প্রস্রাবের পর হাঁটাহাঁটি করার কোন ভিত্তি ইসলামে আছে কি?



প্রস্রাবের পর হাঁটাহাঁটি করার কোন ভিত্তি ইসলামে আছে কি?


প্রশ্ন : হযরত ! দেশের শীর্ষস্থানীয় এক দারুল ইফতা থেকে ফারেগ এক মুফতী সাহেব বলেছেন, প্রস্রাবের পর কিছুক্ষণ বসে থাকবে। প্রয়োজনে কয়েকবার পুরুষাঙ্গ ঝাড়া দিবে এতমিনান হলে পানি ব্যবহার করবে। তিনি এটাও বলেছেন, হাঁটাহাঁটির কোনো ভিত্তি হাদীসে তিনি পাননি। এটা কি ঠিক? এজন্য জানতে চাচ্ছি যে, অনেকে এটা সুন্নাত ভাবে। এবং ব্যাপকভাবে প্রচলিত। তো যদি উক্ত প্রথাটি ভুল হয় তবে তা সংশোধনের প্রয়োজন আছে।

উত্তর : রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদীসের মাঝে শুধু প্রস্রাব থেকে পবিত্রতা অর্জন করার কথা বলেছেন, তাতে কোন পন্থা নির্ধারণ করে দেননি যেমন ভাবে রাসূল (সা.) বিভিন্ন হাদীসের মাঝে বিভিন্ন গাছ, পদার্থ ইত্যাদি দিয়ে ঔষধ এর কথা বলেছেন, কিন্তু কোন পদ্ধতিতে? তা নিধারণ করে বলেন নি বর্তমান ডাক্তারগণ যেভাবে তৈরী করেন আমরা তা সেবন করি তাতে কেউ কোন সহীহ হাদীস তালাস বা খোঁজ করেন না তেমনি ভাবে প্রস্রাবের বিষয়টিতেও বিভিন্ন মহামনিষিগণ বিভিন্ন পন্থা উল্লেখ করেছেন  
 যেমন ভাবে ফতোয়ায়ে শামী সহ কয়েক ডজন কিতাবে বলা হয়েছে-

‘‘যে ব্যক্তি একটি ছোট গুনাহ (হারাম) কাজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার জন্য মহান আল্লাহর নিকটে রয়েছে 70টি কবুল হজ্বের সাওয়াব।’’ এটি কি কোন হাদীস?


"لَرَدُّ دَانِقٍ حَرَامٍ يَعْدِلُ عِنْدَ اللَّهِ سَبْعِينَ حَجَّةً.

‘‘যে ব্যক্তি একটি ছোট গুনাহ (হারাম) কাজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার জন্য মহান আল্লাহর নিকটে রয়েছে 70টি কবুল হজ্বের সাওয়াব।’’ এটি কি কোন হাদীস?

আসুন দেখি এর বাস্তবতা কতটুকু 

প্রশ্ন : "لَرَدُّ دَانِقٍ حَرَامٍ يَعْدِلُ عِنْدَ اللَّهِ سَبْعِينَ حَجَّةً ‘‘যে ব্যক্তি একটি ছোট গুনাহ (হারাম) কাজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার জন্য মহান আল্লাহর নিকটে রয়েছে 70টি কবুল হজ্জের সাওয়াব।’’ এটি কি কোন হাদীস,না কি হাদীস নয়? দয়া করে জানাবেন।
                                       নিবেদক
ফেসবুকে একাধিক ভাই

উত্তর : কতিপয় কিতাবে এটি হাদীস বলে উল্লেখ রয়েছে, কিন্তু মুহাদ্দীসিনে কেরামের বিভিন্ন কিতাবাদি দেখলে এটি সম্পূর্ণ জাল হাদীস বলে সাব্যস্ত হয়। কেননা  এই হাদীসের সূত্রের মাঝে রয়েছে অধিক মিথ্যা বাদী, জাল হাদীস বর্ণনাকারী ও অনির্ভরযোগ্য কতক বর্ণনাকারীগণ।

দেখুন যে সব মুহাদ্দীস বা জারাহ ও তাদীলের ইমামগণ উল্লেখিত বাণীটিকে জাল হাদীস বা হাদীস না, বলে মন্তব্য করেছেন

বুধবার, ৪ মার্চ, ২০১৫

‘‘পাগড়ীবিশিষ্ট দু’রাকাআত নামায, পাগড়ীবিহীন সত্তর রাকাআতের চেয়েও উত্তম।’’ এটা কি কোন হাদীস?




 ‘‘পাগড়ীবিশিষ্ট দুরাকাআত নামায, পাগড়ীবিহীন সত্তর রাকাআতের চেয়েও উত্তম।’’   
এটা কি কোন হাদীস?


প্রশ্ন : জনাব, বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত পীর সাহেব ও তার ভক্তবিন্দুদের থেকে এ কথা শুনতে পাই যে, সহীহ হাদীসের মাঝে বর্ণিত আছে-

 ‘‘পাগড়ীবিশিষ্ট দুরাকাআত নামায, পাগড়ীবিহীন সত্তর রাকাআতের চেয়েও উত্তম।’’  

অতঃপর আমরা অন্য আলেমদের সরণাপন্ন হলে তারা বলে হাদীস টি মাওযু তথা জাল হাদীস।
অতএব, আমার জানার বিষয় হল উক্ত কথাটি কোন কিতাবে সহীহ হাদীস হিসেবে প্রমাণিত আছে? নাকি মাওযূ তথা জাল হাদীস? বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ থাকব। 
 
                                      নিবেদক
মাওলানা মুহাম্মদ মাহদী হাসান
ধুপখোলা, ঢাকা।



উত্তর : পাগড়ীবিশিষ্ট দুরাকাআত নামায, পাগড়ীবিহীন সত্তর রাকাআতের চেয়েও উত্তম । এটি হাদীস বলে বিভিন্ন কিতাবে বর্ণিত হয়েছে যা নিন্মে লেখা হলো।

কিন্তু হাদীস বিশারদের বিভিন্ন কিতাবাদি দ্বারা উল্লিখিত কথাটি সম্পর্ণ মাওযূ তথা জাল হাদীস বলে সাব্যস্ত হয়। যা রাসূল (সা.) এর উপর মিথ্যা আরোপ ছাড়া আর কিছু নয়। 


মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০১৫

‘‘শুক্রবার দিন যে দরুদ 80 (আশি) বার পড়লে 80 (আশি) বছরের গুনাহ মাফ’’



‘‘শুক্রবার দিন যে দরুদ 80 (আশি) বার পড়লে 80 (আশি) বছরের গুনাহ মাফ’’
আসুন দেখি এর বস্তবতা কতটুকু?


হাদীস : রাসূল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি শুক্রবার দিন আছরের নামায পড়ে নিজ স্থানে বসে থেকেই-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدَنِ النَّبِىِّ الْاُمِّیِّ وَعَلٰۤى اٰلِهٖ وَسَلِّمْ تَسْلِيْمًا
  এ দরুদটি 80 পাঠ করবে, তার 80 বছরের গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। অন্য বর্ণনায় আছে, 80 (আশি) বছরের ইবাদতের ছাওয়াব তার আমল নামায় লেখা হবে।


উক্ত হাদীসটি হাসান তথা প্রমাণযোগ্য। একাধিক মুহাদ্দীসগণ হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। এছাড়াও কতক ইমাম হাদীসটিকে যয়ীফ বলেছেন কিন্তু এর সমর্থনে অন্য হাদীস থাকার কারণে হাদীসটি হাসান হাদীসে পরিণত হয়েছে।