সুদখোর ইমামের পিছনে নামাজ হবে কি না?
❖ প্রশ্ন : সুদখোর ইমামের পিছনে নামাজ হবে কি না? ও তার পিছনে ইক্তিদা করা জায়েজ কি না? কোরআন হাদীস থেকে দলীলসহ জানাবেন।
❖ জবাব : যে ইমাম সুদ খায় সে হলো ‘‘ফাসেক’’ অর্থাৎ পাপাচারী, আর ফাসেক এর পিছনে নামায পড়া মাকরূহে তাহরীমি অর্থাৎ হারামের কাছাকাছি। তাই অকাট্য সমস্যা না হলে এধরনের ইমামের পিছনে নামায পড়া পরিহার করা আবশ্যক। নিন্মে দলীল সহ বিস্তারিত দেখুন।
✏ ০১ : মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে সুদখোরদের প্রতি নিন্দা জ্ঞাপন করে বলেন-
{الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا فَمَنْ جَاءَهُ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّهِ فَانْتَهَى فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ وَمَنْ عَادَ فَأُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ} [البقرة: 275] {يَمْحَقُ اللَّهُ الرِّبَا وَيُرْبِي الصَّدَقَاتِ وَاللَّهُ لَا يُحِبُّ كُلَّ كَفَّارٍ أَثِيمٍ} [البقرة: 276]
অর্থ : যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দণ্ডায়মান হবে, যেভাবে দণ্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তার বলেছে : ক্রয় বিক্রয়ও তো সুদ নেয়ারই মত। অথচ আল্লাহ তায়ালা ক্রয় বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপারে আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। আল্লাহ তায়ালা সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান-খায়রাতকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ পছন্দ করেন না কোন অবিশ্বাসী পাপীকে। সূরা বাক্বারা, আয়াত নং-২৭৫-৭৬।
❏ মহান আল্লাহ আরো বলেন-
{ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ} فَإِنْ لَمْ تَفْعَلُوا فَأْذَنُوا بِحَرْبٍ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ [البقرة: 278]
অর্থ : হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। অতঃপর যদি তোমরা পরিত্যাগ না কর, তবে আল্লাহ ও তার রসূলের সাথে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হয়ে যাও। সূরা বাক্বারা, আয়ত নং-২৭৮-২৭৯।
❏ মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ইয়াহুদীদের কুচরিত্রের সমালোচনা ও নিন্দা জানিয়ে বলেন-
{ وَأَخْذِهِمُ الرِّبَا وَقَدْ نُهُوا عَنْهُ} [النساء: 161]
তারা সুদকে গ্রহণ করত, অথচ এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। সূরা নিসা, আয়াত নং-১৬১।
✏ ০২ : এখন দেখুন সুদখোরের বিষয়ে রাসূল (সা.) এর হাদীস-
صحيح البخاري (4/ 10)
2766 - حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ ثَوْرِ بْنِ زَيْدٍ المَدَنِيِّ، عَنْ أَبِي الغَيْثِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اجْتَنِبُوا السَّبْعَ المُوبِقَاتِ»، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا هُنَّ؟ قَالَ: «الشِّرْكُ بِاللَّهِ، وَالسِّحْرُ، وَقَتْلُ النَّفْسِ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالحَقِّ، وَأَكْلُ الرِّبَا، وَأَكْلُ مَالِ اليَتِيمِ، وَالتَّوَلِّي يَوْمَ الزَّحْفِ، وَقَذْفُ المُحْصَنَاتِ المُؤْمِنَاتِ الغَافِلاَتِ»
❏ হযরত আবূ হুরাইরা (রা.) সূত্রে নবী করীম (সা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, সাতটি ধ্বংসকারী বিষয় থেকে তোমরা বিরত থাকবে। সাহবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সেগুলো কী? তিনি বললেন, (১) আল্লাহর সঙ্গে শরীক করা। (২) যাদু (৩) আল্লাহ তায়ালা যাকে হত্যা করা হারাম করেছেন, শরীয়াত সম্মত ব্যতিরেকে তাকে হত্যা করা (৪) সুদ খাওয়া (৫) ইয়াতীমের মাল গ্রাস করা (৬) রণক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যাওয়া এবং (৭) সরল প্রকৃতির সতী মু‘মিন নারীদের অপবাদ দেয়া। সহীহ বুখারী-৪/১০, হাদী-২৭৬৬।
صحيح مسلم (3/ 1219)
106 - (1598) حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالُوا: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: «لَعَنَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آكِلَ الرِّبَا، وَمُؤْكِلَهُ، وَكَاتِبَهُ، وَشَاهِدَيْهِ»، وَقَالَ: «هُمْ سَوَاءٌ»
❏ হযরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সা.) সুদ ভক্ষণকারী, তার লেখক এবং সাক্ষী সবার উপর অভিসম্পাত করেছেন। সহীহ মুসলিম-৩/১২১৯, হাদীস-১৫৯৮।
سنن الترمذي ت شاكر (3/ 615)
1337 - حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى مُحَمَّدُ بْنُ المُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ العَقَدِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ خَالِهِ الحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: «لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّاشِيَ وَالمُرْتَشِيَ»: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
❏ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) সুদ দাতা ও গ্রহিতা দু‘জনকেই অভিশাপ দিয়েছেন। তিরমিযী-৩/৬৫১, হাদীস-১৩৩৭। হাদীসটি সম্পূর্ণ সহীহ।
مسند أحمد مخرجا (36/ 288)
21957 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ يَعْنِي ابْنَ حَازِمٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَنْظَلَةَ غَسِيلِ الْمَلَائِكَةِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «دِرْهَمٌ رِبًا يَأْكُلُهُ الرَّجُلُ وَهُوَ يَعْلَمُ، أَشَدُّ مِنْ سِتَّةٍ وَثَلَاثِينَ زَنْيَةً»
❏ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে হানজালা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা.) বলেন, জেনে-শুনে এক দিরহাম সুদ খাওয়া ছত্রিশবার যিনার চেয়েও নিকৃষ্ট। মুসনাদে আহমদ-৩৬/২৮৮, হাদীস-২১৯৫৭। উক্ত হাদীসটিকে আল্লাম মুনযেরী হায়সামী ও শায়খ আলবানীসহ সকলেই সহীহ বলেছেন।
سنن ابن ماجه (2/ 764)
2274 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الرِّبَا سَبْعُونَ حُوبًا، أَيْسَرُهَا أَنْ يَنْكِحَ الرَّجُلُ أُمَّهُ»
❏ হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা.) বলেন, সুদের গুনাহের সত্তুর (৭০) টি ধরণ রয়েছে। তার নুন্নতম ধরন হলো, নিজ মায়ের সাথে অপকর্ম করা। ইবন মাজা-২/৭৬৪, হাদীস-২২৭৪। উক্ত হাদীসকে আল্লামা মুনযেরী ও শায়খ আলবানী সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন।
░▒▓█► কোরআন সুন্নাহ থেকে দীর্ঘ আলোচনার সারসংক্ষেপ◄█▓▒░
যে ব্যক্তি সুদ দেয় বা গ্রহণ করে সে একজন মস্ত বড় ‘‘ফাসেক’’ তথা পাপাচারী এবং তার বিরুদ্ধে মহান আল্লাহ যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন ও রাসূল (সা.) অভিশাপ দিয়েছেন, তাহলে এমন একজন ব্যক্তিকে কি করে ইমামের ন্যায় সন্মানি স্থানে বসানো যায়?
✿ অথচ তার চেয়ে নুন্নতম অপরাধ (তথা কেবলার দিকে থুথু নিক্ষেপ করার) কারণেও রাসূল (সা.) ইমামের অধিকার বাতিল করে দিয়েছেন। দেখুন
سنن أبي داود (1/ 130)
481 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، عَنْ بَكْرِ بْنِ سَوَادَةَ الْجُذَامِيِّ، عَنْ صَالِحِ بْنِ خَيْوَانَ، عَنْ أَبِي سَهْلَةَ السَّائِبِ بْنِ خَلَّادٍ - قَالَ أَحْمَدُ: مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَنَّ رَجُلًا أَمَّ قَوْمًا، فَبَصَقَ فِي الْقِبْلَةِ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْظُرُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ فَرَغَ: «لَا يُصَلِّي لَكُمْ»، فَأَرَادَ بَعْدَ ذَلِكَ أَنْ يُصَلِّيَ لَهُمْ فَمَنَعُوهُ وَأَخْبَرُوهُ بِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَكَرَ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «نَعَمْ»، وَحَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ: «إِنَّكَ آذَيْتَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ»
❏ আবূ সাহলা (রা.) হতে বর্ণিত। ইমাম আহমদ (রহ.) বলেন, তিনি রাসূল (সা.) এর সাহাবী ছিলেন। একদা জৈনক ব্যক্তি লোকদের ইমামতি করার সময় কেবলার দিকে থুথু নিক্ষেপ করেন। তা স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সা.) অবলোকন করেন। সে নামায হতে অবসর হলে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন : সে তোমাদের নামায পড়ায়নি। অতঃপর সেই ব্যক্তি তাদেরকে নিয়ে পুনরায় নামায পড়ার ইচ্ছা করলে তাকে নামায পড়াতে নিষেধ করা হয়। এবং ঐ ব্যক্তির এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.) কে অবগত করলে তিনি বলেন, হ্যাঁ! (তোমার ইমামতিতে নামায সহীহ হয় নি।) রাবী বলেন আমার ধারণা নবী করিম (সা.) বলেছেন তুমি আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) কে কষ্ট দিয়েছো। আবূ দাউদ-১/১৩০, হাদীস-৪৮১। উক্ত হাদীসটি হাসান তথা প্রমাণযোগ্য। শুয়াইব আল আরনওত ও শায়খ নাসির উদ্দীন আলবানী উক্ত হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।
✏ যদি এমন একটি অপরাধের কারণে রাসূল (সা.) তাকে ইমামতি থেকে নিষেধ করে থাকেন। তাহলে যে সব ইমামগণ সুদের লেনদেন করে, তারা কি করে ইমামতি করার অধিকার পায়?
মহান আল্লাহ আমাদেরকে এসব ইমামের পিছনে নামায পড়া থেকে বিরত থাকার তাওফীক দান করুন।
░▒▓█► এখন দেখুন ফাতাওয়ায়ের কিতাব থেকে◄█▓▒░
❁ হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত কিতাব ‘ফাতাওয়ায়ে শামী’’ এর মাঝে রয়েছে-
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 560)
قال فى الشامية فهو (الفاسق) كَالْمُبْتَدِعِ تُكْرَهُ إمَامَتُهُ بِكُلِّ حَالٍ
অর্থাৎ : ফাসেক ব্যক্তির হুকুম বেতআতির ন্যায়, সর্ব অবস্থায় তার ইমামতি মাকরুহে তাহরীমি। ফাতাওয়ায়ে শামি-১/৫৬০।
وقال العلامة الحلبى رحمه الله تعالى بعد ماحرر من ان كراهية تقديم الفاسق كراهية تحريم الخ غنية ص : 480
❁ আরো দেখুন, আহসানুল ফাতাওয়া-৩/২০৯, ইমদাদুল ফাতাওয়া-১/৪১১, গুনইয়া-৪৮০ ইত্যাদি কিতাব সমূহ।
✏ উল্লেখ্য যে, যদি এমন কোন অবস্থা হয় যে, ঐ ইমামকে না রাখলো অন্য কোন ইমামতি করারযোগ্য মানুষ খুজে পাওয়া যাবে অথবা তার জুলুমের আশংকা আছে ইত্যাদি জটিল কারণ থাকে, তাহলে প্রয়োজনের তাগিতে, মাকরুহে তাহরীমি হওয়া সত্ত্বেও তার পিছনে নামায পড়লে হয়ে যাবে। দলীল-
قال النبى صلى الله عليه وسلم صلوا خلف كل بر وفاجر رواه مكحول عن ابى هريرة رضى الله عنه ، وأخرجه الدار قطنى وقال : مكحول لم يلق أبا هريرة ، وفى إسناده معاوية بن صالح متكلم فيه ،
وقد احتج به مسلم فى صحيحه ، واخرجه الدار قطنى أيضا ، وابو داود عن مكحول عن ابى هريرة رضى الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الصلاة واجبة عليكم مع كل مسلم برأ كان أو فاجرأ ، وإ، عمل الكبائر ، والجهاد واجب عليكم مع كل أمير برا كان أو فاجرا وإن عمل الكبائر ـ
وفى صحيح البخارى أن عبد الله بن غمر رضى الله عنه كان يصلى خلف الحجاج بن يوسف الثقفى وكذا أنس بن مالك وكان الحجاج فاسقا ظالما ، وفى صحيحه أيضا أن النبى صلى الله عليه وسلم قال : رواه البخارى فى الأذان برقم 653 وأحمد فى باقى مسند المكثرين برقم 8309 يصلون لكم فإن أصابوا فلكم ولهم وإن أخطأءا فلكم وعليهم ، وعن عبد الله بن عمر رضى الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال صلوا على من قال لا اله الا الله وصلوا خلف من قال لا إله الا الله ، أخرجه الدار قطنى من طريق وضعفها ـ
❀ সারসংক্ষেপ : প্রয়োজনের তাগিতে তোমরা প্রত্যেক নেককার ও ফাসেক এর পিছনে নামায পড়তে পার। যেমন সাহাবায়ে কেরাম হাজ্জাজ বিন ইউসূফ এর পিছনে পড়তেন।
░▒▓█► যেই সব গ্রন্থের সহযোগিতায় উক্ত ফাতাওয়া প্রধান করা হয়েছে তার থেকে ৬০টির অধিক গ্রন্থের রেফারেন্স নিন্মে উল্লেখ করা হলো◄█▓▒░
(1) لسان العرب (12/ 22)
بتصرف.
(2) القاموس المحيط (1/
1392).
(3) مختار الصحاح (1/ 20).
(4) حاشية العدوي (1/ 376).
(5) القاموس المحيط (1/ 1185).
(6) تاج العروس (1/ 6549).
(7) الإقناع (1/ 165).
(8) المبسوط (1/ 40).
(9) صحيح مسلم (1/ 465)، برقم: 290،
سنن النسائي (2/ 77)، برقم: 780.
(10) سنن البيهقي الكبرى (3/ 121)،
برقم: 5082. قال الألباني: منكر. السلسلة الضعيفة (2/ 76)، برقم: 609.
(11) المبسوط (1/ 41).
(12) المبسوط (1/ 40).
(13) المبسوط (1/ 41).
(14) الكتاب (1/ 55).
(15) اللباب في شرح الكتاب (1/ 26)
بتصرف، وانظر: الهداية (1/ 56).
(16) حاشية الطحاوي على المراقي (2/
299).
(17) بدائع الصنائع (1/ 386).
(18) انظر: مواهب الجليل (2/ 92) وما
بعدها.
(19) الشرح الكبير (1/ 327، وانظر:
حاشية الدسوقي (1/ 307).
(20) مختصر خليل (1/ 40).
(21) مواهب الجليل (2/ 92).
(22) مواهب الجليل (2/ 95).
(23) مواهب الجليل (2/ 92).
(24) مواهب الجليل (2/ 93)، وما
بعدها.
(25) التلقين (1/ 116).
(26) بداية المجتهد (1/ 226).
(27) مواهب الجليل (2/ 94).
(28) الأم (1/ 295).
(29) فقه العبادات (1/ 407).
(30) مغني المحتاج (1/ 237).
(31) المهذب (1/ 183).
(32) مختصر المزني (1/ 26).
(33) فقه العبادات شافعي (1/ 411).
(34) الأشباه والنظائر شافعي (1/
685).
(35) دليل الطالب (1/ 90).
(36) الإقناع (1/ 165).
(37) انظر: الإنصاف (2/ 252)، الكافي
في فقه ابن حنبل (1/ 293).
(38) الإقناع (1/ 165).
(39) الإنصاف (2/ 252) بتصرف.
(40) المغني (2/ 27).
(41) المغني (2/ 149).
(42) المغني (2/ 149).
(43) انظر: المبسوط (1/ 40)، بدائع
الصنائع (1/ 386)، الشرح الكبير (2/ 24).
(44) صحيح مسلم (1/ 448)، برقم: 238،
سنن النسائي (2/ 113)، برقم: 859.
(45) الشرح الكبير (2/ 24).
(46) سنن أبي داود (2/ 22)، برقم:
2533، سنن الدارقطني (2/ 56)، برقم: 6، سنن البيهقي الكبرى (3/ 121)، برقم: 5083.
قال الألباني: ضعيف. انظر: إرواء الغليل (2/ 304)، برقم: 527.
(47) سنن الدارقطني (2/ 57)، برقم:
10، سنن البيهقي الكبرى (4/ 19)، برقم: 6623. قال الدارقطني: مكحول لم يسمع من أبي
هريرة ومن دونه ثقات. قال الألباني: ضعيف. انظر: الجامع الصغير وزيادته (1/ 792)،
برقم: 7920.
(48) بدائع الصنائع (1/ 386).
(49) سنن الدارقطني (2/ 56)، برقم: 3.
قال الألباني: وهذا سند واهٍ جداً. عثمان بن عبد الرحمن هو، الزهري الوقاصي:
متروك، وكذبه ابن معين. انظر: إرواء الغليل (2/ 306).
(50) المبسوط (1/ 40)، وبنحوه في
بدائع الصنائع (1/ 386)، المهذب (1/ 183)، منار السبيل (1/ 90).
(51) انظر: منار السبيل (1/ 90).
(52) الشرح الكبير (2/ 24).
(53) منار السبيل (1/ 90).
(54) صحيح البخاري (1/ 246)، برقم:
663.
(55) انظر: مواهب الجليل (2/ 95).
(56) بداية المجتهد (1/ 226).
(57) مغني المحتاج (1/ 237).
(58) المبسوط (1/ 40)، وبنحوه في
بدائع الصنائع (1/ 386).
(59) بدائع الصنائع (1/ 386).
(60) منار السبيل (1/ 90)، والحديث في
سنن ابن ماجه (1/ 343)، برقم: 1081، سنن البيهقي الكبرى (3/ 171)، برقم: 5359. قال
الألباني: ضعيف. انظر: إرواء الغليل (2/ 303)، برقم: 524.
(61) انظر: المبسوط (1/ 40).
(62) انظر: بدائع الصنائع (1/ 386).
(63) مواهب الجليل (2/ 95).
(64) بداية المجتهد (1/ 226).
(65) انظر: الشرح الكبير (2/ 24).
(66) المغني (2/ 27)، وانظر: المغني
(2/ 149).
(67) سنن ابن ماجه (1/ 343)، برقم:
1081، مسند أبي يعلى (3/ 381)، برقم: 1856. قال الألباني: ضعيف. انظر: إرواء
الغليل (3/ 50)، برقم: 591.
(68) المغني (2/ 149).
(69) المغني (2/ 27).
(70) الدر المختار (1/560)
والله اعلم بالصواب
✔ মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সঠিক দ্বীন বুঝার তাওফীক দান করুন। আমীন!
✍ ইতি মুফতী মো. ছানা উল্লাহ
সহকারী মুফতী, বাংলাদেশ ফেকাহ একাডেমী
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন