বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৫

মাহে রমজানের ফযিলতের লক্ষে রজব থেকেই যে দোয়া পড়তে হয়

মাহে রমজানের ফযিলতের লক্ষে রজব থেকেই যে দোয়া পড়তে হয়
(এ বৎসর ২১ এপ্রিল ২০১৫ইং থেকে রজব মাস শুরু)
মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বরকতময় মাস হলো ‘মাহে রমজান’। তাই ইসলামে রয়েছে, রমজান আসার পূর্বেই তার বরকতের জন্য দোয়া করার বিধান। তাহলে আসুন আমরা সকলেই উক্ত দোয়াটি তাহকীক এর সাথে জেনে আমল করার চেষ্টা করি....
✏ হাদীস শরীফের মাঝে এসেছে-
وقد روى البيهقى رحمه الله تعالى فى شعب الإيمان (5/ 348)
3534 - أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللهِ الْحَافِظُ، أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُؤَمَّلِ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُحَمَّدٍ الشَّعْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا الْقَوَارِيرِيُّ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، حَدَّثَنَا زِيَادٌ النُّمَيْرِيُّ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ:  كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا دَخَلَ رَجَبٌ، قَالَ: " اللهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي رَجَبٍ، وَشَعْبَانَ، وَبَلِّغْنَا رَمَضَانَ "
❁ অর্থ : হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রজব মাস শুরু হতো রাসূলুল্লাহ (সা.) «اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي رَجَبٍ وَشَعْبَانَ، وَبَلِّغْنَا رَمَضَانَ» দোয়াটি পড়তেন। (অর্থাৎ হে আল্লাহ আপনি আমাদেরকে রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন এবং রমজান পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দিন)।

মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৫

‘‘যে ব্যক্তি দুনিয়া থেকে যাররা পরিমান ঈমান নিয়ে কবরে যাবে তাকে দশ দুনিয়া সমান জান্নাত দান করা হবে’’

 ‘‘যে ব্যক্তি দুনিয়া থেকে যাররা পরিমান ঈমান নিয়ে কবরে যাবে তাকে দশ দুনিয়া সমান জান্নাত দান করা হবে’’ 
❖ প্রশ্ন : তাবলীগের সাথীগণ বলেন ‘‘যে ব্যক্তি দুনিয়া থেকে যাররা পরিমান ঈমান নিয়ে কবরে যাবে তাকে দশ দুনিয়া সমান জান্নাত দান করা হবে’’  এটি কি কোন হাদীস? না মুরুব্বীদের বানানো কথা? জানিয়ে বাধিত করবেন।
❖ জবাব : এটি সহীহ বুখারীসহ হাদীসের অসংখ্য কিতাবের রয়েছে। এটি মুরুব্বীদের বানাবো কোন কথা নয়। নিম্নে বিস্তারিত দেখুন-
এখানে দুটি বিষয় এক. যাররা পরিমান ঈমান থাকলে জান্নাতে প্রবেশ করবে। দুই. দশ দুনিয়ার সমান জান্নাত প্রদান করা।

আমীর/শাসনকর্তা/নেতার সব নির্দেশ মানা যাবে কি?

আমীর/শাসনকর্তা/নেতার সব নির্দেশ মানা  যাবে কি?
(কোরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা)
❏ জীবনে চলার পথে দ্বীন ও দুনিয়ার বিভিন্ন ক্ষেত্রে, অনেককেই চলতে হয় আমীর বা নেতার অনুস্মরন করে। তার মাঝে আমীর বা নেতার সঠিক জ্ঞান না থাকার কারনে অনেক সময় নির্দেশ দিয়ে থাকে অনৈসলামি বিভিন্ন কাজের, যার অনুস্মরনে অনেকেই নিজ অজান্তে হয়ে উঠে পাপিষ্ঠ ব্যক্তি রূপে। অথচ পবিত্র কোরআন ও হাদীসের মাঝে আমীর বা নেতার শুধু সৎ নির্দেশের অনুস্মরন করার হুকুম দেয়া হয়েছে। যেমন
✏ মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন-
{يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ} [النساء: 59]
অর্থ : হে ঈমানদারগণ ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর,  নির্দেশ মান্য কর রাসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক (আমির) তাদের.....। (সূরা আন-নিসা-৫৯)।

সোমবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৫

হানাফী মাযহাব অনুসারে সাজদায়ে সাহু এর তরীকা নিয়ে সালাফীদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ

হানাফী মাযহাব অনুসারে সাজদায়ে সাহু এর তরীকা নিয়ে সালাফীদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ
একটি জরুরী কাজে গতকাল এক বিখ্যাত দারুল ইফতায় যাওয়া হয়। অতঃপর কথাবার্তার এক পর্যায়ে এক ছাত্র আমাকে একটি লিপলেট দিয়ে বললো, কথিত আহলে হাদীস ভাইরা এখানে আমাদের সাজদায়ে সাহু এর পদ্ধতিকে ‘প্রচলিত ভুল প্রদ্ধতি’ বলে আখ্যা দিয়েছে, এবং এর পক্ষে কোন দলীল নেই বলে চ্যালেঞ্জ করেছে। 
তাই আমি তাদের এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে, তাদেরকে প্রমাণ করে দিতে চাই যে, আমাদের কোন দলীল আছে কি না? আর এটি ভুল পদ্ধতি না কি সঠিক পদ্ধতি?

প্রশ্ন : সাজদায়ে সাহু এর যা ব্যাপক প্রচলন তা হচ্ছে ডান দিকে এক সালাম ফিরিয়ে দুটো সাজদা করা, ইহা কোন দলীলের পরিপ্রেক্ষিতে? অথচ মুত্তাফাক আলাইহি এর হাদীছসমুহ থেকে স্পষ্ট পাওয়া যায় যে, রসুলুল্লাহ সা. নামাযের মধ্যে ভুল হলে পরে সাজদায়ে সাহু করছেন যখন নামায শেষ স্তরে পৌঁছাতো অর্থাৎ সালাম ফিরানোর সময় হলে তিনি দুটো সাজদা করে নিতেন। এখন জিজ্ঞাসার বিষয় হচ্ছে যে, (তাশাহুদের পর) এক সালাম ফিরিয়ে অতঃপর পুনরায় তাশাহহুদ এবং দরুদ পড়ার প্রমান কি?

❖ জবাব :  এ ব্যাপারে কতিপয় বিষয় লক্ষ্যনীয়।

রবিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৫

আযান ও ইকামতের বাক্য নিয়ে মতানৈক্যের সমাধান

 আযান ও ইকামতের বাক্য নিয়ে মতানৈক্যের সমাধান
❖ প্রশ্ন : মুত্তাফাক আলাইহ এর হাদীছ শরীফে আযানের বাক্যগুলো জোড় জোড় এবং ইকামতের বাক্যগুলো বেজোড় পাঠ করার বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে; কিংবা এইরুপ যে, যদি আযান তারজী অর্থাৎ আযানের যুগ্ম শব্দদ্বয়ের প্রথমটি নিন্ম এবং অপরটির উচ্চস্বরে পাঠ করা এর সঙ্গে দেয়া হয় তাহলে ইকামত জোড় জোড় বলা হবে। কাজেই প্রশ্ন হয় যে, আযান এবং ইকামত উভয়ই জোড় জোড় বলা হয়ে থাকে কোন দলীলের ভিত্তিতে ? হাদীছের কিতাবের বরাত দিয়ে স্পষ্টরুপে বর্ণনা দিন। এতদসঙ্গে তাও বর্ণনা করুন যে, শুদ্ধতার দিক দিয়ে কোন ধরনের আযান ও ইকামত উত্তম?

❖ জবাব : এ আলোচনায় কতক বিষয় আলোচনাযোগ্য।

শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৫

ফেঁসে গেল জীবন গল্পের FM রেডিওসহ অন্য মাধ্যমগুলো

ফেঁসে গেল জীবন গল্পের FM রেডিওসহ অন্য মাধ্যমগুলো
░▒▓█►( গুনাহ করার পর তা না বলার চেষ্টা করুন। কেননা আপনার গুনাহ প্রকাশ করাতেই জন্ম হচ্ছে মহামারী ও নিত্যনতুন  ব্যাধিসহ অসংখ্য সমস্যা )◄█▓▒

 বর্তমানে আমাদের দেশসহ পৃথীবির অনেক রাষ্টে বিভিন্ন FM রেডিও, টিভি, ফেসবুক, পত্রিকা ইত্যাদির মাঝে দেখা যায়, মানুষ তার জীবনে গুনাহ করার পর প্রকাশ করে, আসলে ইসলামের বিধান অনুসারে এগুলো কোন ভাবেই প্রকাশ করা উচিৎ না।  দেখুন নিন্মে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচন করা হলো-

✏ মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন-
{لَا يُحِبُّ اللَّهُ الْجَهْرَ بِالسُّوءِ مِنَ الْقَوْلِ إِلَّا مَنْ ظُلِمَ وَكَانَ اللَّهُ سَمِيعًا عَلِيمًا} [النساء: 148]
অর্থ : আল্লাহ কোন মন্দ বিষয় প্রকাশ করা পছন্দ করেন না। তবে কারো প্রতি জুলুম হয়ে থাকলে সে কথা আলাদা। আল্লাহ শ্রবণকারী, বিজ্ঞ। সূরা আন-নিসা-১৪৮। 
মহান আল্লাহর উক্ত বিধান দ্বারা আমরা স্পষ্ট যে, জীবনে সংঘটিত গুনাহকে অন্যের কাছে প্রকাশ না করা। কিন্তু জুলুমের শিকার অথবা অপরাধির শাস্তির দাবী ইত্যাদি কারণে এধরনের কাজ করা যাবে।

বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৫

আপনি কি ব্যাংক, ফ্যাক্টরী, ইন্ডাষ্ট্রি, বাসা বাড়ী ইত্যাদীর মাঝে অগ্নিসংযোগসহ যে কোন মহা বিপদের জন্য আতংকিত? তাহলে নিন্ম দোয়াটি পড়ুন....

 আপনি কি ব্যাংক, ফ্যাক্টরী, ইন্ডাষ্ট্রি, বাসা বাড়ী ইত্যাদীর মাঝে অগ্নিসংযোগসহ যে কোন মহা বিপদের জন্য আতংকিত? তাহলে নিন্ম দোয়াটি পড়ুন....

عمل اليوم والليلة لابن السني (ص: 54)
57 - أَخْبَرَنَا ابْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا الْأَغْلَبُ بْنُ تَمِيمٍ، حَدَّثَنَا الْحَجَّاجُ بْنُ فُرَافِصَةَ، عَنْ طَلْقِ بْنِ حَبِيبٍ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى أَبِي الدَّرْدَاءِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ: يَا أَبَا الدَّرْدَاءِ، قَدِ احْتَرَقَ بَيْتُكَ. قَالَ: مَا احْتَرَقَ، اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَمْ يَكُنْ لِيَفْعَلَ ذَلِكَ؛ لِكَلِمَاتٍ سَمِعْتُهُنَّ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَنْ قَالَهُنَّ أَوَّلَ نَهَارِهِ لَمْ تُصِبْهُ مُصِيبَةٌ حَتَّى يُمْسِيَ، وَمَنْ قَالَهَا آخِرَ النَّهَارِ لَمْ تُصِبْهُ مُصِيبَةٌ حَتَّى يُصْبِحَ : «اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، عَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ، وَأَنْتَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، مَا شَاءَ اللهُ كَانَ، وَمَا لَمْ يَشَأْ لَمْ يَكُنْ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ، أَعْلَمُ أَنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا، اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ دَابَّةٍ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهَا، إِنَّ رَبِّي عَلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ»

সুদখোর ইমামের পিছনে নামাজ হবে কি না?

সুদখোর ইমামের পিছনে নামাজ হবে কি না? 
❖ প্রশ্ন : সুদখোর ইমামের পিছনে নামাজ হবে কি না? ও তার পিছনে ইক্তিদা করা জায়েজ কি না? কোরআন হাদীস থেকে দলীলসহ জানাবেন।

❖ জবাব : যে ইমাম সুদ খায় সে হলো ‘‘ফাসেক’’ অর্থাৎ পাপাচারী, আর ফাসেক এর পিছনে নামায পড়া মাকরূহে তাহরীমি অর্থাৎ হারামের কাছাকাছি। তাই অকাট্য সমস্যা না হলে এধরনের ইমামের পিছনে নামায পড়া পরিহার করা আবশ্যক। নিন্মে দলীল সহ বিস্তারিত দেখুন।

ইহকালের ফেৎনা ছাড়িয়ে পরকালে এখন সালাফীগণ !

ইহকালের ফেৎনা ছাড়িয়ে পরকালে এখন সালাফীগণ !

❖ প্রশ্ন : আমাদের কতক আহলে হাদীস ভাই বলে থাকেন, প্রচলিত নিয়ম অনুসারে ‘‘মৃত ব্যক্তিকে কবরে রেখে যখন মাটি দেয়া হয়, তখন সাধারণ ভাবে তিন ধাপে মাটি দেয়া হয় ও পবিত্র কোরআনের {مِنْهَا خَلَقْنَاكُمْ وَفِيهَا نُعِيدُكُمْ وَمِنْهَا نُخْرِجُكُمْ تَارَةً أُخْرَى} [طه: 55] সূরা ত্বহা এর ৫৫ নং আয়াতটি পড়া হয়’’ এ আমলটির নাকি কোন ভিত্তি নেই? আহলে হাদীস ভাইদের মহাগুরু শায়খ নাসির উদ্দীন আলবানী তার রচিত কিতাব ‘আহকামুল জানায়েয’’ এর ১৫৩ নং পৃষ্ঠায়ও উক্ত আমলটির ভিত্তি নেই বলে উল্লেখ করেছেন। এখন জানার বিষয় হলো আসলে কি এর কোন ভিত্তি আছে কি নেই ?

❖ জবাব : উক্ত আমলটি হাদীস দ্বারা প্রমাণিত এবং এর সম্পূর্ণ ভিত্তি রয়েছে। নিন্মে বিস্তারিত আলোচনা দেখুন।

#এখানে দুটি বিষয় আলোচনাযোগ্য (১) তিন ধাপে মাটি দেয়া (২) মাটি দেয়ার (ফাযায়েলের প্রতি লক্ষ রেখে) সময়ে সূরা ত্বহার ৫৫ নং আয়াত مِنْهَا خَلَقْنَاكُمْ وَفِيهَا نُعِيدُكُمْ وَمِنْهَا نُخْرِجُكُمْ تَارَةً أُخْرَى পড়া।

শনিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৫

‘‘নাফস বা আত্মার জিহাদ বড় জিহাদ’’ এ মর্মের হাদীসগুলো কি মাওজু তথা বানানো?


‘‘নাফস বা আত্মার জিহাদ বড় জিহাদ’’ এ মর্মের হাদীসগুলো কি মাওজু তথা বানানো?

❖ প্রশ্ন : ‘‘নাফস বা আত্মার জিহাদ বড় জিহাদ’’ এ মর্মের হাদীসগুলো কি মাওজু তথা বানানো? বিস্তারিত জানালে ভালো হয়।

জবাব : উক্ত মর্মে বিভিন্ন ধরনের হাদীস রয়েছে, তাই সরাসরি মাওজু তথা বানানো বলা কখনো ঠিক হবে না। কেননা এর দ্বারা রাসূল (সা.) এর হাদীসকে অস্বীকার করা হবে। (আর আমাদের অনেক ভাই স্বল্প জ্ঞানের কারণে উক্ত মর্মের সকল হাদীসকে ঢালাও ভাবে মাওজু তথা বানানো বলে আখ্যা দিয়ে যাচ্ছে, যা তাদের জন্য কখনো ঠিক না)।

✏ যেমন দেখুন নিন্মে এ মর্মের তিনটি বর্ণনা উল্লেখ করা হলো।

░▒▓█►০১ নং হাদীস যা ইমাম বায়হাকী তার রচিত কিতাব ‘‘আযযুহদুল কাবীর’’ এর মাঝে উল্লেখ করেছেন: ◄█▓▒
الزهد الكبير للبيهقي (ص: ১৬৫)
৩৭৩ - أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدَانَ، أَنْبَأَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا تَمْتَامٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَعْلَى، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَوْمٌ غُزَاةٌ، فَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " قَدِمْتُمْ خَيْرَ مَقْدَمٍ مِنَ الْجِهَادِ الْأَصْغَرِ إِلَى الْجِهَادِ الْأَكْبَرِ. قَالُوا: وَمَا الْجِهَادُ الْأَكْبَرُ؟ قَالَ: مُجَاهَدَةُ الْعَبْدِ هَوَاهُ ". هَذَا إِسْنَادٌ ضَعِيفٌ

বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৫

খুতবা চলাকালীন সময়ে তাহইয়াতুল মসজিদ, কথা বলা ইত্যাদি নিষেধের দলীল ২য় পর্ব

খুতবা চলাকালীন সময়ে তাহইয়াতুল মসজিদ, কথা বলা ইত্যাদি নিষেধের দলীল
 ২য় পর্ব 
░▒▓█►হযরত সুলায়ক  গাতফানী (রা.) এর ঘটনা◄█▓▒
প্রশ্নের মধ্যে হযরত সূলায়ক গাতফানী (রা.) এর যে ঘটনার বরাত দেয়া হয়েছে সে সম্বন্ধে কতিপয় বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা জরুরী।

১। পূর্বে এ বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে যে, কুরআন মাজীদ খুতবা শ্রবণ করা ও নিশ্চুপ থাকাকে ফরয সাব্যস্ত করেছে। আর রসূলুল্লাহ (সা.) এর মুতাওয়াতির হাদীছসমূহেও উক্ত বিষয়টিরই তাকীদ বর্ণিত হয়েছে। খুলাফায়ে রাশিদীন (রা.), অর্ধিকাংশ সাহাবায়ে কিরাম (রা.) ও তাবেঈন (রহ.) কুরআন ও সুন্নতের উক্ত অকাট্য প্রমাণসমূহ সম্মুখে রেখে খুতবা পাঠকালে সালাত এবং কালাম তথা কথাবার্তা সমর্থক ছিলেন না। আর এটাই স্পষ্ট যে, সুলায়ক গাতফানী (রা.) এর ঘটনা তাদের জানা ছিল। কেননা আমরা তো উক্ত ঘটনা রিওয়ায়তের মাধ্যমে অবগত হয়েছি কিন্তু উল্লিখিত আকাবিরে হযরাত উক্ত ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। কেননা ঘটনাটি জুমুআর নামাযের গণসমাবেশ স্থলে ঘটেছিল। আর রসূলুল্লাহ (সা.) হযরত সুলায়ক (রা.) কে উদ্দেশ্য করে যা কিছু ইরশাদ করেছেন, তা মিম্বরের উপর থেকেই করেছিলন। কাজেই উক্ত ঘটনার এ ব্যাখ্যা করার অবকাশ নেই যে, হযরত সাহাবায়ে কিরাম (রা.) উক্ত ঘটনা এবং রসূলুল্লাহ (সা.) এর সে সম্পর্কিত ইরশাদের ইলম ছিল না।

খুতবা চলাকালীন সময়ে তাহইয়াতুল মসজিদ, কথা বলা ইত্যাদি নিষেধের দলীল ১ম পর্ব

খুতবা চলাকালীন সময়ে তাহইয়াতুল মসজিদ, কথা বলা ইত্যাদি নিষেধের দলীল
 ১ম পর্ব 
 ❖ প্রশ্ন -: আমাদের এখানে খুতবা সম্পর্কিত আহকামে বলা হয়ে থাকে যে, যখন ইমাম খুতবা পাঠের জন্য মিম্বরে বসেন, তখন নামায পড়া যাবে না আর না কোন কথা, এমনকি মুখদ্বারা অন্য কাউকে বারণ করাও নিষেধ, বরং দু’আ, দরূদও জিহ্বা না নাড়িয়ে মনে মনে পড়ে নিতে হবে। অথচ হাদীছসমূহের বরাতে এ বিষয়টি প্রমাণ করা হয় যে, যদি কেউ এমন অবস্থায় মসজিদে উপস্থিত হয় যে, ইমাম খুতবা পড়ছেন, তাহলে সে হালকাভাবে দু’ রাকআত পড়ে বসে যাওয়া বাঞ্ছনীয়। আর এ সম্বন্ধে সহীহ মুসলিম, ইবনে মাজাহ, এবং আবূ দাউদ শরীফের বরাতে সুলায়ক গাতফানী (রা.) এর ঘটনা নকল করা হয় যে, যখন তিনি খুতাব দেয়াকালীন সময়ে মসজিদে আসেন এবং দু’ রাকআত নামায আদায় না করে বসে গেলেন তখন রসূলুল্লাহ (সা.) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন যে, তুমি কি দু’ আকআত নামায পড়ে বসেছো? এর নেতিবাচক জবাবে তিনি ইরশাদ করলেন উঠ, এবং দু’ রাকআত আদায় করে বস। অতঃপর লোকদেরকে সম্বোধন করে তিনি ইরশাদ করলেন, যে কেউ এমন সময়ে মসজিদে উপস্থিত হয়, সে যেন হালকাবাবে দু’ রাকআত পড়ে বসে।

গ্রামে জুমুআ আদায় নিষেধের দলীল

গ্রামে জুমুআ আদায় নিষেধের দলীল
✿ প্রশ্ন : আমাদের মাযহাব মতে জুমুআর নামাযের শর্তসমূহের একটি শর্ত হলো শহর হওয়া। গ্রামে ও বস্তিতে জুমুআ সহীহ হয় না। কিন্তু এর মুকাবালায় হাদীছসমূহের মাধ্যমে জুমুআ হুকুমকে ব্যাপক প্রমাণিত করা হয় এবং আমাদেরকে জুমুআর ফরযের অস্বীকারকারী বলে গণ্য করা হয়। এ প্রসঙ্গে যে সব হাদীছ পেশ করা হয় তা নিন্মে প্রতত্ত হলো।
আবূ দাউদ শরীফের বরাতে এই শব্দ সমূহে নকল করা হয় যে-
الجمعة حق واجب على كل مسلم فى جماعة*

অর্থাৎ ‘জুমুআ হক, প্রত্যেক মুসলমানের উপর জামাতের সঙ্গে জুমুআর নামায আদায় করা ওয়াজিব।’’
দারা কুতনীর হাদীছে আছে : 
من كان يؤمن بالله واليوم الاخر فعليه الجمعة يوم الجمعة*

অর্থাৎ ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালা ও আখিরাতের উপর বিশ্বাস রাখে তার উপর জুমুআর দিন জুমুআর নামায আদায় করা অপরিহার্য।’’

মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৫

সমস্ত সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সুলাইমান (আ.) এর যিয়াফত

সমস্ত সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সুলাইমান (আ.) এর যিয়াফত
(জাল বা ভিত্তিহীন কাহিনীর কবলে ঈমানের মেহনত)

❖ প্রশ্ন : আমাদের দেশে বিভিন্ন বক্তা ও সাধারণ মানুষ, আল্লাহ তায়ালা কত বড় রিযিক দাতা সে কথাটি বুঝাতে গিয়ে (ঈমান বৃদ্ধির লক্ষে) নিন্ম ঘটনাটি উল্লেখ করে থাকে। আমার জানার বিষয় হলো উক্ত ঘটনাটি কতটুকু সঠিক?

 হযরত সুলাইমান (আ.) একবার আল্লাহকে বললেন, হে আল্লাহ আমি সকল সৃষ্টিজীবকে এক বছর খাওয়াতে চাই। আল্লাহ বললেন, হে সুলাইমান তুমি তা পারবে না। তখন সুলাইমান (আ.) বললেন, আল্লাহ! তাহলে এক সপ্তাহ। আল্লাহ বললেন, তুমি তাও পারবে না। সুলাইমান (আ.) বললেন, তাহলে একদিন। আল্লাহ বললেন, হে সুলাইমান তুমি তাও পারবে না। একপর্যায়ে আল্লাহ এক দিনের অনুমতি দিলেন। সুলাইমান আলাইহিস সালাম জিন ও মানুষকে হুকুম করলেন, পৃথিবীতে যত প্রকার খাদ্য শস্য আছে এবং হালাল যত প্রকার প্রাণী আছে সব হাযির কর। তারা তা করল। এরপর বিশাল বিশাল ডেগ তৈরী করা হল এবং রান্না করা হল। তারপর বাতাসকে আদেশ করা হল, সে যেন খাদ্যের উপর দিয়ে সদা প্রবাহিত হতে থাকে যাতে খাবার নষ্ট না হয়। তারপর খাবারগুলো সুবিস্তৃত যমিনে রাখা হল। যে যমিনে খাবার রাখা হল তার দৈর্ঘ্য ছিল দুই মাসের পথ। খাবার প্রস্তুত শেষ হলে আল্লাহ বললেন, হে সুলাইমান! কোন প্রাণী দিয়ে শুরু করবে? সুলাইমান আ. বললেন, সমুদ্রের প্রাণী দিয়ে। তখন আল্লাহ সাগরের একটি বড় মাছকে বললেন, যাও সুলাইমানের যিয়াফত খেয়ে এস। তখন মাছটি সমুদ্র থেকে মাথা উঠিয়ে বললো, হে (আল্লাহর নবী) সুলাইমান, আপনি নাকি যিয়াফতের ব্যবস্থা করেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, এইতো খাবার প্রস্তুত তুমি শুরু কর। তখন সে খাওয়া শুরু করল এবং খেতে খেতে খাবারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পৌছে গেল। সব খাবার শেষ করে ফেলল। তারপর বলল, আমাকে আরো খাবার দিন, আমি এখনও তৃপ্ত হইনি। তখন সুলাইমান (আ.) বললেন, তুমি সব খাবার খেয়ে ফেলেছ তাও তোমার পেট ভরেনি। তখন মাছ বলল, মেজবান কি মেহমানের সাথে এভাবে কথা বলে? হে (আল্লাহর নবী) সুলাইমান! শুনে রাখুন, আমার রব আমাকে প্রতিদিন এর তিন গুণ খাবার দেন। আজ আপনার কারণে আমাকে কম খেতে হল। এ কথা শুনে সুলাইমান (আ.) সিজদায় লুটিয়ে পড়লেন...। 

বিতরের দু’ রাকআতের পর বসা ও দু’আয়ে কুনূতে হাত বাঁধার দলীল

 বিতরের দু’ রাকআতের পর বসা ও দু’আয়ে কুনূতে হাত বাঁধার দলীল
✪ বিতরের দু’ রাকআতের পর তাশাহুদ পড়ার জন্য বসা জরুরী এবং এর কয়েকটি কারণ রয়েছে : 
প্রথম :  শরীআত প্রত্যেক নামাযে দু’ রাকআতের পর বসা অত্যাবশ্যক গণ্য করেছে। যেমন, উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে : 

وكان يقول فى كل ركعتين التحية* (صحيح مسلم ص : ১৯৪ ج : ১)

❏ অর্থাৎ‘ রসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করতেন যে, প্রত্যেক দু’ রাকআতের পর ‘আত্তাহিয়্যাতু’ রয়েছে।’’

সোমবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৫

ঊরু সতর এর দলীল

 ঊরু সতর এর দলীল
❖ প্রশ্ন :  পুরুষদের নাভি থেকে হাঁটুর নীচ পর্যন্ত সতর বলা হয়। এর জন্য কোন হাদীছসমূহ দ্বারা দলীল পেশ করা হয়ে থাকে? অথচ সহীহ বুখারী শরীফে হযরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) (খায়বর জিহাদে) স্বীয় ঊরু মুবারক উম্মুক্ত করেছিলেন। হযরত যায়দ বিন ছাবিত (রা.) বলেন, আল্লাহ তায়ালা স্বীয় মনোনীত পয়গম্বরের প্রতি (কুরআন মজীদ) নাযিল করেন এমতবস্থায় যে, আমি আশংকা করছিলাম যে, হয়ত বা আমার ঊরু ভেঙ্গে যাবে। ইমাম বুখারী (রহ.) প্রমাণ পেশ করেছেন যে, যদি ঊরু সতর হতো তাহলে তিনি (সা.) হযরত যায়দ (রা.) এর ঊরুর উপর নিজের ঊরু রাখতেন না। সহীহ বুখারী শরীফে হযরত আনাস বিন মালেক (রা.) থেকে রিওয়ায়ত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) খায়বারে জিহাদ করেছেন। আমরা ফজরের নামায অন্ধকারে খায়বারের নিকটবর্তী কোন এক স্থানে পৌঁছে আদায় করেছি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা.) সাওয়ার হলেন। আর আমি হযরত আবূ তালহা (রা.) এর পশ্চাতে একই সাওয়ারীর উপর উপবিষ্ট ছিলাম। রাসূলুল্লাহ (সা.) খায়বারের অলি-গলিতে স্বীয় বাহন দৌঁড়ালেন এবং দৌঁড়ের কারণে আমার হাঁটু রাসূলুল্লাহ (সা.) এর ঊরুর সঙ্গে স্পর্শ করতো। অতঃপর তিনি (সা.) স্বীয় ঊরু থেকে লুঙ্গি সরিয়ে নিলেন। (ঊরু উম্মুক্ত করে নিলেন) এমনকি তার শুভ্রতা (এবং উজ্জল্য) দেখা যাচ্ছিল।

জবাব-: এখানে কতক বিষয় লক্ষনীয়।

রবিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৫

দু’ ঈদের তাকবীরসমূহ নিয়ে মতানৈক্যর সমাধান

দু’ ঈদের তাকবীরসমূহ নিয়ে মতানৈক্যর সমাধান
          ❖ প্রশ্ন :  দু’ ঈদের নামাযে অতিরিক্ত তাকবীর ছয়টি কিংবা বারটি? যদি উভয়টি প্রমাণিত হয়, তাহলে রাবীগণের সংখ্যাধিক্য কোন দিকে প্রমাণ করে? আর এ সকল তাকবীর প্রথম রাকআতে ফাতিহা এবং সূরা পড়ার পূর্বে না পরে? অনুরূপ দ্বিতীয় রাকআতে সূরা পড়ার পরে না পূর্বে?
         ❖ জবাব :  এখানেও কতক বিষয় আলোচনাযোগ্য।

          প্রথম : ইমাম মালেক (রহ.), ইমাম শাফেয়ী (রহ.) এবং ইমাম আহমদ (রহ.) এর মতে দু’ ঈদের নামাযে বার তাকবীর। প্রথম রাকআতে সাতটি এবং দ্বিতীয় রাকআতে পাঁচটি। আর উভয় রাকআতে কিরাআতের পূর্বে হবে। তবে ইমাম মালেক (রহ.) এর মতে প্রথম রাকআতে তাকবীরে তাহরীমাসহ সাতটি তাকবীর। আর অন্যান্যদের মতে তাকবীরে তাহরীমা ব্যতীত সাত তাকবীর। ইমাম আবূ হানীফা (রহ.), সুফিয়ান ছাওরী (রহ.) এবং সাহেবায়ন তথা আবূ ইউসূফ এবং মুহাম্মদ (রহ.) এর মতে উভয় রাকআতে তিন তিন মোট ছয়টি তাকবীর অতিরিক্ত হবে। প্রথম রাকআতে কিরাআতের পূর্বে এবং দ্বিতীয় রাকআতে কিরাতের পরে হবে।

মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৫

জানাযার নামাযে সূরায়ে ফাতিহা পড়বেন না কেন? এর দলীল

 জানাযার নামাযে সূরায়ে ফাতিহা পড়বেন না কেন? এর দলীল
✪ প্রশ্ন :  জানাযার নামাযে সূরায়ে ফাতিহা পড়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত কি না? যদি প্রমাণিত না হয়, তাহলে দলীল দিন। কেননা হাদীছ মুবারকের মর্মার্থ তো এরূপ যে, ‘‘সূরায়ে ফাতিহা ব্যতীত কোন নামায নেই।’’

✪ জবাব : এ সম্বন্ধেও কতিপয় বিষয় আলোচনাযোগ্য।

❖ প্রথম : জানাযার নামাযকে রূপক অর্থে নামায বলা হয়। কেননা এতে নামাযের কতক শর্ত তথা সতর ঢাকা, কিবলামূখী হওয়া প্রভৃতিকে জরুরী গণ্য করা হয়ে থাকে। নতুবা প্রকৃত অর্থের দিক দিয়ে তা নাময নয়; বরং একটি বিশেষ তরীকায় মৃত ব্যক্তির জন্য দুআ ও ইসতিগফার করা। (সালাফী ভাইদের নয়নের শিরোমনি) হাফিয ইবনে কায়্যিম (রহ.) নিজ ‘যাদুল মাআদ’ গ্রন্থে লিখেন : 

বিতর নামাযে কুনূতের জন্য তাকবীর এবং হস্তদ্বয় উত্তোলন করা ইত্যাদি বিষয়ের দলীল কি ?

বিতর নামাযে কুনূতের জন্য
তাকবীর এবং হস্তদ্বয় উত্তোলন করা ইত্যাদি বিষয়ের দলীল কি ?

 এই মাসয়ালার কতক বিষয় আলোচনাযোগ্য। 

 প্রথম : এ বিষয়ে মতপার্থক্য হয়েছে যে, কুনূত শুধু বিতর নামাযে পড়া হবে, কিংবা ফজর নামাযেও পড়া হবে? আর তা রুকুর পূর্বে পড়া হবে কিংবা রুকুর পরে পড়া হবে? হানাফীগণের মতে দু’আয়ে কুনূত বিতর নামাযে সদাসর্বদা পড়তে হবে এবং তা রুকুর পূর্বে হবে। আর কুনূতে নাযিলাহ, যা ফজরের নামাযে বিশেষ বিপদের সময় পড়া হয় তা রুকুর পরে হবে। রসূলুল্লাহ (সা.) থেকে রুকুর পূর্বে এবং পরে কুনূত পড়া সম্বন্ধে যে সব, রিওয়ায়তসমূহ বর্ণিত হয়েছে, এর সত্যিকার সমম্বয় হানাফীগণের মতে এটাই।

শুক্রবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৫

হানাফী মাযহাব অনুসারে ফজরের সুন্নাত সংক্রান্ত বিধান এর কোন দলীল আছে কি?

হানাফী মাযহাব অনুসারে ফজরের সুন্নাত সংক্রান্ত বিধান এর কোন দলীল আছে কি?

 প্রশ্ন : জামাআতে নামায অনুষ্ঠানের জন্য ইকামত হয়ে গেলে নিকটবর্তী স্থলে অন্য কোন নামায হয় না, তাহলে ফজরের সুন্নত নামায কেন তখনও পড়া হয় যখন ফরয নামায আরম্ভ হয়? হাদীছের দৃষ্টিতে তো নামায হয়নি? আর মসজিদের কোন কোণে পড়ে নেয়ার সময় কি ইমামের কিরাআতের স্বর তার কানে পৌঁছে পরস্পর আঘাত করবে না?

 জবাব : এ মাসয়ালায় দু’ দিক থেকে বিরোধ, যে কারণে কোন এক দিক গ্রহণ করলেই আপত্তি উঠে। একটি হলো এই যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) অসংখ্য হাদীছ শরীফে ফজরের সুন্নতের প্রতি অত্যাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। এ কারণেই উম্মতের সর্বসম্মত মতে ফরয ও বিতর নামাযের পর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ফজরের সুন্নত নামায। 

বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০১৫

‘ যে ব্যক্তি জিকির করতে করতে নিজ জিহ্বা তাজা রাখিবে, সে কিয়ামতের দিন হাসতে হাসতে জান্নাতে প্রবেশ করিবে’’

 তাবলীগ ও আল্লামা জাকারিয়া সাহেব (রহ.) এর প্রতি  অপপ্রচারের জবাব ও পাল্টা চ্যালেঞ্জ

❁ প্রশ্ন : তাবলীগের সাথীগণ বলে থাকেন : ‘‘ যে ব্যক্তি জিকির করতে করতে নিজ জিহ্বা তাজা রাখিবে, সে কিয়ামতের দিন হাসতে হাসতে জান্নাতে প্রবেশ করিবে’’ কোরআন  সুন্নাহের আলোকে এ কথাটির কোন ভিত্তি রয়েছে? না কি মুরুব্বিদের বানানো বিদ-আতী ও মনগড়া কথা?

 উত্তর : হ্যাঁ, এ কথাটি হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। মুরুব্বিদের মনগড় বা কোন বেদ-আতি কথা নয়। দেখুন নিন্মে তার  তাহকীক। 

 ইমাম বুখারী (রহ.) এর উস্তাদ ‘ইমাম ইবনে শায়বা (রহ.)’’ এ সংক্রান্তে একটি হাসান বর্ণনা, তার নিজ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন-
مصنف ابن أبي شيبة (6/ 58)
29459 - حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ: «إِنَّ الَّذِينَ لَا تَزَالُ أَلْسِنَتُهُمْ رَطْبَةً مِنْ ذِكْرِ اللَّهِ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ وَهُمْ يَضْحَكُونَ»

হযরত আবূ দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যাদের জিহ্বা আল্লাহর জিকির দ্বারা তাজা থাকে তারা হাসতে হাসতে জান্নাতে প্রবেশ করবে।