জাল হাদীসের কবলে কেন বন্দি আজ নারী সমাজ?
‘‘স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রির বেহেস্ত’’ এটি কি কোন হাদীস?
❖ সাম্প্রতিক কালে যে কোন বিষয়ে নারী সমাজের মুখ বন্ধ করার জন্য একটি সুন্দর বুলি তৈরী করা হয়েছে। আর তা হলো, কোন নারী স্বামীর বৈধ ও অবৈধ যে কোন ধরনের হুকুম অমান্য করতে দেখা গেলেই বলা হয়, তুমি কি জানো না? হাদীসে আছে "الجنة تحت أقدام الزوج" ‘‘স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রি বেহেস্ত’’ তুমি তো বেহেস্ত পাবে না।
তখন বাধ্য হয়ে নারীগণ চুপ মেরে যায়। প্রকৃত পক্ষে কোরআন ও সুন্নাহের কোথাও "الجنة تحت أقدام الزوج" তথা (‘‘স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রির বেহেস্ত’’) এমন বর্ণনা পাওয়া যায় না। তাই এধরনের ভিত্তিহীন বর্ণনা আমদের পরিহার করা উচিৎ।
❀ আর একথার প্রতিও লক্ষ্য রাখা উচিৎ যে, উক্ত বর্ণনা ভিত্তিহীন তাই বলে স্বামীর বৈধ নির্দেশও মানবো না! এমন শ্লোগানও ভুল। কেননা হাদীসের মাঝে এসেছে-
سنن ابن ماجه (1/ 595)
1853
- حَدَّثَنَا أَزْهَرُ بْنُ مَرْوَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ
زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ الْقَاسِمِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى، قَالَ: لَمَّا قَدِمَ مُعَاذٌ مِنَ الشَّامِ
سَجَدَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَا هَذَا
يَا مُعَاذُ؟» قَالَ: أَتَيْتُ الشَّامَ فَوَافَقْتُهُمْ يَسْجُدُونَ
لِأَسَاقِفَتِهِمْ وَبَطَارِقَتِهِمْ، فَوَدِدْتُ فِي نَفْسِي أَنْ
نَفْعَلَ ذَلِكَ بِكَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ: «فَلَا تَفْعَلُوا، فَإِنِّي لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ
يَسْجُدَ لِغَيْرِ اللَّهِ، لَأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ
لِزَوْجِهَا، وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ، لَا تُؤَدِّي
الْمَرْأَةُ حَقَّ رَبِّهَا حَتَّى تُؤَدِّيَ حَقَّ زَوْجِهَا، وَلَوْ
سَأَلَهَا نَفْسَهَا وَهِيَ عَلَى قَتَبٍ لَمْ تَمْنَعْهُ»
❏ হযরত
আব্দুল্লাহ ইবনে আবী আওফা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুয়ায (রা.) যখন
সিরিয়া থেকে ফিরে আসেন। তখন তিনি নবী (সা.) কে সেজদা করেন। নবী (সা.)
বললেন, হে মুয়ায! এটা কি? তিনি বললেন : আমি সিরিয়া গিয়ে দেখেছি, তথাকার
লোকজন তাদের নেতাদের সেজদা করে। তাই আমি মনে মনে ইচ্ছা পোষণ করেছি যে, আমি
আপনার সঙ্গে এরূপ করবো। রাসূল (সা.) বললেন : তোমরা এরূপ করবে না। আমি যদি
কাউকে আদেশ দিতাম যে, সে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো সেজদা করে, তাহলে আমি
অবশ্যই স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম, সে যেন তার স্বামীকে সেজদা করে। সেই সত্তার
কসম, যার হাতে মুহাম্মদের প্রাণ, স্ত্রী ততক্ষন তার রবের হক আদায় করতে
পারবে না, যতক্ষণ না সে নিজের স্বামীর হক আদায় করে। স্বামী যদি স্ত্রীকে
কাছে পেতে চায়, আর সে পালং এর উপরেও থাকে, তখনও সে তাকে নিষেধ করবে না।
ইবনে মাজা-১/৫৯৫, হাদীস-১৮৫৩। হাদীসটি বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে তার মধ্য
থেকে সহীহ লি গায়রিহী সনদেও রয়েছে, যা প্রমাণযোগ্য।
✏ প্রিয় পাঠক! উক্ত হাদীস দ্বারা স্পষ্ট ভাবে বুঝা যাচ্ছে যে, আখেরাতে স্ত্রীর নাজাত স্বামীর কথা মানার উপরেই অনেকটা নির্ভরশীল। তাই নারীগণ উক্ত হাদীসের উপর আমল করে স্বামীর বৈধ নির্দেশ অবশ্যই মেনে চলা উচিৎ।
❁ এছাড়াও স্বামীর অনুকরণ এর উপর আরো অনেকগুলো হাদীস রয়েছে। সময় সংক্ষিপ্ততার কারণে লিখা সম্ভব হয় নি। আপনারা এই পোষ্ট এর প্রতি দৃষ্টি রাখুন অচিরেই সেগুলোও সংযোজন করা হবে। ইনশাআল্লাহ
✔ আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে সঠিক দ্বীন মেনে আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন
✍ ইতি মুফতী মো. ছানা উল্লাহ
প্রধান মুফতী ও গবেষক
মারকাযুল ইসলাহ, বাংলাদেশ।
http://m-islah.blogspot.com/p/blog-page_23.html
✏ প্রিয় পাঠক! উক্ত হাদীস দ্বারা স্পষ্ট ভাবে বুঝা যাচ্ছে যে, আখেরাতে স্ত্রীর নাজাত স্বামীর কথা মানার উপরেই অনেকটা নির্ভরশীল। তাই নারীগণ উক্ত হাদীসের উপর আমল করে স্বামীর বৈধ নির্দেশ অবশ্যই মেনে চলা উচিৎ।
❁ এছাড়াও স্বামীর অনুকরণ এর উপর আরো অনেকগুলো হাদীস রয়েছে। সময় সংক্ষিপ্ততার কারণে লিখা সম্ভব হয় নি। আপনারা এই পোষ্ট এর প্রতি দৃষ্টি রাখুন অচিরেই সেগুলোও সংযোজন করা হবে। ইনশাআল্লাহ
✔ আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে সঠিক দ্বীন মেনে আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন
✍ ইতি মুফতী মো. ছানা উল্লাহ
প্রধান মুফতী ও গবেষক
মারকাযুল ইসলাহ, বাংলাদেশ।
http://m-islah.blogspot.com/p/blog-page_23.html
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন