❐ তাবলীগ ও আল্লামা জাকারিয়া সাহেব (রহ.) এর প্রতি অপপ্রচারের জবাব ও পাল্টা চ্যালেঞ্জ
❁ প্রশ্ন : তাবলীগের সাথীগণ বলে থাকেন : ‘‘ যে ব্যক্তি জিকির করতে করতে নিজ জিহ্বা তাজা রাখিবে, সে কিয়ামতের দিন হাসতে হাসতে জান্নাতে প্রবেশ করিবে’’ কোরআন সুন্নাহের আলোকে এ কথাটির কোন ভিত্তি রয়েছে? না কি মুরুব্বিদের বানানো বিদ-আতী ও মনগড়া কথা?
❁ উত্তর : হ্যাঁ, এ কথাটি হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। মুরুব্বিদের মনগড় বা কোন বেদ-আতি কথা নয়। দেখুন নিন্মে তার তাহকীক।
✏ ইমাম বুখারী (রহ.) এর উস্তাদ ‘ইমাম ইবনে শায়বা (রহ.)’’ এ সংক্রান্তে একটি হাসান বর্ণনা, তার নিজ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন-
مصنف ابن أبي شيبة (6/ 58)
29459 - حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ: «إِنَّ الَّذِينَ لَا تَزَالُ أَلْسِنَتُهُمْ رَطْبَةً مِنْ ذِكْرِ اللَّهِ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ وَهُمْ يَضْحَكُونَ»
হযরত আবূ দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যাদের জিহ্বা আল্লাহর জিকির দ্বারা তাজা থাকে তারা হাসতে হাসতে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
✔ হাদীসটির মান : সহীহ বুখারীর বিশিষ্ট ব্যাখ্যাবিদ, ও জারাহ তাদীলের বিখ্যাত ইমাম আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী (রহ.) উক্ত বর্ণনাটিকে তার নিজ লিখিত গ্রন্থ ‘নাতায়েজুল আফকার লি ইবনে হাজার-1/95’ এর মাঝে উল্লেখ করে বলেন-حسن موقوف এটি মাওকুফ হাদীস, মানগত দিক থেকে হাসান (তথা প্রমাণযোগ্য)। (এই কিতাবটি দারু ইবনে কাসীর থেকে 1421 হি. প্রকাশিত)
❖ প্রমাণসূত্র : মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা-6/58, হাদীস-29459, হিলয়াতুল আওলিয়া-1/219, আজ যুহদ ওয়ার রেকাক লি ইবনিল মুবারক (রহ.)-1/397, হাদীস-1126, জামিউল উলুম ওয়াল হেকাম-3/1287, কানযুল ওম্মাল-1/427, হাদীস-1839, আল জামিউস সাগীর-1/717, হাদীস-4966, নাতায়েজুল আফকার লি ইবনে হাজার-1/95 । ইত্যাদি কয়েক ডজন কিতাবে হাদীসটি উল্লেখ রয়েছে।
❁দেখুন জিকিরের মাধ্যমে জিহ্বা তাজা রাখা সংক্রান্ত আরো কিছু বর্ণনা ও তার বিনিময়❁
❁ 01 : দলীল-
سنن الترمذي (5/ 457)
3375
- حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ قَالَ: حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ
بْنِ صَالِحٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ قَيْسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ، أَنَّ رَجُلًا
قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ شَرَائِعَ الإِسْلَامِ قَدْ كَثُرَتْ عَلَيَّ، فَأَخْبِرْنِي
بِشَيْءٍ أَتَشَبَّثُ بِهِ، قَالَ: «لَا يَزَالُ لِسَانُكَ رَطْبًا مِنْ ذِكْرِ اللَّهِ»:
«هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الوَجْهِ»
_______
[حكم
الألباني] : صحيح
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে বুসর (রা.) হতে বর্নিত আছে যে, এক সাহাবী আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, শরীয়তের হুকুম তো অনেক রয়েছে (যার উপর আমল করা জরুরী, কিন্তু) আমাকে এমন কোন আমলবলে দিন যা আমি নিজের অযীফা বানিয়েনিবো । তিনি এরশাদ করলেন, তোমার জিহ্বা যেন সর্বদা আল্লাহ তায়ালার যিকিরে সিক্ত (তাজা) থাকে। তিরমিযী-5/457, হাদীস-3375, এছাড়াও আরো অসংখ্য গ্রন্থে হাদীসটি রয়েছে প্রশিদ্ধতার কারণে অন্য অন্য কিতাবের রেফারেন্স পেশ করলাম না।
❐ আহলে হাদীস ভাইদের মহাগুরু শায়খ নাসির উদ্দীন আলবানী সাহেব নিজেই উক্ত হাদীসটি সহীহ বলেছেন, আমি তার উদ্ধৃতি আরবীতে সরাসরি উল্লেখ করেছি। অতএব এখানে সহীহ যয়ীফ বলে মন্তব্য করার কোন সুযোগ নেই।
❁ 02 : দলীল উক্ত বর্ণনার কাছাকাছি আরো একটি বর্ণনা-
مسند أحمد مخرجا (29/ 240)
17698 - حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ يَعْنِي ابْنَ صَالِحٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ قَيْسٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ بُسْرٍ يَقُولُ: جَاءَ أَعْرَابِيَّانِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ أَحَدُهُمَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَيُّ النَّاسِ خَيْرٌ؟ قَالَ: «مَنْ طَالَ عُمْرُهُ، وَحَسُنَ عَمَلُهُ» وَقَالَ الْآخَرُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ شَرَائِعَ الْإِسْلَامِ قَدْ كَثُرَتْ عَلَيَّ، فَمُرْنِي بِأَمْرٍ أَتَثَبَّتُ بِهِ، فَقَالَ: «لَا يَزَالُ [ص:241] لِسَانُكَ رَطْبًا مِنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ»
❐ মুসনাদে আহমদ-29/240, হাদীস-17698। শায়খ নাসির উদ্দীন আলবানীসহ অসংখ্য ইমাম উক্ত বর্ণনাটিকে সহীহ বলেছেন। সিলসিলাতুস সহীহা-1836।
❁ 03 : দলীল-
عمل اليوم والليلة
لابن السني (ص: 4)
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ
بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ، حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا
الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ ابْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ
جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ يَخَامِرَ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، رَضِيَ
اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: آخِرُ كَلِمَةٍ فَارَقْتُ عَلَيْهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَخْبِرْنِي بِأَحَبِّ الْأَعْمَالِ
إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. قَالَ: «أَنْ تَمُوتَ وَلِسَانُكَ رَطْبٌ مِنْ ذِكْرِ
اللَّهِ تَعَالَى»
হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, {রাসূল (সা.) দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়ার পূর্বে তার শেষ বাণী} আমি তাকে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ আমাকে আল্লাহর নিকট সর্ব উত্তম আমল সম্পর্কে বলুন । তিনি বললেন তুমি মৃত্যু শয্যায় সজ্জিত অবস্থায়ও তোমার জিহ্বাকে আল্লাহর জিকির দ্বারা শিক্ত (তাজা) রাখ ।
❐ প্রমাণ সূত্র : আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলা লি ইবনিস সুন্নি-04, আত তারগীব ওয়াত তারহীব লিল মুনজেরী-2/253, হদীস-2289, মাজমাউয যাওয়ায়েদ-10/77, ইবনে হিব্বান-818, ইত্তেহাফুল খাইরাতিল মাহরাহ-6/378, নাতায়েজুল আফকার-1/94, আল ফুতুহাতুর রাব্বানিয়াহ-1/257, সহীহুত তারগীব লিল আলবানী-1499 ইত্যাদি অসংখ্য গ্রন্থাবলী।
❐ উক্ত হাদীসটিকে আল্লামা মুনজেরী, ইবনে হাজার আসকালানী, ইবনে হিব্বান, বুয়াইসিরী, শায়খ আলবানী সহ অনেক ইমাম হাসান (তথা প্রমাণ যোগ্য) বলে মন্তব্য করেছেন। (রেফারেন্স উপরে উল্লেখ হয়েছে ‘প্রমাণসূত্র’ এর মাঝে।)
❁ 04 : দলীল, জিকিরকারীর বিনিময় কি হবে?-
صحيح البخاري (1/ 133)
660 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ بُنْدَارٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي خُبَيْبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " سَبْعَةٌ يُظِلُّهُمُ اللَّهُ فِي ظِلِّهِ، يَوْمَ لاَ ظِلَّ إِلَّا ظِلُّهُ: الإِمَامُ العَادِلُ، وَشَابٌّ نَشَأَ فِي عِبَادَةِ رَبِّهِ، وَرَجُلٌ قَلْبُهُ مُعَلَّقٌ فِي المَسَاجِدِ، وَرَجُلاَنِ تَحَابَّا فِي اللَّهِ اجْتَمَعَا عَلَيْهِ وَتَفَرَّقَا عَلَيْهِ، وَرَجُلٌ طَلَبَتْهُ امْرَأَةٌ ذَاتُ مَنْصِبٍ وَجَمَالٍ، فَقَالَ: إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ، وَرَجُلٌ تَصَدَّقَ، أَخْفَى حَتَّى لاَ تَعْلَمَ شِمَالُهُ مَا تُنْفِقُ يَمِينُهُ، وَرَجُلٌ ذَكَرَ اللَّهَ خَالِيًا فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ "
হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) রাসূল (সা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, আল্লাহ তায়ালা সাত ধরনের ব্যক্তিকে তার আরশের নিচে ছায়া দান করবেন, যে দিন তাঁর ছায়া ব্যতিত অন্য কোন ছায়া থাকবে না (এক কথায় তারা জান্নাত পাবে)...................................সপ্তম ব্যক্তি যে নিরবে আল্লাহর জিকির করে, অতঃপর তার চক্ষুদ্বয় অশ্রুশিক্ত হয়। বুখারী-1/133, হাদীস-660 ।
✏ সারকথা : উল্লেখিত আলোচনা থেকে ফাযায়েলে আমল এর কথাটি আরো মজবুত হলো, কেননা উক্ত চারটি হাদীস এর মাঝে আমরা দেখেছি যে, রাসূল (সা.) জিকির এর জন্য জিহ্বাকে শিক্ত (তাজা) রাখার কথা বলেছেন, আর জিকিরকারীর বিনিময় জান্নাত যা শেষ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। অতএব তাবলীগ ও আল্লামা জাকারিয়া সাহেব (রহ.) এর উপর আপত্তি করার সুযোগ কোথায়?
মহান আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন
░▒▓█► চ্যালেঞ্জ◄█▓▒░
#শায়খুল হাদীস আল্লমা জাকারিয়া সাহেব (রহ.) জিকিরের ফাযায়েল সংক্রান্ত মাত্র একটি সহীহ কথা {তথা আবু দারদা (রা.) এর বর্ণিত হাদীসটি} সংকলন করেছেন। (‘ফাযায়েলে আমলের 336 নং পৃষ্ঠা)। আমাদের আহলে হাদীস ভাইগণ উক্ত হাদীস না জানার কারণে তার প্রতি মিথ্যাচার শুরু করে দিয়েছে।
যাই হোক যদি না জানা সত্ত্বেও বলে থাকে তাহলে আজ থেকে তাওবা করা উচিত। এখন আমি তাদের নয়নের শিরোমনি যাকে দিয়ে তারা অসংখ্য জায়গায় দলীল পেশ করে থাকে ‘আ্ল্লামা ইবনুল কায়্যিম জাওযী (রহ.)’’ তার রচিত কিতাব থেকে জিকিরের 40টি ফাযায়েল কথা উল্লেখ করবো, আর আহলে হাদীস ভাইদের প্রতি এগুলো হাদীস অথবা কোরআন থেকে সাব্যস্ত করার জন্য আবেদন রাখবো।
বি.দ্র. : হাদীস যয়ীফ হলেও চলবে। (একটু ছাড়া দেওয়ার লক্ষে)
✏ الوابل الصيب من الكلم الطيب (ص: 41)
وفي الذكر أكثر من مائة فائدة:
1- يرضي الرحمن. 2- يزيل الهم والغم.
3- يجلب الفرح والسرور
والسعادة.
4- ينوّر القلب والبدن. 5-
ينوّر الوجه.
6- يجلب الرزق. 7- يفتح
أبواب المعرفة.
8- يورث مراقبة الله عز
وجل.
9- يحط الخطايا ويرفع الدرجات .
10- يزيل الوحشة بينه وبين
الله عز وجل.
11- أن من عرف الله في
الرخاء عرفه في الشدة.
12- سبب لنزول السكينة.
13- سبب لانشغال اللسان عن
الغيبة وغيرها.
14- مجالس الذكر مجالس
للملائكة.
15- الذكر نورٌ للذاكر في
الدنيا والآخرة.
16- الذكر رأس الشكر لله
سبحانه وتعالى.
17- القلب لا يليِّنه بعد
قسوته إلا ذكر الله عز وجل.
18- الذكر يجلب الرزق
والنعم ويدفع النقم.
19- يباهي الله عز وجل
ملائكته بالذاكرين له.
20- أفضل الأعمال من كان
أكثرهم ذكراً.
21- الملائكة تستغفر للذاكر
عز وجل.
22- كثرة الذكر أمان من
النفاق.
23- ذكر الله في أماكن
متعددة يدل على كثرة الشهود يوم القيامة.
24- ذكر الله ينجّي من عذاب
الله عز وجل.
25- ذكر الله يظل الذاكر في
يوم القيامة.
26- الذكر أيسر العبادة
وأسهلها.
27- الذكر غراس للجنة.
28- الذكر فيه حياة القلوب
والأرواح.
29- الذكر يؤمن العبد من
الحسرة والندامة في يوم القيامة.
30- الذكر يعدل عتق رقاب.
31- الذكر فيه شفاء القلوب
والأبدان.
32- الذكر موجب لصلاة الله
وملائكته.
33- ذكر الله فيه إعانة
لقضاء الأمور.
34- الذكر سد للذاكر بينه
وبين جهنم.
35- الذكر حرز من الشيطان.
36- الذكر روضة من رياض
الجنة.
37- الذكر سببٌ في انكسار
القلب.
38- الذكر جلاء للقلب من
آثار الذنوب والمعاصي.
39- الذكر قامت عليه جميع
العبادات.
40- ذكر الله فيه الاشتغال
عن الكلام بالباطل.
❐ দেখুন আল্লামা ইবনুল কায়্যিম (রহ.) এর রচিত গ্রন্থ ‘আল ওয়াবেলুস সীব মিনাল কালামিত তীব’’ এর 41 নং পৃষ্ঠা।
✪ আসুন এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার জন্য আহলে হাদীস ভাইদেরকে কিয়ামত পর্যন্ত সময় দেয়া হলো ।
✔ মহান আল্লাহ আমাদেরকে অপপ্রচার থেকে বেঁচে থাকার তাওফীক দান করুন। আমীন
✍ ইতি মুফতী মো. ছানা উল্লাহ
✔ মহান আল্লাহ আমাদেরকে অপপ্রচার থেকে বেঁচে থাকার তাওফীক দান করুন। আমীন
✍ ইতি মুফতী মো. ছানা উল্লাহ
আহলে ইলমদের জন্য জিকির সংক্রান্ত আরো কিছু আয়াত ও হাদীস উল্লেখ করা হলো
❁ قد أمر
الله المؤمنين بأن يذكروه ذكرا كثيرا، ومدح من ذكره كذلك. قال تعالى: (ٰأَيُّهَا
ٱلَّذِينَ آمَنُواْ ٱذْكُرُواْ ٱللَّهَ ذِكْراً كَثِيراً وَسَبِّحُوهُ بُكْرَةً
وَأَصِيلاً)[1]، وقال تعالى: (وَٱذْكُرُواْ ٱللَّهَ كَثِيراً لَّعَلَّكُمْ
تُفْلِحُونَ)[2]، وقال تعالى: (وَٱلذَّاكِـرِينَ ٱللَّهَ كَثِيراً وَٱلذَّاكِرَاتِ
أَعَدَّ ٱللَّهُ لَهُم مَّغْفِرَةً وَأَجْراً عَظِيماً)[3]، الأحزاب وقال تعالى:
(لَّذِينَ يَذْكُرُونَ ٱللَّهَ قِيَاماً وَقُعُوداً وَعَلَىٰ جُنُوبِهِمْ)[ 4 ].
❁ صحيح البخاري (8/ 86)
6407 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ العَلاَءِ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَثَلُ الَّذِي يَذْكُرُ رَبَّهُ وَالَّذِي لاَ يَذْكُرُ رَبَّهُ، مَثَلُ الحَيِّ وَالمَيِّتِ»
❁ صحيح مسلم (1/ 282)
117 - (373) حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، قَالَا: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ خَالِدِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنِ الْبَهِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَذْكُرُ اللهَ عَلَى كُلِّ أَحْيَانِهِ»
❁ شعب الإيمان (2/ 54)
508 - مَا أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيُّ، حدثنا الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحَافِظُ، حدثنا إِسْحَاقُ [ص:55] بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ يُونُسَ بِمِصْرَ، حدثنا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ، حدثنا عَمْرُو بْنُ حُصَيْنٍ، حدثنا مُحَمَّدُ بْنُ عُلَاثَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَبِي عَبْلَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلِّي اللهِ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَا مِنْ سَاعَةٍ تَمُرُّ بِابْنِ آدَمَ لَمْ يَذْكُرِ اللهَ فِيهَا إِلَّا تَحَسَّرَ عَلَيْهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ " " وَفِي هَذَا الْإِسْنَادِ ضَعْفٌ غَيْرَ أَنَّ لَهُ شواهدَ مِنْ حَدِيثِ مُعَاذٍ "
❁ صحيح البخاري (9/ 121)
7405 - حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، سَمِعْتُ أَبَا صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى: أَنَا عِنْدَ ظَنِّ عَبْدِي بِي، وَأَنَا مَعَهُ إِذَا ذَكَرَنِي، فَإِنْ ذَكَرَنِي فِي نَفْسِهِ ذَكَرْتُهُ فِي نَفْسِي، وَإِنْ ذَكَرَنِي فِي مَلَإٍ ذَكَرْتُهُ فِي مَلَإٍ خَيْرٍ مِنْهُمْ، وَإِنْ تَقَرَّبَ إِلَيَّ بِشِبْرٍ تَقَرَّبْتُ إِلَيْهِ ذِرَاعًا، وَإِنْ تَقَرَّبَ إِلَيَّ ذِرَاعًا تَقَرَّبْتُ إِلَيْهِ بَاعًا، وَإِنْ أَتَانِي يَمْشِي أَتَيْتُهُ هَرْوَلَةً "
❁ صحيح مسلم (4/ 2062)
4 - (2676) حَدَّثَنَا أُمَيَّةُ بْنُ بِسْطَامَ الْعَيْشِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنِ الْعَلَاءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَسِيرُ فِي طَرِيقِ مَكَّةَ فَمَرَّ عَلَى جَبَلٍ يُقَالُ لَهُ جُمْدَانُ، فَقَالَ: «سِيرُوا هَذَا جُمْدَانُ سَبَقَ الْمُفَرِّدُونَ» قَالُوا: وَمَا الْمُفَرِّدُونَ؟ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ: «الذَّاكِرُونَ اللهَ كَثِيرًا، وَالذَّاكِرَاتُ»
❁ صحيح ابن حبان - محققا (3/ 99)
817 - أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَمْدَانِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو الطَّاهِرِ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَنَّ أَبَا السَّمْحِ حَدَّثَهُ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «أَكْثِرُوا ذِكْرَ اللَّهِ حَتَّى يَقُولُوا: مَجْنُونٌ»
إسناده ضعيف لضعف دراج في روايته عن أبي الهيثم، وأخرجه أحمد 3/68 عن سريج، عن ابن وهب، بهذا الإسناد، وهو في "المنتخب من مسند عبد بن حميد" 102/1، وتاريخ ابن عساكر 6/29/2 من طريق دراج، به، وصححه الحاكم 1/499 من طريق أبي الطاهر وغيره به. وقد سقط الحديث من تلخيص الذهبي المطبوع، والمرجح أنه لا يوافقه على التصحيح، فإنه يتعقبه في غير ما حديث من الأحاديث التي يرويها بهذا السند، فقول عن دراج: إنه كثير المناكير، وقد ساق له في "ميزان الإعتدال " أحاديث منكرة. وعد هذا منها.
❁ وأخرجه أحمد 3/71، عن حسن بن موسي، عن ابن لهيعة، عن أبي السمح دراج، به.
وذكره الهيثمي في " مجمع الزوائد " 10/75-76 وقال. رواه أحمد، وأبو يعلى وفيه دراج، وقد ضعفه جماعة، وبقية رجال أحد إسنادي أحمد ثقات.
مسند أحمد ط الرسالة (24/ 380)
15614 - حَدَّثَنَا حَسَنٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، حَدَّثَنَا زَبَّانُ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رَجُلًا سَأَلَهُ فَقَالَ: أَيُّ الْجِهَادِ أَعْظَمُ أَجْرًا؟ قَالَ: " أَكْثَرُهُمْ لِلَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى ذِكْرًا " قَالَ: فَأَيُّ الصَّائِمِينَ أَعْظَمُ أَجْرًا؟ قَالَ: " أَكْثَرُهُمْ لِلَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى ذِكْرًا "، ثُمَّ ذَكَرَ لَنَا الصَّلَاةَ، وَالزَّكَاةَ، وَالْحَجَّ، وَالصَّدَقَةَ كُلُّ ذَلِكَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " أَكْثَرُهُمْ لِلَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى ذِكْرًا " فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ لِعُمَرَ: يَا أَبَا حَفْصٍ ذَهَبَ الذَّاكِرُونَ بِكُلِّ خَيْرٍ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَجَلْ " إسناده ضعيف
❁ المستدرك على الصحيحين للحاكم (2/ 323)
3159 - حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حَمْشَاذَ الْعَدْلُ، ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ الْحَارِثِ، ثنا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، وَأَبُو نُعَيْمٍ قَالَا: ثنا مِسْعَرٌ، عَنْ زُبَيْدٍ، عَنْ مُرَّةَ بْنِ شَرَاحِيلَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ " {اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ} [آل عمران: 102] قَالَ: أَنْ يُطَاعَ فَلَا يُعْصَى وَيُذْكَرَ فَلَا يُنْسَى «هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ عَلَى شَرْطِ الشَّيْخَيْنِ وَلَمْ يُخْرِجَاهُ»
[التعليق - من تلخيص الذهبي] 3159 - على شرط البخاري ومسلم
❁ আরো বিস্তারিত দেখুন নিন্ম লিংকে-http://www.kalemtayeb.com/index.php/kalem/quran/sub/1584
সমাপ্ত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন