শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৫

ফেঁসে গেল জীবন গল্পের FM রেডিওসহ অন্য মাধ্যমগুলো

ফেঁসে গেল জীবন গল্পের FM রেডিওসহ অন্য মাধ্যমগুলো
░▒▓█►( গুনাহ করার পর তা না বলার চেষ্টা করুন। কেননা আপনার গুনাহ প্রকাশ করাতেই জন্ম হচ্ছে মহামারী ও নিত্যনতুন  ব্যাধিসহ অসংখ্য সমস্যা )◄█▓▒

 বর্তমানে আমাদের দেশসহ পৃথীবির অনেক রাষ্টে বিভিন্ন FM রেডিও, টিভি, ফেসবুক, পত্রিকা ইত্যাদির মাঝে দেখা যায়, মানুষ তার জীবনে গুনাহ করার পর প্রকাশ করে, আসলে ইসলামের বিধান অনুসারে এগুলো কোন ভাবেই প্রকাশ করা উচিৎ না।  দেখুন নিন্মে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচন করা হলো-

✏ মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন-
{لَا يُحِبُّ اللَّهُ الْجَهْرَ بِالسُّوءِ مِنَ الْقَوْلِ إِلَّا مَنْ ظُلِمَ وَكَانَ اللَّهُ سَمِيعًا عَلِيمًا} [النساء: 148]
অর্থ : আল্লাহ কোন মন্দ বিষয় প্রকাশ করা পছন্দ করেন না। তবে কারো প্রতি জুলুম হয়ে থাকলে সে কথা আলাদা। আল্লাহ শ্রবণকারী, বিজ্ঞ। সূরা আন-নিসা-১৪৮। 
মহান আল্লাহর উক্ত বিধান দ্বারা আমরা স্পষ্ট যে, জীবনে সংঘটিত গুনাহকে অন্যের কাছে প্রকাশ না করা। কিন্তু জুলুমের শিকার অথবা অপরাধির শাস্তির দাবী ইত্যাদি কারণে এধরনের কাজ করা যাবে।


✏ সহীহ বুখারীর মাঝে রাসূল (সা.) এধরনের ব্যক্তিবর্গকে সম্বধোন করে বলেন-
صحيح البخاري (8/ 20)
6069 - حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ أَخِي ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " كُلُّ أُمَّتِي مُعَافًى إِلَّا المُجَاهِرِينَ، وَإِنَّ مِنَ المُجَاهَرَةِ أَنْ يَعْمَلَ الرَّجُلُ بِاللَّيْلِ عَمَلًا، ثُمَّ يُصْبِحَ وَقَدْ سَتَرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ، فَيَقُولَ: يَا فُلاَنُ، عَمِلْتُ البَارِحَةَ كَذَا وَكَذَا، وَقَدْ بَاتَ يَسْتُرُهُ رَبُّهُ، وَيُصْبِحُ يَكْشِفُ سِتْرَ اللَّهِ عَنْهُ "
অর্থ : হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আমার প্রত্যেক ‍উম্মত ক্ষমাযোগ্য ‘মুজাহীরিন’ ব্যতীত। আর ‘মুজাহের’ হলো কোন ব্যক্তি রাত্রের (অন্ধকারে) কোন খারাপ কাজ করলো, সকাল বেলায় মহান আল্লাহ তার সেই কৃতকর্ম অন্যদের থেকে ঢেকে রাখলো, কিন্তু সে মানুষকে বলতে থাকে এই অমুক ব্যাক্তি আমি গত রাত্রে এই এই কাজ ( পাপ কর্ম ) করেছি । অথচ মহান প্রতিপালক তার রাত্রের অন্ধকারের গুনাহকে ঢেকে রেখেছেন, আর সে সকাল বেলায় মহান আল্লাহ তায়ালা ঢাকা পর্দাকে লোক মুখে উন্মচন করে দিচ্ছে। সহীহ বুখারী-৮/২০, হাদীস-৬০৬৯।
উক্ত হাদীস দ্বারা স্পষ্ট, যারা নিজ গুনাহকে লোক সম্মুখে প্রকাশ করে তারা কখনো ক্ষমাযোগ্য নয়। তাই আমরা সকলেই চেষ্টা করবো আমাদের নিজ জীবনের গুনাহকে বৈধ কারণ ব্যতীত অন্যের সামনে প্রকাশ না করতে।

✏ অন্য একটি হাদীসে রাসূল (সা.) বলেন-
 المستدرك على الصحيحين للحاكم (4/ 425)
8158 - حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ، أَنْبَأَ الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ثَنَا أَسَدُ بْنُ مُوسَى، ثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ بَعْدَ أَنْ رَجَمَ الْأَسْلَمِيَّ، فَقَالَ: «اجْتَنِبُوا هَذِهِ الْقَاذُورَةَ الَّتِي نَهَى اللَّهُ عَنْهَا، فَمَنْ أَلَمَّ فَلْيَسْتَتِرْ بِسِتْرِ اللَّهِ وَلْيَتُبْ إِلَى اللَّهِ، فَإِنَّهُ مَنْ يَبْدُ لَنَا صَفْحَتُهُ نُقِمْ عَلَيْهِ كِتَابَ اللَّهِ تَعَالَى عَزَّ وَجَلَّ» 
[التعليق - من تلخيص الذهبي] 8158 - على شرط البخاري ومسلم
অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা  আল্লাহর নিষিদ্ধ অশ্লীলতা/নোংরা কাজগুলো থেকে বেঁচে থাক। আর কেউ যদি এই সব কাজে লিপ্ত হয়েও যাও, তাহলে (কারো কাছে প্রকাশ না করে) মহান আল্লাহর পর্দা দ্বারা ঢেকে রাখ এবং তাওবা কর। কেননা সে যদি আমাদের কাছে তার ঐ সব কৃত কর্ম স্পষ্ট/প্রকাশ করে, তাহলে আমরা তার উপর আল্লাহ বিধান বাস্তবায়ন করবো। (অর্থাৎ ইসলাম অনুপাতে তার শাস্তি প্রদান করা হবে)। মুসতাদরাকে হাকেম-৪/৪২৫, হাদীস-৮১৫৮। হাদীসটি সহীহ।
উক্ত হাদীস দ্বারাও স্পষ্ট যে, আমরা জীবনে নিজ খারাপ কৃতকর্মগুলোকে মানুষের কাছে প্রকাশ করবো না। যদি করে থাকি তাহলে ইসলাম অনুপাতে ঐ পাপকর্মের যে শাস্তি তাকে ঐ শাস্তি প্রদান করা হবে, কেননা সে নিজেই নিজের গুনাহের সাক্ষ্য দিচ্ছে, আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এসব নিষিদ্ধ কর্ম থেকে হেফাজত করুন। আমীন!

░▒▓█► এখন দেখুন মহামারী সহ নিত্যনতুন সকল রোগ ব্যাধি কেন সৃষ্টি হচ্ছে এই উম্মতের মাঝে, আরো কত কি-
سنن ابن ماجه (2/ 1332)
4019 - حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ الدِّمَشْقِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَبُو أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ: أَقْبَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: " يَا مَعْشَرَ الْمُهَاجِرِينَ خَمْسٌ إِذَا ابْتُلِيتُمْ بِهِنَّ، وَأَعُوذُ بِاللَّهِ أَنْ تُدْرِكُوهُنَّ: لَمْ تَظْهَرِ الْفَاحِشَةُ فِي قَوْمٍ قَطُّ، حَتَّى يُعْلِنُوا بِهَا، إِلَّا فَشَا فِيهِمُ الطَّاعُونُ، وَالْأَوْجَاعُ الَّتِي لَمْ تَكُنْ مَضَتْ فِي أَسْلَافِهِمُ الَّذِينَ مَضَوْا، وَلَمْ يَنْقُصُوا الْمِكْيَالَ وَالْمِيزَانَ، إِلَّا أُخِذُوا بِالسِّنِينَ، وَشِدَّةِ الْمَئُونَةِ، وَجَوْرِ السُّلْطَانِ عَلَيْهِمْ، وَلَمْ يَمْنَعُوا زَكَاةَ أَمْوَالِهِمْ، إِلَّا مُنِعُوا الْقَطْرَ مِنَ السَّمَاءِ، وَلَوْلَا الْبَهَائِمُ لَمْ يُمْطَرُوا، وَلَمْ يَنْقُضُوا عَهْدَ اللَّهِ، وَعَهْدَ رَسُولِهِ، إِلَّا سَلَّطَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ غَيْرِهِمْ، فَأَخَذُوا بَعْضَ مَا فِي أَيْدِيهِمْ، وَمَا لَمْ تَحْكُمْ أَئِمَّتُهُمْ بِكِتَابِ اللَّهِ، وَيَتَخَيَّرُوا مِمَّا أَنْزَلَ اللَّهُ، إِلَّا جَعَلَ اللَّهُ بَأْسَهُمْ بَيْنَهُمْ "
অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের দিকে এগিয়ে আসলেন, অতঃপর তিনি বললেন : হে মুহাজিরগণ। তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মুখিন হবে, তবে আমি আল্লাহর কাছে পানাহ চাচ্ছি যেন তোমরা তাতে পতিত না হও। (সেই পাঁচটি বিষয় হচ্ছে) : যখন কোন জাতির মাঝে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে, তখন সেখানে প্লেগ মহামারী আকারে দেখা দিবে, তাছাড়া এমন সব ব্যাধি ছড়িয়ে পড়বে যা পূর্বকার লোকদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি। যখন কোন জাতি ওজন বা পরিমাপে কারচুপি করবে তখন তাদের মাঝে নেমে আসবে দুর্ভিক্ষ, কঠিন বালা মুসিবত, জালিম শাসক গোষ্ঠি তাদের উপর নিপীড়ন করবে। যখন কোন জাতি তাদের ধন-সম্পদের যাকাত আদায় করে না, তখন আসমানের বৃষ্টি বন্ধ করে দেয়া হবে। যদি ভূ-পৃষ্ঠে চতুস্পদ জন্তু (গরু, ছাগল, ভেড়া, কুকুর ইত্যাদি) না থাকতো, তাহলে আর বৃষ্টিপাত হতো না। আর যখন কোন জাতি আল্লাহ ও তার রাসূলের অঙ্গিকার ভঙ্গ করে, তখন আল্লাহ তাদের উপর এক দুশমনকে ক্ষমতাসীন করেন, যে তাদের বংশদ্ভুত নয়, এবং সে তাদের হাতে যা আছে তা থেকে কেড়ে নিবে। আর যখন তোমাদের শাসকবর্গ আল্লাহর কিতাব অনুসারে মিমাংসা করবে না এবং আল্লাহর নাযিল কৃত বিধানকে ইখতিয়ার/বেছে নিবে না, তখন আল্লাহ তাদের পরস্পর যুদ্ধ বিগ্রহ লাগিয়ে দিবেন। ইবনে মাজা-২/১৩৩২, হাদীস-৪০১৯। হাদীসটি হাসান তথা প্রমাণযোগ্য।

✏ এখন দেখুন নিজ ‍গুনাহ প্রকাশ করলে দুনিয়াবী কি সমস্যা হচ্ছে-
ومن أسبآب شنآعتهآ وقبحهآ  ( أن فيهآ دعوة للنآس إلى الوقوع في المعآصي والانغمآس في وحلهآ حيث إن هذآ البآرز لله بالمعصية   يدعو بلسآن حاله   كل من رآه أو سمع به .. 
নিজ গুনাহ পাপাচার অশ্লীলতা প্রকাশের দ্বারা, অন্য মানুষগুলোও ঐ সব গুনাহের দিকে অগ্রসর হবে ও ঝুকে পড়বে। আর তাছাড়া এই সব অশ্লীলতাগুলো যারা দেখছে ও শুনছে তাদের নিকট অভ্যন্তরীন ভাবে ঐ গুনাহের প্রতি এক ধরনের দাওয়াত পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। (এ হলো দুনিয়াবী একটি বড় ক্ষতিকর কাজ, আপনার গুনাহ প্রকাশের কারণে অন্য ভাই ও বোনেরাও তা করতে উৎসাহি হচ্ছে।) 

✏ আর এ সম্পর্কে হাদীস এর মাঝে এসেছে-
صحيح مسلم (4/ 2060)
16 - (2674) حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَابْنُ حُجْرٍ، قَالُوا: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ يَعْنُونَ ابْنَ جَعْفَرٍ، عَنِ الْعَلَاءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَنْ دَعَا إِلَى هُدًى، كَانَ لَهُ مِنَ الْأَجْرِ مِثْلُ أُجُورِ مَنْ تَبِعَهُ، لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا، وَمَنْ دَعَا إِلَى ضَلَالَةٍ، كَانَ عَلَيْهِ مِنَ الْإِثْمِ مِثْلُ آثَامِ مَنْ تَبِعَهُ، لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ آثَامِهِمْ شَيْئًا»
অর্থ :  হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি অন্য কাউকে হেদায়েত এর দিকে পথ প্রদর্শন করে, তাহলে সে ব্যক্তি অনুসরনকারী ব্যক্তির ন্যায় সওয়াব পাবে। আর তার সওয়াব থেকে বিন্দু মাত্রও কমানো হবে না। আর যে ব্যক্তি কাউকে গোমরাহি ও ভ্রান্তির দিকে পথ প্রদর্শন করে, সেও ঐ গুনাহের অনুসারি ব্যক্তির ন্যায় গুনাহগার হবে, আর তার গুনাহ থেকে বিন্দু মাত্রও কমানো হবে না। সহীহ মুসলিম-৪/২০৬০, হাদীস-২৬৭৪।
উক্ত হাদীস থেকেও আমরা স্পষ্ট যে, নিজ গুনাহ প্রকাশ করতে গিয়ে অন্য কোন ব্যক্তি যদি আপনার সেই আলোচনা দেখা বা শুনার পর ঐ ধরনের পাপে লিপ্ত হয়, তাহলে তার গুনাহের একটি অংশ আপনি নিজেও পেয়ে যাবেন। অতএব এধরনের গুনাহ প্রকাশ থেকে আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন। আমীন!

✏ শেষ কথা হলো, গুনাহ প্রকাশ না করে আমরা কি করবো? দেখুন তার সমাধান পবিত্র কোরআন থেকে-
{وَالَّذِينَ إِذَا فَعَلُوا فَاحِشَةً أَوْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ ذَكَرُوا اللَّهَ فَاسْتَغْفَرُوا لِذُنُوبِهِمْ وَمَنْ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا اللَّهُ وَلَمْ يُصِرُّوا عَلَى مَا فَعَلُوا وَهُمْ يَعْلَمُونَ} [آل عمران: 135]
অর্থ : তারা কখনও কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে কিংবা কোন মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের উপর জুলুম  করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন? তারা নিজের কৃতকর্মের জন্য হঠকারিতা প্রদর্শন করে না এবং জেনে শুনে তাই করতে থাকে না। সূরা আল ইমরান-১৩৫।

{ إِلَّا مَنْ تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُولَئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا (70) وَمَنْ تَابَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَإِنَّهُ يَتُوبُ إِلَى اللَّهِ مَتَابًا } [الفرقان: 70، 71]
অর্থ : যে তাওবা করে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গুনাহকে সওয়াব দ্বারা পরিবর্তিত করে দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। যে তাওবা করে ও সৎকর্ম করে, সে ফিরে আসার স্থানে আল্লাহর দিকে ফিরে আসে। সূরা ফুরকান-৭০-৭১।

উক্ত দুটি আয়াত থেকে স্পষ্ট যে, নিজ গুনাহ কে প্রকাশ না করে আমরা মহান আল্লাহ নিকট তাওবা করবো এবং জীবনে অন্য কখনো এ ধরনের গুনাহ না করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করবো। মহান আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথ অবলম্বন করার তাওফীক দান করুন। আমীন

✍ ইতি মুফতী মো. ছানা উল্লাহ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন