মঙ্গলবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৫

কেমন হবে জুমার খোৎবা?

কেমন হবে জুমার খোৎবা?

মাযহাব কোনো মনগড়া মতবাদ এর নাম নয়। বরং কোরআন ও সহীহ হাদীসের এক মহাদপ্তর।

প্রশ্ন : 
আচ্ছালামু আলাইকুম,
মুহতারম আমাদের গ্রাম্য মসজিদে স্হায়ী ইমামের অনুপুস্তিতে অন্য এক জন আলেম জুমার খুৎবা দেয়ার সময়, মসজিদে থাকা খোতবাতুল আহকামে বর্ণিত এবারতকে কাটসিট করে সংক্ষেপে ৪-৬ মিনিটের মধ্যে উভয়  খোৎবা শেষে নামাজ আদায় করেন, এবং খোতবা সংক্ষেপ করাতে অনেক মুসল্লি বিরূপ মনতব্য ও হৈচৈ করতে থাকে ।এতে নামাজের কোন ক্ষতি হবে কি? তাসত্বেও নিন্ম বর্ণিত বিষয় গুলো জানতে চাই ।

(1) খোৎবা কাকে বলে ?
(2) জুমার খোৎবা কতটুকু লম্বা হয়া চাই ?
(3)জুমার খোৎবায় কি পরিমান কোরআন হাদীস বর্ণনা করতে হবে ?

এম এম আবদুল্লাহ ভূইয়া 
মক্কা সৌদি আরব  
00966504967863


সমাধান :

(ক)খুতবাহশব্দের বিভিন্ন অথ রয়েছে যেমন, বক্তা মিম্বরের উপর যা বলে থা

কে অথবা যে কথা খুব সাজানো গোছানো হয়ে থাকে তাকে খুতবাহ বলে। (লিসানুল আরব-1/361, দারুসাদের ভারত থেকে প্রকাশিত; তাজুল আরুস-2/372, দারুল হেদায়া থেকে প্রকাশিত; অথবা তার অর্থ বক্তৃতা, ভাষণ, ওয়াজ, খুতবা, আল মু‘জামুল ওয়াফী-371, রিয়াদ প্রকাশনী। ইত্যাদি।

(খ) জুমার নামায শুদ্ধ হওয়ার জন্য সাতটি শত রয়েছে। তার মধ্য থেকে একটি হলো জুমার খোৎবা, আর তা স্বল্প সময়ে তথা ছোট ভাবে ব্যক্ত করা যেতে পারে, দীর্ঘ সময় তথা বড় ভাবেও পড়া যেতে পারে। তাতে কোন সমস্যা নেই। কেননা মহান রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে জুমার নামায সংক্রান্ত আদেশ দিতে গিয়ে বলেন-

{يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِيَ لِلصَّلَاةِ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ } [الجمعة: 9]


হে ঈমানদার বান্দাগণ ! যখন জুমার নামাযের জন্য তোমাদেরকে আহবান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর জিকিরের দিকে অগ্রসর হও। (সূরা জুমা-07)

উক্ত আয়াতে মহান রাব্বুল আলামিন তার জিকিরের দিকে অগ্রসর হতে বলেছেন, কিন্তু তার কোন সিমা নিদ্ধারন করেন নিআর জুমার খোৎবাও আল্লাহর জিকির জুমার নামাজের অন্তর্ভুক্ত, তাই নিদ্ধারন না করার দরুন এর মাঝে সংক্ষিপ্ত দীর্ঘ দুটিই বৈধ আর মহান আল্লাহর এই আজ্ঞা অনুসারে রাসূল (সা.) এর হাদীসের মাঝেও অনুরুপ কখনো দীর্ঘ হওয়ার আলোচনা আবার কখনো সংক্ষিপ্ত (কিন্তু সংক্ষিপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে নুন্নতম একবার আলহামদুলিল্লাহ অথবা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ অথবা সুবহানাল্লাহ পরিমান হলেই চলবে, সারকথা সংক্ষিপ্ততার ক্ষেত্রে আল কোরআনের তিনটি আয়াত পরিমান হতে হবে)

এখন দেখুন হাদীস থেকে খুৎবা সংক্ষেপ হওয়ার আলোচনা


সোমবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৫

কোরআন সুন্নাহর আলোকে রেফারেন্স এর আবশ্যকতা



কোরআন সুন্নাহর আলোকে রেফারেন্স এর আবশ্যকতা


(একটি দুর্লভ গবেষনা)



সন্মানিত পাঠক বৃন্দু বর্তমান আমাদের সমাজে দৃষ্টিপাত করলে দেখা যায় মুফতীর অভাব নেই, অর্থাত সাধারন জনতা ও ফতোয়া দেয়ার জন্য খুব আগ্রহী, এ বিষয়ে কোন জ্ঞান থাক বা না থাকআসলে আমরা যদি আমাদের জীবনে এই নীতি গ্রহণ করী যে, মাসয়ালা বলতে হলে রেফারেন্স দিতে হবে তাহলে বর্তমানে যারা ইলম না থাকা সত্ত্বেও ইলম এর বাজার দখল করে আছে, তারা হুমড়ী খেয়ে বিদায় নিতে বাধ্য হবে। আবার অনেকের মুখে শুনা যায় যে রেফারেন্স এর কি প্রয়োজন, যেমন আমি আমার লিখার মাঝে সবসময় অনেক রেফারেন্স দিতে ভালো লাগে, তাই অনেক ভাই আমাকে বিরক্ত হয়ে বলে ভাই এত রেফারেন্স এর কি প্রয়োজন? আমার মনে হয় অনেকে এগুলো কে বিদআত তথা নবআবিষ্কৃত মনে করে!! না না  এই ধরনের রেফারেন্স দেয়ার অভ্যাস রাসূল (সা.) এর মাঝেও ছিল- যেমন


(1) নং দলীল, রাসূল সা. যখন কোরআনের নিম্ন আয়াত টি তেলাওয়াত করেন-

{الَّذِينَ آمَنُوا وَلَمْ يَلْبِسُوا إِيمَانَهُمْ بِظُلْمٍ أُولَئِكَ لَهُمُ الْأَمْنُ وَهُمْ مُهْتَدُونَ (82)} [الأنعام: 82]

অর্থাত যারা আল্লাহর উপর ঈমান এনেছে এবং নিজ ঈমান কে জুলুম এর সাথে মিশ্রন করে নি, তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে নিরাপদ প্রাপ্ত ও হেদায়েত প্রাপ্ত( সূরা আনআম, আয়াত-82)

শনিবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৫

তামাক খাওয়া বৈধ কি?

 তামাক খাওয়া বৈধ কি?



প্রশ্ন তামাক খাওয়া বৈধ কি? আমাদের দেশে বিভিন্ন মানুষকে দেখা যায় যারা পান ইত্যাদির সাথে তামাক খায় কোরআন সুন্নাহর আলোকে এর বিস্তারিত বিধান জানতে চাই? 
মোঃ আমিরে হমজা

উত্তর : তামাক খাওয়া বৈধ না। এর বিভিন্ন কারণ রয়েছে, নিন্মে তা উল্লেখ করা হলো-

01। ইহা একটি شجرة خبيثة (অনিষ্টকারী গাছ) অথচ মহান আল্লাহ তায়ালা সমস্ত খাবায়েস (অনিষ্টকারী) বস্তুকে হারাম করেছেন। যেমন মহান সত্তার বানী-
 {وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَائِثَ} [الأعراف: 157]  
যিনি তাদের জন্য পবিত্র বস্তুকে হালাল করেছেন এবং খাবায়েস (অনিষ্ট) বস্তুকে করেছেন হারাম। সূরা আরাফ-157।

2। ইহা মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর, সমস্ত ডাক্তারগণের ঐক্য মতে, এবং এর থেকেই সর্বএ ধরনের রোগ ব্যধি সৃষ্টি হয়, বিশেষ করে হৃদয় রোগ, আর এটি নিজেকে নিজ ধ্বংস করা ছাড়া আর কিছুই নয় । আর মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন-
 { وَلَا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ} [البقرة: 195] 
অথচ তোমরা নিজেরদেরকে ধ্বংসের দিকে ঢেলে দিও না, সূরা বাকারা-195 ।

বুধবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৫

দুনিয়াতে আল্লাহকে দেখা সম্ভব?

 দুনিয়াতে আল্লাহকে দেখা সম্ভব?

আসসালামু আলাইকুম মুফতি সাহেব !

আমি মোঃ রেজওয়ানূর রহমান ! মোহাম্মদপূর,ঢাকা !


বেশ কিছু দিন যাবত কথিত আহলে হাদিসরা 'দাওয়াত ও তাবলীগ' এর মত হক্ক মেহনত এর বিরুদ্ধে নানা রকম মিথ্যাচার ও অপবাদ রটিয়ে  চলেছে ! সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এবং এই মেহনত থেকে দুরে সরানোর জন্য এদের সীমাহীন ফিৎনা মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে ! 

'ফাজায়েলে আমাল' এর  কিছু ঘটনাকে এরা কূরআন ও হাদীস বিরোধী আক্ষা দিয়ে অপপ্রচার করছে ! যেমন নিম্ন বর্ণীত এই ঘটনাটি নিয়ে এরা সর্বাধীক অপপ্রচার করে থাকে -

ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল আল্লাহ তায়ালাকে স্বপ্নে দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, ‘’হে আল্লাহ! আপনার দরবারে নৈকট্য লাভের জন্য সবচেয়ে বড় উসিলা কি?’’ উত্তর আসিল, আহমাদ! সেটা আমার কালাম।‘’আমি আরয করিলাম, ‘’বুঝিয়া পড়িলে নাকি না বুঝিয়া পড়িলে?’’এরশাদ হইল,‘’বুঝিয়া পড়ুক বা না বুঝিয়া পড়ুক উভয় অবস্থাই নৈকট্যের উসিলা’’ 


ফাজায়েলে আমল; ফাজায়েলে কুরআন; মুহাম্মাদ যাকারিয়া ছাহেব কান্ধলভি; অনুবাদক- মুফতি মুহাম্মাদ উবাইদুল্লাহ; নজরে ছানী ও সম্পাদনা হাফেজ মাওলানা মুহাম্মাদ যুবায়ের ছাহেব ও মাওলানা রবিউল হক ছাহেব; কাকরাইল মসজিদ, ঢাকা। প্রকাশনা- দারুল কিতাব, ৫০ বাংলাবাজার, ঢাকা; অক্টোবর ২০০১ ইং; পৃষ্ঠা নঃ ৫৪


তাদের দাবি এই ঘটনাটি কূফরী-শীরকি এবং কূরআন সূন্নাহ বিরোধী ! 
ইমাম আহমাদ বিন হাম্বলের নামে এটি একটি মিথ্যা কথা, যা তিনি অসংখ্য কিতাব লিখেছেন। তারা তাদের সাধ্যমত খোজ করেও তাঁর কোন কিতাবে উপরোক্ত ঘটনার উল্লেখ নাকি পাই নি। আর আল্লাহ কে দুনিয়ায় দেখার বিষয়টি নাকি বড় রকমের শীরকী বিষয় !  


এই বিষয়ে মুফতি সাহেবের মূল্যবান মতামত ও জবাবের অপেক্ষায় থাকলাম !
আল্লাহ তায়ালা হযরতের এলেমে বরকত দান করুন (আমীন)

সমাধান

‘সৃষ্টি কে ছাড়িয়ে সষ্টা নিয়ে শুরু হলো ফেৎনা’’
আর তা হলো আল্লাহকে দুনিয়াতে দেখা সম্ভব কিন না? সালাফীগণ বলেন না, আর ফাযায়েলে আমলের মাঝে ইমাম আহমদ রহ. আল্লাহকে দেখেছেন বলে উল্লেখ রয়েছে তাই তারা বলে এই কিতাবে শিরক আছে? আসলে আমরা গবেষনা করে দেখি কার কথা সঠিক আর কার ফাতাওয়ায় কে শিরক করছে? 


উত্তর : আল্লাহ তায়ালাকে দুনিয়াতে দেখা সম্ভব আর তার পদ্ধতি নিয়ে রয়েছে মতানক্য, অর্থাত স্বপ্নে মাঝে নাকি বাস্তবে। (আর দেখা সম্ভব নয় এই কথাটি সম্পূণ ভুল)।

শনিবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৫

জাতীয় পতাকাকে স্যালুট বা সম্মান প্রদর্শন করা বৈধ কি?

জাতীয় পতাকাকে স্যালুট বা সম্মান প্রদর্শন করা বৈধ কি?

আসসালামু আলাইকুম,
নামঃ মোঃ আশিক
থানাঃ ঘাটাইল, জেলাঃ টাংগাইল।
মোবাইলঃ ০১৭৬৫-৪৭০ ২৭০

আমার প্রশ্নঃ
      জাতীয় পতাকার সামনে দাঁড়িয়ে যে স্যালুট প্রদান করা হয় তা ইসলামের দৃষ্টিতে যায়েজ কিনা?
যায়েজ থাকলেও দলীল সহকারে আর না থাকলেও দলীল সহকারে উত্তর দিবেন আশা করি।

      আমাদের এলাকায় এক স্কুলের শিক্ষক, জাতীয় পতাকার সামনে সম্মান পদর্শনের জন্য পতাকার সামনে দাঁড়িয়ে, পতাকার দিকে তাকিয়ে স্যালুট প্রদানে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গির দিক বিবেচনা করে অস্বীকার করাতে তার চাকুরী নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তাই দয়া করে এর ইসলামি সমাধান আশা করছি। স্কুল কমিটি তার কাছে দলীল চেয়েছে।

الجواب باسم ملهم الصدق والصواب

সমাধানঃ জাতীয় পতাকার সামনে দাঁড়িয়ে স্যালুট/ সম্মান প্রদর্শন করা বৈধ নয়, এটি একটি বিদ‘আত ও পরিত্যাক্ত কাজ।

ইসলামে যা কিছু প্রথম, যেমন প্রথম মুসলিম কে?

ইসলামে যা কিছু প্রথম, যেমন প্রথম মুসলিম কে?


 এ সংক্রান্ত 195 টি প্রশ্রের উত্তর


أوائل فى الإسلام
س1: أول من اسلم من الرجال ؟
ج1 : أبو بكر الصديق رضي الله عنه.
س2 : أول من اسلم من النساء ؟
ج2: خديجه بنت خويلد رضي الله عنها.
س3: أول من اسلم من الصبية ؟
ج3: علي بن أبي طالب كرم الله وجهه.
س4: أول من رمى بسهم في سبيل الله ؟
ج4: سعد بن أبي وقاس رضي الله عنه.
س5: أول من سل سيفا في سبيل الله ؟
ج5: طلحة بن عبيد الله رضي الله عنه.

কোরআন সুন্নাহর আলোকে তাসবীহ ব্যবহার

 কোরআন সুন্নাহর আলোকে তাসবীহ ব্যবহার


আমার লিখিত একটি কিতাব, যার মধ্যে তাসবীহ সংক্রান্ত আলোচনা করা হয়েছে। কারন বর্তমানে আমাদের সমাজে এক ধরনের ফেতনাবাজ লোক তাসবীহ ব্যবহার করা বিদআত বা হারাম বলছে। তাই তাদের প্রতি কিয়ামত প্রর্যন্ত চ্যলেঞ্জ করা হয়েছে। এবং উক্ত বইটিকে প্রায় শতাদিক গ্রন্থের রেফারেন্স দ্বারা সাজানো হয়েছে।
https://www.facebook.com/download/326184714254888/5%20last%20porub.pdf

আনাস ইবনে মালেক (রা.) এর দোয়া

 আনাস ইবনে মালেক (রা.) এর দোয়া

 

আপনি কি হত্যা ও শত্রুর ভয়ে চিন্তিত??? আজই পড়ুন আমার লিখিত একটি পুস্তিকা ‘‘হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) এর দোয়া’’ যা হত্যা, শক্র ও কঠিন মসিবত থেকে বাঁচার 100% উপায়; এবং এই বইটি পড়ার দ্বারা আপনার ঈমান হবে পূর্বের চেয়ে নবায়ন ও অনেক শক্তিশালী।- https://www.facebook.com/download/1595476060688122/ANAS%20IBNE%20MALAK%20R.%20DUA.pdf

মঙ্গলবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৫

উকুন সৃষ্টির রহস্য কি?

 উকুন সৃষ্টির রহস্য কি?

   
শত ব্যস্ততার মাঝেও এই পোষ্টটি দিতে বাধ্য হলাম।
কিছু দিন পূর্বে একজন ভাই বলছিলেন, হুজুর একটু দোয়া করবেন, বললাম কেন? উত্তরে বললো বড় বোনের মাথায় অনেক উকুন তাই বোনের স্বামী তাকে পছন্দ করেনা। খুব ঘৃণা করে। সে আরো বলছিল আচ্ছা মুফতী সাহেব, এই উকুন সৃষ্টির মাঝে রহস্য
কি?

সোমবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৫

কুরআন তিলাওয়াত শেষে সাদাকাল্লাহুল আযীম বলা কি বিদ‘আহ !!!

প্রশ্ন : বর্তমানে আহলে হাদীসরা বিভিন্ন স্থানে প্রচার করতেছে যে, কোরআন তেলাওয়াত শেষ করার পর “সাদাকাল্লাহুল আযীম” বলা বেদআত। কারণ একথা হাদীসের মাঝে নেই। এখন আমাদের জানার বিষয় হলো আসলে এটি বিতআত কি না?

উত্তরঃ তাদের কথা ভুল। কোরআনুল কারীম তেলাওয়াত শেষে “সাদাকাল্লাহুল আযীম” (যার অর্থ হলো মহান আল্লাহ সত্য বলেছেন) বলা যাবে এটি বেদআত নয়। তার প্রমাণ স্বরূপ আমরা মহান আল্লাহ বাণী দেখবো তিনি প্রবিত্র কোরআনে বলেন-

 قُلْ صَدَقَ اللَّهُ فَاتَّبِعُوا مِلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ [آل عمران: ৯৫


শনিবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৫

“ঈমান ছেড়ে কুফুরীর মাঝে প্রবেশের একটি সুক্ষ পন্থা”

“ঈমান ছেড়ে কুফুরীর মাঝে প্রবেশের একটি সুক্ষ পন্থা” 

এই বিষয়টি আমাদের মাঝে খুব প্রচলন, যে কাউকে নোয়াখাইল্লা, বরিশাইল্লা ইত্যাদি গোত্রের নামগুলোকে ব্যাঙ করে গাল-মন্দ করা, এর চেয়েও দূঃখের বিষয় হচ্ছে যে, আমরা এটাকে কোন গুনাহের কাজ বলেও মনে করছি না। আসলে এটিযে কত জঘন্য পাপ আপনি হয়ত বা আজকেই প্রথম শুনবেন?


     রাসূল (স্বল্লাল্ল-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এ ধরনের লোকগুলোকে কাফের বলে আক্ষায়িত করেছেন (নাউযুবিল্লাহ আল্লাহ)। মহান রব্বুল ‘আলামীন আমাদেরকে এ বিষয়গুলো জেনে তার উপর পরিপূর্ণ ‘আমল করার তাউফীক্ব দান করুন। আমীন...

বিস্তারিত নিম্নে বর্ণনা করা হলোঃ

১. মহান আল্লাহ তা‘আলা তার পবিত্র গ্রন্থ আল-কুরআনে বলেনঃ

{ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا يَسْخَرْ قَوْمٌ مِنْ قَوْمٍ عَسَى أَنْ يَكُونُوا خَيْرًا مِنْهُمْ وَلَا نِسَاءٌ مِنْ نِسَاءٍ عَسَى أَنْ يَكُنَّ خَيْرًا مِنْهُنَّ وَلَا تَلْمِزُوا أَنْفُسَكُمْ وَلَا تَنَابَزُوا بِالْأَلْقَابِ بِئْسَ الِاسْمُ الْفُسُوقُ بَعْدَ الْإِيمَانِ وَمَنْ لَمْ يَتُبْ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ } [الحجرات: 11]

অর্থাত- হে ঈমানদারগণ তোমরা একটি কাওম/গোত্র যাতে করে অন্য কাওম/গোত্রকে নিয়ে উপহাস না কর, হতে পারে উপহাসকৃত গোত্রই উত্তম-আর যারা এহেন কাজ থেকে তাওবা না করে তারাই যালিন/অত্যাচারী। (সূরা হুজুরাত-আয়াত নং-১১)

২. মুসলিম শরীফ এর বর্ণনা-

صحيح مسلم (1/ 82)
121 - (67) وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ - اللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا أَبِي، وَمُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ كُلُّهُمْ عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اثْنَتَانِ فِي النَّاسِ هُمَا بِهِمْ كُفْرٌ: الطَّعْنُ فِي النَّسَبِ وَالنِّيَاحَةُ عَلَى الْمَيِّتِ "

অর্থাত- হযরত আবূ হুরায়রা (রদ্বিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রসূল (স্বঃ) বলেছেন, মানুষের মাঝে দু‘ধরনের মানুষ আছে যারা কুফরীর সাথে সম্পৃক্ত,
     (এক) যারা গোত্র নিয়ে তিরষ্কার করে,
     (দুই) মৃত ব্যক্তির উপর জাহেলী যুগের মত কান্না করে। (সহীহ মুসলিম হাদীস নং-১২১)

৩. সহীহ বুখারীর বর্ণনা-

صحيح البخاري (1/ 15)
30 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ وَاصِلٍ الأَحْدَبِ، عَنِ المَعْرُورِ بْنِ سُوَيْدٍ، قَالَ: لَقِيتُ أَبَا ذَرٍّ بِالرَّبَذَةِ، وَعَلَيْهِ حُلَّةٌ، وَعَلَى غُلاَمِهِ حُلَّةٌ، فَسَأَلْتُهُ عَنْ ذَلِكَ، فَقَالَ: إِنِّي سَابَبْتُ رَجُلًا فَعَيَّرْتُهُ بِأُمِّهِ، فَقَالَ لِي النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا أَبَا ذَرٍّ أَعَيَّرْتَهُ بِأُمِّهِ؟ إِنَّكَ امْرُؤٌ فِيكَ جَاهِلِيَّةٌ،

অর্থাত-হযরত মায়রূর ইবনে সুয়াইদ (রদ্বিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হযরত আবূ জর গীফারী (রদ্বিঃ)-এর সাথে জাবাদাহ নামক স্থানে সাক্ষাত হয়, তখন আমি তার গায়ে একটি চাদর দেখি হুবহু তার গোলামের গায়েও একই ধরনের চাদর তখন আমি তাকে এর কারন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমি একজন মানুষকে গালি দিয়েছি তার মাকে তিরষ্কার করে।
(বুখারীতে এই হাদীসটির বিস্তারিত ব্যাখ্যা নেই অন্য কিতাবগুলিতে আছে যেমন, শু‘আবুল ঈমান-৭/১৩০ হা-৪৭৭২,)
     তিনি ছিলেন হযরত বেলাল (রদ্বিঃ) যাকে আবূ যার গীফারী (রদ্বিঃ) গালী দিয়েছেন, আর তা ছিল `হাবশী ‘ শব্দ বলে আর হাবশা একটি গোত্রের নাম অথবা কেউ কেউ বলেছেন, কালো মহিলার বাচ্চা বলে, তার অর্থও প্রথম অর্থের মত অর্থাত হাবশা বুঝিয়েছেন) অতপর রসূল (স্বঃ)-এর কাছে এই বিচার যাওয়ার পর রসূল (স্বঃ) হযরত আবূ যর গীফারী (রদ্বিঃ)-এর মত জালিলুল কদর সাহাবীকে বলেন, তুমি এমন একজন লোক যার মাঝে আজও জাহেলী যুগের স্বভাব রয়ে গেছে। (বুখারী-১/১৫, হাদীস-৩০)

সন্মানীত পাঠক বৃন্দু! এই কুরআনের আয়াত আর হাদীস দুইটি পড়ার দ্বারা নিশ্চয় আপনি বুঝেছেন যে, কোন গোত্র বংশ ইত্যাদি নিয়ে গাল-মন্দ বা তিরষ্কার করা জগন্য ধরনের পাপ।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এগুলো বুঝে আমল করা তাওফীক দান করুন। আমীন

(আল-কুরআন আর সহীহ বুখারী ও মুসলিমের হাদীস দ্বারা প্রমান করার কারনে আমি অন্য কোন কিতাব থেকে প্রমান দিলাম না, না হয় আরো অসংখ্য প্রমান আমি রিচাস করে বের করে রেখেছি।)

মুফতী মো, ছানা উল্লাহ

শুক্রবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৫

বিদ‘আহ! বিদ‘আহ! বিদ‘আহ! সকল ঈদের সেরা ঈদ রাসূলের জন্ম ঈদ!!!

সকল ঈদের সেরা ঈদ রাসূলের জন্ম ঈদ!!!

(সারসংক্ষেপ, যারা বিস্তারিত পড়তে আগ্রহী নন)
     ঈদে মিলাদুন নবী পালন করা হলো বেদআত, কারন সাহাবী ও রাসূল (সাঃ) থেকে এ সম্পর্কে কোন বণনা নেই। মোট কথা কোরআন ও হাদীসে এর সপক্ষে কোন বিধান নেই। আর এগুলো হলো বিজাতীয় স্বাভাব যা প্ররিত্যাগ করা আমাদের জন্য আবশ্যক। তাছাড়াও ইসলামী শরী‘আতে দুটিমাত্র ঈদ পাওয়া যায়। তাহলে এখন তৃতীয় ঈদ কোথা থেকে আসলো? নিশ্চয় বিদ‘আতীদের পক্ষ থেকে।
     আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন আমীন।
 

বিস্তারিত দেখুন-

বৃহস্পতিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১৫

আপনি বাম হাত দিয়ে আহার করার কারণে কোন ভাইরাস বা কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন না তো?

 
আজ আমাদের সমাজে লক্ষ করলে দেখা যায়, এক শ্রেণীর মানুষ খাওয়া-দাওয়া, লিখা-লেখিসহ ইত্যাদি কাজ বাম হাত দিয়ে করতে ইচ্ছুক, তাই এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা স‘হীহ ‘হাদীসের আলোকে।