বুধবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

ইজতিহাত সংক্রান্ত হযরত মু‘আয বিন জাবাল (রা.) এর হাদীসটির গ্রহনযোগ্যতা কতটুকু?



প্রশ্ন : ইজতিহাদ সংক্রান্ত হযরত মুআয বিন জাবাল (রা.) এর হাদীসটির গ্রহনযোগ্যতা কতটুকু?

 

ইতি : আব্দুর রহমান মাসুম

উত্তর : হাদীসটি সহীহ কিন্তু কতিপয় লোক হাদীসটির উপর অনেক ভাবে আপত্তি উপস্থাপন করে থাকেন তাই নিন্মে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো




আসুন, প্রথমে আমরা অর্থসনদসহ হাদীসটি দেখি

سنن أبي داود ت الأرنؤوط (5/ 443)

3592 - حدَّثنا حفصُ بنُ عمر، عن شُعبةَ، عن أبي عونٍ، عن الحارث بن عَمرو بن أخي المغيرة بن شُعبة عن أناسٍ من أهل حمصَ من أصحابِ معاذ بن جبل: أن رسولَ الله -صلَّى الله عليه وسلم- لما أراد أن يَبعَثَ معاذاً إلى اليمن، قال: "كيف تَقضِي إذا عَرَضَ لكَ قَضاء؟ " قال: أقضي بكتابِ الله، قال: "فإن لم تَجِدْ في كتاب الله؟ " قال: فبسُنةِ رسولِ الله - صلَّى الله عليه وسلم -، قال: "فإن لم تجد في سُنة رسولِ الله - صلَّى الله عليه وسلم - ولا في كتابِ الله؟ قال: أجْتَهِدُ رأيِ ولا آلُو، فضربَ رسولُ الله - صلَّى الله عليه وسلم - صَدْرَهُ وقال: الحمدُ لله الذي وَفَّق رسولَ رسولِ الله لما يَرضَى رسولُ الله"

সোমবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

ইসলামে তালি দেয়া বৈধ কি?



 ইসলামে তালি দেয়া বৈধ কি?

 

প্রশ্ন : ইসলামে তালি দেয়া বৈধ কি? এর বিস্তারিত বিধান জানালে ভালো হয়


ইতি মাও. মো. ওলী উল্লাহ

উত্তর : ইসলামে তালি দেয়া বৈধ কি না, তা নির্ভর করে বিভিন্ন ক্ষেত্রের উপর, কেননা ক্ষেত্র বিশেষ তা বৈধ আর ক্ষেত্র বিষেশ তা বৈধ না আসুন তাহলে আমরা নিন্মে তা তিনটি ভাগে বিস্তারিত আলোচনা করি-


তালি দেয়া ইবাদত : আর তা শুধু মহিলাদের জন্য নামাযের মাঝে তা সহীহ বুখারীর বর্ণনার মাঝে এসেছে-
صحيح البخاري (1/ 137)

684 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ أَبِي حَازِمِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ سَهْلِ [ص:138] بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَهَبَ إِلَى بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ لِيُصْلِحَ بَيْنَهُمْ، فَحَانَتِ الصَّلاَةُ، فَجَاءَ المُؤَذِّنُ إِلَى أَبِي بَكْرٍ، فَقَالَ: أَتُصَلِّي لِلنَّاسِ فَأُقِيمَ؟ قَالَ: نَعَمْ فَصَلَّى أَبُو بَكْرٍ، فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالنَّاسُ فِي الصَّلاَةِ، فَتَخَلَّصَ حَتَّى وَقَفَ فِي الصَّفِّ، فَصَفَّقَ النَّاسُ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ لاَ يَلْتَفِتُ فِي صَلاَتِهِ، فَلَمَّا أَكْثَرَ النَّاسُ التَّصْفِيقَ التَفَتَ، فَرَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَشَارَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنِ امْكُثْ مَكَانَكَ»، فَرَفَعَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَدَيْهِ، فَحَمِدَ اللَّهَ عَلَى مَا أَمَرَهُ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ ذَلِكَ، ثُمَّ اسْتَأْخَرَ أَبُو بَكْرٍ حَتَّى اسْتَوَى فِي الصَّفِّ، وَتَقَدَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَصَلَّى، فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ: «يَا أَبَا بَكْرٍ مَا مَنَعَكَ أَنْ تَثْبُتَ إِذْ أَمَرْتُكَ» فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: مَا كَانَ لِابْنِ أَبِي قُحَافَةَ أَنْ يُصَلِّيَ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا لِي رَأَيْتُكُمْ أَكْثَرْتُمُ التَّصْفِيقَ، مَنْ رَابَهُ شَيْءٌ فِي صَلاَتِهِ، فَلْيُسَبِّحْ فَإِنَّهُ إِذَا سَبَّحَ التُفِتَ إِلَيْهِ، وَإِنَّمَا التَّصْفِيقُ لِلنِّسَاءِ» 

রবিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

আকীকার ক্ষেত্রে ছেলে হলে দুইটি বকরী আর মেয়ে হলে একটি কেন?


আকীকার ক্ষেত্রে ছেলে হলে দুইটি বকরী আর মেয়ে হলে একটি কেন?

 নাস্তিক নিমূলে আহলে হকের অবদান

প্রশ্ন : এক ...... আমাকে জিজ্ঞাসা করলো, ইসলামে ছেলে জন্ম হলে দুইটি বকরী, আর মেয়ে হলে একটি বকরী দিয়ে আকীকা করতে হয়, তাহলে ইসলাম কি মেয়ে জন্ম নিয়ে অসন্তুষ্ট? না হয় ইসলামের এই বিধানটির মাঝে হেকমত বা রহস্য কি?


জবাব : নাইসলাম মেয়ে জন্ম নিলে কখনো অসন্তুষ্ট নয় এবং এর মাঝে মহান আল্লাহ তায়ালার যথেষ্ট হেকমত রয়েছে যা নিন্মে আলোচনা করা হলো

আকিকা হলো মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে ইসলামের একটি গুরুত্ব পূর্ণ বিধান আর মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কেরআনের মাঝে বলেন-
- لَا يُسْأَلُ عَمَّا يَفْعَلُ وَهُمْ يُسْأَلُونَ
 মহান আল্লাহ তায়ালার কৃতকর্ম সম্পর্কে কারো জিজ্ঞাসা করাঅধিকার নেই, কেননা সমস্ত মানুষই মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট জিজ্ঞাসিত (সূরা আম্বিয়া-23) 
অতএব আকীকার এই বিধানটির পিছনে কোন হেকমত বা যুক্তি না থাকলেও কারো পক্ষে এই বিধান  নিয়ে  প্রশ্ন করার কোন অধিকার নেই। যা মহান আল্লাহ উল্লেখিত বাণী থেকে স্পষ্ট।

বুধবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ الْمُبِينُ এই দোয়াটির চারটি ফযিলত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত কি??

لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ الْمُبِينُ এই দোয়াটির চারটি ফযিলত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত কি??

প্রশ্ন :  এক ভাই বলেছিলেন,  আমি ইলমি বিষয়ে আস্থা রাখি এমন একজন্ ব্যক্তির মুখে শুনেছি যে, ‘‘হযরত আলী (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলে আকরাম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন একশতবার এই দোয়া পাঠ করবে, সে চারটি উপহার লাভ করবে (01) তার অভাব-অনটন দূর হবে (02) কবরের ভয় ও নির্জনতার সময় ভালোবাসার বস্তু হবে (03) প্রকাশ্য ও গোপনীয় দৌলত লাভ করবে (04) বেহেশতের দরজা খুলতে সক্ষম হবে। তাই প্রতিদিন এই দোয়া কমপক্ষে 100 বার পাঠ করা চাই। দোয়াটি হলো-لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ الْمُبِينُ’’ এই দোয়াটি হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়।

এখন আমার জানার বিষয় হলো, এ কথাটি কতটুকু সঠিক, প্রমাণসহ বিস্তারিত জানালে ভালো হয় ।

ইতি : এম খাইরুল ইসলাম

মঙ্গলবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

‘যে ফেৎনা ফাসাদের যুগে আমার সুন্নাতকে আকড়ে ধরবে, তার জন্য রয়েছে একশত শহীদের সাওয়াব’’ এ হাদীস এর তাহকীক।


‘যে ফেৎনা ফাসাদের যুগে আমার সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরবে, তার জন্য রয়েছে একশত শহীদের সাওয়াব’’ এ হাদীস এর তাহকীক।


✏  গত এক মাসের মাঝে নিন্মে হাদীসটি নিয়ে একধিক ভাই প্রশ্ন করেছেন ‘‘যে ফেৎনা ফাসাদের যুগে আমার সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরবে, তার জন্য রয়েছে একশত শহীদের সাওয়াব’’ এ হাদীসটি কতটুকু সহীহ বা কোন কিতাবে উল্লেখ আছে?

আসুন প্রথমে আমরা সনদ বা সূত্রসহ হাদীসটি  দেখি-
01 হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) এর সূত্রে-


الكامل (3/ 174)
حَدَّثَنَا عَبد اللَّه بْنُ مُحَمد بْنِ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنا الْحَسَنُ بْنُ إبراهيم البياضي، حَدَّثَنا الحسن أبو علي المدائني، حَدَّثَنا عَبد الْخَالِقِ بْنِ الْمُنْذِرِ، عنِ ابْنِ أَبِي نُجَيْحٍ عَنْ مُجَاهِدٍ، عنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَفَعَهُ قَالَ مَنْ تَمَسَّكَ بِسُنَّتِي عِنْدَ فَسَادِ أمتي فله أجر مِئَة شَهِيدٍ.
অর্থ : হযরত ইবেন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয় রাসূল (সা.) বলেছেন ‘‘যে ফেৎনা ফাসাদের যুগে আমার সুন্নাতকে আকঁড়ে ধরবে, তার জন্য রয়েছে একশত শহীদের সাওয়াব’’।



 02 হযরত আবূ হুরায়রা  (রা.) এর সূত্রে-

المعجم الأوسط (5/ 315)5414 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَيْثَمَةَ قَالَ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ صَالِحٍ الْعَدَوِيُّ قَالَ: ثَنَا عَبْدُ الْمَجِيدِ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُتَمَسِّكُ بِسُنَّتِي عِنْدَ فَسَادِ أُمَّتِي لَهُ أَجْرُ شَهِيدٍ»
অর্থ : হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন  যে, ‘‘ফেৎনা ফাসাদের যুগে আমার সুন্নাতকে আকঁড়ে ধারনকারী,  শহীদের সাওয়াব পাবে’’। 


প্রমাণ সূত্র :  আযযুহদুল কাবীর লিল বায়হাকী-1/118 হাদীস-207, আল কামেল-3/174, আত্ তারগীর ওয়াত তারহীব লিল মুনযীরি-1/41 হাদীস নং-65, আমালি লি ইবনে বুশরান-পৃ.-218, হাদীস-501, আল মুত্তাজিরুর রাবে লিদ দিমইয়াতী-325, মিযানুল ইতেদাল লিয যাহাবী-1/519,  তারিখুল ইসলাম লিয যাহাবী-15/118, মেশকাতুল মাসাবীহ-1/62, হাদীস-176, তাখরীজু মেশকাতুল মাসাবীহ লি ইবনে হাজার-1/136, লিসানুল মিযান-2/346, লাওয়ায়েহুল আনওয়ারুস সুন্নিয়া-01/201 ।
আল মুজামুল আওসাত-5/315, হাদীস-5414, হিলয়াতুল আওলীয়া লি আবূ নুয়াইম-8/200, আল ইবানাতুল  কুবরা লি ইবনে বাত্তা-1/342 হাদীস-212, আল ফাতহুল কাবীর লিস ‍সূয়ূতী (রহ.) 3/242, হাদীস-12530, কানযূল উম্মাল-1/184, হাদীস-936, জামউল ফাওয়ায়েদ লির রাদানী-1/32 হাদীস-142, মাজমাওজ জাওয়ায়েদ-1/172, হাদীস-800 ইত্যাদি 

শুক্রবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

যে দোয়া পাঠে 70 জন ফেরেশতা 1000 হাজার দিন পর্যন্ত সাওয়াব লিখতে লিখতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে, দোয়াটির ‍উপর আমল করা যাবে কি??

যে দোয়া পাঠে 70 জন ফেরেশতা 1000 হাজার দিন পর্যন্ত সাওয়াব লিখতে লিখতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে, দোয়াটির উপর আমল করা যাবে কি??

হাদীসটি সনদসহ দেখুন-

المعجم الأوسط (1/ 82)
235 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ رِشْدِينَ قَالَ: نا هَانِئُ بْنُ الْمُتَوَكِّلِ قَالَ: نا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ قَالَ: جَزَى اللَّهُ عَنَّا مُحَمَّدًا مَا هُوَ أَهْلُهُ، أَتْعَبَ سَبْعِينَ كَاتِبًا أَلْفَ صَبَاحٍ»

 

অর্থ : হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন নিশ্চয় রাসূল (সা.) বলেছেন যে ব্যক্তি  جَزَى اللَّهُ عَنَّا مُحَمَّدًا مَا هُوَ أَهْلُهُ এই দোয়াটি পড়ে, 70 জন ফেরেশতা 1000 সকাল পর্যন্ত তার জন্য সাওয়াব লিখতে লিখতে ক্লান্ত হয়ে যায়।

 

প্রমাণ সূত্র : আল মুজামুল আওসাত-1/82, হাদীস-235, আল মুজামুল কাবীর-11/206, হাদীস-11509, আত তারগীব ওয়াত তারহীব লিল মুনজেরী-2/329, হাদীস-2585, মাজমাওজ যাওয়ায়েদ-10/163, হাদীস-17305, মিজানুল ইতেদাল-4/291, জীবনি-9198, লিসানুল মিজান-6/186, জীবনি-664,আল মুত্তাজিরুর রাবে লিদদীমইয়াতি-247,আখবারে আসবাহান-2/230,হিলয়া লি আবূ নোয়াইম-3/206,আত তারগীব ওয়াত তারহীব লি ইবনে শাহীন-1/260,

 

প্রথমে দেখুন হাদীসটি নিয়ে আহলে হাদীসদের মহা গুরু আলবানী সাহেবের তাহকীক

বৃহস্পতিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

হযরত মূসা (আ.) মালাকুল মাওত এর চক্ষু উপড়িয়ে ছিলেন কি?


হযরত মূসা (আ.)মালাকুল মাওত এর চক্ষু উপড়িয়ে ছিলেন কি?


প্রশ্ন : এক ভাই বললেন তাবলীগের ভাইগণ বয়ান করেন যে, ‘‘হযরত মুসা (আ.)  তার মৃত্যুর সময় মালাকুল মাওতকে থাপ্পর দিয়ে তার চক্ষু উঠিয়ে ফেলেছেন।’’ এ কথাটি কি সঠিক? এবং কোরআন ও হাদীসে এর কোন প্রমাণ মিলে?

উত্তর : হ্যা, একথাটি সরাসরি বুখারী ও মুসলিমসহ হাদীসের অসংখ্য কিতাবে সহীহ সনদে এসেছে, কিন্তু আমি নিজেও দেখেছি কোন তাবলীগের সাথী এ গঠনা বয়ান করলে কিছু লোক হাঁসাহাঁসি করে আর বলে থাকে যে ইসলামে এগুলোর কোন ভিত্তি নেই। আল্রাহ তায়ালা আমাদেরকে অজ্ঞতা থেকে মুক্ত রেখে সঠিক দ্বীন বুঝার তাওফীক দান করুন ।

নিন্মে আমি শুধু বুখারী ও মুসলিম এর হাদীসটি উল্লেখ করছি--