শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০১৫

শ্রদ্ধা, ভক্তি, প্রশংসা, সম্মান ও ভালোবাসার মাঝেও অতিরঞ্জন নিষেধ

শ্রদ্ধা, ভক্তি, প্রশংসা, সম্মান ও  ভালোবাসার মাঝেও অতিরঞ্জন নিষেধ
বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়, শ্রদ্ধা, ভক্তি, প্রশংসা, সম্মান ও ভালোবাসা প্রদর্শন করতে গিয়ে, অনেকেই ইসলামের সীমারেখা থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। আসলে প্রকৃত পক্ষে ইসলাম এগুলো সমর্থন করে না। তাই আজকে এই বিষয়ে কিছু আলোচনা নিম্মে উল্লেখ করা হলো-


০১. একদা সাহাবায়ে কেরাম (রা.) ভাবলেন আমরাতো দুনিয়াতে সমস্ত মুসলিমকেই সালাম করে থাকি, তাহলে আমরা আল্লাহকে সালাম করবো না কেন?
অতপর শুরু হলো মহান আল্লাহকেও সালাম করা। যার আলোচনা নিম্ম হাদীসে এসেছে-
صحيح البخاري (9/ 116)
7381 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا مُغِيرَةُ، حَدَّثَنَا شَقِيقُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: كُنَّا نُصَلِّي خَلْفَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَقُولُ: السَّلاَمُ عَلَى اللَّهِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ اللَّهَ هُوَ السَّلاَمُ، وَلَكِنْ قُولُوا: التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ "

মেসওয়াক করে নামায পড়লে কি সত্তুর গুণ বেশী সাওয়াব পাওয়া যায়?

মেসওয়াক করে নামায পড়লে কি সত্তুর গুণ বেশী সাওয়াব পাওয়া যায়?
السؤال:سائل يسأل عن حديث: "صلاة بسواك أفضل من سبعين صلاة بغير سواك"، من رواه، وهل هو صحيح الإسناد؟ وعن كلام العلماء على توجيه تضعيف الصلاة إلى هذا العدد. نرجوكم إيضاح الجواب، وفقكم الله للصواب.

মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০১৫

কথিত আহলে হাদীসদের মহামান্য ‘‘ইবনু কাইয়্যাম আল জাওযীইয়া (রহ.)’’ সহীহ মুসলিমের মাঝেও জাল হাদীসের দাবী করেছেন!! এ বিষয়ে বর্তমান কথিত আহলে হাদীসদের মতামত জানতে চাই

কথিত আহলে হাদীসদের মহামান্য ‘‘ইবনু কাইয়্যাম আল জাওযীইয়া (রহ.)’’ সহীহ মুসলিমের মাঝেও জাল হাদীসের দাবী করেছেন!! এ বিষয়ে বর্তমান কথিত আহলে হাদীসদের মতামত জানতে চাই
বর্তমানে কথিত আহলে হাদীস ভাইদেরকে দেখা যাচ্ছে, ‘‘আল্লামা ইবনে তাইমিয়্যা (রহ.)’’ ও তার বিখ্যাত ছাত্র ‘‘ইবনু কাইয়্যাম আল জাওযীইয়া (রহ.) কে নিয়ে অসংখ্য জায়গায় বাড়াবাড়ি করতে ও তাদের মতামত গ্রহণ করতে। তাই আজ আমি নিম্মে এমন একটি হাদীস উল্লেখ করবো যাকে ‘‘ইবনু কাইয়্যাম আল জাওযীইয়া (রহ.) ‘’ ভুল বলেছেন। অথচ সেটি হলো সহীহ মুসলিম এর বর্ণনা (যেই কিতাবের সমস্ত হাদীস সহীহ বলে উম্মতের বিখ্যাত মুহাদ্দীসগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন)। তাই আমার জানার বিষয় হলো উক্ত হাদীস সম্পর্কে আপনাদের মতামত কি? দেখুন নিম্মে....
✏ সহীহ মুসলিমের বর্ণনা-
صحيح مسلم (4/ 1945)
168 - (2501) حَدَّثَنِي عَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ جَعْفَرٍ الْمَعْقِرِيُّ، قَالَا: حَدَّثَنَا النَّضْرُ وَهُوَ ابْنُ مُحَمَّدٍ الْيَمَامِيُّ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو زُمَيْلٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ، قَالَ: كَانَ الْمُسْلِمُونَ لَا يَنْظُرُونَ إِلَى أَبِي سُفْيَانَ وَلَا يُقَاعِدُونَهُ، فَقَالَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا نَبِيَّ اللهِ ثَلَاثٌ أَعْطِنِيهِنَّ، قَالَ: «نَعَمْ» قَالَ: عِنْدِي أَحْسَنُ الْعَرَبِ وَأَجْمَلُهُ، أُمُّ حَبِيبَةَ بِنْتُ أَبِي سُفْيَانَ، أُزَوِّجُكَهَا، قَالَ: «نَعَمْ» قَالَ: وَمُعَاوِيَةُ، تَجْعَلُهُ كَاتِبًا بَيْنَ يَدَيْكَ، قَالَ: «نَعَمْ» قَالَ: وَتُؤَمِّرُنِي حَتَّى أُقَاتِلَ الْكُفَّارَ، كَمَا كُنْتُ أُقَاتِلُ الْمُسْلِمِينَ، قَالَ: «نَعَمْ» قَالَ أَبُو زُمَيْلٍ: وَلَوْلَا أَنَّهُ طَلَبَ ذَلِكَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا أَعْطَاهُ ذَلِكَ، لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ يُسْأَلُ شَيْئًا إِلَّا قَالَ: «نَعَمْ»
অর্থ : ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, মুসলমানরা আবু সুফিয়ানের প্রতি ভ্রুক্ষেপও করতো না এবং তার কাছে বসতোও না। একবার সে নবী (সা.) কে বললো, হে আল্লাহর নবী! তিনটি জিনিস আমাকে দিন। তিনি বললেন : আচ্ছা! সে বলল, আমার কাছে আরবদের সর্বোৎকৃষ্ট ও সর্বাধিক সুন্দরী মহিলা রয়েছে ‘‘উম্মু হাবীবা বিনতে আবু সুফিয়ান (রা.)।’’ তাকে আপনার সাথে বিবাহ দিব। তিনি বললেন : আচ্ছা! সে বলল, মু‘আবিয়াকে আপনার সেক্রেটারী নিযুক্ত করুন। তিন বললেন : আচ্ছা! সে বলল, আমাকে নির্দেশ দিন আমি কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব যেভাবে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলাম। তিনি বললেন : আচ্ছা! আবূ যুমাইল বলেন, আবূ সুফিয়ান (রা.) যদি নবী (সা.) এর নিকট এগুলো না চাইতেন তাহলে তিনি তাকে এগুলো দিতেন না। কেননা তিনি তার কাছে যা চাইতেন তিনি শুধু হ্যাঁ বলতেন। সহীহ মুসলিম-৪/১৯৪৫, হাদীস-২৫০১।

❀ এখন দেখুন ‘‘ইবনু কাইয়্যাম আল জাওযীইয়া (রহ. ‘’ এর কিতাব থেকে উক্ত হাদীস সম্পর্কে মন্তব্য-
جلاء الأفهام في فضل الصلاة على محمد خير الأنام (ص: 252)
فَالصَّوَاب أَن الحَدِيث غير مَحْفُوظ بل وَقع فِيهِ تَخْلِيط وَالله أعلم
অর্থ : সঠিক কথা হলো উক্ত হাদীসটি সংরক্ষিত নয়! বরং তার মাঝে অনেক গোলমাল হয়েছে..। জালাউল আফহাম-২৫২।
❐ উল্লেখ্য যে ইবনু হাযম (রহ.) উক্ত হাদীসটির সূত্রে বর্ণনাকারী ‘‘ইকরামা ইবনে আম্মার’’ এর কারণে হাদীসটিকে সরাসরী জাল তথা মাওজু বলেছেন। দেখুন আরো বিস্তারিত আল হাদীসুস যয়ীফ হুকমুহু ওয়া ফাওয়ায়েদুহু লি মুহাম্মাদ উবায়দুল্লাহ আল আসয়াদী-৩১-৩২।

✔ অতএব উক্ত বিষয়ে আহলে হাদীস ভাইগণ নিজেদের মন্তব্য জানিয়ে বাধিত করবেন।

✍ ইতি মুফতী মো. ছানা উল্লাহ

মানুষের সম্মান নিয়ে ইসলামের নিরব ভূমিকা আপনি কি অন্যের বায়ূ নির্গত হওয়াতে হাঁসছেন?

মানুষের সম্মান নিয়ে ইসলামের নিরব ভূমিকা,
আপনি কি অন্যের বায়ূ নির্গত হওয়াতে হাঁসছেন?
❀ মন চাইলো আজ এমন একটি বিষয় নিয়ে লিখতে, যা আমাদের সমাজে অনেকেরই অজানা। কেননা বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় অনেক মুরুব্বী মানুষ অধিক বয়সের কারণে নিজকে কন্ট্রোল রাখতে না পেরে, বায়ূ ছেড়ে বসে। আর আমরা যারা আশপাশে আছি তারা হাঁসাহাঁসি শুরু করে দেই। শুধু মুরুব্বী মানুষ নয় বরং অনেক সময় যুবক-যুবতী ও শিশুদেরকেও এই কাজে ভূমিকা রাখতে দেখা যায়।

✿ এখন আলোচনার বিষয় হলো ‘‘অন্যের বায়ূ নির্গত হওয়াতে আপনার জন্য হাঁসাহাঁসি করা ইসলামে বৈধ কি?’’ অনেকেই বলবেন আরে! ইসলাম বুঝি এ বিষয় নিয়েও কোন বিধান রেখেছে? আমি বলবো হ্যাঁ। ইসলাম এ বিষয়েও বিধান রেখেছে। নিন্মে তা বিস্তারিত দেখুন, আর নিজেকে গড়ে তুলুন একজন কোরআন ও সুন্নাহ প্রতি সহীহ আমলকারী।

বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৫

ঈদকে লক্ষ্য করে কি বলবেন? ‘‘ঈদ মুবারক’’ না অন্য কিছু......

ঈদকে লক্ষ্য করে কি বলবেন? ‘‘ঈদ মুবারক’’ না অন্য কিছু......
❏ ঈদের পূর্বে ও পরে বেশ কিছু দিন জাবৎ চালু থাকে ‘‘ঈদ মুবারক’’ বলে অভিনন্দন/মোবারকবাদ/শুভেচ্ছা। তাই আগ্রহ জাগলো এই বিষয়ে শরীয়ত কি বলে তা নিয়ে কিছু আলোচনা করতে। যাই হোক নিম্মে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

✏ ০১. এ বিষয়ে আল্লামা ইবনে তাইমিয়্যা (রহ.) এর প্রতি প্রশ্ন ও তার জবাব-
مجموع الفتاوى (24/ 253)
وَسُئِلَ - رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى -:
هَلْ التَّهْنِئَةُ فِي الْعِيدِ وَمَا يَجْرِي عَلَى أَلْسِنَةِ النَّاسِ: " عِيدُك مُبَارَكٌ " وَمَا أَشْبَهَهُ هَلْ لَهُ أَصْلٌ فِي الشَّرِيعَةِ؟ أَمْ لَا؟ وَإِذَا كَانَ لَهُ أَصْلٌ فِي الشَّرِيعَةِ فَمَا الَّذِي يُقَالُ؟ أَفْتُونَا مَأْجُورِينَ.
অর্থ : আল্লামা ইবনে তাইমিয়্যা (রহ.) কে জিজ্ঞাসা করা হলো। ঈদের সময় অভিনন্দন জানানো, যেমনি ভাবে মানুষের মুখে প্রচলন রয়েছে যে, ‘‘عِيدُك مُبَارَكٌ’’ (ঈদ মোবারক) অথবা এর সমর্থক কোন কিছু। শরীয়তে এগুলোর কোন ভিত্তি রয়েছে কি? যদি কোন ভিত্তি থাকে তাহলে তা কি? জানিয়ে সাওয়াব প্রাপ্ত হবেন।
فَأَجَابَ:
أَمَّا التَّهْنِئَةُ يَوْمَ الْعِيدِ يَقُولُ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ إذَا لَقِيَهُ بَعْدَ صَلَاةِ الْعِيدِ: تَقَبَّلَ اللَّهُ مِنَّا وَمِنْكُمْ وَأَحَالَهُ اللَّهُ عَلَيْك وَنَحْوُ ذَلِكَ فَهَذَا قَدْ رُوِيَ عَنْ طَائِفَةٍ مِنْ الصَّحَابَةِ أَنَّهُمْ كَانُوا يَفْعَلُونَهُ وَرَخَّصَ فِيهِ الْأَئِمَّةُ كَأَحْمَدَ وَغَيْرِهِ. لَكِنْ قَالَ أَحْمَد: أَنَا لَا أَبْتَدِئُ أَحَدًا فَإِنْ ابْتَدَأَنِي أَحَدٌ أَجَبْته وَذَلِكَ لِأَنَّ جَوَابَ التَّحِيَّةِ وَاجِبٌ وَأَمَّا الِابْتِدَاءُ بِالتَّهْنِئَةِ فَلَيْسَ سُنَّةً مَأْمُورًا بِهَا وَلَا هُوَ أَيْضًا مِمَّا نُهِيَ عَنْهُ فَمَنْ فَعَلَهُ فَلَهُ قُدْوَةٌ وَمَنْ تَرَكَهُ فَلَهُ قُدْوَةٌ. وَاَللَّهُ أَعْلَمُ.
অর্থ : তিনি উত্তরে বললেন। ঈদের দিন অভিনন্দন জানানো ও একজন অন্য জনকে ঈদের নামাযের পর সাক্ষাত হলে ‘‘ تَقَبَّلَ اللَّهُ مِنَّا وَمِنْكُمْ’’ বলা ও ‘‘أَحَالَهُ اللَّهُ عَلَيْك’’ বলা; বা এর সামর্থক কিছু বলা, এগুলো সাহাবায়ে কেরাম (রা.) এর একটি দল থেকে সাব্যস্ত রয়েছে; তাদের মাঝে এমন প্রচলন ছিল।
এ বিষয়ে ইমাম আহমদ (রহ.) সহ অন্যরাও ছাড় দিয়েছেন। কিন্তু ইমাম আহমদ (রহ.) বলেন, আমি কাউকে অভিনন্দন জানাই না; যদি কেউ আমাকে দিয়ে শুরু করে তাহলে আমি জবাব দিয়ে থাকি। কেননা অভিনন্দন এর জবাব দেয়া ওয়াজিব। আর অভিনন্দন দিয়ে শুরু করা এটি প্রচলিত কোন সুন্নাত না; আর এর থেকে নিষেধ করা হয়েছে এমন কিছুও না। যে করবে সে তার আদর্শের উপর থাকলো আর যে করবে না সেও তার আদর্শের উপর থাকলো। وَاَللَّهُ أَعْلَمُ মাজমুউল ফাতওয়া-২৪/২৫৩।

ঈদের খুৎবা মিম্বরে দেয়া সুন্নাত। যা সহীহ বুখারীসহ একাধিক কিতাব দ্বারা প্রমাণিত

ঈদের খুৎবা মিম্বরে দেয়া সুন্নাত। যা সহীহ বুখারীসহ একাধিক কিতাব দ্বারা প্রমাণিত
❏ বর্তমানে কথিত আহলে হাদীস এর কতক শায়খ বলে বেড়াচ্ছে যে, মিম্বরের উপর ঈদের খুৎবা দেয়া বেদআত! কারণ সহীহ বুখারীর ৯৫৬নং হাদীস; যা হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রা.) এর সূত্রে বর্ণিত। তাতে ঈদের আলোচনা এসেছে সেখানে রাসূল (সা.) খুৎবা মিম্বারে দিয়েছে এই কথাটি উল্লেখ নেই। তাই এটি বেদআত....

✏ তাদের এই সব দলীল শুনলে আমার খুব দুঃখ লাগে। কেননা যেই হাদীসের প্রথম অংশ দিয়ে তারা মিম্বরে খুৎবাকে বেদআত বলে ঐ হাদীসের শেষ অংশের মাঝেই মিম্বরে খুৎবা দেয়ার আলোচনা রয়েছে। তাহলে দেখুন হাদীসটি-
صحيح البخاري (2/ 17)
بَابُ الخُرُوجِ إِلَى المُصَلَّى بِغَيْرِ مِنْبَرٍ
956 - حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِيِّ، قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْرُجُ يَوْمَ الفِطْرِ وَالأَضْحَى إِلَى المُصَلَّى، فَأَوَّلُ شَيْءٍ يَبْدَأُ بِهِ الصَّلاَةُ، ثُمَّ يَنْصَرِفُ، فَيَقُومُ مُقَابِلَ النَّاسِ، وَالنَّاسُ جُلُوسٌ عَلَى صُفُوفِهِمْ فَيَعِظُهُمْ، وَيُوصِيهِمْ، وَيَأْمُرُهُمْ، فَإِنْ كَانَ يُرِيدُ أَنْ يَقْطَعَ بَعْثًا قَطَعَهُ، أَوْ يَأْمُرَ بِشَيْءٍ أَمَرَ بِهِ، ثُمَّ يَنْصَرِفُ» قَالَ أَبُو سَعِيدٍ: «فَلَمْ يَزَلِ النَّاسُ عَلَى ذَلِكَ حَتَّى خَرَجْتُ مَعَ مَرْوَانَ - وَهُوَ أَمِيرُ المَدِينَةِ - فِي أَضْحًى أَوْ فِطْرٍ، فَلَمَّا أَتَيْنَا المُصَلَّى إِذَا مِنْبَرٌ بَنَاهُ كَثِيرُ بْنُ الصَّلْتِ، فَإِذَا مَرْوَانُ يُرِيدُ أَنْ يَرْتَقِيَهُ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ، فَجَبَذْتُ بِثَوْبِهِ، فَجَبَذَنِي، فَارْتَفَعَ، فَخَطَبَ قَبْلَ الصَّلاَةِ»، فَقُلْتُ لَهُ: غَيَّرْتُمْ وَاللَّهِ، فَقَالَ أَبَا سَعِيدٍ: «قَدْ ذَهَبَ مَا تَعْلَمُ»، فَقُلْتُ: مَا أَعْلَمُ وَاللَّهِ خَيْرٌ مِمَّا لاَ أَعْلَمُ، فَقَالَ: «إِنَّ النَّاسَ لَمْ يَكُونُوا يَجْلِسُونَ لَنَا بَعْدَ الصَّلاَةِ، فَجَعَلْتُهَا قَبْلَ الصَّلاَةِ»

বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০১৫

সাদাকাতুল ফিতরের পরিমাণ হলো نصف صاع من بر (গমের অধ্য সা’) এই মাসয়ালার মাঝে শায়খ আলবানী, ইবনে তাইমিয়্যা ইত্যাদি ব্যক্তিবর্গও হানাফী

সাদাকাতুল ফিতরের পরিমাণ হলো نصف صاع من بر (গমের অধ্য সা’)
এই মাসয়ালার মাঝে শায়খ আলবানী, ইবনে তাইমিয়্যা ইত্যাদি ব্যক্তিবর্গও হানাফী
❐ সাম্প্রতিক কালে আমাদের স্বল্প জ্ঞানধারী, অধিক জ্ঞানের দাবীদার, কথিত আহলে হাদীস ভাইগণ বলছেন نصف صاع (অধ্য সা’ গম) দিয়ে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করার বিধানের কোন দলীল নেই। আমি তাদের প্রতি খুবই আশ্চার্য হই; তারা হাদীস এর বড় বড় কিতাব পড়তে সক্ষম না হলেও তাদের শায়খ ও মহাগুরু আলবানী, ইবনে তাইমিয়্যা, ইবনুল কাইয়্যাম ইত্যাদি ব্যক্তি বর্গের কিতাবগুলোতো একটু হলেও পড়বে?
কেননা তারা যদি শায়খ আলবানীর تمام المنة في التعليق على فقه السنة এই কিতাবটি পড়তো তাহলে তারা এই ধরনের মিথ্যাচার করা থেকে রক্ষা পেতো। 

ঈদের রজনীতে ইবাদত করবেন? না কি আতশবাজি.......

ঈদের রজনীতে ইবাদত করবেন? না কি আতশবাজি.......
❐ ঈদের রজনীতে ইবাদত করার ফযিলত সম্বলিত বর্ণিত হয়েছে, বেশ কয়েকটি হাদীস। নিম্মে তাহকীকসহ উল্লেখ করা হলো--

✏ ০১. হযরত আবূ উমামা আল বাহেলী (রা.) এর হাদীস-
سنن ابن ماجه ت الأرنؤوط (2/ 658)
1782 - حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الْمَرَّارُ بْنُ حَمُّويَهَ، حَدّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى، حَدّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنْ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -، قَالَ:"مَنْ قَامَ لَيْلَتَيْ الْعِيدَيْنِ مُحْتَسِبًا لِلَّهِ، لَمْ يَمُتْ قَلْبُهُ يَوْمَ تَمُوتُ الْقُلُوبُ"
হযরত আবূ উমামা (রা.) রাসূল (সা.) থেকে বর্ণনা করেন। যে ব্যক্তি ঈদুল ফিত্বর এবং ঈদুল আযহার রাতে (সাওয়াবের নিয়তে, ইবাদতের উদ্দেশ্যে) জাগ্রত থাকবে, সে ব্যক্তির হৃদয় ঐ দিন মৃত্যুবরণ করবে না যেদিন অন্য হৃদয়গুলো মৃত্যুবরণ করবে। (অর্থাৎ কিয়ামতের দিবশে তার কোন ভয় থাকবে না)। ইবনে মাজা-২/৬৫৮, হাদীস-১৭৮২।

বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই, ২০১৫

টাকা দ্বারা ‘‘ফিতরা’’ দেয়া হাদীস ও ইমামগণের উক্তি দ্বারা প্রমাণিত

টাকা দ্বারা ‘‘ফিতরা’’ দেয়া হাদীস ও ইমামগণের উক্তি দ্বারা প্রমাণিত
❏ মাহে রমজানে অনেক ব্যস্ততা। তাই এই বিষয়ে খুব সংক্ষিপ্ত আলোচনা করবো। ইনশাআল্লাহ

✏ বর্তমানে আমাদের দেশে গায়রে মুকাল্লেদগণ ফাতওয়া দিয়ে বেড়াচ্ছে যে, ‘‘সহীহ বুখারীর মাঝে আছে ফিতরা দিতে হবে গম, খেজুর, কিসমিস, পনীর ইত্যাদি খাদ্য দ্রব্য দিয়ে। টাকা দিয়ে আদায় করলে আদায় হবে না!!’’
তাদের এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। 
❏ তাছাড়াও ইমাম বুখারী (রহ.), ইবনে আবী শায়বা (রহ.) ও বায়হাকি (রহ.) বলেন, টাকা দিয়ে ফিতরা দিলে আদায় হয়ে যাবে। নিম্মে দেখুন বিস্তারিত....

রবিবার, ৫ জুলাই, ২০১৫

হাদীসে শব্দ পরিবর্তন ও নিজ থেকে সমার্থবোধক শব্দ ব্যবহার করা সকলের জন্য বৈধ নয়

হাদীসে শব্দ পরিবর্তন ও নিজ থেকে সমার্থবোধক শব্দ ব্যবহার করা সকলের জন্য বৈধ নয়

 আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী (রহ.) তার রচিত কিতাব ‘নুখবাতুল ফিকার’’এ বলেন-
نخبة الفكر في مصطلح أهل الأثر (4/ 723)
وَلَا يَجُوزُ تَعَمُّدُ تَغْيِيرِ الْمَتْنِ بِالنَّقْصِ وَالْمُرَادِفِ إِلَّا لِعَالِمٍ بِمَا يُحِيلُ الْمَعَانِي [ومن ثم] فَإِنْ خَفِيَ الْمَعْنَى احْتِيجَ إِلَى شَرْحِ الْغَرِيبِ وَبَيَانِ الْمُشْكِلِ.
অর্থ : আর ইচ্চাকৃতভাবে হাদীসের ইবারতকে অসর্ম্পূণ বা সমার্থবোধক শব্দ দিয়ে পরিবর্তন করা বৈধ নয়। একমাত্র হাদীসের অর্থ সম্পর্কে গভীর জ্ঞান রাখে, এমন আলেমের জন্য বৈধ। এধরনের পরিবর্তনের কারণে হাদীসের মাঝে দূর্লভ ও কঠিন শব্দের ব্যাখ্যার দিকে মুখাপেক্ষী হতে হয়। নুখবাতুল ফিকার-৪/৭২৩।