মঙ্গলবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৫

উকুন সৃষ্টির রহস্য কি?

 উকুন সৃষ্টির রহস্য কি?

   
শত ব্যস্ততার মাঝেও এই পোষ্টটি দিতে বাধ্য হলাম।
কিছু দিন পূর্বে একজন ভাই বলছিলেন, হুজুর একটু দোয়া করবেন, বললাম কেন? উত্তরে বললো বড় বোনের মাথায় অনেক উকুন তাই বোনের স্বামী তাকে পছন্দ করেনা। খুব ঘৃণা করে। সে আরো বলছিল আচ্ছা মুফতী সাহেব, এই উকুন সৃষ্টির মাঝে রহস্য
কি?


উত্তরে আমি বললাম :
মহান আল্লাহ তায়ালার কোন সৃষ্টিঐ অযথা না । অবশ্যই আল্লাহ তা ঘোষনা দিয়েছেন আল কোরআনে।
তাহলে আমরা দেখি কতিপয় লোকের কাছে উকুনের মতো এত ঘৃনিত প্রাণির সৃষ্টির মাঝে আল্লাহ তায়ালার কি রহস্য রয়েছে? তাতে কি উপকার আর কি ক্ষতি? (আর মহান আল্লাহ তায়ালাতো একটি জিনিষের মাঝে উপকার আর ক্ষতি দুটি একসাথ করতে পারেন)
(1) কারো যদি পেশাব বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে একটি উকুন নিয়ে লজ্জা স্থনের উপরে রেখে দিলে পেশাব চালু হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আকবার আল্লাহ তায়ালা কত বড় হেকমত ওয়ালা।
(2) কেহ যদি বুঝতে চায় যে, নারীর গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তাহলে সে একটি উকুন ধরে স্বীয় হাতে নিবে। অত:পর গর্ভিনী তার দুধ বের করে এক ফোটা দুধ সে উকুনের উপর ছেড়ে দিবে। উকুনটি যদি সে দুধ ভেদ করে বের হয়ে যায় তাহলে বুঝে নিবে গর্ভে কন্যা সন্তান রয়েছে। আর যদি উকুনটি দুধ ভেদ না করতে পারে তাহলে বুঝা গেল গভস্থিত সন্তান ছেলে। দেখুন এই উকুনের কারনে বতমান যুগে আপনার কত টাকা বেঁচে যাচ্ছে। সুবহানাল্লাহ আল্লাহ তায়ালা কত মহান।
(3) জীবিত উকুন খাদ্যের সহিত খেয়ে ফেললে মানসিক রোগের সৃষ্টি হয়। সুতরাং ইবনে আদি কামিল নামক কিতাবে আবু আব্দুল্লাহ আল হেকাম ইবনে আব্দুল্লাহ আল আবলার ব্যাপারে বিশুদ্ধ সনদে লিখেছেন যে, নবী (সা.) এরশাদ ফরমান, ছয় কারণে মানসিক রোগ সৃষ্টি হয়। ** ইঁদুরের ঝোটা খাওয়া, ** উকুন না মেরে জীবিত ছেড়ে দেয়া, ** আবব্ধ পানিতে পেশাব করা ** লম্বা কাতার ভেদ করা, ** আঠা চিবানো ** টক ফল খাওয়া। কেহ কেহ বলেছেন কবরের কারুকায পড়, দুমহিলার মাঝামাঝি চলা শূলী বা ফাঁসির লাশ দেখা কষাফল খাওয়া, অধিক গরম রুটি (খাদ্য) খাওয়া এ সমস্ত জিনিষ দ্বারা মানসিক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। উকুন তাড়ানোর ও অনেকগুলো অবিজ্ঞতা সম্পূণ পন্থা ইসলামি বই থেকে সংগ্রহ কৃত আমার কাছে আছে কারো প্রয়োজন হলে সেট করুন। (এ বিষয়ে আরো গবেষনা চলছে) সময় সংক্ষিপ্ত তার কারনে লিখলাম না। সূত্র : হায়াতুল হায়ওয়ান : 05/108। 
ইতি মুফতী মো. সানা উল্যাহ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন