জানাযার নামাযে সূরায়ে ফাতিহা পড়বেন না কেন? এর দলীল
✪ প্রশ্ন : জানাযার নামাযে সূরায়ে ফাতিহা পড়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত কি না? যদি প্রমাণিত না হয়, তাহলে দলীল দিন। কেননা হাদীছ মুবারকের মর্মার্থ তো এরূপ যে, ‘‘সূরায়ে ফাতিহা ব্যতীত কোন নামায নেই।’’
✪ জবাব : এ সম্বন্ধেও কতিপয় বিষয় আলোচনাযোগ্য।
❖ প্রথম : জানাযার নামাযকে রূপক অর্থে নামায বলা হয়। কেননা এতে নামাযের কতক শর্ত তথা সতর ঢাকা, কিবলামূখী হওয়া প্রভৃতিকে জরুরী গণ্য করা হয়ে থাকে। নতুবা প্রকৃত অর্থের দিক দিয়ে তা নাময নয়; বরং একটি বিশেষ তরীকায় মৃত ব্যক্তির জন্য দুআ ও ইসতিগফার করা। (সালাফী ভাইদের নয়নের শিরোমনি) হাফিয ইবনে কায়্যিম (রহ.) নিজ ‘যাদুল মাআদ’ গ্রন্থে লিখেন :
وَمَقْصُودُ الصَّلَاةِ عَلَى
الْجِنَازَةِ: هُوَ الدُّعَاءُ لِلْمَيِّتِ، لِذَلِكَ حُفِظَ عَنِ النَّبِيِّ -
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَنُقِلَ عَنْهُ مَا لَمْ يُنْقَلْ مِنْ
قِرَاءَةِ الْفَاتِحَةِ وَالصَّلَاةِ عَلَيْهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
(ص
: 141 ج : 1)
❏ অর্থাৎ ‘আর জানাযার নামাযের উদ্দেশ্য হলো মৃত ব্যক্তির জন্য দুআ করা। আর এমনিভাবে রাসূল (সা.) থেকে জানাযার দু’আ এত অধিক পরিমাণে নকল করা হয়েছে যে, ফাতিহা এবং দরুদ শরীফ পড়া সন্বন্ধে তত অধিক নকল করা হয়নি।’’
❖ দ্বিতীয় : যেহেতু জানাযার নামায হলো প্রকৃতভাবে দু’আ। আর দু’আর আদব সমূহের মধ্য থেকে আদব হলো; এর প্রথমে আল্লাহ তায়ালার হামদ ও ছানা পড়া এবং রাসূল (সা.) এর প্রতি দরূদ পড়া, সেহেতু জানাযার নামাযে সে দিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে যে, এর প্রথমে হামদ ও ছানা পড়া হয়ে থাকে। অতঃপর দরূদ শরীফ পাঠ করা হয় এবং পরিশেষে মৃতের জন্য দ’আ করা হয়।
❖ তৃতীয় : কোন সহীহ রিওয়াত দ্বারা ইহা প্রমাণিত নয় যে, রাসূল (সা.) জানাযার নামাযে সূরায়ে ফাতিহা পাঠের হুকুম দিয়েছেন। (সালাফী ভাইদের নয়নের শিরোমনি) হাফিজ ইবনে কায়্যিম (রহ.) লিখেন :
وَيُذْكَرُ عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى
اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَنَّهُ أَمَرَ أَنْ يُقْرَأَ عَلَى الْجِنَازَةِ
بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ. وَلَا يَصِحُّ إِسْنَادُهُ. . (ص : 141 ج : 1)
❏ অর্থাৎ ‘‘আর রাসূল (সা.) থেকে বর্ণনা করা হয় যে, তিনি জানাযার নামাযে সূরায়ে ফাতিহা পড়ার আদেশ দিয়েছেন। কিন্তু এর সনদ সহীহ নয়।’’
❖ চুতর্থ : জানাযার নামাযে সূরায়ে ফাতিহা পড়ার সবচেয়ে সহীহ হাদীছ বলে যাকে ধারণা করা হয় তা ইমামা বুখারী (রহ.) কর্তৃক بَابُ قِرَاءَةِ فَاتِحَةِ الكِتَابِ عَلَى الجَنَازَةِ (১ম খ- ১৭৮ পৃষ্ঠায়) এর মধ্যে হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে নকল করেছেন :
عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
عَوْفٍ، قَالَ: صَلَّيْتُ خَلْفَ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا عَلَى
جَنَازَةٍ فَقَرَأَ بِفَاتِحَةِ الكِتَابِ قَالَ: «لِيَعْلَمُوا أَنَّهَا سُنَّةٌ»
❏ অর্থাৎ ‘‘হযরত তালহা বিন আবদিল্লাহ বিন আওফ (রা.) বলেন যে, আমি হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) এর পশ্চাতে ইকতিদা করে জানাযার নামায পড়েছি। তখন তিন উচ্চস্বরে সূরায়ে ফাতিহা পড়েন এবং বলেন, আমি তা এজন্য উচ্চস্বরে পড়েছি যেন তোমরা জেনে নিতে পার যে, ইহা সুন্নত।’’
❁ আর নাসায়ী শরীফের ১ম খণ্ডের ২৮১ পৃষ্ঠায় সহীহ সনদসহ উক্ত রিওয়ায়তকে এই শব্দে নকল করা হয়েছে :
فَقَرَأَ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ،
وَسُورَةٍ وَجَهَرَ حَتَّى أَسْمَعَنَا، فَلَمَّا فَرَغَ أَخَذْتُ بِيَدِهِ،
فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ: «سُنَّةٌ وَحَقٌّ»
❏ অর্থাৎ ‘‘তিনি সূরায়ে ফাতিহা ও একটি সূরা এমন উঁচুস্বরে পড়েছেন, যেন আমরা তা শুনতে পারি। অতঃপর যখন তিনি নামায থেকে ফারিগ হলেন, তখন আমি তার হাত ধরে এর কারণ জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি জবাবে বললেন, ইহা সুন্নত এবং হক্ক।
❁ উপরোক্ত রিওয়ায়তে একটি গভীরভাবে বিবেচনাযোগ্য বিষয় যে, হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) কে সূরায়ে ফাতিহা পড়া সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হয়েছিল কিংবা উচ্চস্বরে পড়া সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল?
যদি উচ্চস্বরে পড়া সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে তাহলে জবাবে ‘সুন্নত এবং হক্ক’ ও উচ্চস্বরে পড়াকেউ বলা হয়েছে। (অর্থাৎ উচ্চস্বরে পড়া সুন্নত এবং হক্ক)। অথচ সকল উলামায়ে ইযাম (রহ.) এর মতে তা সুন্নত নয়।
আর যদি তার কাছে সূরায়ে ফাতিহা পড়া সম্বন্ধে প্রশ্ন হয়, তাহলে প্রশ্নের ধারায়ই বুঝা যাচ্ছে যে, জানাযার নামাযে সাধারণত: সূরায়ে ফাতিহা পড়া হতো না। যেহেতু হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) সাধারণ আমলের বিপরীত করলেন সেহেতু তাকে প্রশ্ন করা হয়েছে। আর জবাবে যে তিনি একে সুন্নত বলেছেন, এর মর্মার্থ এই হবে যে, সূরায়ে ফাতিহা ছানার নিয়্যতে পড়া জায়েয আছে। আর হানাফীগণের মাযহাবও হুবহু এটাই।
❁ অধিকন্তু এই বিষয়টিও বিবেচনাযোগ্য যে, হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) কেবল সূরায়ে ফাতিহা পড়েননি; বরং এর সঙ্গে অপর একটি সূরাও পড়েছেন। অথচ জানাযার নামাযে সূরায়ে ফাতিহার সঙ্গে অপর একটি সূরা পড়ার প্রবক্তা কেউ নেই।
কাজেই উপরোক্ত হাদীছ দ্বারা যদি হানাফীগণকে ফাতিহা পড়ার সুন্নত পরিত্যাগের অভিযোগ অভিযুক্ত করা হয়, তাহলে উক্ত হাদীছ দ্বারাই অন্যান্যদের প্রতি (ফাতিহার সঙ্গে অপর সূরা পড়ার) সুন্নত পরিত্যাগের অভিযোগে অভিযুক্ত করা যাবে। কিন্তু এই হাদীছ হানাফী মাযহাবের বিপরীত নয়, কেননা হানাফী মাযহাব মতে হামদ ও ছানা হিসাবে সূরা ফাতিহা এবং অন্যান্য এমন সব আয়াত যেগুলোতে হামদ ও ছানা রয়েছে, তা পড়া জায়েয আছে।
❖ পঞ্চম : ইহা ভুল কথা যে, হানাফীগণ সূরায়ে ফাতিহার প্রবক্তা নন। হানাফীগণের স্থিতি এই যে, যেহেতু সাহাবায়ে কিরাম (রা.) এর মধ্য থেকে কতক হযরাত সূরায়ে ফাতিহা পড়তেন আর কতক পড়তেন না। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, জানাযার নামাযে সূরায়ে ফাতিহা পড়া ফরয ও ওয়াজিব নয়। অবশ্য আল্লাহ তায়ালা শানুহুর হামদ ও ছানা হিসাবে সূরায়ে ফাতিহা পড়ে নেয়াও জায়েয আছে। কিন্তু যেমনিভাবে নামাযে কিরাআত পড়া হয়ে থাকে তেমনিভাবে নামাযে জানাযার মধ্যে সূরায়ে ফাতিহা কিংবা অন্য কোন সূরাকে কিরআতের নিয়্যতে পড়া যায় না। কাজেই কোন রিওয়াতই হানাফীগণের বিপরীত নেই। যেমন, ইমাম মুহাম্মদ (রহ.) মুয়াত্তা গ্রন্থে এই রিওয়ায়ত নকল করেছেন :
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ الْمَقْبُرِيُّ، عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ سَأَلَ أَبَا هُرَيْرَةَ كَيْفَ
يصلِّي عَلَى الْجِنَازَةِ، فَقَالَ: أَنَا لَعَمْرِ اللَّهِ أُخْبِرُكَ،
أتَّبعها مِنْ أَهْلِهَا، فَإِذَا وُضعت كبَّرت، فحَمِدتُ اللَّهَ
وصلَّيْت عَلَى نبيه، ثم قلت : اللَّهُمَّ، عبدُك الخ (مؤطأ ص : 79)
قَالَ
مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، لا قِرَاءَةَ عَلَى الْجِنَازَةِ، وَهُوَ
قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ.(مؤطأ ص : 168)
❏ অর্থাৎ ‘‘(ইমাম মুহাম্মদ (রহ.) বলেন), আমাদেরকে হাদীছ জানান ইমাম মালেক (রহ.) তিনি বলেন, আমাদের নিকট হাদীছ বর্ণনা করেন সাঈদ আল মাকবুরী (রহ.) তিনি স্বীয় পিতা থেকে রিওয়াত করেন, তার পিতা হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) কে জিজ্ঞাসা করলেন যে, জানাযার নামায কিভাবে পড়া হয়? তিনি জবাবে বললেন, আল্লাহ তায়ালার শপথ! আমি তোমাদেরকে এ সম্বন্ধে অবহিত করবো। আমি জানাযার সঙ্গে সঙ্গে রওয়ানা হই। যখন জানাযা নামাযের জন্য রাখা হয়, তখন আমি তাকবীর বলে আল্লাহ তায়ালা শানুহুর হামদ ও ছানা পড়ি এবং রাসূল (সা.) এর প্রতি দরূদ পাঠ করি। অতঃপর এই দুআ اللَّهُمَّ ( শেষ পর্যন্ত) পড়ি। (মুয়াত্তা ইমমা মালেক : ৭৯ পৃ.)।
ইমাম মুহাম্মদ (রহ.) বলেন, এর উপরই আমাদের আমল যে, জানাযার নামাযের মধ্যে কিরাআত নেই। আর ইহাই ইমাম আবূ হানীফা (রহ.) এর অভিমত।’’
❁ ‘মুদাওয়ানা কুবরা’ গ্রন্থের প্রথম খণ্ডের ১৫৮ ও ১৫৯ পৃষ্ঠায় আছে :
قُلْت
لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ: أَيُّ شَيْءٍ يُقَالُ عَلَى الْمَيِّتِ فِي
قَوْلِ مَالِكٍ؟
قَالَ:
الدُّعَاءُ لِلْمَيِّتِ.
قُلْتُ:
فَهَلْ يُقْرَأُ عَلَى الْجِنَازَةِ فِي قَوْلِ مَالِكٍ؟ قَالَ: لَا*
قُلْتُ:
فَهَلْ وَقَّتَ لَكُمْ مَالِكٌ ثَنَاءً عَلَى النَّبِيِّ وَعَلَى الْمُؤْمِنِينَ؟
فَقَالَ: مَا عَلِمْتُ أَنَّهُ قَالَ إلَّا الدُّعَاءَ لِلْمَيِّتِ فَقَطْ.
قَالَ
ابْنُ وَهْبٍ عَنْ دَاوُد بْنِ قَيْسٍ أَنَّ زَيْدَ بْنَ أَسْلَمَ حَدَّثَهُ:
«أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ فِي
الصَّلَاةِ عَلَى الْمَيِّتِ: أَخْلِصُوهُ بِالدُّعَاءِ» قَالَ ابْنُ وَهْبٍ عَنْ
رِجَالٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَعَلِيِّ بْنِ أَبِي
طَالِبٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَفَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ
وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَوَاثِلَةَ بْنِ الْأَسْقَعِ وَالْقَاسِمِ بْنِ
مُحَمَّدٍ وَسَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَابْنِ الْمُسَيِّبِ وَرَبِيعَةَ
وَعَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ وَيَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ: أَنَّهُمْ لَمْ يَكُونُوا
يَقْرَءُونَ فِي الصَّلَاةِ عَلَى الْمَيِّتِ.*
قَالَ ابْنُ وَهْبٍ وَقَالَ مَالِكٌ:
لَيْسَ ذَلِكَ بِمَعْمُولٍ بِهِ بِبَلَدِنَا إنَّمَا هُوَ الدُّعَاءُ، أَدْرَكْتُ
أَهْلَ بَلَدِنَا عَلَى ذَلِكَ.*
❏ অর্থাৎ ‘‘আমি ইবনে কাসিম (রহ.) কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, ইমাম মালেক (রহ.) এর অভিমত অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির জন্য কি পড়া হয়? তিনি বললেন, মৃতের জন্য দু’আ। আমি পুনরায় জিজ্ঞাসা করলাম ইমাম মালেক (রহ.) এর মতে কি জানাযার নামাযে কিরাআত আছে? তিনি জবাবে বললেন, না। ইবনে ওহাব (রহ.) বলেন যে, অসংখ্য বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ যেমন (সাহাবায়ে কিরাম (রা.) এর মধ্য থেকে) হযরত উমর বিন খাত্তাব (রা.), আলী বিন আবী তালিব (রা.), আব্দুল্লাহ বিন উমর (রা.), ফুযালা বিন উবায়দা (রা.), আবূ হুরায়রা (রা.), জাবির বিন আবদিল্লাহ (রা.), এবং ওয়াছিলা বিন আসকা (রা.)।
আর (তাবেঈন (রহ.) এর মধ্য থেকে) কাসিম বিন মুহাম্মদ (রহ.), সালিম বিন আবদিল্লাহ (রহ.), সাঈদ বিন মুসায়্যাব (রহ.), আতা বিন আবী রবাহ (রহ.) এবং ইয়াহইয়া বিন সাঈদ (রহ.) জানাযার নামাযে কিরাআত পড়তেন না। ইবনে ওহাব (রহ.) বলেন যে, ইমাম মালেক (রহ.) বলেছেন, আমাদের শহরে এর উপর আমল নেই, জানাযার নামায শুধু দু’আ। আমি আমার শহরের আহলে ইলমগণকে ইহার উপরই পেয়েছি।’’
❖ ষষ্ঠ : لَا صَلَاةَ إِلَّا بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ (সূরায়ে ফাতিহা ব্যতীত নামায হয় না) দ্বারা জানাযার নামাযে সূরায়ে ফাতিহা পড়া জরুরী হওয়ার উপর দলীল দেয়া সহীহ নয়। কেননা পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে যে, জানাযার নামায প্রকৃতপক্ষে নামাযই নয়; বরং তা দু’আ ও ইসতিগফার। অধিকন্তু ইমামের পশ্চাতে ফাতিহা পড়ার অনুচ্ছেদে এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে যে, সহীহ হাদীছসমূহে সূরায়ে ফাতিহার সঙ্গে অপর কোন সূরা পড়াকেও জরুরী বলে গণ্য করা হয়েছে। অথচ জানাযার নামাযে কিরাআত পড়ার প্রবক্তা কেউ নেই।
✏ সারকথা এই যে, জানাযার নামযে সূরায়ে ফতিহা পড়ার বিষয়টি হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। এতে আমাদের দ্বিমত নেই। তবে পড়তে হবে হামদ ও ছানা হিসাবে, কিরাআত হিসাবে নয়। আর ইহা আমাদেরই অভিমত।
❐ বি. দ্র. : সন্মানিত পাঠকগণ আপনারা এই ব্লগ এর প্রতি দৃষ্টি রাখুন, কেননা এ বিষয়ে আরো অনেকগুলো দলীল বা প্রমাণ অচিরেই সংযোজিত হবে।
✔ মহান আল্লাহ আমাদেরকে প্রত্যেকটি বিষয় দলীলসহ আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন
✍ ইতি মুফতী মো. ছানা উল্লাহ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন