শনিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৫

‘‘নাফস বা আত্মার জিহাদ বড় জিহাদ’’ এ মর্মের হাদীসগুলো কি মাওজু তথা বানানো?


‘‘নাফস বা আত্মার জিহাদ বড় জিহাদ’’ এ মর্মের হাদীসগুলো কি মাওজু তথা বানানো?

❖ প্রশ্ন : ‘‘নাফস বা আত্মার জিহাদ বড় জিহাদ’’ এ মর্মের হাদীসগুলো কি মাওজু তথা বানানো? বিস্তারিত জানালে ভালো হয়।

জবাব : উক্ত মর্মে বিভিন্ন ধরনের হাদীস রয়েছে, তাই সরাসরি মাওজু তথা বানানো বলা কখনো ঠিক হবে না। কেননা এর দ্বারা রাসূল (সা.) এর হাদীসকে অস্বীকার করা হবে। (আর আমাদের অনেক ভাই স্বল্প জ্ঞানের কারণে উক্ত মর্মের সকল হাদীসকে ঢালাও ভাবে মাওজু তথা বানানো বলে আখ্যা দিয়ে যাচ্ছে, যা তাদের জন্য কখনো ঠিক না)।

✏ যেমন দেখুন নিন্মে এ মর্মের তিনটি বর্ণনা উল্লেখ করা হলো।

░▒▓█►০১ নং হাদীস যা ইমাম বায়হাকী তার রচিত কিতাব ‘‘আযযুহদুল কাবীর’’ এর মাঝে উল্লেখ করেছেন: ◄█▓▒
الزهد الكبير للبيهقي (ص: ১৬৫)
৩৭৩ - أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدَانَ، أَنْبَأَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا تَمْتَامٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَعْلَى، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَوْمٌ غُزَاةٌ، فَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " قَدِمْتُمْ خَيْرَ مَقْدَمٍ مِنَ الْجِهَادِ الْأَصْغَرِ إِلَى الْجِهَادِ الْأَكْبَرِ. قَالُوا: وَمَا الْجِهَادُ الْأَكْبَرُ؟ قَالَ: مُجَاهَدَةُ الْعَبْدِ هَوَاهُ ". هَذَا إِسْنَادٌ ضَعِيفٌ

অর্থাৎ : হযরত জাবের (রা.) বলেন, একদল যোদ্ধা রাসূল (সা.) এর নিকট আগমন করলো, অতঃপর রাসূল (সা.) তাদেরকে লক্ষ্য করে বললো ছোট জিহাদ থেকে তোমাদের শুভাগমনের পর তোমরা বড় জিহাদের দিকে পদার্পন করছো। তারা বললো বড় জিহাদ আবার কি? রাসূল (সা.) বলেন, ‘‘প্রত্যেক বান্দার স্ব আত্মার সাথে জিহাদ’’। আযযুহদুল কাবীর-১৬৫।

হাদীসটির মান : 
❐ ০১ : বিখ্যাত হাদীস বিশারদ ইমাম বায়হাকী (রহ.) উক্ত হাদীস তার নিজ কিতাবে উল্লেখ করে বলেন, هَذَا إِسْنَادٌ ضَعِيفٌ হাদীসটি যয়ীফ।
❐ ০২ : জারাহ তাদীলের বিখ্যাত ইমাম ও সহীহ বুখারীর বিখ্যাত ব্যাখ্যাবিদ আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী (রহ.) উক্ত হাদীসটিকে তার রচিত কিতাব ‘আল কাফিউস সাফ ফি তাখরীজে আহাদীসিল কাশশাফ’ এর মাঝে উল্লেখ করে বলেন-
 الكافي الشاف في تخريج أحاديث الكشاف" (৪/১১৪ - رقم ৩৩)
وقال الحافظ ابن حجر في " تخريج الكشاف  : بعد أن حكى كلام البيهقي فيه: " وهو من رواية عيسى بن إبراهيم عن يحيى بن يعلى عن ليث بن أبي سليم، والثلاثة ضعفاء،
(উক্ত হাদীসটি যয়ীফ) কেননা তার সনদ বা সূত্রের মাঝে তিনজন দূর্বল বর্ণনাকারী রয়েছেন- (০১) ঈসা ইবনে ইব্রাহীম (০২) ইয়াহয়া ইবনে ইয়ালা (০৩) লাইস ইবনে আবী সুলাইম।
❐ ০৩ : জারাহ ও তাদীলের বিখ্যাত ইমাম আল্লামা ইরাকী (রহ.) উক্ত হাদীসটি সম্পর্কে ‘ইহয়াউল উলুমুদ্দীন’ এর তাখরীজ করতে গিয়ে বলেন : 
تخريج أحاديث الإحياء = المغني عن حمل الأسفار (ص: ৮৮২)
২ - حَدِيث رَجعْنَا من الْجِهَاد الْأَصْغَر إِلَى الْجِهَاد الْأَكْبَر
أخرجه الْبَيْهَقِيّ فِي الزّهْد من حَدِيث جَابر وَقَالَ: هَذَا إِسْنَاد فِيهِ ضعف.
যা ইমাম বায়হাকী তার ‘‘যুহুদ’ নামক কিতাবে উল্লেখ করেছেন, হাদীসটির মাঝে দূর্বলতা রয়েছে। আল মুগনী আন হামলিল আসফার-৮৮২।
❐ ০৪ : আল্লামা জারুল্লাহ আসসাদীও উক্ত হাদীসটিকে তার রচিত কিতাব ‘‘আন নাওয়াফেকুল আতরাহ’ এর মাঝে উল্লেখ করে বলেন-
 النوافح العطرة في الأحاديث المشتهرة لمحمد بن أحمد بن جار الله مشحم الصعدي ثم الصنعاني (ص: ২২৪)
 قدمْتُم خيرَ مقدَمٍ وقدمْتُم من الجهادِ الأصغرِ إلى الجهادِ الأكبرِ مجاهدةُ العبدِ هواهضعيف
হাদীসটি যয়ীফ। আন নাওয়াফেহুল আতরাহ ফিল আহাদীসিল মুশতাহীরা-২২৪।
❐ ০৫ : আহলে হাদীস ভাইদের মহাগুরো শায়খ নাসীর উদ্দীন আলবানীও উক্ত হাদীসটিকে যয়ীফ বলেছেন। 
ضعيف الجامع الصغير وزيادته (ص: ৫৯৫)
৪০৮০ - قدمتم خير مقدم وقدمتم من الجهاد الأصغر إلى الجهاد الأكبر مجاهدة العبد هواه
(خط) عن جابر.
[حكم الألباني]  (ضعيف)
যয়ীফুল জামেউস সগীর ও যিয়াদাতুহু-৫৯৪, হাদীস-৪০৮০, সিলসিলাতু আহাদীসীস যয়ীফা ওয়াল মাওজুআ-৫/৪৭৮, হাদীস-২৪৬০।

✪ উল্লেখ্য যে-
وكذلك رواه أبو بكر الشافعي في " الفوائد المنتقاة " (১৩/৮৩/১) من طريق عيسى ابن إبراهيم البركي قال: نا يحيى بن يعلى قال: نا ليث عن عطاء عن جابر قال:قدم على النبي صلى الله عليه وسلم قوم عراة، فقال النبي صلى الله عليه وسلم: فذكره.قلت: وهذا سند ضعيف، ليث هو ابن أبي سليم، وهو ضعيف لاختلاطه، ويحيى بن يعلى؛ الظاهر أنه الأسلمي، وهو ضعيف أيضا، وبقية رجاله ثقات.
উক্ত হাদীসটিকে আবূ বকর আশশাফী (الفوائد المنتقاة) ‘আল ফাওয়েদুল মুনতাকাত’ এর ১/৮৩ এর মাঝে উক্ত হাদীসটিকে ঈসা ইবনে ইব্রাহীম আল বারকাতী তিনি ইয়াহয়া ইবনে আবী ইয়ালা........ এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন, আর এই সনদেও হাদীসটি যয়ীফ কেননা এর সনদ বা সূত্রে লাইচ ও ইয়াহয়া ইবনে ইয়ালা এই দুইজন বনর্ণাকারী যয়ীফ, আর বাকীসকল বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য।

❁❀ সারসংক্ষেপ : এতগুলো হাদীস ও জারাহ তাদীলের ইমাম উক্ত হাদীসকে যয়ীফ বলেছেন, অর্থাৎ এটি হাদীস তা সাব্যস্ত হয়েছে, যদিও যয়ীফ, আর ফাযায়েলের ক্ষেত্রে যয়ীফ হাদীস অনুসারে আমল করা যায়। তাহলে যে সব ভাই এ মর্মের সমস্ত হাদীসকে জাল বা মাওজু বলে আখ্যা দিচ্ছে তারা উক্ত হাদীসটির কি জাবাব দিবেন? বাধ্য হয়ে বলতে হয় কবি এখানে নিরব আর মুর্খতা এখান থেকেই শুরু ও প্রমাণিত।

░▒▓█►০২ নং হাদীস যা খতিবে বাগদাদী (রহ.) তার রচিত কিতাব ‘‘তারীখে বাগদাদ’’ এর মাঝে হাসান ইবনে হাশেম তিনি ইয়াহয়া ইবনে আবী আলা........ এর সূত্রে উল্লেখ করেছেন: ◄█▓▒
تاريخ بغداد (১৩/ ৪৯৮)
حدّثنا أبي، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ مُوسَى عَنِ الْحَسَنِ- هُوَ ابن هاشم- عن يحيى بن أبي الْعَلاءِ قَالَ:حَدَّثَنَا لَيْثٌ عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ عَنْ جَابِرِ قَالَ: قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ غَزَاةٍ لَهُ، فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ্রقَدِمْتُمْ خَيْرَ مَقْدَمٍ، وَقَدِمْتُمْ مِنَ الْجِهَادِ الأَصْغَرِ إِلَى الْجِهَادِ الأَكْبَرِগ্ধ  . قَالُوا: وَمَا الْجِهَادُ الأَكْبَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: مُجَاهَدَةُ الْعَبْدِ هواهগ্ধ .
অর্থ : উল্লেখিত প্রথম হাদীস এর ন্যায়।

❁❀ হাদীসটির মান : 
والحسن بن هاشم؛ لم أجد له ترجمة. ويحيى بن أبي العلاء لعله يحيى بن العلاء الكذاب، ولكن يغلب على الظن أنه يحيى بن يعلى المذكور في سند أبي بكر الشافعي والبيهقي، تحرف اسم أبيه علىناسخ " التاريخ "، فإنه المذكور في الرواة عن ليث.
উক্ত হাদীসটিও যয়ীফ কেননা এর সনদ এর মাঝে হাসান ইবনে হাশেম এর জীবনী পাওয়া যায় না, আর ইয়াহয়া তিনিও যয়ীফ।

#আল্লামা জালাল উদ্দীন সুয়ূতী (রহ.) তার রচিত কিতাব ‘আদ দুরারুল মুনতাসীরা’ এর মাঝে বলেন-
الدرر المنتثرة في الأحاديث المشتهرة (ص: ১২৫)
২৪৫ - (حديث) "رَجَعْنَا مِنَ الْجِهَادِ الأَصْغَرِ إِلَى الْجِهَادِ الأَكْبَرِ، قَالُوا وَمَا الْجِهَادُ الأَكْبَرُ؟ قَالَ جِهَادُ الْقَلْب" قال الحافظ بن حجر في تسديد القوس: هو مشهور عَلَى الألسنة، وهو من كلام إبراهيم بن أبي عبلة في السكنى للنسائي انتهى.
وأقول: وروى الخطيب في تاريخه من حديث جابر قال: "قَدِمَ النَّبيُّ صلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ غَزَاةٍ لَهُ، فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللهِ النَّبيُّ صلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قَدِمْتُمْ خَيْرَ مَقْدَمٍ، وَقَدِمْتُمْ مِنَ الْجِهَادِ الأَصْغَرِ إِلَى الْجِهَادِ الأَكْبَرِ، قَالُوا: وَمَا الْجِهَادُ الأَكْبَرُ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ مُجَاهَدَةُ الْعَبْدِ هَوَاهُ".
এ সংক্রান্তে নিন্মে বর্ণিত ০৩নং বর্ণনা যাকে কতক ইমাম যয়ীফ, ভিত্তিহীন অথবা ইব্রাহীম ইবন আবী আবলাহ এর বাণী বলেছেন, তা উল্লেখ করেছেন। অতঃপর তিনি এ সংক্রান্তে হাদীস বলে খতীবে বাগদাদী (রহ.) এর উল্লিখিত হাদীসটির দিকে ইঙ্গিত করেছেন। (যা দ্বারা এটি হাদীস বলে প্রমাণিত হয়েছে কিন্তু জাল হাদীদ নয়)। ‘আদ দুরারুল মুনতাসীরা-১২৫।

✿ সারসংক্ষেপ : এই হাদীসটিও যয়ীফ তথা হাদীস মাওজু নয়। অতএব মাওজু বলে মিথ্যা জ্ঞানের জড় উঠানোর অবকাশ কোথায়?

░▒▓█►০৩ নং হাদীস যা শায়খ নাসীর উদ্দীন আলবানী সহ কতক ইমাম তাদের কিতাবে উল্লেখ করেছেন- ◄█▓▒
سلسلة الأحاديث الضعيفة والموضوعة وأثرها السيئ في الأمة (5/ 478)
رجعنا من الجهاد الأصغر إلى الجهاد الأكبرالخ ". منكر
যার মর্মার্থ : রাসূল (সাঃ) তাবুক যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তন কালে এরশাদ করেছেন رجعنا من جهاد الاصغر الي جهاد الاكبر (আমরা ছোট জিহাদ থেকে প্রত্যাবর্তন করে বড় জিহাদের প্রতি ধাবিত হলাম)। সাহাবায়ে কিরাম (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ)! বড় জিহাদ কোনটি? প্রত্যুত্তরে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)  বলেছিলেন, অন্তরের জিহাদ।

এটি হাদীস নয় বরং যাকে কতক ইমাম যয়ীফ, ভিত্তিহীন, ইব্রাহীম ইবনে আবী আবলাহ এর বাণী বলেছেন। 
❏ যেমন আল্লামা ইবনে তাইমিয়্যা (রহ.) তার রচিত কিতাব ‘মাজমুআয়াতুল ফাতাওয়া’’ এর 11/197 এর মাঝে উল্লেখ করে বলেন-
مجموع الفتاوى (11/ 197)
 أَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي يَرْوِيه بَعْضُهُمْ أَنَّهُ قَالَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ {رَجَعْنَا مِنْ الْجِهَادِ الْأَصْغَرِ إلَى الْجِهَادِ الْأَكْبَرِ} فَلَا أَصْلَ لَهُ وَلَمْ يَرْوِهِ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الْمَعْرِفَةِ بِأَقْوَالِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থাৎ তাবুক যুদ্ধ সংক্রান্তে যে হাদীসটি অনেকে বর্ণনা করে থাকেন-{رَجَعْنَا مِنْ الْجِهَادِ الْأَصْغَرِ إلَى الْجِهَادِ الْأَكْبَرِ} এর কোন ভিত্তি নেই। এবং কোন আহলে ইলমদের নিকট উক্ত হাদীস রাসূল (সা.) এর বাণী বলেও পরিচিত নয়। 
❏ আল্লামা ইবনে হাজার (রহ.) তার রচিত কিতাব ‘তাসদীদুল কাওস’ এর মাঝে বলেন-
" قال الحافظ ابن حجر في " تسديد القوس ": هو مشهور على الألسنة، وهو من
كلام إبراهيم بن أبي عبلة في " الكنى " للنسائي ".
এটি লোক মুখে প্রসিদ্ধ একটি বাণী। যা  ইব্রাহীম ইবনে আবী আবলাহ এর বাণী বলে, ইমাম নাসায়ী (রহ.)  তার রচিত কিতাত আল কুনী এর মাঝে উল্লেখ করেছেন।

❏ আর শায়খ নাসীর উদ্দীল আলবানী উক্ত হাদীসটিকে উল্লেখ করে বলেন-منكر অর্থাৎ এটি হাদীস নয়। সিলসিলাতুয যয়ীফা-৫/৪৭৮।
  
দেখুন উক্ত হাদীস এর সমর্থনে কিছু সহীহ হাদীস
سنن الترمذي ت شاكر (4/ 165)
 «المُجَاهِدُ مَنْ جَاهَدَ نَفْسَهُ»
মুজাহিদ সেই যে তার নাফসের সাথে জিহাদ করে। (সুনান তিরমিজি-৪/১৬৫, হাদীস-১৬২১)হাদীসটিকে ইমাম তিরমিযী (রহ.) হাসান বলেছেন, আর শায়খ নাসির উদ্দীন আলবানী সহীহ বলেছেন।
سلسلة الأحاديث الصحيحة وشيء من فقهها وفوائدها (3/ 478)
وأفضل الجهاد من جاهد
نفسه في ذات الله 
সর্বত্তোম জিহাদ হলো আল্লাহর বিধানের ব্যাপারে অন্তরের সাথে জিহাদ করা।সিলসিলাতুস সহীহা-৩/৪৭৮, হাদীস-১৪৯১। উক্ত হাদীসটিও সম্পূর্ণ সহীহ।

░▒▓█►সংকোচ সমাধান : উল্লেখ্য যে, নাফস এর জিহাদ বড় জিহাদ এর অর্থ জিহাদ না করে ঘরে বসা থাকা নয়, বরং জিহাদে যাওয়ার জন্য নিজ আত্মাকে প্রস্তুত করা জন্যই সম্ভবতঃ এধরনের ঘোষণা, কেননা একটি লোক যুদ্ধে যাওয়ার পূর্বে নিজ সন্তান, স্ত্রী, মা-বাবা ইত্যাদি গণের ভালোবাসাকে ত্যাগ করে নিজ আত্মাকে প্রস্তুত করা সাধারণ বিষয় নয়। এছাড়াও ডানে বামে গোলা বারুদের কথা বলা বাহুল্য।

 বি. দ্র. :  সন্মানিত পাঠকগণ এফবিতে কতক ভাই উক্ত বিষয়টিকে এত ঘোলাটে করেছে, আমি এখানে তা উল্লেখ করতেই লজ্জা হচ্ছে, একজন লেখকের কিতাবকে অন্য লেখকের নামে চালিয়ে দেয়া, একটি সনদের মাঝে অন্য সনদের হুকুম লাগিয়ে দেয়া, হাদীস না বলে ‍উল্লেখ করা, আরো কত কি!! মহান আল্লাহ আমাদেরকে এধরনের বিভ্রান্তকর তাহকীক থেকে হেফাজত করে, সঠিক তাহকীক জানার তাওফীক দান করুন। আমীন।

✍ ইতি মুফতী মো. ছানা উল্লাহ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন