মঙ্গলবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৫

কেমন হবে জুমার খোৎবা?

কেমন হবে জুমার খোৎবা?

মাযহাব কোনো মনগড়া মতবাদ এর নাম নয়। বরং কোরআন ও সহীহ হাদীসের এক মহাদপ্তর।

প্রশ্ন : 
আচ্ছালামু আলাইকুম,
মুহতারম আমাদের গ্রাম্য মসজিদে স্হায়ী ইমামের অনুপুস্তিতে অন্য এক জন আলেম জুমার খুৎবা দেয়ার সময়, মসজিদে থাকা খোতবাতুল আহকামে বর্ণিত এবারতকে কাটসিট করে সংক্ষেপে ৪-৬ মিনিটের মধ্যে উভয়  খোৎবা শেষে নামাজ আদায় করেন, এবং খোতবা সংক্ষেপ করাতে অনেক মুসল্লি বিরূপ মনতব্য ও হৈচৈ করতে থাকে ।এতে নামাজের কোন ক্ষতি হবে কি? তাসত্বেও নিন্ম বর্ণিত বিষয় গুলো জানতে চাই ।

(1) খোৎবা কাকে বলে ?
(2) জুমার খোৎবা কতটুকু লম্বা হয়া চাই ?
(3)জুমার খোৎবায় কি পরিমান কোরআন হাদীস বর্ণনা করতে হবে ?

এম এম আবদুল্লাহ ভূইয়া 
মক্কা সৌদি আরব  
00966504967863


সমাধান :

(ক)খুতবাহশব্দের বিভিন্ন অথ রয়েছে যেমন, বক্তা মিম্বরের উপর যা বলে থা

কে অথবা যে কথা খুব সাজানো গোছানো হয়ে থাকে তাকে খুতবাহ বলে। (লিসানুল আরব-1/361, দারুসাদের ভারত থেকে প্রকাশিত; তাজুল আরুস-2/372, দারুল হেদায়া থেকে প্রকাশিত; অথবা তার অর্থ বক্তৃতা, ভাষণ, ওয়াজ, খুতবা, আল মু‘জামুল ওয়াফী-371, রিয়াদ প্রকাশনী। ইত্যাদি।

(খ) জুমার নামায শুদ্ধ হওয়ার জন্য সাতটি শত রয়েছে। তার মধ্য থেকে একটি হলো জুমার খোৎবা, আর তা স্বল্প সময়ে তথা ছোট ভাবে ব্যক্ত করা যেতে পারে, দীর্ঘ সময় তথা বড় ভাবেও পড়া যেতে পারে। তাতে কোন সমস্যা নেই। কেননা মহান রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে জুমার নামায সংক্রান্ত আদেশ দিতে গিয়ে বলেন-

{يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِيَ لِلصَّلَاةِ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ } [الجمعة: 9]


হে ঈমানদার বান্দাগণ ! যখন জুমার নামাযের জন্য তোমাদেরকে আহবান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর জিকিরের দিকে অগ্রসর হও। (সূরা জুমা-07)

উক্ত আয়াতে মহান রাব্বুল আলামিন তার জিকিরের দিকে অগ্রসর হতে বলেছেন, কিন্তু তার কোন সিমা নিদ্ধারন করেন নিআর জুমার খোৎবাও আল্লাহর জিকির জুমার নামাজের অন্তর্ভুক্ত, তাই নিদ্ধারন না করার দরুন এর মাঝে সংক্ষিপ্ত দীর্ঘ দুটিই বৈধ আর মহান আল্লাহর এই আজ্ঞা অনুসারে রাসূল (সা.) এর হাদীসের মাঝেও অনুরুপ কখনো দীর্ঘ হওয়ার আলোচনা আবার কখনো সংক্ষিপ্ত (কিন্তু সংক্ষিপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে নুন্নতম একবার আলহামদুলিল্লাহ অথবা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ অথবা সুবহানাল্লাহ পরিমান হলেই চলবে, সারকথা সংক্ষিপ্ততার ক্ষেত্রে আল কোরআনের তিনটি আয়াত পরিমান হতে হবে)

এখন দেখুন হাদীস থেকে খুৎবা সংক্ষেপ হওয়ার আলোচনা



صحيح مسلم (2/ 594)
47 - (869) حَدَّثَنِي سُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبْجَرَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَاصِلِ بْنِ حَيَّانَ، قَالَ: قَالَ أَبُو وَائِلٍ: خَطَبَنَا عَمَّارٌ، فَأَوْجَزَ وَأَبْلَغَ، فَلَمَّا نَزَلَ قُلْنَا: يَا أَبَا الْيَقْظَانِ لَقَدْ أَبْلَغْتَ وَأَوْجَزْتَ، فَلَوْ كُنْتَ تَنَفَّسْتَ فَقَالَ: إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «إِنَّ طُولَ صَلَاةِ الرَّجُلِ، وَقِصَرَ خُطْبَتِهِ، مَئِنَّةٌ مِنْ فِقْهِهِ، فَأَطِيلُوا الصَّلَاةَ، وَاقْصُرُوا الْخُطْبَةَ، وَإِنَّ مِنَ الْبَيَانِ سِحْرًا»

     হযরত আবূ ওয়ায়িল (রা.) বললো, আমাদের আম্মার (রা.) জুমার খোৎবা অধিক সংক্ষিপ্ত করে পাঠ করলো, অতঃপর যখন সে মিম্বর থেকে নেমে আসলো আমরা তাকে বললাম, হে আবূ ইয়াকজান! আপনিতো খোৎবা অতি সংক্ষিপ্ত করে ফেললেন, যদি আপনি একটু দীঘ করে পড়তেন!! অতঃপর তিনি উত্তর দিলেন আমি রাসূল (সা.) থেকে শুনেছি, তিনি বলেছেন, নামযকে দীঘ করা আর খুৎবাকে সংক্ষিপ্ত করা মানুষের পূণ জ্ঞানের লক্ষ্ণ। অতএব তোমরা নামাযকে দীঘ কর আর খোৎবাকে সংক্ষিপ্ত কর, (আর কিছু খোৎবা /বক্তব্য আছে যাদুর ন্যয়)সহীহ মুসলীম হাদীস-869।হাদীসটি সহীহ।

سنن أبي داود (1/ 289)
1106 – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الْعَلَاءُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي رَاشِدٍ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، قَالَ: «أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِإِقْصَارِ الْخُطَبِ»
[حكم الألباني] : صحيح

হযরত আম্মার বিন ইয়াসের (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদেরকে রাসূল (সা.) খোৎবা সংক্ষিপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন। আবূ দাঊদ হাদীস-1106, হাদীসটি সহীহ।

صحيح ابن خزيمة (2/ 350)


1448 - نا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَسَلْمُ بْنُ جُنَادَةَ قَالَا: ثنا وَكِيعٌ قَالَ الْحَسَنُ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَخْطُبُ قَائِمًا، وَيَجْلِسُ بَيْنَ الْخُطْبَتَيْنِ وَيَتْلُو آيَةً مِنَ الْقُرْآنِ، وَكَانَتْ خُطْبَتُهُ قَصْدًا، وَصَلَاتُهُ قَصْدًا» ، غَيْرَ أَنَّ الْحَسَنَ قَالَ: وَكَانَ يَتْلُو عَلَى الْمِنْبَرِ فِي خُطْبَتِهِ آيَةً مِنَ الْقُرْآنِ

[التعليق] 1448 - قال الأعظمي: إسناده صحيح

হযরত জাবের ইবনে সামুরা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয় রাসূল (সা.) দাড়িয়ে খোৎবা পাঠ করতেন, এবং দুই খোৎবার মাঝে কিছু সময় বসতেন, এবং তাতে কোরআনের পাঠ করতেন আর রাসূল (সা.) এর খোৎবা ছিল মধ্যম পন্থার (অথাৎ বেশী দীঘও না বেশী ছোটও না) সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস-1448, হাদীসটি সহীহ।

سنن أبي داود (1/ 287)


1096 - حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا شِهَابُ بْنُ خِرَاشٍ، حَدَّثَنِي شُعَيْبُ بْنُ رُزَيْقٍ الطَّائِفِيُّ، قَالَ: جَلَسْتُ إِلَى رَجُلٍ لَهُ صُحْبَةٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يُقَالُ لَهُ: الْحَكَمُ بْنُ حَزْنٍ الْكُلَفِيُّ، فَأَنْشَأَ يُحَدِّثُنَا، قَالَ: وَفَدْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَابِعَ سَبْعَةٍ - أَوْ تَاسِعَ تِسْعَةٍ - فَدَخَلْنَا عَلَيْهِ، فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، زُرْنَاكَ فَادْعُ اللَّهَ لَنَا بِخَيْرٍ، فَأَمَرَ بِنَا، أَوْ أَمَرَ لَنَا بِشَيْءٍ مِنَ التَّمْرِ، وَالشَّأْنُ إِذْ ذَاكَ دُونٌ، فَأَقَمْنَا بِهَا أَيَّامًا شَهِدْنَا فِيهَا الْجُمُعَةَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَامَ مُتَوَكِّئًا عَلَى عَصًا، أَوْ قَوْسٍ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، كَلِمَاتٍ خَفِيفَاتٍ طَيِّبَاتٍ مُبَارَكَاتٍ، ثُمَّ قَالَ: «أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّكُمْ لَنْ تُطِيقُوا - أَوْ لَنْ تَفْعَلُوا - كُلَّ مَا أُمِرْتُمْ بِهِ، وَلَكِنْ سَدِّدُوا، وَأَبْشِرُوا»، قَالَ أَبُو عَلِيٍّ: سَمِعْتُ أَبَا دَاوُدَ قَالَ: «ثَبَّتَنِي فِي شَيْءٍ مِنْهُ بَعْضُ أَصْحَابِنَا، وَقَدْ كَانَ انْقَطَعَ مِنَ القِرْطَاسِ»

[حكم الألباني] : حسن

(হাদীসটির দলীল এর অংশ) হযরত হাকাম ইবনে হযম আল কিলফী (রা.) থেকে বর্ণিত, ......... তিন বলেন, আমরা রাসূল (সা.) এর কাছে অবস্থান করছিলাম এমন সময় জুমার দিন আসলো। অতঃপর রাসূল (সা.) লাঠি অথবা ধনুক এর উপর টেক দিয়ে দাড়ালেন এবং আল্লাহ তায়ালার প্রশংসা ও তার গুনগাণ বণনা করলেন আর কিছু গুরুত্ব সম্পূণ পবিত্র নসিহত করলেন।............ আবূ দাঊদ হাদীস-1096। হাদীসটি হাসান তথা প্রমাণ যোগ্য।

سنن أبي داود (4/ 302)

5008 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ الْبَهْرَانِيُّ، أَنَّهُ قَرَأَ فِي أَصْلِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ وَحَدَّثَهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ابْنُهُ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، قَالَ: حَدَّثَنِي ضَمْضَمٌ، عَنْ شُرَيْحِ بْنِ عُبَيْدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو ظَبْيَةَ، أَنَّ عَمْرَو ابْنَ الْعَاصِ، قَالَ: يَوْمًا - وَقَامَ رَجُلٌ فَأَكْثَرَ الْقَوْلَ - فَقَالَ عَمْرٌو: لَوْ قَصَدَ فِي قَوْلِهِ لَكَانَ خَيْرًا لَهُ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَقَدْ رَأَيْتُ، أَوْ أُمِرْتُ، أَنْ أَتَجَوَّزَ فِي الْقَوْلِ، فَإِنَّ الْجَوَازَ هُوَ خَيْرٌ»
[حكم الألباني] : حسن الإسناد
      
হযরত আমর ইবন আস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি একদা বললেন, এক ব্যক্তি আমাদের মাঝে দাড়িয়ে অনেক কথা বললেন। অতঃপর আমর ইবনে আস (রা.) বললেন, লোকটি যদি সংক্ষেপে বলতো তাহলে কতইনা ভলো হতো। কেননা আমি রাসূল (সা.) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন আমি তোমাদের কে কথা সংক্ষেপে বলার নির্দেশ দিচ্ছি। কেননা কথা সংক্ষেপে বলা অনেক উত্তম। আবূ দাঊদ হাদীস-5008, হাদীসটি হাসান তথা প্রমাণ যোগ্য।

উক্ত হাদীসে কথা সংক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে আর সমস্ত ব্যাখ্যাবিদ বলেন, খোৎবার মাঝেও যাতে করে দ্বীনি কথা বলা হয়, তাই এ বিধানটি সেখানেও চলে।

المعجم الكبير للطبراني (8/ 154)

7662 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ بْنِ نَجْدَةَ الْحَوْطِيُّ، ثنا يَحْيَى بْنُ صَالِحٍ الْوُحَاظِيُّ، ثنا جَمِيعُ بْنُ ثَوْبٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ خُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمْ كَانَ إِذَا بَعَثَ أَمِيرًا قَالَ: «أَقْصِرِ الْخُطْبَةَ، وَأَقِلَّ الْكَلَامَ، فَإِنَّ مِنَ الْكَلَامِ سِحْرًا»

হযরত আবূ উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) যখন কাউকে আমির নিযুক্ত করতেন, তখন তাকে বলতেন সংক্ষেপে খোৎবা পাঠ করবে এবং স্বল্প কথা বলবে। আর কিছু কথা আছে যাদুর ন্যায়। আবূ দাঊদ হাদীস-7662।

এখন দেখুন খোৎবা দৈঘ হওয়ার আলোচনা

صحيح مسلم (2/ 595)


51 - (873) حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ خُبَيْبٍ، عَنْ عَبدِ اللهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ مَعْنٍ، عَنْ بِنْتٍ لِحَارِثَةَ بْنِ النُّعْمَانِ، قَالَتْ: «مَا حَفِظْتُ ق، إِلَّا مِنْ فِي رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَخْطُبُ بِهَا كُلَّ جُمُعَةٍ»،

হারেসা ইবনে নোমানের কন্যা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সূরা কাফ মুখস্ত করেছি রাসূল (সা.) এর প্রত্যেক জুমার খোৎবা থেকে। মুসলিম হাদীস-873

উক্ত হাদীস দ্বারা বুঝা যায় রাসূল (সা.) খোৎবার মাঝে সূরা কাফও পড়তেন আর তা অনেক বড় একটি সূরা, যার দ্বারা বুঝা যায় যে, রাসূল (সা.) খোৎবা দীঘ ভাবেও পড়তেন।

صحيح البخاري (2/ 42)


1077 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، قَالَ: أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ أَخْبَرَهُمْ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ التَّيْمِيِّ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الهُدَيْرِ التَّيْمِيِّ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ: وَكَانَ رَبِيعَةُ مِنْ خِيَارِ النَّاسِ، عَمَّا حَضَرَ رَبِيعَةُ مِنْ عُمَرَ بْنِ الخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَرَأَ يَوْمَ الجُمُعَةِ عَلَى المِنْبَرِ بِسُورَةِ النَّحْلِ حَتَّى إِذَا جَاءَ السَّجْدَةَ نَزَلَ، فَسَجَدَ وَسَجَدَ النَّاسُ حَتَّى إِذَا كَانَتِ الجُمُعَةُ القَابِلَةُ قَرَأَ بِهَا، حَتَّى إِذَا جَاءَ السَّجْدَةَ، قَالَ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا نَمُرُّ بِالسُّجُودِ، فَمَنْ سَجَدَ، فَقَدْ أَصَابَ وَمَنْ لَمْ يَسْجُدْ، فَلاَ إِثْمَ عَلَيْهِ وَلَمْ يَسْجُدْ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ»

উক্ত হাদীসের সারসংক্ষেপ হলো-হযরত ওমর (রা.) জুমার খোৎবার মাঝে সূরা নাহল সম্পূণ পাঠ করতেন। বুখারী-1077

আর আমরা জানি সূরা নাহল আল কোরআনের একটি বড় ধরনের সূরা, যার দ্বারা খোৎবা দীঘ হওয়ার প্রমাণ মিলে।

صحيح البخاري (8/ 168)

6830 - حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: كُنْتُ أُقْرِئُ رِجَالًا مِنَ المُهَاجِرِينَ، مِنْهُمْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ، فَبَيْنَمَا أَنَا فِي مَنْزِلِهِ بِمِنًى، وَهُوَ عِنْدَ عُمَرَ بْنِ الخَطَّابِ، فِي آخِرِ حَجَّةٍ حَجَّهَا، إِذْ رَجَعَ إِلَيَّ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَقَالَ: لَوْ رَأَيْتَ رَجُلًا أَتَى أَمِيرَ المُؤْمِنِينَ اليَوْمَ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ المُؤْمِنِينَ، هَلْ لَكَ فِي فُلاَنٍ؟ يَقُولُ: لَوْ قَدْ مَاتَ عُمَرُ لَقَدْ بَايَعْتُ فُلاَنًا، فَوَاللَّهِ مَا كَانَتْ بَيْعَةُ أَبِي بَكْرٍ إِلَّا فَلْتَةً فَتَمَّتْ، فَغَضِبَ عُمَرُ، ثُمَّ قَالَ: إِنِّي إِنْ شَاءَ اللَّهُ لَقَائِمٌ العَشِيَّةَ فِي النَّاسِ، فَمُحَذِّرُهُمْ هَؤُلاَءِ الَّذِينَ يُرِيدُونَ أَنْ يَغْصِبُوهُمْ أُمُورَهُمْ. قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ: فَقُلْتُ: يَا أَمِيرَ المُؤْمِنِينَ لاَ تَفْعَلْ، فَإِنَّ المَوْسِمَ يَجْمَعُ رَعَاعَ النَّاسِ وَغَوْغَاءَهُمْ، فَإِنَّهُمْ هُمُ الَّذِينَ يَغْلِبُونَ عَلَى قُرْبِكَ حِينَ تَقُومُ فِي النَّاسِ، وَأَنَا أَخْشَى أَنْ تَقُومَ فَتَقُولَ مَقَالَةً يُطَيِّرُهَا عَنْكَ كُلُّ مُطَيِّرٍ، وَأَنْ لاَ يَعُوهَا، وَأَنْ لاَ يَضَعُوهَا عَلَى مَوَاضِعِهَا، فَأَمْهِلْ حَتَّى تَقْدَمَ المَدِينَةَ، فَإِنَّهَا دَارُ الهِجْرَةِ وَالسُّنَّةِ، فَتَخْلُصَ بِأَهْلِ الفِقْهِ وَأَشْرَافِ النَّاسِ، فَتَقُولَ مَا قُلْتَ مُتَمَكِّنًا، فَيَعِي أَهْلُ العِلْمِ مَقَالَتَكَ، وَيَضَعُونَهَا عَلَى مَوَاضِعِهَا. فَقَالَ عُمَرُ: أَمَا وَاللَّهِ - إِنْ شَاءَ اللَّهُ - لَأَقُومَنَّ بِذَلِكَ أَوَّلَ مَقَامٍ أَقُومُهُ بِالْمَدِينَةِ. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: فَقَدِمْنَا المَدِينَةَ فِي عُقْبِ ذِي الحَجَّةِ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ الجُمُعَةِ عَجَّلْتُ [ص:169] الرَّوَاحَ حِينَ زَاغَتِ الشَّمْسُ، حَتَّى أَجِدَ سَعِيدَ بْنَ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ جَالِسًا إِلَى رُكْنِ المِنْبَرِ، فَجَلَسْتُ حَوْلَهُ تَمَسُّ رُكْبَتِي رُكْبَتَهُ، فَلَمْ أَنْشَبْ أَنْ خَرَجَ عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ، فَلَمَّا رَأَيْتُهُ مُقْبِلًا، قُلْتُ لِسَعِيدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ: لَيَقُولَنَّ العَشِيَّةَ مَقَالَةً لَمْ يَقُلْهَا مُنْذُ اسْتُخْلِفَ، فَأَنْكَرَ عَلَيَّ وَقَالَ: مَا عَسَيْتَ أَنْ يَقُولَ مَا لَمْ يَقُلْ قَبْلَهُ، فَجَلَسَ عُمَرُ عَلَى المِنْبَرِ، فَلَمَّا سَكَتَ المُؤَذِّنُونَ قَامَ، فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ، ثُمَّ قَالَ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنِّي قَائِلٌ لَكُمْ مَقَالَةً قَدْ قُدِّرَ لِي أَنْ أَقُولَهَا، لاَ أَدْرِي لَعَلَّهَا بَيْنَ يَدَيْ أَجَلِي، فَمَنْ عَقَلَهَا وَوَعَاهَا فَلْيُحَدِّثْ بِهَا حَيْثُ انْتَهَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ، وَمَنْ خَشِيَ أَنْ لاَ يَعْقِلَهَا فَلاَ أُحِلُّ لِأَحَدٍ أَنْ يَكْذِبَ عَلَيَّ: إِنَّ اللَّهَ بَعَثَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالحَقِّ، وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الكِتَابَ، فَكَانَ مِمَّا أَنْزَلَ اللَّهُ آيَةُ الرَّجْمِ، فَقَرَأْنَاهَا وَعَقَلْنَاهَا وَوَعَيْنَاهَا، رَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَجَمْنَا بَعْدَهُ، فَأَخْشَى إِنْ طَالَ بِالنَّاسِ زَمَانٌ أَنْ يَقُولَ قَائِلٌ: وَاللَّهِ مَا نَجِدُ آيَةَ الرَّجْمِ فِي كِتَابِ اللَّهِ، فَيَضِلُّوا بِتَرْكِ فَرِيضَةٍ أَنْزَلَهَا اللَّهُ، وَالرَّجْمُ فِي كِتَابِ اللَّهِ حَقٌّ عَلَى مَنْ زَنَى إِذَا أُحْصِنَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ، إِذَا قَامَتِ البَيِّنَةُ، أَوْ كَانَ الحَبَلُ أَوِ الِاعْتِرَافُ، ثُمَّ إِنَّا كُنَّا نَقْرَأُ فِيمَا نَقْرَأُ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ: أَنْ لاَ تَرْغَبُوا عَنْ آبَائِكُمْ، فَإِنَّهُ كُفْرٌ بِكُمْ أَنْ تَرْغَبُوا عَنْ آبَائِكُمْ، أَوْ إِنَّ كُفْرًا بِكُمْ أَنْ تَرْغَبُوا عَنْ آبَائِكُمْ. أَلاَ ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " لاَ تُطْرُونِي كَمَا أُطْرِيَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ، وَقُولُوا: عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ " ثُمَّ إِنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّ قَائِلًا مِنْكُمْ يَقُولُ: وَاللَّهِ لَوْ قَدْ مَاتَ عُمَرُ بَايَعْتُ فُلاَنًا، فَلاَ يَغْتَرَّنَّ امْرُؤٌ أَنْ يَقُولَ: إِنَّمَا كَانَتْ بَيْعَةُ أَبِي بَكْرٍ فَلْتَةً وَتَمَّتْ، أَلاَ وَإِنَّهَا قَدْ كَانَتْ كَذَلِكَ، وَلَكِنَّ اللَّهَ وَقَى شَرَّهَا، وَلَيْسَ مِنْكُمْ مَنْ تُقْطَعُ الأَعْنَاقُ إِلَيْهِ مِثْلُ أَبِي بَكْرٍ، مَنْ بَايَعَ رَجُلًا عَنْ غَيْرِ مَشُورَةٍ مِنَ المُسْلِمِينَ فَلاَ يُبَايَعُ هُوَ وَلاَ الَّذِي بَايَعَهُ، تَغِرَّةً أَنْ يُقْتَلاَ، وَإِنَّهُ قَدْ كَانَ مِنْ خَبَرِنَا حِينَ تَوَفَّى اللَّهُ نَبِيَّهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ الأَنْصَارَ خَالَفُونَا، وَاجْتَمَعُوا بِأَسْرِهِمْ فِي سَقِيفَةِ بَنِي سَاعِدَةَ، وَخَالَفَ عَنَّا عَلِيٌّ وَالزُّبَيْرُ وَمَنْ مَعَهُمَا، وَاجْتَمَعَ المُهَاجِرُونَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ، فَقُلْتُ لِأَبِي بَكْرٍ: يَا أَبَا بَكْرٍ انْطَلِقْ بِنَا إِلَى إِخْوَانِنَا هَؤُلاَءِ مِنَ الأَنْصَارِ، فَانْطَلَقْنَا نُرِيدُهُمْ، فَلَمَّا دَنَوْنَا مِنْهُمْ، لَقِيَنَا مِنْهُمْ رَجُلاَنِ صَالِحَانِ، فَذَكَرَا مَا تَمَالَأَ عَلَيْهِ القَوْمُ، فَقَالاَ: أَيْنَ تُرِيدُونَ يَا مَعْشَرَ المُهَاجِرِينَ؟ فَقُلْنَا: نُرِيدُ إِخْوَانَنَا هَؤُلاَءِ مِنَ الأَنْصَارِ، فَقَالاَ: لاَ عَلَيْكُمْ أَنْ لاَ تَقْرَبُوهُمْ، اقْضُوا أَمْرَكُمْ، فَقُلْتُ: وَاللَّهِ لَنَأْتِيَنَّهُمْ، فَانْطَلَقْنَا حَتَّى أَتَيْنَاهُمْ فِي [ص:170] سَقِيفَةِ بَنِي سَاعِدَةَ، فَإِذَا رَجُلٌ مُزَمَّلٌ بَيْنَ ظَهْرَانَيْهِمْ، فَقُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ فَقَالُوا: هَذَا سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ، فَقُلْتُ: مَا لَهُ؟ قَالُوا: يُوعَكُ، فَلَمَّا جَلَسْنَا قَلِيلًا تَشَهَّدَ خَطِيبُهُمْ، فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ، ثُمَّ قَالَ: أَمَّا بَعْدُ، فَنَحْنُ أَنْصَارُ اللَّهِ وَكَتِيبَةُ الإِسْلاَمِ، وَأَنْتُمْ مَعْشَرَ المُهَاجِرِينَ رَهْطٌ، وَقَدْ دَفَّتْ دَافَّةٌ مِنْ قَوْمِكُمْ، فَإِذَا هُمْ يُرِيدُونَ أَنْ يَخْتَزِلُونَا مِنْ أَصْلِنَا، وَأَنْ يَحْضُنُونَا مِنَ الأَمْرِ. فَلَمَّا سَكَتَ أَرَدْتُ أَنْ أَتَكَلَّمَ، وَكُنْتُ قَدْ زَوَّرْتُ مَقَالَةً أَعْجَبَتْنِي أُرِيدُ أَنْ أُقَدِّمَهَا بَيْنَ يَدَيْ أَبِي بَكْرٍ، وَكُنْتُ أُدَارِي مِنْهُ بَعْضَ الحَدِّ، فَلَمَّا أَرَدْتُ أَنْ أَتَكَلَّمَ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ: عَلَى رِسْلِكَ، فَكَرِهْتُ أَنْ أُغْضِبَهُ، فَتَكَلَّمَ أَبُو بَكْرٍ فَكَانَ هُوَ أَحْلَمَ مِنِّي وَأَوْقَرَ، وَاللَّهِ مَا تَرَكَ مِنْ كَلِمَةٍ أَعْجَبَتْنِي فِي تَزْوِيرِي، إِلَّا قَالَ فِي بَدِيهَتِهِ مِثْلَهَا أَوْ أَفْضَلَ مِنْهَا حَتَّى سَكَتَ، فَقَالَ: مَا ذَكَرْتُمْ فِيكُمْ مِنْ خَيْرٍ فَأَنْتُمْ لَهُ أَهْلٌ، وَلَنْ يُعْرَفَ هَذَا الأَمْرُ إِلَّا لِهَذَا الحَيِّ مِنْ قُرَيْشٍ، هُمْ أَوْسَطُ العَرَبِ نَسَبًا وَدَارًا، وَقَدْ رَضِيتُ لَكُمْ أَحَدَ هَذَيْنِ الرَّجُلَيْنِ، فَبَايِعُوا أَيَّهُمَا شِئْتُمْ، فَأَخَذَ بِيَدِي وَبِيَدِ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الجَرَّاحِ، وَهُوَ جَالِسٌ بَيْنَنَا، فَلَمْ أَكْرَهْ مِمَّا قَالَ غَيْرَهَا، كَانَ وَاللَّهِ أَنْ أُقَدَّمَ فَتُضْرَبَ عُنُقِي، لاَ يُقَرِّبُنِي ذَلِكَ مِنْ إِثْمٍ، أَحَبَّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَتَأَمَّرَ عَلَى قَوْمٍ فِيهِمْ أَبُو بَكْرٍ، اللَّهُمَّ إِلَّا أَنْ تُسَوِّلَ إِلَيَّ نَفْسِي عِنْدَ المَوْتِ شَيْئًا لاَ أَجِدُهُ الآنَ. فَقَالَ قَائِلٌ مِنَ الأَنْصَارِ: أَنَا جُذَيْلُهَا المُحَكَّكُ، وَعُذَيْقُهَا المُرَجَّبُ، مِنَّا أَمِيرٌ، وَمِنْكُمْ أَمِيرٌ، يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ. فَكَثُرَ اللَّغَطُ، وَارْتَفَعَتِ الأَصْوَاتُ، حَتَّى فَرِقْتُ مِنَ الِاخْتِلاَفِ، فَقُلْتُ: ابْسُطْ يَدَكَ يَا أَبَا بَكْرٍ، فَبَسَطَ يَدَهُ فَبَايَعْتُهُ، وَبَايَعَهُ المُهَاجِرُونَ ثُمَّ بَايَعَتْهُ الأَنْصَارُ. وَنَزَوْنَا عَلَى سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، فَقَالَ قَائِلٌ مِنْهُمْ: قَتَلْتُمْ سَعْدَ بْنَ عُبَادَةَ، فَقُلْتُ: قَتَلَ اللَّهُ سَعْدَ بْنَ عُبَادَةَ، قَالَ عُمَرُ: وَإِنَّا وَاللَّهِ مَا وَجَدْنَا فِيمَا حَضَرْنَا مِنْ أَمْرٍ أَقْوَى مِنْ مُبَايَعَةِ أَبِي بَكْرٍ، خَشِينَا إِنْ فَارَقْنَا القَوْمَ وَلَمْ تَكُنْ بَيْعَةٌ: أَنْ يُبَايِعُوا رَجُلًا مِنْهُمْ بَعْدَنَا، فَإِمَّا بَايَعْنَاهُمْ عَلَى مَا لاَ نَرْضَى، وَإِمَّا نُخَالِفُهُمْ فَيَكُونُ فَسَادٌ، فَمَنْ بَايَعَ رَجُلًا عَلَى غَيْرِ مَشُورَةٍ مِنَ المُسْلِمِينَ، فَلاَ يُتَابَعُ هُوَ وَلاَ الَّذِي بَايَعَهُ، تَغِرَّةً أَنْ يُقْتَلاَ

উক্ত হাদীসের সারসংক্ষেপ হলো- হযরত ওমর (রা.) জুমার খোৎবা অনেক দীঘ করতেন এবং তার মাঝে আল্লাহর প্রশংসা দরুদ, কোরআন ও প্রয়োজনীয় নসীহত করতেন।বুখারী হাদীস-6830।


(গ) জুমার খোৎবার মাঝে প্রয়োজনীয় কোরআন হাদীস বলতে হবে তার তা দীঘ হতে পারে এবং ছোটও হতে পারে। কারণ আমরা উপরে উল্লেখিত হাদীসগুলোর মা্ধ্যমে বিস্তারিত জেনেছি যে, রাসূল (সা.) এবং সাহাবাগণ কখনো খোৎবার মাঝে অনেক কোরআন ও হাদীস বলতেন আবার কখনো অল্প কিছু বলতেন। অতএব এর মাঝে কোন ধরা বাধা নিয়ম নেই।

এত দীঘ আলোচনার দ্বারা উপরে উল্লেখিত প্রশ্নের জবাব হলো এই খতিব সাহেব খোৎবা সংক্ষেপ করাতে সকলের নামাযে কোন ধরনের কোন সমস্যা হয় নি।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে সঠিক দ্বীন বুঝে আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন!

মাযহাব কোনো মনগড়া মতবাদ এর নাম নয়। বরং কোরআন ও সহীহ হাদীসের এক মহাদপ্তর।


ইতি মুফতী মো. ছানা উল্লাহ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন