মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৫

সাক্ষাতের সময় মুসাফাহা করা সুন্নাত : বিদায় বেলা মুসাফাহা করা কি বেদআত?

সাক্ষাতের সময় মুসাফাহা করা সুন্নাত : বিদায় বেলা মুসাফাহা করা কি বেদআত?
সাক্ষাতের সময় মুসাফাহা করা সুন্নাত, এটি আমাদের সকলেরই জানা। নিম্মে এর দলীল নিয়ে কিছু আলোচনা করা হবে। ইনশাআল্লাহ
কিন্তু অনেক ভাইকে বলতে শুনা যায় যে, বিদায় বেলা মুসাফাহা করা বেদআত। আসলে এর বাস্তবতা কতটুকু....

বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৫

ইমাম আবূ হানিফা (রহ.) কে বেদআতী আক্ষাকারীর শেষ অবস্থা ও লা-মাযহাবী বন্ধুদের কিছু ব্যবস্থা

ইমাম আবূ হানিফা (রহ.) কে বেদআতী আক্ষাকারীর শেষ অবস্থা ও লা-মাযহাবীদের কিছু ব্যবস্থা

তারিখে বাগদাদে নিম্ম সনদসহ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক (রহ.) এর একটি ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে-
 تاريخ بغداد ت بشار (15/ 463)
أَخْبَرَنِي أَبُو بشر الوكيل، وأبو الفتح الضبي، قالا: حَدَّثَنَا عُمَر بن أَحْمَد الواعظ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَحْمَد بن مُحَمَّد بن عصمة الخراساني، قَالَ: حَدَّثَنَا أَحْمَد بن بسطام، قَالَ: حَدَّثَنَا الفضل بن عبد الجبار، قال: سمعت أبا عثمان حمدون بن أبي الطوسي، يقول: سمعت عبد الله بن المبارك، يقول: قدمت الشام على الأوزاعي فرأيته ببيروت، فقال لي: يا خراساني، من هذا المبتدع الذي خرج بالكوفة، يكنى: أبا حنيفة، فرجعت إلى بيتي فأقبلت على كتب أبي حنيفة، فأخرجت منها مسائل من جياد المسائل، وبقيت في ذلك ثلاثة أيام، فجئت يوم الثالث، وهو مؤذن مسجدهم وإمامهم، والكتاب في يدي، فقال لي: أي  شيء هذا الكتاب؟ فناولته، فنظر في مسألة منها وقعت عليها، قال: النعمان بن ثابت، فما زال قائما بعد ما أذن حتى قرأ صدرا من الكتاب، ثم وضع الكتاب في كمه، ثم أقام وصلى، ثم أخرج الكتاب حتى أتى عليها، فقال لي: يا خراساني، من النعمان بن ثابت هذا؟ قلت: شيخ لقيته بالعراق، فقال: هذا نبيل من المشايخ، اذهب فاستكثر منه، قلت: هذا أَبُو حنيفة الذي نهيت عنه.

বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৫

লা-মাযহাবী, না কি পাগল!!!

                                                                      লা-মাযহাবী, না কি পাগল!!!
বেশ কিছু বিষয় নিয়ে, প্রায় সময় মুখামুখি হতে হয় লা-মাযহাবী বন্ধুদের। কিন্তু তাদের সাথে আলোচনার মাঝে একটা বিষয়ে ফুটে উঠে, আর তা হলো, তারা নিজেদেরকে মুজতাহিদ ভেবে, এমন অনেক কথা বলে, যা কোন ফকীহ বা মুহাদ্দীস বলেন নি! আমি সংক্ষেপে তাদের পাগল বলে সম্বোধন করি।

বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৫

বিবাহ সংত্রুান্ত হাদীসে একটি ভুল সংশোধনের জন্য, ৮০হাজার দেরহাম পুরুস্কার!!!

বিবাহ সংত্রুান্ত হাদীসে একটি ভুল সংশোধনের জন্য, ৮০হাজার দেরহাম পুরুস্কার!!!
আল্লামা ইবনে খাল্লেকান তার রচিত কিতাব ‘‘ওফায়াতুল আ’য়ান’’ এর ৫/৩৯৭ নং পৃষ্ঠায় ৭৬৪নং জীবনী دار صادر - بيروت থেকে প্রকাশিত ‘‘নযর বিন শুমাইলের’’ জীবনী আলোচনা করতে গিয়ে খুব সুন্দর একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন।
❖  যার সারসংক্ষেপ হলো এই যে, একদা নযর বিন শুমাইল, মামুনুর রশিদের দরবারে আগমন করেন। তারা উভয়েই হাদীস এর ব্যাপারে আলোচনা করতে থাকেন।
মামুনুর রশিদ হুসাইমের সূত্রে একটি হাদীস আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করে বলেন-
الفتح الكبير في ضم الزيادة إلى الجامع الصغير (1/ 88)
(852) ((إِذا تَزَوَّج الرَّجُلُ المَرْأةَ لِدينِها وَجَمالِها كانَ فِيهَا سَدَادٌ مِنْ عَوَزٍ)) (الشِّيرَازِيّ فِي الألقاب) عَن ابْن عَبَّاس وَعَن عَليّ.
ضعيف
رواه الديلمي (1/1/156) من طريق الطبراني عن النضر بن شميل: حدثنا الأموي: حدثنا هشيم عن مجالد عن الشعبي عن ابن عباس مرفوعا. قلت: وهذا إسناد ضعيف. مجالد - وهو ابن سعيد - ليس بالقوي. والأموي، لم أعرفه، وهم جماعة ينسبون هذه النسبة فمن هو منهم؟ والحديث عزاه السيوطي للشيرازي في " الألقاب " عن ابن عباس وعلي، وقال المناوي: " وفيه هشيم بن بشير؛ أورده الذهبي في " الضعفاء "، وقال: حجة حافظ يدلس، وهو في الزهري لين، وحكم ابن الجوزي بوضعه ".

শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৫

দেখুন! রাসূলের অভিশাপের বাস্তবতা..

দেখুন! রাসূলের অভিশাপের বাস্তবতা..
কোরআন ও হাদীসের অসংখ্য স্থানে আল্লাহ ও রাসূল (সা.) বিভিন্ন বিষয়ে অভিশাপ দিয়েছেন। যেমন :- মদ খাওয়া, জুয়া খেলা, সুদী লেনদেন ইত্যাদি।
কিন্তু আমরা এগুলোকে কোন গুরুত্ব দিতে অভ্যস্থ নই, অথচ কাফেররাও রাসূল (সা.) এর অভিশাপকে গুরুত্ব দিতো ও ভয় পেতো।

তার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ-
دلائل النبوة لأبي نعيم الأصبهاني (ص: 454)
380 - حَدَّثَنَا أَبُو نَصْرٍ مَنْصُورُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مَنْصُورٍ الْأَصْبَهَانِيُّ ثنا إِسْحَاقُ بْنُ أَحْمَدَ الْفَارِسِيُّ ثنا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ ثنا سَلَمَةُ بْنُ الْفَضْلِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ هَبَّارِ بْنِ الْأَسْوَدِ قَالَ : كَانَ أَبُو لَهَبٍ وَابْنُهُ عُتَيْبَةُ قَدْ تَجَهَّزَا إِلَى الشَّامِ وَتَجَهَّزْتُ مَعَهُمَا، فَقَالَ ابْنُهُ عُتَيْبَةُ: وَاللَّهِ لَأَنْطَلِقَنَّ إِلَيْهِ فَلَأُوذِيَنَّهُ فِي رَبِّهِ , فَانْطَلَقَ حَتَّى أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ , هُوَ يَكْفُرُ بِالَّذِي دَنَا فَتَدَلَّى فَكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَى فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ ابْعَثْ عَلَيْهِ كَلْبًا مِنْ كِلَابِكَ ثُمَّ انْصَرَفَ عَنْهُ فَرَجَعَ إِلَيْهِ فَقَالَ: أَيْ بُنَيَّ , مَا قُلْتَ لَهُ؟ قَالَ: كَفَرْتُ بإِلَهِهِ الَّذِي يَعْبُدُ قَالَ: فَمَاذَا قَالَ لَكَ؟ قَالَ: قَالَ اللَّهُمَّ ابْعَثْ عَلَيْهِ كَلْبًا مِنْ كِلَابِكَ فَقَالَ: أَيْ بُنَيَّ , وَاللَّهِ مَا آمَنُ عَلَيْكَ دَعْوَةَ مُحَمَّدٍ قَالَ: فَسِرْنَا حَتَّى نَزَلْنَا الشَّرَاةَ وَهِيَ مَأْسَدَةٌ فَنَزَلْنَا إِلَى صَوْمَعَةِ رَاهِبٍ فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ الْعَرَبِ مَا أَنْزَلَكُمْ هَذِهِ الْبِلَادَ وَإِنَّهَا مَسْرَحُ الضَّيْغَمِ؟ فَقَالَ لنا أَبُو لَهَبٍ: إِنَّكُمْ قَدْ عَرَفْتُمْ حَقِّي؟ قُلْنَا: أَجَلْ يَا أَبَا لَهَبٍ فَقَالَ: إِنَّ مُحَمَّدًا قَدْ دَعَا عَلَى ابْنِي دَعْوَةً وَاللَّهِ مَا آمَنُهَا عَلَيْهِ , فَاجْمَعُوا مَتَاعَكُمْ إِلَى هَذِهِ الصَّوْمَعَةِ , ثُمَّ افْرِشُوا لِابْنِي عُتَيْبَةَ ثُمَّ افْرِشُوا حَوْلَهُ قَالَ: فَفَعَلْنَا جَمَعْنَا الْمَتَاعَ حَتَّى ارْتَفَعَ ثُمَّ فَرَشْنا لَهُ عَلَيْهِ , وَفَرَشْنَا حَوْلَهُ فَبَيْنَا نَحْنُ حَوْلَهُ وَأَبُو لَهَبٍ مَعَنَا أَسْفَلَ وَبَاتَ هُوَ فَوْقَ الْمَتَاعِ , فَجَاءَ الْأَسَدُ فَشَمَّ وُجُوهَنَا، فَلَمَّا لَمْ يَجِدْ مَا يُرِيدُ تَقَبَّضَ ثُمَّ وَثَبَ فَإِذَا هُوَ فَوْقَ الْمَتَاعِ فَجَاءَ الْأَسَدُ فَشَمَّ وَجْهَهُ ثُمَّ هَزَمَهُ هَزْمَةً فَفَضَخَ رَأْسَهُ فَقَالَ: سَيْفِي يَا كَلْبُ لَمْ يَقْدِرْ عَلَيَّ غَيْرُ ذَلِكَ وَوَثَبْنَا فَانْطَلَقَ الْأَسَدُ وَقَدْ فَضْخَ رَأْسَهُ فَقَالَ لَهُ أَبُو لَهَبٍ: قَدْ عَرَفْتُ وَاللَّهِ مَا كَانَ لِيَنْقَلِبَ مِنْ دَعْوَةِ مُحَمَّدٍ

রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

হারানো বস্তু/ব্যক্তির চেয়ে উত্তমটি পেতে নিম্ম দোয়া পড়ুন

হারানো বস্তু/ব্যক্তির চেয়ে উত্তমটি পেতে নিম্ম দোয়া পড়ুন
জীবনে চলার পথে অনেক সময় হারাতে হয় অনেক কিছু যেমন নিজ প্রিয় বস্তু বা ব্যক্তি। আর তাতে সকলকেই মর্মাহত হতে হয়। কিন্তু এমন একটি ব্যবস্থাওতো জেনে রাখা প্রয়োজন, যাতে করে আপনি উক্ত বস্তুর চেয়ে উত্তম কিছু পেয়ে যান। আর সেই ব্যবস্থাই আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন, আমাদের প্রিয় নবী রাসূল (সা.)। নিম্মে দোয়াটি পেশ করা হলো-
صحيح مسلم (2/ 631)
3 - (918) حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ حُجْرٍ، جَمِيعًا عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ جَعْفَرٍ، قَالَ ابْنُ أَيُّوبَ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، أَخْبَرَنِي سَعْدُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ كَثِيرِ بْنِ أَفْلَحَ، عَنْ ابْنَ سَفِينَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: " مَا مِنْ مُسْلِمٍ تُصِيبُهُ مُصِيبَةٌ، فَيَقُولُ مَا أَمَرَهُ اللهُ: {إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ}، اللهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي، وَأَخْلِفْ لِي خَيْرًا مِنْهَا، إِلَّا أَخْلَفَ اللهُ لَهُ خَيْرًا مِنْهَا "، قَالَتْ: فَلَمَّا مَاتَ أَبُو سَلَمَةَ، قُلْتُ: أَيُّ الْمُسْلِمِينَ خَيْرٌ مِنْ أَبِي سَلَمَةَ؟ أَوَّلُ بَيْتٍ هَاجَرَ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ إِنِّي قُلْتُهَا، فَأَخْلَفَ اللهُ لِي رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَتْ: أَرْسَلَ إِلَيَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَاطِبَ بْنَ أَبِي بَلْتَعَةَ يَخْطُبُنِي لَهُ، فَقُلْتُ: إِنَّ لِي بِنْتًا وَأَنَا غَيُورٌ، فَقَالَ: «أَمَّا ابْنَتُهَا فَنَدْعُو اللهَ أَنْ يُغْنِيَهَا عَنْهَا، وَأَدْعُو اللهَ أَنْ يَذْهَبَ بِالْغَيْرَةِ»

বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

আল্লাহর ঘর মসজিদ নিয়েও এখন জাল হাদীস এর আসর!

আল্লাহর ঘর মসজিদ নিয়েও এখন জাল হাদীস এর আসর!
প্রশ্ন : আমাদের সমাজে দেখা যায়, হাদীস বলে নিম্ম কথাটি বলা হয়-
‘‘মসজিদে কেউ প্রথমবার দুনিয়াবী কথা বললে ফিরিশতারা বলেন, হে আল্লাহর বন্ধু আপনি চুপ করুন। আবার দুনিয়াবী কথা বললে ফিরিশতারা বলেন, হে আল্লাহর বান্দা তুমি চুপ কর। তৃতীয়বার কথা বললে ফিরিশতারা বলেন, হে আল্লাহর দুশমন তুই চুপ কর।’’
আমার জানার বিষয় হলো, এটি হাদীস কি না?
উত্তর : এটি হাদীস নয়; হাদীসের কিতাবসমূহে এটি পাওয়া যায় না। মাসিক আল কাউসার, মার্চ-২০১৪ পৃ.-৩০।
এ বিষয়ক আরো দুটি ভিত্তিহীন বর্ণনা উল্লেখযোগ্য-
المصنوع في معرفة الحديث الموضوع (ص: 92)
109 - حَدِيثُ الْحَدِيثُ فِي الْمَسْجِدِ يَأْكُلُ الْحَسَنَاتِ كَمَا تَأْكُلُ الْبَهِيمَةُ الْحَشِيشَ لَمْ يُوجَدْ كَذَا فِي الْمُخْتَصَرِ
০১. মসজিদে (দুনিয়াবী) কথাবার্তা নেকিকে এমনভাবে খতম করে, যেমন চুতষ্পদ প্রাণী তৃণলতাকে শেষ করে দেয়। আল মাসনূ-৯২, হাদীস-১০৯।

বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

আম্মাজান আয়েশা (রা.) রাগ করলে, রাসূল (সা.) যেভাবে বুঝতেন...

আম্মাজান আয়েশা (রা.) রাগ করলে, রাসূল (সা.) যেভাবে বুঝতেন...
কিছু দিন পূর্বে এক জায়গায় যাচ্ছিলাম, পথের মাঝেই শুরু হয়ে গেলে রাগ বশতঃ স্বামী স্ত্রীর মারামারি, আমি দেখে অবাক হলাম! আর মনে মনে ভাবতে লাগলাম যে, প্রকৃত ইসলামের বিধান জানা থাকলে আজ এমন হতো না। আর এধরনের রাগের কারণেই অনেক সময় ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় । তাই এ বিষয়ে কিছু কথা...
মানুষ রাগ হওয়াটাই স্বাভাবিক, তাই বলে কি এমন অস্বাভাবিক আচরণ! দেখুন আম্মাজান আয়েশা (রা.)ও রাগ করতো, কিন্তু রাসূল (সা.) কী বলতেন-
صحيح مسلم (4/ 1890)
80 - (2439) حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ وَجَدْتُ فِي كِتَابِي عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنِّي لَأَعْلَمُ إِذَا كُنْتِ عَنِّي رَاضِيَةً، وَإِذَا كُنْتِ عَلَيَّ غَضْبَى» قَالَتْ فَقُلْتُ: وَمِنْ أَيْنَ تَعْرِفُ ذَلِكَ؟ قَالَ: " أَمَّا إِذَا كُنْتِ عَنِّي رَاضِيَةً، فَإِنَّكِ تَقُولِينَ: لَا وَرَبِّ مُحَمَّدٍ وَإِذَا كُنْتِ غَضْبَى، قُلْتِ: لَا، وَرَبِّ إِبْرَاهِيمَ " قَالَتْ قُلْتُ: أَجَلْ، وَاللهِ يَا رَسُولَ اللهِ مَا أَهْجُرُ إِلَّا اسْمَكَ.
হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন, হে আয়েশা! আমি অবশ্যই জানি কখন তুমি আমার প্রতি সন্তুষ্ট থাক আর কখন নারাজ (রাগ) হও। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তা আপনি কিভাবে জানেন? রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, যখন তুমি আমার প্রতি সন্তুষ্ট থাক, তখন তুমি এরূপ বল, ‘মুহাম্মাদের প্রভুর কসম, আর যখন তুমি অসন্তুষ্ট হও তখন বল, ‘ইবরাহীমের প্রভুর কসম’! আমি বললাম, জী হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ। খোদার শপথ! (রাগের সময়) আমি কেবল আপনার নামটাই বাদ দেই। সহীহ মুসলিম-৪/১৮৯০, হাদীস-২৪৩৯।

সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৫

কেমন চরিত্র ছিল আম্মাজান আয়েশা (রা.) এর! আর কি বলছে কথিত আহলে হাদীস..!

কেমন চরিত্র ছিল আম্মাজান আয়েশা (রা.) এর! আর কী বলছে কথিত ‘‘আহলে হাদীস’’..!
কিছু দিন পূর্বে এক কথিত ‘‘আহলে হাদীস’’ একটি আলোচনার প্রেক্ষিতে আম্মাজান আয়েশা (রা.) কে গালিগালাজ করছিলো। সাথে সাথে আরো বললো, সাহাবীদের কথা প্রমাণযোগ্য নয়!!
আমি তার কথা শুনে খুবই মর্মাহত হলাম। তার প্রতি খুবই আফসোস হল। সে যদি আম্মাজান আয়েশা (রা.) এর পরিচয় জানত, তাহলে মনে হয় এমন কথা বলা আদৌ সম্ভব হতো না। কথিত ‘‘আহলে হাদীসদেরকে’’ এই সব বুলি, তাদের গুরুজনরাই শিক্ষা দিয়েছে। দেখুন তার কিছু দৃষ্টান্ত-
ভারতবর্ষে লা-মাযহাবীদের প্রধান মুখপাত্র নবাব ছিদ্দিক্ব হাসান খানের নিজ গ্রন্থ থেকে কয়েকটি উক্তি নিন্মে প্রদত্ত হল-
قول الصحابى لاتقوم به حجة وفهم الصحابى ليس بحجة ـ
‘‘সাহাবাগণের (রা.) কথা দলীল স্বরূপ পেশ করা যাবে না এবং তাদের বুঝ নির্ভরযোগ্য নয়।’’ আর রওজাতুন নাদীয়াহ-১/১৪১, ১/১৫৪।

রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৫

الجنَّةُ تحتَ أقدامِ الأمَّهاتِ ‘‘মায়ের পায়ের নিচে (সন্তানের) বেহেশত’’ উক্ত বাক্যে হাদীসটি কি সহীহ?

الجنَّةُ تحتَ أقدامِ الأمَّهاتِ
‘‘মায়ের পায়ের নিচে (সন্তানের) বেহেশত’’ উক্ত বাক্যে হাদীসটি কি সহীহ?
বেশ কিছু ভাই প্রশ্ন করেছেন, উক্ত শব্দে হাদীসটি সহীহ কি না? এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে। যদি উক্ত হাদীস সহীহ না হয়, তাহলে উক্ত মর্মে অন্য কোন হাদীস রয়েছে কি? নিম্মে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো....

উক্ত শব্দে হাদীসটি সহীহ না বরং এটি যয়ীফ ও মুনকার। নিম্মে হাদীসটি সনদসহ দেখুন-
الكامل في ضعفاء الرجال (8/ 64)
قَالَ الشَّيْخُ: وَهَذَا حَدِيثٌ مُنْكَرٌ بِهَذَا الإِسْنَادِ يرويه، عَن أَبِي المليح مُوسَى بْن مُحَمد، وأَبُو المليح لا بأس به.
حَدَّثَنَا عُمَر بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنا عباس بن الوليد الخلال، حَدَّثَنا مُوسَى بْنُ مُحَمد بْنِ عطاء، حَدَّثَنا أَبُو الْمُلَيْحِ عَنْ مَيْمُونَ بْنِ مَهْرَانَ، عنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَال: قَال رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْجَنَّةُ تَحْتَ أَقْدَامِ الأمهات من شئن أدخلن، ومَنْ شئن أخرجن
অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, মায়ের পায়ের নিচে (সন্তানের) বেহেস্ত। যে চায়, সে যেন তাতে প্রবেশ করে আর না চাইলে যেন বের হয়ে যায়। আল কামেল লি ইবনে আদী-৮/৬৪।

শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৫

মৃত ব্যক্তিকে গোসল দিলে কি কোন ফযীলত পাওয়া যায়?

মৃত ব্যক্তিকে গোসল দিলে কি কোন ফযীলত পাওয়া যায়?
গুনাহ থেকে মুক্তি পেতে চান! জান্নাতে রেশমী বস্ত্র পরিধান করতে চান! আরো কত নেয়ামত....
গত বৃহস্পতিবার আমার বড় চাচি ইন্তেকাল করেন । তাই হঠাৎ করে আমার শ্রদ্ধেয় পিতা জানতে চাইলেন যে, ‘‘মৃত ব্যক্তিকে গোসল করালে কি কোন ফযীলত পাওয়া যায়?’’ তখন আমি একটি মহলে বসা ছিলাম। এই প্রশ্ন ঐ মহলে উঠালে অনেকেই এই ফাযায়েল সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে ব্যক্ত করলেন। তাই আজ ইচ্ছে হলো, এই বিষয়টি সকলকে জানিয়ে দেয়া। যাতে করে আমরাও মৃত ব্যক্তিকে গোসল দিয়ে সাওয়াবের অধিকারী হতে পারি।


০১. হযরত আবূ রাফে’ (রা.) এর হাদীস-
المعجم الكبير للطبراني (1/ 315)
929 - حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَلُولٍ الْبَصْرِيُّ، ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ، ثنا سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ شُرَحْبِيلَ بْنِ شَرِيكٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ رَبَاحٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا رَافِعٍ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَسَّلَ مَيِّتًا فَكَتَمَ عَلَيْهِ غُفِرَ لَهُ أَرْبَعِينَ كَبِيرَةً،.......»
হযরত আবূ রাফে (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি কোন মৃত ব্যক্তিকে গোসল দিলো, আর তার দোষ ক্রটিগুলো ঢেকে রাখলো, আল্লাহ তায়ালা তার চল্লিশটি কবীরা গুনাহ মাফ করে দিবেন। আল মুজামুল কাবীর-১/৩১৫, হাদীস-৯২৯, মুসতাদরাকে হাকেম-১/৫০৫, হাদীস-১৩০৭, আস সুনানুল কুবরা-৩/৫৫৪, হাদীস-৬৬৫৫ ইত্যাদি

শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৫

জাল হাদীসের কবলে কেন বন্দি আজ নারী সমাজ? ‘‘স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রির বেহেস্ত’’ এটি কি কোন হাদীস?

জাল হাদীসের কবলে কেন বন্দি আজ নারী সমাজ?
‘‘স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রির বেহেস্ত’’ এটি কি কোন হাদীস?
সাম্প্রতিক কালে যে কোন বিষয়ে নারী সমাজের মুখ বন্ধ করার জন্য একটি সুন্দর বুলি তৈরী করা হয়েছে। আর তা হলো, কোন নারী স্বামীর বৈধ ও অবৈধ যে কোন ধরনের হুকুম অমান্য করতে দেখা গেলেই বলা হয়, তুমি কি জানো না? হাদীসে আছে "الجنة تحت أقدام الزوج" ‘‘স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রি বেহেস্ত’’ তুমি তো বেহেস্ত পাবে না। 
তখন বাধ্য হয়ে নারীগণ চুপ মেরে যায়। প্রকৃত পক্ষে কোরআন ও সুন্নাহের কোথাও "الجنة تحت أقدام الزوج" তথা (‘‘স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রির বেহেস্ত’’) এমন বর্ণনা পাওয়া যায় না। তাই এধরনের ভিত্তিহীন বর্ণনা আমদের পরিহার করা উচিৎ।

বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৫

জাল হাদীসের কবলে কেন দেশ প্রেম?

জাল হাদীসের কবলে কেন দেশ প্রেম?
    বর্তমানে দেশের ভালোবাসা নিয়ে কোন কথা বললেই সকলের দৃষ্টি চলে যায় حب الوطن من الايمان তথা ‘‘স্বদেশ প্রেম ঈমানের অঙ্গ’’ নামক জাল হাদীসটির প্রতি। (যাকে হাফেযে হাদীস, মুহাদ্দেসগণ ভিত্তি নেই বলে দাবি করেছেন। যেমন আল্লামা সাগানী (রহ.), মোল্লা আলী কারী (রহ.), আল্লামা সাখাবী (রহ.) প্রমুখগণ। রিসালাতুল মাওযুআত-৭, আল মাসনু-৯১, আল মাকাসিদুল হাসানা-২১৮, তাযকিরাতুল মাওযূআত-১১, আদ্দুরারুল মুনতাসিরা-১১০, মিরকাতুল মাফাতীহ-৪/৫, আল মাওযূআতুল কুবরা-৬১, আল লুউলুউল মারসূ-৩৩ ইত্যাদি।)

তাই অনেকেই দেখা যায় এ বিষয়ে ঢালাওভাবে ফাতওয়া দিয়ে দেয় যে, ‘‘স্বদেশ প্রেম’’ এর বিষয়ে কোন  হাদীস নেই। আসলে এটি সম্পূর্ণ ভূল ধারণা। তাই আজকে এ বিষয়ে কিছু লিখার ইচ্ছা করলাম...

এটা অবধারিত সত্য যে, একজন মানুষ যখন পৃথিবীর বিশাল ভূখন্ডের কোনো এক অংশে জন্মলাভ করে, সেখানকার আলো-বাতাস গ্রহণ করে, সেখানে বেড়ে ওঠে। তখন স্বাভাবিকভাবেই সেখানকার মাটি-মানুষের প্রতি অন্যরকম হৃদ্যতা ও আপনত্ব অনুভব করে। জন্মভূমির প্রতি মানুষের এই স্বভাবজাত আকর্ষণকে ইসলাম মূল্যায়ন করেছে।

বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০১৫

‘‘ইয়ামানকে’’ আমি যে কারণে ভালোবাসি, কিন্তু আপনি কেন বঞ্চিত হবেন?

‘‘ইয়ামানকে’’ আমি যে কারণে ভালোবাসি, কিন্তু আপনি কেন বঞ্চিত হবেন?
আমাদের অনেকেই আজ আমেরিকা, রাশিয়া, চীন ও ভারত ইত্যাদি রাষ্টের ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে আছে। অথচ রাসূল (সা.) এর হাদীস দ্বারা যেই সব রাষ্টের ভালোবাসার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে, তার থেকে আমরা বে-খবর। তাই আজ এমন একটি রাষ্ট তথা ইয়ামানকে নিয়ে আলোচনা করা হবে....
 
 রাসূল (সা.) যেই হাদীস দ্বারা ইয়ামানকে ভালোবাসার প্রতি ইংঙ্গিত দিয়েছেন....
 ০১ নং হাদীস-
صحيح البخاري (5/ 173)
4388 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ ذَكْوَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَتَاكُمْ أَهْلُ اليَمَنِ، هُمْ أَرَقُّ أَفْئِدَةً وَأَلْيَنُ قُلُوبًا، الإِيمَانُ يَمَانٍ وَالحِكْمَةُ يَمَانِيَةٌ، وَالفَخْرُ وَالخُيَلاَءُ فِي أَصْحَابِ الإِبِلِ، وَالسَّكِينَةُ وَالوَقَارُ فِي أَهْلِ الغَنَمِ»

শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০১৫

শ্রদ্ধা, ভক্তি, প্রশংসা, সম্মান ও ভালোবাসার মাঝেও অতিরঞ্জন নিষেধ

শ্রদ্ধা, ভক্তি, প্রশংসা, সম্মান ও  ভালোবাসার মাঝেও অতিরঞ্জন নিষেধ
বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়, শ্রদ্ধা, ভক্তি, প্রশংসা, সম্মান ও ভালোবাসা প্রদর্শন করতে গিয়ে, অনেকেই ইসলামের সীমারেখা থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। আসলে প্রকৃত পক্ষে ইসলাম এগুলো সমর্থন করে না। তাই আজকে এই বিষয়ে কিছু আলোচনা নিম্মে উল্লেখ করা হলো-


০১. একদা সাহাবায়ে কেরাম (রা.) ভাবলেন আমরাতো দুনিয়াতে সমস্ত মুসলিমকেই সালাম করে থাকি, তাহলে আমরা আল্লাহকে সালাম করবো না কেন?
অতপর শুরু হলো মহান আল্লাহকেও সালাম করা। যার আলোচনা নিম্ম হাদীসে এসেছে-
صحيح البخاري (9/ 116)
7381 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا مُغِيرَةُ، حَدَّثَنَا شَقِيقُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: كُنَّا نُصَلِّي خَلْفَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَقُولُ: السَّلاَمُ عَلَى اللَّهِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ اللَّهَ هُوَ السَّلاَمُ، وَلَكِنْ قُولُوا: التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ "

মেসওয়াক করে নামায পড়লে কি সত্তুর গুণ বেশী সাওয়াব পাওয়া যায়?

মেসওয়াক করে নামায পড়লে কি সত্তুর গুণ বেশী সাওয়াব পাওয়া যায়?
السؤال:سائل يسأل عن حديث: "صلاة بسواك أفضل من سبعين صلاة بغير سواك"، من رواه، وهل هو صحيح الإسناد؟ وعن كلام العلماء على توجيه تضعيف الصلاة إلى هذا العدد. نرجوكم إيضاح الجواب، وفقكم الله للصواب.

মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০১৫

কথিত আহলে হাদীসদের মহামান্য ‘‘ইবনু কাইয়্যাম আল জাওযীইয়া (রহ.)’’ সহীহ মুসলিমের মাঝেও জাল হাদীসের দাবী করেছেন!! এ বিষয়ে বর্তমান কথিত আহলে হাদীসদের মতামত জানতে চাই

কথিত আহলে হাদীসদের মহামান্য ‘‘ইবনু কাইয়্যাম আল জাওযীইয়া (রহ.)’’ সহীহ মুসলিমের মাঝেও জাল হাদীসের দাবী করেছেন!! এ বিষয়ে বর্তমান কথিত আহলে হাদীসদের মতামত জানতে চাই
বর্তমানে কথিত আহলে হাদীস ভাইদেরকে দেখা যাচ্ছে, ‘‘আল্লামা ইবনে তাইমিয়্যা (রহ.)’’ ও তার বিখ্যাত ছাত্র ‘‘ইবনু কাইয়্যাম আল জাওযীইয়া (রহ.) কে নিয়ে অসংখ্য জায়গায় বাড়াবাড়ি করতে ও তাদের মতামত গ্রহণ করতে। তাই আজ আমি নিম্মে এমন একটি হাদীস উল্লেখ করবো যাকে ‘‘ইবনু কাইয়্যাম আল জাওযীইয়া (রহ.) ‘’ ভুল বলেছেন। অথচ সেটি হলো সহীহ মুসলিম এর বর্ণনা (যেই কিতাবের সমস্ত হাদীস সহীহ বলে উম্মতের বিখ্যাত মুহাদ্দীসগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন)। তাই আমার জানার বিষয় হলো উক্ত হাদীস সম্পর্কে আপনাদের মতামত কি? দেখুন নিম্মে....
✏ সহীহ মুসলিমের বর্ণনা-
صحيح مسلم (4/ 1945)
168 - (2501) حَدَّثَنِي عَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ جَعْفَرٍ الْمَعْقِرِيُّ، قَالَا: حَدَّثَنَا النَّضْرُ وَهُوَ ابْنُ مُحَمَّدٍ الْيَمَامِيُّ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو زُمَيْلٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ، قَالَ: كَانَ الْمُسْلِمُونَ لَا يَنْظُرُونَ إِلَى أَبِي سُفْيَانَ وَلَا يُقَاعِدُونَهُ، فَقَالَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا نَبِيَّ اللهِ ثَلَاثٌ أَعْطِنِيهِنَّ، قَالَ: «نَعَمْ» قَالَ: عِنْدِي أَحْسَنُ الْعَرَبِ وَأَجْمَلُهُ، أُمُّ حَبِيبَةَ بِنْتُ أَبِي سُفْيَانَ، أُزَوِّجُكَهَا، قَالَ: «نَعَمْ» قَالَ: وَمُعَاوِيَةُ، تَجْعَلُهُ كَاتِبًا بَيْنَ يَدَيْكَ، قَالَ: «نَعَمْ» قَالَ: وَتُؤَمِّرُنِي حَتَّى أُقَاتِلَ الْكُفَّارَ، كَمَا كُنْتُ أُقَاتِلُ الْمُسْلِمِينَ، قَالَ: «نَعَمْ» قَالَ أَبُو زُمَيْلٍ: وَلَوْلَا أَنَّهُ طَلَبَ ذَلِكَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا أَعْطَاهُ ذَلِكَ، لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ يُسْأَلُ شَيْئًا إِلَّا قَالَ: «نَعَمْ»
অর্থ : ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, মুসলমানরা আবু সুফিয়ানের প্রতি ভ্রুক্ষেপও করতো না এবং তার কাছে বসতোও না। একবার সে নবী (সা.) কে বললো, হে আল্লাহর নবী! তিনটি জিনিস আমাকে দিন। তিনি বললেন : আচ্ছা! সে বলল, আমার কাছে আরবদের সর্বোৎকৃষ্ট ও সর্বাধিক সুন্দরী মহিলা রয়েছে ‘‘উম্মু হাবীবা বিনতে আবু সুফিয়ান (রা.)।’’ তাকে আপনার সাথে বিবাহ দিব। তিনি বললেন : আচ্ছা! সে বলল, মু‘আবিয়াকে আপনার সেক্রেটারী নিযুক্ত করুন। তিন বললেন : আচ্ছা! সে বলল, আমাকে নির্দেশ দিন আমি কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব যেভাবে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলাম। তিনি বললেন : আচ্ছা! আবূ যুমাইল বলেন, আবূ সুফিয়ান (রা.) যদি নবী (সা.) এর নিকট এগুলো না চাইতেন তাহলে তিনি তাকে এগুলো দিতেন না। কেননা তিনি তার কাছে যা চাইতেন তিনি শুধু হ্যাঁ বলতেন। সহীহ মুসলিম-৪/১৯৪৫, হাদীস-২৫০১।

❀ এখন দেখুন ‘‘ইবনু কাইয়্যাম আল জাওযীইয়া (রহ. ‘’ এর কিতাব থেকে উক্ত হাদীস সম্পর্কে মন্তব্য-
جلاء الأفهام في فضل الصلاة على محمد خير الأنام (ص: 252)
فَالصَّوَاب أَن الحَدِيث غير مَحْفُوظ بل وَقع فِيهِ تَخْلِيط وَالله أعلم
অর্থ : সঠিক কথা হলো উক্ত হাদীসটি সংরক্ষিত নয়! বরং তার মাঝে অনেক গোলমাল হয়েছে..। জালাউল আফহাম-২৫২।
❐ উল্লেখ্য যে ইবনু হাযম (রহ.) উক্ত হাদীসটির সূত্রে বর্ণনাকারী ‘‘ইকরামা ইবনে আম্মার’’ এর কারণে হাদীসটিকে সরাসরী জাল তথা মাওজু বলেছেন। দেখুন আরো বিস্তারিত আল হাদীসুস যয়ীফ হুকমুহু ওয়া ফাওয়ায়েদুহু লি মুহাম্মাদ উবায়দুল্লাহ আল আসয়াদী-৩১-৩২।

✔ অতএব উক্ত বিষয়ে আহলে হাদীস ভাইগণ নিজেদের মন্তব্য জানিয়ে বাধিত করবেন।

✍ ইতি মুফতী মো. ছানা উল্লাহ

মানুষের সম্মান নিয়ে ইসলামের নিরব ভূমিকা আপনি কি অন্যের বায়ূ নির্গত হওয়াতে হাঁসছেন?

মানুষের সম্মান নিয়ে ইসলামের নিরব ভূমিকা,
আপনি কি অন্যের বায়ূ নির্গত হওয়াতে হাঁসছেন?
❀ মন চাইলো আজ এমন একটি বিষয় নিয়ে লিখতে, যা আমাদের সমাজে অনেকেরই অজানা। কেননা বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় অনেক মুরুব্বী মানুষ অধিক বয়সের কারণে নিজকে কন্ট্রোল রাখতে না পেরে, বায়ূ ছেড়ে বসে। আর আমরা যারা আশপাশে আছি তারা হাঁসাহাঁসি শুরু করে দেই। শুধু মুরুব্বী মানুষ নয় বরং অনেক সময় যুবক-যুবতী ও শিশুদেরকেও এই কাজে ভূমিকা রাখতে দেখা যায়।

✿ এখন আলোচনার বিষয় হলো ‘‘অন্যের বায়ূ নির্গত হওয়াতে আপনার জন্য হাঁসাহাঁসি করা ইসলামে বৈধ কি?’’ অনেকেই বলবেন আরে! ইসলাম বুঝি এ বিষয় নিয়েও কোন বিধান রেখেছে? আমি বলবো হ্যাঁ। ইসলাম এ বিষয়েও বিধান রেখেছে। নিন্মে তা বিস্তারিত দেখুন, আর নিজেকে গড়ে তুলুন একজন কোরআন ও সুন্নাহ প্রতি সহীহ আমলকারী।

বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৫

ঈদকে লক্ষ্য করে কি বলবেন? ‘‘ঈদ মুবারক’’ না অন্য কিছু......

ঈদকে লক্ষ্য করে কি বলবেন? ‘‘ঈদ মুবারক’’ না অন্য কিছু......
❏ ঈদের পূর্বে ও পরে বেশ কিছু দিন জাবৎ চালু থাকে ‘‘ঈদ মুবারক’’ বলে অভিনন্দন/মোবারকবাদ/শুভেচ্ছা। তাই আগ্রহ জাগলো এই বিষয়ে শরীয়ত কি বলে তা নিয়ে কিছু আলোচনা করতে। যাই হোক নিম্মে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

✏ ০১. এ বিষয়ে আল্লামা ইবনে তাইমিয়্যা (রহ.) এর প্রতি প্রশ্ন ও তার জবাব-
مجموع الفتاوى (24/ 253)
وَسُئِلَ - رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى -:
هَلْ التَّهْنِئَةُ فِي الْعِيدِ وَمَا يَجْرِي عَلَى أَلْسِنَةِ النَّاسِ: " عِيدُك مُبَارَكٌ " وَمَا أَشْبَهَهُ هَلْ لَهُ أَصْلٌ فِي الشَّرِيعَةِ؟ أَمْ لَا؟ وَإِذَا كَانَ لَهُ أَصْلٌ فِي الشَّرِيعَةِ فَمَا الَّذِي يُقَالُ؟ أَفْتُونَا مَأْجُورِينَ.
অর্থ : আল্লামা ইবনে তাইমিয়্যা (রহ.) কে জিজ্ঞাসা করা হলো। ঈদের সময় অভিনন্দন জানানো, যেমনি ভাবে মানুষের মুখে প্রচলন রয়েছে যে, ‘‘عِيدُك مُبَارَكٌ’’ (ঈদ মোবারক) অথবা এর সমর্থক কোন কিছু। শরীয়তে এগুলোর কোন ভিত্তি রয়েছে কি? যদি কোন ভিত্তি থাকে তাহলে তা কি? জানিয়ে সাওয়াব প্রাপ্ত হবেন।
فَأَجَابَ:
أَمَّا التَّهْنِئَةُ يَوْمَ الْعِيدِ يَقُولُ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ إذَا لَقِيَهُ بَعْدَ صَلَاةِ الْعِيدِ: تَقَبَّلَ اللَّهُ مِنَّا وَمِنْكُمْ وَأَحَالَهُ اللَّهُ عَلَيْك وَنَحْوُ ذَلِكَ فَهَذَا قَدْ رُوِيَ عَنْ طَائِفَةٍ مِنْ الصَّحَابَةِ أَنَّهُمْ كَانُوا يَفْعَلُونَهُ وَرَخَّصَ فِيهِ الْأَئِمَّةُ كَأَحْمَدَ وَغَيْرِهِ. لَكِنْ قَالَ أَحْمَد: أَنَا لَا أَبْتَدِئُ أَحَدًا فَإِنْ ابْتَدَأَنِي أَحَدٌ أَجَبْته وَذَلِكَ لِأَنَّ جَوَابَ التَّحِيَّةِ وَاجِبٌ وَأَمَّا الِابْتِدَاءُ بِالتَّهْنِئَةِ فَلَيْسَ سُنَّةً مَأْمُورًا بِهَا وَلَا هُوَ أَيْضًا مِمَّا نُهِيَ عَنْهُ فَمَنْ فَعَلَهُ فَلَهُ قُدْوَةٌ وَمَنْ تَرَكَهُ فَلَهُ قُدْوَةٌ. وَاَللَّهُ أَعْلَمُ.
অর্থ : তিনি উত্তরে বললেন। ঈদের দিন অভিনন্দন জানানো ও একজন অন্য জনকে ঈদের নামাযের পর সাক্ষাত হলে ‘‘ تَقَبَّلَ اللَّهُ مِنَّا وَمِنْكُمْ’’ বলা ও ‘‘أَحَالَهُ اللَّهُ عَلَيْك’’ বলা; বা এর সামর্থক কিছু বলা, এগুলো সাহাবায়ে কেরাম (রা.) এর একটি দল থেকে সাব্যস্ত রয়েছে; তাদের মাঝে এমন প্রচলন ছিল।
এ বিষয়ে ইমাম আহমদ (রহ.) সহ অন্যরাও ছাড় দিয়েছেন। কিন্তু ইমাম আহমদ (রহ.) বলেন, আমি কাউকে অভিনন্দন জানাই না; যদি কেউ আমাকে দিয়ে শুরু করে তাহলে আমি জবাব দিয়ে থাকি। কেননা অভিনন্দন এর জবাব দেয়া ওয়াজিব। আর অভিনন্দন দিয়ে শুরু করা এটি প্রচলিত কোন সুন্নাত না; আর এর থেকে নিষেধ করা হয়েছে এমন কিছুও না। যে করবে সে তার আদর্শের উপর থাকলো আর যে করবে না সেও তার আদর্শের উপর থাকলো। وَاَللَّهُ أَعْلَمُ মাজমুউল ফাতওয়া-২৪/২৫৩।

ঈদের খুৎবা মিম্বরে দেয়া সুন্নাত। যা সহীহ বুখারীসহ একাধিক কিতাব দ্বারা প্রমাণিত

ঈদের খুৎবা মিম্বরে দেয়া সুন্নাত। যা সহীহ বুখারীসহ একাধিক কিতাব দ্বারা প্রমাণিত
❏ বর্তমানে কথিত আহলে হাদীস এর কতক শায়খ বলে বেড়াচ্ছে যে, মিম্বরের উপর ঈদের খুৎবা দেয়া বেদআত! কারণ সহীহ বুখারীর ৯৫৬নং হাদীস; যা হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রা.) এর সূত্রে বর্ণিত। তাতে ঈদের আলোচনা এসেছে সেখানে রাসূল (সা.) খুৎবা মিম্বারে দিয়েছে এই কথাটি উল্লেখ নেই। তাই এটি বেদআত....

✏ তাদের এই সব দলীল শুনলে আমার খুব দুঃখ লাগে। কেননা যেই হাদীসের প্রথম অংশ দিয়ে তারা মিম্বরে খুৎবাকে বেদআত বলে ঐ হাদীসের শেষ অংশের মাঝেই মিম্বরে খুৎবা দেয়ার আলোচনা রয়েছে। তাহলে দেখুন হাদীসটি-
صحيح البخاري (2/ 17)
بَابُ الخُرُوجِ إِلَى المُصَلَّى بِغَيْرِ مِنْبَرٍ
956 - حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِيِّ، قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْرُجُ يَوْمَ الفِطْرِ وَالأَضْحَى إِلَى المُصَلَّى، فَأَوَّلُ شَيْءٍ يَبْدَأُ بِهِ الصَّلاَةُ، ثُمَّ يَنْصَرِفُ، فَيَقُومُ مُقَابِلَ النَّاسِ، وَالنَّاسُ جُلُوسٌ عَلَى صُفُوفِهِمْ فَيَعِظُهُمْ، وَيُوصِيهِمْ، وَيَأْمُرُهُمْ، فَإِنْ كَانَ يُرِيدُ أَنْ يَقْطَعَ بَعْثًا قَطَعَهُ، أَوْ يَأْمُرَ بِشَيْءٍ أَمَرَ بِهِ، ثُمَّ يَنْصَرِفُ» قَالَ أَبُو سَعِيدٍ: «فَلَمْ يَزَلِ النَّاسُ عَلَى ذَلِكَ حَتَّى خَرَجْتُ مَعَ مَرْوَانَ - وَهُوَ أَمِيرُ المَدِينَةِ - فِي أَضْحًى أَوْ فِطْرٍ، فَلَمَّا أَتَيْنَا المُصَلَّى إِذَا مِنْبَرٌ بَنَاهُ كَثِيرُ بْنُ الصَّلْتِ، فَإِذَا مَرْوَانُ يُرِيدُ أَنْ يَرْتَقِيَهُ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ، فَجَبَذْتُ بِثَوْبِهِ، فَجَبَذَنِي، فَارْتَفَعَ، فَخَطَبَ قَبْلَ الصَّلاَةِ»، فَقُلْتُ لَهُ: غَيَّرْتُمْ وَاللَّهِ، فَقَالَ أَبَا سَعِيدٍ: «قَدْ ذَهَبَ مَا تَعْلَمُ»، فَقُلْتُ: مَا أَعْلَمُ وَاللَّهِ خَيْرٌ مِمَّا لاَ أَعْلَمُ، فَقَالَ: «إِنَّ النَّاسَ لَمْ يَكُونُوا يَجْلِسُونَ لَنَا بَعْدَ الصَّلاَةِ، فَجَعَلْتُهَا قَبْلَ الصَّلاَةِ»

বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০১৫

সাদাকাতুল ফিতরের পরিমাণ হলো نصف صاع من بر (গমের অধ্য সা’) এই মাসয়ালার মাঝে শায়খ আলবানী, ইবনে তাইমিয়্যা ইত্যাদি ব্যক্তিবর্গও হানাফী

সাদাকাতুল ফিতরের পরিমাণ হলো نصف صاع من بر (গমের অধ্য সা’)
এই মাসয়ালার মাঝে শায়খ আলবানী, ইবনে তাইমিয়্যা ইত্যাদি ব্যক্তিবর্গও হানাফী
❐ সাম্প্রতিক কালে আমাদের স্বল্প জ্ঞানধারী, অধিক জ্ঞানের দাবীদার, কথিত আহলে হাদীস ভাইগণ বলছেন نصف صاع (অধ্য সা’ গম) দিয়ে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করার বিধানের কোন দলীল নেই। আমি তাদের প্রতি খুবই আশ্চার্য হই; তারা হাদীস এর বড় বড় কিতাব পড়তে সক্ষম না হলেও তাদের শায়খ ও মহাগুরু আলবানী, ইবনে তাইমিয়্যা, ইবনুল কাইয়্যাম ইত্যাদি ব্যক্তি বর্গের কিতাবগুলোতো একটু হলেও পড়বে?
কেননা তারা যদি শায়খ আলবানীর تمام المنة في التعليق على فقه السنة এই কিতাবটি পড়তো তাহলে তারা এই ধরনের মিথ্যাচার করা থেকে রক্ষা পেতো। 

ঈদের রজনীতে ইবাদত করবেন? না কি আতশবাজি.......

ঈদের রজনীতে ইবাদত করবেন? না কি আতশবাজি.......
❐ ঈদের রজনীতে ইবাদত করার ফযিলত সম্বলিত বর্ণিত হয়েছে, বেশ কয়েকটি হাদীস। নিম্মে তাহকীকসহ উল্লেখ করা হলো--

✏ ০১. হযরত আবূ উমামা আল বাহেলী (রা.) এর হাদীস-
سنن ابن ماجه ت الأرنؤوط (2/ 658)
1782 - حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الْمَرَّارُ بْنُ حَمُّويَهَ، حَدّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى، حَدّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنْ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -، قَالَ:"مَنْ قَامَ لَيْلَتَيْ الْعِيدَيْنِ مُحْتَسِبًا لِلَّهِ، لَمْ يَمُتْ قَلْبُهُ يَوْمَ تَمُوتُ الْقُلُوبُ"
হযরত আবূ উমামা (রা.) রাসূল (সা.) থেকে বর্ণনা করেন। যে ব্যক্তি ঈদুল ফিত্বর এবং ঈদুল আযহার রাতে (সাওয়াবের নিয়তে, ইবাদতের উদ্দেশ্যে) জাগ্রত থাকবে, সে ব্যক্তির হৃদয় ঐ দিন মৃত্যুবরণ করবে না যেদিন অন্য হৃদয়গুলো মৃত্যুবরণ করবে। (অর্থাৎ কিয়ামতের দিবশে তার কোন ভয় থাকবে না)। ইবনে মাজা-২/৬৫৮, হাদীস-১৭৮২।

বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই, ২০১৫

টাকা দ্বারা ‘‘ফিতরা’’ দেয়া হাদীস ও ইমামগণের উক্তি দ্বারা প্রমাণিত

টাকা দ্বারা ‘‘ফিতরা’’ দেয়া হাদীস ও ইমামগণের উক্তি দ্বারা প্রমাণিত
❏ মাহে রমজানে অনেক ব্যস্ততা। তাই এই বিষয়ে খুব সংক্ষিপ্ত আলোচনা করবো। ইনশাআল্লাহ

✏ বর্তমানে আমাদের দেশে গায়রে মুকাল্লেদগণ ফাতওয়া দিয়ে বেড়াচ্ছে যে, ‘‘সহীহ বুখারীর মাঝে আছে ফিতরা দিতে হবে গম, খেজুর, কিসমিস, পনীর ইত্যাদি খাদ্য দ্রব্য দিয়ে। টাকা দিয়ে আদায় করলে আদায় হবে না!!’’
তাদের এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। 
❏ তাছাড়াও ইমাম বুখারী (রহ.), ইবনে আবী শায়বা (রহ.) ও বায়হাকি (রহ.) বলেন, টাকা দিয়ে ফিতরা দিলে আদায় হয়ে যাবে। নিম্মে দেখুন বিস্তারিত....

রবিবার, ৫ জুলাই, ২০১৫

হাদীসে শব্দ পরিবর্তন ও নিজ থেকে সমার্থবোধক শব্দ ব্যবহার করা সকলের জন্য বৈধ নয়

হাদীসে শব্দ পরিবর্তন ও নিজ থেকে সমার্থবোধক শব্দ ব্যবহার করা সকলের জন্য বৈধ নয়

 আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী (রহ.) তার রচিত কিতাব ‘নুখবাতুল ফিকার’’এ বলেন-
نخبة الفكر في مصطلح أهل الأثر (4/ 723)
وَلَا يَجُوزُ تَعَمُّدُ تَغْيِيرِ الْمَتْنِ بِالنَّقْصِ وَالْمُرَادِفِ إِلَّا لِعَالِمٍ بِمَا يُحِيلُ الْمَعَانِي [ومن ثم] فَإِنْ خَفِيَ الْمَعْنَى احْتِيجَ إِلَى شَرْحِ الْغَرِيبِ وَبَيَانِ الْمُشْكِلِ.
অর্থ : আর ইচ্চাকৃতভাবে হাদীসের ইবারতকে অসর্ম্পূণ বা সমার্থবোধক শব্দ দিয়ে পরিবর্তন করা বৈধ নয়। একমাত্র হাদীসের অর্থ সম্পর্কে গভীর জ্ঞান রাখে, এমন আলেমের জন্য বৈধ। এধরনের পরিবর্তনের কারণে হাদীসের মাঝে দূর্লভ ও কঠিন শব্দের ব্যাখ্যার দিকে মুখাপেক্ষী হতে হয়। নুখবাতুল ফিকার-৪/৭২৩।

বুধবার, ২৪ জুন, ২০১৫

৪য় পর্ব : তারাবীহ নামায ২০ রাকআত**নবী সাহাবীদের এই মতবাদ** ৮ এর প্রথা ভ্রান্তি**নেই এতে শান্তি

৪য় পর্ব : তারাবীহ নামায ২০ রাকআত**নবী সাহাবীদের এই মতবাদ**
৮ এর প্রথা ভ্রান্তি**নেই এতে শান্তি
এ পর্বে আলোচ্য বিষয় : তারাবীহ নামায ২০রাকআত বিষয়ে রয়েছে সাহাবায়ে কেরাম (রা.) এর অধিক আসার ও আমল। আর কথিত আহলে হাদীসরা সাহাবায়ে কেরামের শানে অনেক কু-মন্তব্য করে থাকেন ও তাদের আসারকে মানতে চায় না। তাই এই পর্বে আলোচনা হবে সাহাবীগণ ও তাদের আসার শরীয়তের প্রমাণ কি না?

❁❀ শুরুতেই তাদের প্রতি তিনটি প্রশ্ন : ❁❀
আপনারা বলে থাকেন সাবাহীগণ শরীয়তের প্রমাণ নয়? তাহলে নিন্ম ক্ষেত্রে তাদের আমল দিয়ে দলীল পেশ করেন কেন? সার্থের সাথে মিলেছে তাই?

৩য় পর্ব : তারাবীহ নামায ২০ রাকআত**নবী সাহাবীদের এই মতবাদ** ৮ এর প্রথা ভ্রান্তি**নেই এতে শান্তি

৩য় পর্ব : তারাবীহ নামায ২০ রাকআত**নবী সাহাবীদের এই মতবাদ**
৮ এর প্রথা ভ্রান্তি**নেই এতে শান্তি
❖ এ পর্বে আলোচ্য বিষয় :  তারাবীহ নামায ২০রাকআত এর শুরু লগ্নের ইতিহাস ও উত্থাপিত আপত্তির জবাব।

তারাবীহ এর শুরু লগ্নের ইতিহাস সহীহ কিতাবগুলো থেকে বিশুদ্ধ বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত। নিন্মে তা আলোচনা করা হলো।

✏ ০১. (নবীর যুগে তারাবীহ) হযরত আয়েশা (রা.) এর হাদীস-
صحيح مسلم (1/ 524)
177 - (761) حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى فِي الْمَسْجِدِ ذَاتَ لَيْلَةٍ، فَصَلَّى بِصَلَاتِهِ نَاسٌ، ثُمَّ صَلَّى مِنَ الْقَابِلَةِ، فَكَثُرَ النَّاسُ، ثُمَّ اجْتَمَعُوا مِنَ اللَّيْلَةِ الثَّالِثَةِ، أَوِ الرَّابِعَةِ فَلَمْ يَخْرُجْ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا أَصْبَحَ، قَالَ: «قَدْ رَأَيْتُ الَّذِي صَنَعْتُمْ، فَلَمْ يَمْنَعْنِي مِنَ الْخُرُوجِ إِلَيْكُمْ إِلَّا أَنِّي خَشِيتُ أَنْ تُفْرَضَ عَلَيْكُمْ»، قَالَ: وَذَلِكَ فِي رَمَضَانَ
হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। নবী (সা.) এক রাতে মসজিদে তারাবীহ পড়লেন। সাহাবীগণও তার সঙ্গে নামাযে শামিল হলেন। দ্বিতীয় রাতে মুকতাদী সংখ্যা আরও বেড়ে গেল। এরপর তৃতীয় বা চুতুর্থ রাতে নবী (সা.) তারাবীর জন্য মসজিদে আসলেন না। সকালে সবাইকে লক্ষ করে বললেন, আমি তোমাদের আগ্রহ ও উপস্থিতি লক্ষ করছি, কিন্তু এ নামায তোমাদের উপর ফরয হয়ে যাবে এই আশষ্কায় আমি তোমাদের কাছে আসিনি। (সহীহ মুসলিম-১/৫২৪, হাদীস-১৭৭।

২য় পর্ব : তারাবীহ নামায ২০ রাকআত**নবী সাহাবীদের এই মতবাদ** ৮ এর প্রথা ভ্রান্তি**নেই এতে শান্তি

২য় পর্ব : তারাবীহ নামায ২০ রাকআত**নবী সাহাবীদের এই মতবাদ**
৮ এর প্রথা ভ্রান্তি**নেই এতে শান্তি

❖  এ পর্বে আলোচ্য বিষয় :  আট রাকআতের ইতিহাস, যা বেদআত (নবআবিষ্কৃত) হওয়ার প্রমাণ।

❁ তারাবীহর নামায সুন্নাত। সমগ্র পৃথীবিতে রাসূল (সা.) সাহাবাদের স্বর্ণযুগ থেকে চলে আসছে এই নীতি ।সব জায়গায় সর্ব যুগে সকল মসজিদে তারাবীহ ২০ রাকাত পড়া হচ্ছে ও বিতর তিন রাকআত। 
কিন্তু পৃথীবির ইতিহাসে সর্বপ্রথম ১২৮৪ হিজরী সালে ভারতের আকবরাবাদ থেকে কথিত আহলে হাদীসদের একজন আট রাকাত তারাবীর ফতোয়া দেন। তীব্র প্রতিবাদের মুখে সেই ফতোয়া টিকতে পারেনি এরপর ১২৮৫ হিজরীতে পাঞ্জাব সীমান্তে মাওলানা মুহাম্মদ হুসাইন বাটালবী নামে কথিত আহলে হাদীসদের আরেক জন ফতোয়া দেন যে, আট রাকাত তারাবী পড়া সুন্নত। বিশ রাকাত পড়া বেদাত। 
তার ফতোয়ারও তীব্র বিরোধিতা হয়। এমনকি কথিত আহলে হাদীসদের একজন বিখ্যাত আলেম মাওলানা গোলাম রাসূল নিজেই ঐ ফতোয়ার খন্ডনে ‘রিসালা তারাবী’ নামে একটি পুস্তিকা রচনা করেন। ১২৯০ সালে সেটি প্রকাশিত হয়। (দ্র. রাসায়েলে আহলে হাদীস,২খ, ২৮পৃ)। 

১ম পর্ব : তারাবীহ নামায ২০ রাকআত**নবী সাহাবীদের এই মতবাদ** ৮ এর প্রথা ভ্রান্তি**নেই এতে শান্তি

১ম পর্ব : তারাবীহ নামায ২০ রাকআত**নবী সাহাবীদের এই মতবাদ**
৮ এর প্রথা ভ্রান্তি**নেই এতে শান্তি

❖  এ পর্বের আলোচ্য বিষয় :  কথিক আহলে হাদীসদেরকে দেখা যায়, শিয়াদের ন্যায় নামাযের সংখ্যা কমানো ও নামায থেকে মানুষকে কী করে বিরত রাখা যায়, তার প্রতিযোগিতায় মগ্ন। 
দৃষ্টান্ত স্বরূপ মাত্র তিনটি নমুনা নিচে আলোচনা করা হবে। তাই এই পর্বের নাম ‘‘শিয়া সালাফী ভাই ভাই’’ বলা যেতে পারে।

❏ আসুন তাহলে প্রথমত জেনে নেই, যারা আল্লাহর বান্দাদেরকে ইসলামের অকাট্য প্রমাণ দ্বারা প্রামাণিত নামাযগুলো ও তার পরিপূর্ণ সংখ্যা আদায় করতে বাধা সৃষ্টি করে; তাদের সম্পর্কে কোরআন ও সুন্নাহ কি বলে?

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০১৫

তারাবীহ এর চার রাকআত নামায পড়ার পর কি করবেন? কোন দোয়া পড়বেন না কি বসে থাকবেন?

তারাবীহ এর চার রাকআত নামায পড়ার পর কি করবেন? কোন দোয়া পড়বেন না কি বসে থাকবেন?
❖ تراويح (তারাবীহ) এটি আরবী শব্দ। তার ব্যাখ্যায় সহীহ বুখারীর বিখ্যাত ব্যাখ্যাবিদ আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী (রহ.) বলেন-
فتح الباري لابن حجر (4/ 250)
وَالتَّرَاوِيحُ جَمْعُ تَرْوِيحَةٍ وَهِيَ الْمَرَّةُ الْوَاحِدَةُ مِنَ الرَّاحَةِ كَتَسْلِيمَةٍ مِنَ السَّلَامِ سُمِّيَتِ الصَّلَاةُ فِي الْجَمَاعَةِ فِي لَيَالِي رَمَضَانَ التَّرَاوِيحَ لِأَنَّهُمْ أَوَّلَ مَا اجْتَمَعُوا عَلَيْهَا كَانُوا يَسْتَرِيحُونَ بَيْنَ كُلِّ تَسْلِيمَتَيْنِ
تَّرَاوِيحُ শব্দটি تَرْوِيحَةٌ এর বহুবচন। (تَرْوِيحَةٌ) অর্থ একবার বিশ্রাম গ্রহণ করা। যেমন (تسليمة) অর্থ একবার সালাম দেওয়া। মাহে রমযানের বরকময় রজনীতে জামাতের সঙ্গে যে নামায পড়া হয় তাকে تَّرَاوِيحُ  (তারাবীহ) বলে। এই নামকরণের কারণ হচ্ছে, যখন থেকে সাহাবায়ে কেরাম এ নামায সম্মিলিত ভাবে আদায় আরম্ভ করেন তখন থেকেই তারা প্রতি দু’ সালামের পর (অর্থাৎ চার রাকআতের পর) বিশ্রাম নিতেন। (ফাতহুল বারী-৪/২৫০)।

বুধবার, ১৭ জুন, ২০১৫

নিন্ম ইতিহাস পড়লেই সব সমাধান পেয়ে যাবেন....ইনশাআল্লাহ তারাবীহ নামায ২০ রাকআত**নবী সাহাবীদের এই মতবাদ** ৮ এর প্রথা ভ্রান্তি**নেই এতে শান্তি

নিন্ম ইতিহাস পড়লেই সব সমাধান পেয়ে যাবেন....ইনশাআল্লাহ
তারাবীহ নামায ২০ রাকআত**নবী সাহাবীদের এই মতবাদ**
৮ এর প্রথা ভ্রান্তি**নেই এতে শান্তি

❖ তারাবী বিশ রাকাত পড়া সুন্নত ও আট রাকআতের পথা ভুল ও ভ্রান্ত। দেখুন ইতিহাস.....

❁ তারাবীহর নামায সুন্নাত। সমগ্র পৃথীবিতে রাসূল (সা.) সাহাবাদের স্বর্ণযুগ থেকে চলে আসছে এই নীতি ।সব জায়গায় সর্ব যুগে সকল মসজিদে তারাবীহ ২০ রাকাত পড়া হচ্ছে ও বিতর তিন রাকআত। 
কিন্তু পৃথীবির ইতিহাসে সর্বপ্রথম ১২৮৪ হিজরী সালে ভারতের আকবরাবাদ থেকে কথিত আহলে হাদীসদের একজন আট রাকাত তারাবীর ফতোয়া দেন। তীব্র প্রতিবাদের মুখে সেই ফতোয়া টিকতে পারেনি এরপর ১২৮৫ হিজরীতে পাঞ্জাব সীমান্তে মাওলানা মুহাম্মদ হুসাইন বাটালবী নামে কথিত আহলে হাদীসদের আরেক জন ফতোয়া দেন যে, আট রাকাত তারাবী পড়া সুন্নত। বিশ রাকাত পড়া বেদাত। 
তার ফতোয়ারও তীব্র বিরোধিতা হয়। এমনকি কথিত আহলে হাদীসদের একজন বিখ্যাত আলেম মাওলানা গোলাম রাসূল নিজেই ঐ ফতোয়ার খন্ডনে ‘রিসালা তারাবী’ নামে একটি পুস্তিকা রচনা করেন। ১২৯০ সালে সেটি প্রকাশিত হয়। (দ্র. রাসায়েলে আহলে হাদীস,২খ, ২৮পৃ)। 

মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০১৫

ইফতারের সময় দোয়া পড়ে আল্লাহর প্রশংসা করবে। তাও সালাফীদের সহ্য হচ্ছে না!!

ইফতারের সময় দোয়া পড়ে আল্লাহর প্রশংসা করবে। তাও সালাফীদের সহ্য হচ্ছে না!!

❖ সারা বছর তো লেগেই আছে। কিন্তু রোজা আসলেই শুরু হয় সালাফীদের নানা ধরনের ফেৎনা। তার মধ্যে ‍অন্যতম একটি ফেৎনা হচ্ছে, ইফতারের সময় পড়ুয়া সবগুলো দোয়াই নাকি মাওযু বা জাল । তাহলে আসুন, আমরা সহীহ তাহকীক জেনে নিই....

❏ ইফতারের সময় দুটি দোয়া পড়া যেতে পারে : 

সোমবার, ১৫ জুন, ২০১৫

আর কত....!!! আহলে হাদীসদের ফেৎনা এখন মাহে রমজানে আল্লাহর রহমত, মাগফেরাত ও নাজাত নিয়েও..

আর কত....!!!
আহলে হাদীসদের ফেৎনা এখন মাহে রমজানে আল্লাহর রহমত, মাগফেরাত ও নাজাত নিয়েও..


❖ আমাদের সমাজে মাহে রমজান সম্পর্কে নিন্ম হাদীসটি খুব প্রসিদ্ধ, কিন্তু সাম্প্রতিক কালে আমাদের আহলে হাদীস ভাইগণ না বুঝেই ফেৎনা সৃষ্টি করছে আর বলছে এটি জাল হাদীস। দেখুন হাদীসটি-
❖ صحيح ابن خزيمة (3/ 191)
1887 - ثنا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، ثنا يُوسُفُ بْنُ زِيَادٍ، ثنا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ سَلْمَانَ قَالَ: خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي آخِرِ يَوْمٍ مِنْ شَعْبَانَ فَقَالَ: ..... وَهُوَ شَهْرٌ أَوَّلُهُ رَحْمَةٌ، وَأَوْسَطُهُ مَغْفِرَةٌ، وَآخِرُهُ عِتْقٌ مِنَ النَّارِالخ
[التعليق] 1887 - قال الأعظمي: إسناده ضعيف علي بن زيد بن جدعان ضعيف

রবিবার, ১৪ জুন, ২০১৫

ভ্রান্ত সূফীর হাদীসি দাওয়া «مَنْ عَرَفَ نَفْسَهُ فَقَدْ عَرَفَ رَبَّهُ» নিজ পরিচয়ে আল্লাহকে পাওয়া

ভ্রান্ত সূফীর হাদীসি দাওয়া
«مَنْ عَرَفَ نَفْسَهُ فَقَدْ عَرَفَ رَبَّهُ»
নিজ পরিচয়ে আল্লাহকে পাওয়া

❖ প্রশ্ন : «مَنْ عَرَفَ نَفْسَهُ فَقَدْ عَرَفَ رَبَّهُ» অর্থ : ‘‘যে ব্যক্তি নিজকে চিনতে পেরেছে, সে আপন প্রতিপালকের পরিচয় লাভ করেছে।’’ এটি কি কোন হাদীস? অধিকাংশ বেদাতি মারেফতিরা এ হাদীসের দোহাই দিয়ে দ্বীনের বিভিন্ন বিধান থেকে মাহরুম থাকে। দয়া করে জানালে উপকৃত হবো। (অনলাইন)

❖ জবাব : উপরোক্ত বাক্যটি হাদীস নয় এবং  এটি কে হাদীস বলে রাসূল (সা.) এর দিকে সম্বোধন করাও বৈধ নয়। নিন্মে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

বৃহস্পতিবার, ১১ জুন, ২০১৫

ইমাম আবূ হানীফা (রহ.) এর ন্যায় ফকীহগণের মর্যাদা নিয়ে একটি ঘটনা

ইমাম আবূ হানীফা (রহ.) এর ন্যায় ফকীহগণের মর্যাদা নিয়ে একটি ঘটনা
تدريب الراوي في شرح تقريب النواوي (1/ 32)
وَقَدْ قَالَ الْأَعْمَشُ: حَدِيثٌ يَتَدَاوَلُهُ الْفُقَهَاءُ خَيْرٌ مِنْ حَدِيثٍ يَتَدَاوَلُهُ الشُّيُوخُ.
وَلَامَ إِنْسَانٌ أَحْمَدَ فِي حُضُورِ مَجْلِسِ الشَّافِعِيِّ وَتَرْكِهِ مَجْلِسَ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، فَقَالَ لَهُ أَحْمَدُ: اسْكُتْ فَإِنْ فَاتَكَ حَدِيثٌ بِعُلُوٍّ تَجِدْهُ بِنُزُولٍ وَلَا يَضُرُّكَ، وَإِنْ فَاتَكَ عَقْلُ هَذَا الْفَتَى أَخَافُ أَنْ لَا تَجِدَهُ. انْتَهَى.
আল্লামা সুয়ূতী (রহ.) তার রচিত কিতাব ‘তাদরীবুর রাবী’ এর ০১/৩২ এর মাঝে বিখ্যাত তাবেয়ী ‘আমাশ’ (রহ.) এর উক্তি উল্লেখ করেছেন। 
তিনি বলেন, ‘‘যে সব হাদীস ফুকাহা বা ফেকাহবিদদের মাঝে আলোচিত হয় সেগুলো মুহাদ্দীসদের মাঝে আলোচিত হাদীস থেকে উত্তম।’’
একদা এক ব্যক্তি ইমাম আহমদ (রহ.) এর নিন্দায় বললেন, আপনি কেন (বিখ্যাত ফকীহ) ইমাম শাফেয়ী (রহ.) এর মজলিসে আসা যাওয়া করেন? আর বিখ্যাত মুহাদ্দীস সুফইয়ান ইবনে উয়াইনা এর মাজলিসকে পরিত্যাগ করেন?
ইমাম আহমদ (রহ.) তাকে বললেন, তুমি চুপ কর!! কেননা বিখ্যাত মুহাদ্দিস সুফইয়ান ইবনে উয়াইনা এর মাজলিসে যদি আমি না যাই, তাহলে আমার এতটুকু সমস্যা হতে পারে যে, আমি একটি হাদীস খুব উচ্চ সনদে পাবো না, নিন্ম সনদে গ্রহণ করতে হবে, তাতে কোন সমস্যা নেই। 
কিন্তু এই যুবক (ইমাম শাফেয়ী) এর মাজলিস যদি আমি ছেড়ে দেই, তাহলে আমার ভয় হয় এই জ্ঞান কোথাও পাওয়া যাবে না!!
প্রিয় পাঠক! ইমাম আহমদ (রহ.) এর উক্ত একটি ঘটনা থেকেই ফকীহদের মূল্যায়ন কেমন হওয়া উচিত আর তারা প্রকৃতপক্ষে কত মুল্যবান তা স্পষ্ট ভাবে বুঝা যায়।

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের ঐ সব ভাইদের হেদায়াত দান করুন যারা না বুঝে বিখ্যাত মুহাদ্দেস ও ফকীহ ইমাম আবূ হানীফা (রহ.) এর বিরুদ্ধাচারণ করে থাকে। আমীন

ইতি মুফতী মো. ছানা উল্লাহ

শুক্রবার, ২৯ মে, ২০১৫

৮ম পর্ব (শেষ পর্ব) : শবে বরাতের বাস্তবতা * সালাফীদের মাথা ব্যথা দলীল দ্বারা প্রমাণিত* কেন তারা মিথ্যায় রত?

৮ম পর্ব (শেষ পর্ব) : শবে বরাতের বাস্তবতা * সালাফীদের মাথা ব্যথা
দলীল দ্বারা প্রমাণিত* কেন তারা মিথ্যায় রত?
❖ এ পর্বে  আলোচনা হবে, যে সব কাজ শবে বরাতে নিষিদ্ধ, বেদআত ও এ রাত্র নিয়ে কিছু জাল হাদীসের সমাবেশ-


✏ ০১. শবে বরাত উপলক্ষে বিশেষ পদ্ধতির কোনো নামায শরীয়তে নেই সব সময় যেভাবে নামায পড়া হয় সেভাবেই পড়বে অর্থাৎ দুই রাকাত করে যত রাকাত সম্ভব হয় আদায় করবে এবং যে সূরা দিয়ে সম্ভব হয় পড়বে। এ বিষয়ে বিভিন্ন বই পুস্তিকায় বিভিন্ন ধরনের জাল হাদীস পাওয়া যায়। যেমন-

বৃহস্পতিবার, ২৮ মে, ২০১৫

৭ম পর্ব : শবে বরাতের বাস্তবতা * সালাফীদের মাথা ব্যথা দলীল দ্বারা প্রমাণিত* কেন তারা মিথ্যায় রত?

৭ম পর্ব : শবে বরাতের বাস্তবতা * সালাফীদের মাথা ব্যথা
দলীল দ্বারা প্রমাণিত* কেন তারা মিথ্যায় রত?
❀ এ পর্বে উল্লেখ করা হবে উক্ত রজনী সম্পর্কে মুহাদ্দীস ও ফুকাহাগণের মন্তব্য (বিশেষ করে আহলে হাদীস/সালাফী ইমামদেরও মতামত) আরো থাকছে এ বিষয়ে রচিত কতিপয় কিতাব।

✏ ০১. শায়খ নাসিরুদ্দিন আলবানী সাহেবের অভিমত-
سلسلة الأحاديث الصحيحة وشيء من فقهها وفوائدها (3/ 135)
1144 - وجملة القول أن الحديث بمجموع هذه الطرق صحيح بلا ريب والصحة تثبت بأقل منها عددا ما دامت سالمة من الضعف الشديد كما هو الشأن في هذا الحديث، فما نقله الشيخ القاسمي رحمه الله تعالى في ” إصلاح المساجد ” (ص ১০৭) عن أهل التعديل والتجريح أنه ليس في فضل ليلة النصف من شعبان  حديث صحيح، فليس مما ينبغي الاعتماد عليه. 
অর্থাৎ সারকথা হচ্ছে, (শবে বরাতের ফযীলত সম্পর্কিত) হাদীসটি বহু সূত্রের সমষ্টির কারণে নিঃসন্দেহে সহীহ। কোন হাদীস অত্যাধিক দুর্বলতা থেকে নিরাপদ হলে এর চেয়ে কম সূত্রে বর্ণিত হলেও তা সহীহ বলে প্রমাণিত হয়। আর আলোচ্য হাদীসটি অত্যাধিক দুর্বলতা থেকে মুক্ত। সুতরাং কাসেমী যে তার কিতাব ‘ইসলাহুল মাসাজিদ’এ উল্লেখ করেছেন, “শবে বরাতের ফযীলতের হাদীস সহীহ নয়” তার এ কথাটি নির্ভরযোগ্য নয়। (সিলসিলাতুল আহাদীসিস সহীহ-৩/১৩৫, হাদীস-১১৪৪)

৬ষ্ঠ পর্ব : শবে বরাতের বাস্তবতা * সালাফীদের মাথা ব্যথা দলীল দ্বারা প্রমাণিত* কেন তারা মিথ্যায় রত?

৬ষ্ঠ পর্ব : শবে বরাতের বাস্তবতা * সালাফীদের মাথা ব্যথা
দলীল দ্বারা প্রমাণিত* কেন তারা মিথ্যায় রত?
✏ ০৮. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) এর হাদীস-(উক্ত রজনীতে দু'আ ফেরত দেয়া হয় না)
مصنف عبد الرزاق الصنعاني (4/ 317)
7927 - قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: وَأَخْبَرَنِي مَنْ، سَمِعَ الْبَيْلَمَانِيَّ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: " خَمْسُ لَيَالٍ لَا تُرَدُّ فِيهِنَّ الدُّعَاءَ: لَيْلَةُ الْجُمُعَةِ، وَأَوَّلُ لَيْلَةٍ مِنْ رَجَبٍ، وَلَيْلَةُ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ، وَلَيْلَتَيِ الْعِيدَيْنِ "
❏ অর্থ : আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, পাঁচটি রাত এমন আছে, যে রাতগুলোতে দু'আ ফেরত দেয়া হয় না। জুমআর রাত, রজবের প্রথম রাত, শাবানের পনের তারিখ এর রাত এবং দু'ঈদের রাত। মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক-৪/৩১৭, হাদীস-৭৯২৭, শুয়াবুল ঈমান-৫/২৮৮, হাদীস-৩৪৪০।

বুধবার, ২৭ মে, ২০১৫

৫য় পর্ব : শবে বরাতের বাস্তবতা * সালাফীদের মাথা ব্যথা দলীল দ্বারা প্রমাণিত* কেন তারা মিথ্যায় রত?

৫ম পর্ব : শবে বরাতের বাস্তবতা * সালাফীদের মাথা ব্যথা
দলীল দ্বারা প্রমাণিত* কেন তারা মিথ্যায় রত?
০৭.  হযরত আলী (রা.) এর হাদীস (শবে বরাতের পরদিন রোযা রাখা সম্পর্কে)।

سنن ابن ماجه (1/ 444)
1388 - حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلَّالُ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ أَبِي سَبْرَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِذَا كَانَتْ لَيْلَةُ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ، فَقُومُوا لَيْلَهَا وَصُومُوا نَهَارَهَا، فَإِنَّ اللَّهَ يَنْزِلُ فِيهَا لِغُرُوبِ الشَّمْسِ إِلَى سَمَاءِ الدُّنْيَا، فَيَقُولُ: أَلَا مِنْ مُسْتَغْفِرٍ لِي فَأَغْفِرَ لَهُ أَلَا مُسْتَرْزِقٌ فَأَرْزُقَهُ أَلَا مُبْتَلًى فَأُعَافِيَهُ أَلَا كَذَا أَلَا كَذَا، حَتَّى يَطْلُعَ الْفَجْرُ "
❐ অর্থ : হযরত আলী (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, যখন শা’বানের ১৫তম রাত তোমাদের সম্মুখে এসে যায় তখন তোমরা সে রাতে নামায পড় এবং পরবর্তী দিনটিতে রোযা রাখ। কারণ সেদিন সূর্যাস্তের পর আল্লাহ পাক প্রথম আকাশে অবতরণ করেন এবং (বান্দাহদের ডেকে) বলতে থাকেন আছ কি কোন ক্ষমাপ্রার্থী যাকে আমি ক্ষমা করে দেব? আছ কি কোন রিযিক প্রার্থী যাকে আমি রিযিকের ব্যবস্থা করে দেব? আছ কি কোন বিপদগ্রস্ত যাকে আমি বিপদ মুক্ত করে দেব? এভাবে সুবহে সাদিক পর্যন্ত বলতেই থাকেন, আছ কি কেউ অমুক বস্তুর প্রার্থী? আছ কি কেউ অমুক বস্তুর প্রার্থী? (আমি যার সকল মনোস্কামনা পূর্ণ করে দেব?)-সুনানে ইবনে মাজাহ-১/৪৪৪, হাদীস-১৩৮৮, শোয়াবুল ঈমান,-৩/৩৭৮, হাদীস-৩৮২২-২৩।

মঙ্গলবার, ২৬ মে, ২০১৫

৪র্থ পর্ব : শবে বরাতের বাস্তবতা * সালাফীদের মাথা ব্যথা দলীল দ্বারা প্রমাণিত* কেন তারা মিথ্যায় রত?

৪র্থ পর্ব : শবে বরাতের বাস্তবতা * সালাফীদের মাথা ব্যথা
দলীল দ্বারা প্রমাণিত* কেন তারা মিথ্যায় রত?
░▒▓█►যয়ীফ হাদীস নিয়ে জরাহ ও তাদিলের প্রসিদ্ধ কয়েকজন মুহাদ্দিস এর অভিমত : 
কতক আহলে হাদীস বলে বেড়াচ্ছেন যে, জইফ হাদীস জাল হাদীসের মত সম্পূর্ণ ভাবে প্রত্যাখ্যাত, অথচ গ্রহণযোগ্য মুহাদ্দিসগণের মতে ফাযায়েলে আমল, তারগিব, তারহিব, রাকায়িক ইত্যাদি ক্ষেত্রে জইফ হাদীস গ্রহণযোগ্য। আর তাদেরকে এই উক্তি শুনানো হলে তারা বলে কোন মুহাদ্দেস বলেছেন? নাম বলুন। তাই  নিন্মে জরাহ তাদিলের প্রসিদ্ধ কয়েকজন মুহাদ্দিসের অভিমত পেশ করা হল-

৩য় পর্ব : শবে বরাতের বাস্তবতা * সালাফীদের মাথা ব্যথা দলীল দ্বারা প্রমাণিত* কেন তারা মিথ্যায় রত?

৩য় পর্ব : শবে বরাতের বাস্তবতা * সালাফীদের মাথা ব্যথা
দলীল দ্বারা প্রমাণিত* কেন তারা মিথ্যায় রত?
❖ উল্লেখ্য যে, বর্তমানে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তার মাঝে চলে আসছে অনেক যয়ীফ হাদীস (যা ফাযায়েলেল ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য) ও সাহাবায়ে কেরাম (রা.) এর আসার আর আমাদের আহলে হাদীস ভাইগণ দুটিকেই নিজ সুবিধে ব্যতীত মানতে আগ্রহী নন। তাই এই পর্বে আলোচনা হবে দুইটি বিষয় নিয়ে এক. সাহবাগণ আমাদের অনুসরণীয় কেন? দুই. যয়ীফ হাদীস নিয়ে আলোচনা।
░▒▓█►০১.সাহবাগণ আমাদের অনুসরণীয় কেন?◄█▓▒
সাহাবায়ে কেরাম (রা.) এর অনুসৃত আদর্শ এবং তাদের উক্তি ও আমল ইলমে হাদীসের কিছু নিয়মনীতি ও শর্তসাপেক্ষে সমস্ত জমহুরে উম্মত, চার মাযহাবের ইমাম ও বিশেষজ্ঞ মুজতাহিদ ইমামগণের নিকট অনুসরণীয়, শরীয়তের যাবতীয় ক্ষেত্রে প্রমাণযোগ্য। মু‘জামু মুসতালাহুল হাদীস, ড. মুহাম্মদ জিয়া আযমী-৫০৭। যফরুল আমানী-৩৩২। আল আজবীব-২২৫।
এ ক্ষেত্রে বিশেষ কয়েকটি শর্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য শর্ত হলো, সাহাবাগণের উক্তি ও আমলগুলো পবিত্র কুরআন ও রাসূল (সা.) থেকে বর্ণিত সহীহ হাদীসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হওয়া। সাহাবাগণের এমন উক্তি ও আমলগুলো শরীয়তের দলীল হিসেবে গ্রহণ করার পক্ষে পবিত্র কুরআন ও রাসূল (সা.) এর হাদীসে অসংখ্য দলীল প্রমাণ রয়েছে।

২য় পর্ব : শবে বরাতের বাস্তবতা * সালাফীদের মাথা ব্যথা দলীল দ্বারা প্রমাণিত* কেন তারা মিথ্যায় রত?

২য় পর্ব : শবে বরাতের বাস্তবতা * সালাফীদের মাথা ব্যথা
দলীল দ্বারা প্রমাণিত* কেন তারা মিথ্যায় রত?
✏ ০৩. হযরত আবূ সা’লাবা (রা.) এর হাদীস-
شعب الإيمان (5/ 359)
3551 - أَخْبَرَنَا أَبُو طَاهِرٍ الْفَقِيهُ، أَخْبَرَنَا أَبُو حَامِدِ بْنُ بِلَالٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْأَحْمَسِيُ، حَدَّثَنَا الْمُحَارِبِيُّ، عَنِ الْأَحْوَصِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنِ الْمُهَاصِرِ بْنِ حَبِيبٍ، عَنِ مَكْحُولٍ، عَنْ أَبِي ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " إِذَا كَانَ لَيْلَةُ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ اطَّلَعَ اللهُ إِلَى خَلْقِهِ فَيَغْفِرُ لِلْمُؤْمِنِ، وَيُمْلِي لِلْكَافِرِينَ، وَيَدَعُ أَهْلَ الْحِقْدِ بِحِقْدِهِمْ حَتَّى يَدَعُوهُ "
❏ অর্থ : হযরত আবূ সা’লাবা (রা.) বলেন : রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : ১৫ই শা’বানের রাতে আল্লাহ পাক বান্দাদের দিকে মনোনিবেশ করেন এবং মু’মিন বান্দাদের ক্ষমা করে দেন। অপরদিকে পরস্পর হিংসা বিদ্বেষপোষণকারীদের আপন অবস্থায় ছেড়ে দেন। অর্থাৎ যতক্ষণ না তারা তা থেকে বিরত হয়ে তওবা করতঃ ক্ষমা প্রার্থনা করে। শোয়াবুল ঈমান-৫/৩৫৯, হাদীস-৩৫৫১, কিতাবুস সুন্নাহ-১/২২৩, হাদীস-৫১১, আসসিলসিলাতুস সহীহাহ-৩/১৩৬, হাদীস-১১৪৪, আল মুজামুল কাবীর লিত তাবরানী-২০/২২৩, হাদীস-৫৯০, আন নুযুল দি দারে কুতনী-১৫৯, হাদীস-৭৮ ইত্যাদি অসংখ্য কিতাবে হাদীসটি উল্লেখ রয়েছে।