দুনিয়াতে আল্লাহকে দেখা সম্ভব?
আসসালামু আলাইকুম মুফতি সাহেব !
আমি মোঃ রেজওয়ানূর রহমান ! মোহাম্মদপূর,ঢাকা !
বেশ কিছু দিন যাবত কথিত আহলে হাদিসরা 'দাওয়াত ও তাবলীগ' এর মত হক্ক মেহনত এর বিরুদ্ধে নানা রকম মিথ্যাচার ও অপবাদ রটিয়ে চলেছে ! সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এবং এই মেহনত থেকে দুরে সরানোর জন্য এদের সীমাহীন ফিৎনা মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে !
'ফাজায়েলে আমাল' এর কিছু ঘটনাকে এরা কূরআন ও হাদীস বিরোধী আক্ষা দিয়ে অপপ্রচার করছে ! যেমন নিম্ন বর্ণীত এই ঘটনাটি নিয়ে এরা সর্বাধীক অপপ্রচার করে থাকে -
ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল আল্লাহ তায়ালাকে স্বপ্নে দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, ‘’হে আল্লাহ! আপনার দরবারে নৈকট্য লাভের জন্য সবচেয়ে বড় উসিলা কি?’’ উত্তর আসিল, আহমাদ! সেটা আমার কালাম।‘’আমি আরয করিলাম, ‘’বুঝিয়া পড়িলে নাকি না বুঝিয়া পড়িলে?’’এরশাদ হইল,‘’বুঝিয়া পড়ুক বা না বুঝিয়া পড়ুক উভয় অবস্থাই নৈকট্যের উসিলা’’
ফাজায়েলে আমল; ফাজায়েলে কুরআন; মুহাম্মাদ যাকারিয়া ছাহেব কান্ধলভি; অনুবাদক- মুফতি মুহাম্মাদ উবাইদুল্লাহ; নজরে ছানী ও সম্পাদনা হাফেজ মাওলানা মুহাম্মাদ যুবায়ের ছাহেব ও মাওলানা রবিউল হক ছাহেব; কাকরাইল মসজিদ, ঢাকা। প্রকাশনা- দারুল কিতাব, ৫০ বাংলাবাজার, ঢাকা; অক্টোবর ২০০১ ইং; পৃষ্ঠা নঃ ৫৪
তাদের দাবি এই ঘটনাটি কূফরী-শীরকি এবং কূরআন সূন্নাহ বিরোধী !
ইমাম আহমাদ বিন হাম্বলের নামে এটি একটি মিথ্যা কথা, যা তিনি অসংখ্য কিতাব লিখেছেন। তারা তাদের সাধ্যমত খোজ করেও তাঁর কোন কিতাবে উপরোক্ত ঘটনার উল্লেখ নাকি পাই নি। আর আল্লাহ কে দুনিয়ায় দেখার বিষয়টি নাকি বড় রকমের শীরকী বিষয় !
এই বিষয়ে মুফতি সাহেবের মূল্যবান মতামত ও জবাবের অপেক্ষায় থাকলাম !
আল্লাহ তায়ালা হযরতের এলেমে বরকত দান করুন (আমীন)
সমাধান
‘সৃষ্টি কে ছাড়িয়ে সষ্টা নিয়ে শুরু হলো ফেৎনা’’
আর তা হলো আল্লাহকে দুনিয়াতে দেখা সম্ভব কিন না? সালাফীগণ বলেন না, আর ফাযায়েলে আমলের মাঝে ইমাম আহমদ রহ. আল্লাহকে দেখেছেন বলে উল্লেখ রয়েছে তাই তারা বলে এই কিতাবে শিরক আছে? আসলে আমরা গবেষনা করে দেখি কার কথা সঠিক আর কার ফাতাওয়ায় কে শিরক করছে?
আর তা হলো আল্লাহকে দুনিয়াতে দেখা সম্ভব কিন না? সালাফীগণ বলেন না, আর ফাযায়েলে আমলের মাঝে ইমাম আহমদ রহ. আল্লাহকে দেখেছেন বলে উল্লেখ রয়েছে তাই তারা বলে এই কিতাবে শিরক আছে? আসলে আমরা গবেষনা করে দেখি কার কথা সঠিক আর কার ফাতাওয়ায় কে শিরক করছে?
مجموع الفتاوى (2/ 336)
وَالنَّاسُ فِي رُؤْيَةِ اللَّهِ عَلَى ثَلَاثَةِ أَقْوَالٍ: - فَالصَّحَابَةُ وَالتَّابِعُونَ وَأَئِمَّةُ الْمُسْلِمِينَ عَلَى أَنَّ اللَّهَ يَرَى فِي الْآخِرَةِ بِالْأَبْصَارِ عِيَانًا وَأَنَّ أَحَدًا لَا يَرَاهُ فِي الدُّنْيَا بِعَيْنِهِ؛ لَكِنْ يَرَى فِي الْمَنَامِ وَيَحْصُلُ لِلْقُلُوبِ - مِنْ الْمُكَاشَفَاتِ وَالْمُشَاهَدَاتِ - مَا يُنَاسِبُ حَالَهَا. وَمِنْ النَّاسِ مَنْ تَقْوَى مُشَاهَدَةُ قَلْبِهِ حَتَّى يَظُنَّ أَنَّهُ رَأَى ذَلِكَ بِعَيْنِهِ؛وَهُوَ غالط وَمُشَاهَدَاتُ الْقُلُوبِ تَحْصُلُ بِحَسَبِ إيمَانِ الْعَبْدِ وَمَعْرِفَتِهِ فِي صُورَةٍ مِثَالِيَّةٍ كَمَا قَدْ بُسِطَ فِي غَيْرِ هَذَا الْمَوْضِعِ. (وَالْقَوْلُ الثَّانِي) قَوْلُ نفاة الْجَهْمِيَّة أَنَّهُ لَا يَرَى فِي الدُّنْيَا وَلَا فِي الْآخِرَةِ. (وَالثَّالِثُ) قَوْلُ مَنْ يَزْعُمُ أَنَّهُ يَرَى فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ. وَحُلُولِيَّةُ الْجَهْمِيَّة يَجْمَعُونَ بَيْنَ النَّفْيِ وَالْإِثْبَاتِ فَيَقُولُونَ: إنَّهُ لَا يَرَى فِي الدُّنْيَا وَلَا فِي الْآخِرَةِ وَإِنَّهُ يَرَى فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ. وَهَذَا قَوْلُ ابْنِ عَرَبِيٍّ - صَاحِبِ الْفُصُوصِ - وَأَمْثَالِهِ؛
অর্থাত : মানুষ আল্লাহ তায়ালাকে দেখতে পারবে কি না তা নিয়ে তিনটি মতামত রয়েছে (1) সাহাবা এবং তাবেয়ী ও মুসলিম বড় ইমামদের নিকটে আল্লাহ তায়ালাকে দুনিয়াতে সরাসরি দেখা সম্বব নয় কিন্তু স্বপ্নের মাঝে দেখা সম্ভভ........ (2)একটি ভ্রান্ত্র দল যারা গোমরাহ বলে পুরা উত্তম একমত তার হলো যাহমীয়াহ তারা বলে আল্লাহকে দুনিয়া ও আখেরাত কোথাও দেখা সম্ভব নয় (3)যারা বেলন দুনিয়া ও আখেরাত সবস্থানেঐ দেখা সম্ভব.....। ফাতাওয়ায়ে ইবনে তাইমিয়া-2/336 )
অতএব এই তিনটি মত থেকে দ্বিতীয় মত টি সম্পূণ ভুল, বাকি দুইটি মতামত নিয়ে আমরা আলোচনা করবো ইনশা আল্লাহ।
বলেন
অতএব এই তিনটি মত থেকে দ্বিতীয় মত টি সম্পূণ ভুল, বাকি দুইটি মতামত নিয়ে আমরা আলোচনা করবো ইনশা আল্লাহ।
আল্লাহকে দুনিয়াতে বাস্তুবে দেখেছেন কারা?
উত্তরটি জানার পূর্বে একটি কথা জানা উচিত আল্লামা ইবনে তামিয়া রহ.বলেন
, مجموع الفتاوى (5/ 251)
وَمَنْ رَأَى اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ فِي الْمَنَامِ فَإِنَّهُ يَرَاهُ فِي صُورَةٍ مِنْ الصُّوَرِ بِحَسَبِ حَالِ الرَّائِي إنْ كَانَ صَالِحًا رَآهُ فِي صُورَةٍ حَسَنَةٍ؛ وَلِهَذَا رَآهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَحْسَنِ صُورَةٍ.
وَمَنْ رَأَى اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ فِي الْمَنَامِ فَإِنَّهُ يَرَاهُ فِي صُورَةٍ مِنْ الصُّوَرِ بِحَسَبِ حَالِ الرَّائِي إنْ كَانَ صَالِحًا رَآهُ فِي صُورَةٍ حَسَنَةٍ؛ وَلِهَذَا رَآهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَحْسَنِ صُورَةٍ.
অর্থাত : যে ব্যাক্তি আল্লাহকে স্বপ্নে দেখে, সে তার আমল অনুসারে বিভিন্ন অবস্থায় দেখে, তথা সে যদি নেককার পরহেজগার হয় তাহলে সে আল্লাহকে ভালো ভাবে দেখে যেমন নাকি রাসুল সা. আল্লাহকে খুব সুন্দর অবস্থায় দেখেছেন। ফাতাওয়ায়ে ইবনে তাইমিয়া-5/251 এবার দেখুন.............
1।সহীহ মুসলিম শরীফের বণনা-
صحيح مسلم (1/ 161)
291 - (178) حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ: سَأَلْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، هَلْ رَأَيْتَ رَبَّكَ؟ قَالَ: «نُورٌ أَنَّى أَرَاهُ»
291 - (178) حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ: سَأَلْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، هَلْ رَأَيْتَ رَبَّكَ؟ قَالَ: «نُورٌ أَنَّى أَرَاهُ»
অথাত : হযরত আবূ যর রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমি রাসুল (সা.) কে প্রশ্ন করলাম আপনি কি আল্লাহকে দেখেছেন? অতপর তিনি উত্তর দিলেন হ্যাঁ আমি আল্লাহকে নুরান্নীত তথা উজ্বল অবস্থায় দেখেছি। মুসলিম-1/161 হাদীস নং-291 )
2।সহীহ মুসলিমে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত
صحيح مسلم (1/ 158)
285 - (176) حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو سَعِيدٍ الْأَشَجُّ، جَمِيعًا عَنْ وَكِيعٍ، قَالَ الْأَشَجُّ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ زِيَادِ بْنِ الْحُصَيْنِ أَبِي جَهْمَةَ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: {مَا كَذَبَ الْفُؤَادُ مَا رَأَى} [النجم: 11] {وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى} [النجم: 13]، قَالَ: «رَآهُ بِفُؤَادِهِ مَرَّتَيْنِ»،
285 - (176) حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو سَعِيدٍ الْأَشَجُّ، جَمِيعًا عَنْ وَكِيعٍ، قَالَ الْأَشَجُّ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ زِيَادِ بْنِ الْحُصَيْنِ أَبِي جَهْمَةَ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: {مَا كَذَبَ الْفُؤَادُ مَا رَأَى} [النجم: 11] {وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى} [النجم: 13]، قَالَ: «رَآهُ بِفُؤَادِهِ مَرَّتَيْنِ»،
তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, আমি নিজ আত্মা দ্বারা আল্লাহকে দুইবার দেখেছি। মুসলিম-1/158 হাদীস নং-285)
3।আর মুসলিম শরীফের অন্য বণনায় আছে
صحيح مسلم (1/ 158)
284 - (176) حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: «رَآهُ بِقَلْبِهِ»
284 - (176) حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: «رَآهُ بِقَلْبِهِ»
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে তিনি বলেন রাসূল (সা.) নিজ আত্মা দ্বারা আল্লাহেক দেখেছেন, (কিন্তু এই হাদীসে কত বার দেখেছেন তা উল্লেখ নেই। মুসলিম-1/158 হাদীস-284)
4। একদা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) তাওয়াফ করছিলেন- في اليقظة كقول ابن عمر لـ ابن الزبير لما خطب إليه ابنته في الطواف: أتحدثني في النساء ونحن نتراءى الله عز وجل في طوافنا؟! তখন তাকে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জুবাইর (রা.) তার মেয়ে এর বিবাহের ব্যাপারে প্রস্তাবদে তখন তিনি বললেন, তুমি মহিলাদের বিষয়ে কথা বলছো!!! আর আমিতো তাওয়াফ অবস্থায় আল্লাহকে দেখছি। এই হাদীসটি প্রায় 100 টিরও বেশি কিতাবে উল্লেখ রয়েছে সহীহ সনদে-যেমন প্রথমে আমি ইবনে তাইমিয়াকে দিয়ে শুরু করছি-ফাতাওয়ায়ে ইবনে তাইমিয়া-5/251, শরহু সহীহীল বুখারী লি ইবনে বাত্তাল-4/301, বাহরুল ফুয়াদ-150, শারহু আকিদা আল ওয়াসেতিয়া-5/14, আদাবুন নাফস-=105 ইত্যাদি।
5। হযরত হারেসা (রা.) বলেন
فَقَدْ قَالَ حَارِثَةُ: عَزَفَتْ نَفْسِي عَنِ الدُّنْيَا، فَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى عَرْشِ رَبِّي بَارِزًا، وَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى أَهْلِ الْجَنَّةِ يَتَنَعَّمُونَ، وَإِلَى أَهْلِ النَّارِ يُعَذَّبُونَ
আমি আমার আত্মাকে দুনিয়া থেকে এমন বাভে মুক্ত রেখেছি, যার কারণে আমি সরাসরি আল্লাহর আরশে তাকিয়ে আছি, আর আমি তাকিয়ে আছি জান্নাতের নেয়ামত প্রাপ্ত আর জাহান্নামে সাজা প্রপ্ত ব্যক্তিদের প্রতি। বাহরুল ফাওয়ায়েদ-150
6। হযতর আলি রা. আব্দুল ইবনে আব্বাস (রা.) সম্পর্কে বলেন-
. وَقَالَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فِي ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: كَأَنَّهُ يَنْظُرُ إِلَى الْغَيْبِ مِنْ دُونِ سِتْرٍ رَقِيقٍ.
তিনি বলেন আমি আল্লাহর প্রতি তাকিয়ে আছি আমার আর তার মাঝে একটি পাতলা পর্দা ব্যতিত আর কিছু নেই।
বাহরুল ফাওয়ায়েদ-150 ) সন্মানিত পাঠক বিন্দু যদি এধর গঠনা সাহাবী ও রাসূল (সা.) এর সম্পর্কে আমরা দেখতে পাই তাহেল এগুলো বিশ্বাস না করে কি সালাফীদের ভ্রান্ত মতবাদগুলো বিশ্বাস করবো?? আর এগুলো কি বুযুগদের গঠনা???
বাহরুল ফাওয়ায়েদ-150 ) সন্মানিত পাঠক বিন্দু যদি এধর গঠনা সাহাবী ও রাসূল (সা.) এর সম্পর্কে আমরা দেখতে পাই তাহেল এগুলো বিশ্বাস না করে কি সালাফীদের ভ্রান্ত মতবাদগুলো বিশ্বাস করবো?? আর এগুলো কি বুযুগদের গঠনা???
আর প্রকৃত ভাবে এবাদত করল আল্লাহকে দেখা সম্ভভ তার প্রমান ইবনে উওর (রা) এর হাদীসটি তাছাড়াও
বুখারী শরীফের মাঝে আছে-
صحيح البخاري (1/ 19)
قَالَ: «أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ،
তুমি এমন ভাবে এবাদত কর যাতে করে তুমি আল্লাহকে দেখতেছো। প্রিয় পাঠক যদি আল্লাহকে দেখা অসম্ভব হতো দুনিয়াতে তাহেল রাসূল (সা.) মানুষের ইবাতের মাধ্যমে আল্লাহকে দেখার প্রতি লোভ দেখালেন কেন?*** তারা কি বুখারীর এই হাদীসটি দেখে না।বুখারী-1/19 হা.50)
আল্লাহকে স্বপ্নে দেখেছেন এমন কিছু গঠনা
1) مجموع الفتاوى (2/ 315). وَهَذَا كَمَا يُحْكَى عَنْ أَبِي يَزِيدَ أَنَّهُ قَالَ: رَأَيْت رَبَّ الْعِزَّةِ فِي الْمَنَامِ فَقُلْت: خدايي كَيْفَ الطَّرِيقُ إلَيْك؟ قَالَ: اُتْرُكْ نَفْسَك وَتَعَالَ - أَيْ اُتْرُكْ اتِّبَاعَ هَوَاك
হযরত আবূ ইয়াযিদ রহ. এর সম্পর্কে বণনা রয়েছে যে, তিনি বলেন আমি স্বপ্নে আল্লাহকে দেখেছি, অতপর আমি বললাম হে আমার প্রতি পালক আমি কি ভাবে আপনাকে পাবো? তিনি বললেন তুমি তোমার নফস কে ছেড়ে দাও তথা মন চাহিদা আত্মার কথা পরিত্যাগ কর। ফাতাওয়ায়ে ইবনে তাইমিয়া-2/351)
2। তেমনি ভাবে আবি মারসাদ সম্পর্কে বর্ণিত আছে-
2। তেমনি ভাবে আবি মারসাদ সম্পর্কে বর্ণিত আছে-
مجموع الفتاوى (9/ 293)
وَمِنْهُ قَوْلُ أَبِي مَرْثَدٍ " رَأَيْت رَبَّ الْعِزَّةِ فِي الْمَنَامِ فَقُلْت أَيْ رَبِّ كَيْفَ الطَّرِيقُ إلَيْك فَقَالَ اُتْرُكْ نَفْسَك "
একই গঠনা একি অথ। ফাতাওয়ায়ে ইবনে তাইমিয়া-9/293)
3। তেমনী ভাবে আবূ ইয়াজিদ আল বুসতামী সম্পর্কে একি গঠনা বণনা আছে-
3। তেমনী ভাবে আবূ ইয়াজিদ আল বুসতামী সম্পর্কে একি গঠনা বণনা আছে-
مجموع الفتاوى (10/ 518)
وَالْحِكَايَةُ الْمَشْهُورَةُ عَنْ أَبِي يَزِيدَ البسطامي - رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى - لَمَّا رَأَى رَبَّ الْعِزَّةِ فِي الْمَنَامِ فَقَالَ لَهُ: كَيْفَ الطَّرِيقُ إلَيْك؟ فَقَالَ: اُتْرُكْ نَفْسَك وَتَعَالَ قَالَ أَبُو يَزِيدَ: فَانْسَلَخْت مِنْ نَفْسِي كَمَا تَنْسَلِخُ الْحَيَّةُ مِنْ جِلْدِهَا.
তিনি বলেন আমি স্বপ্নে আল্লাহকে দেখেছি, অতপর আমি বললাম হে আমার প্রতি পালক আমি কি ভাবে আপনাকে পাবো? তিনি বললেন তুমি তোমার নফস কে ছেড়ে দাও তথা মন চাহিদা আত্মার কথা পরিত্যাগ কর। তিনি বলেন অতপর আমি আমার নফস থেকে এমন ভাবে আলাদা হয়ে গেলাম যেমন বাভে সাপ তার চামড়া থেকে আলাদা হয়ে যায় (খলোস পরিবতন করে) ফাতাওয়ায়ে ইবনে তাইমিয়া-10/518)
আরো কিছু কথা যা না বললেই নয়!
مجموع الفتاوى (15/ 98)
قَالَ عبادة بْنُ الصَّامِتِ: رُؤْيَا الْمُؤْمِنِ كَلَامٌ يُكَلِّمُ بِهِ الرَّبُّ عَبْدَهُ فِي مَنَامِهِ
তিনি বলেন, মুমিন তার ঘুমে স্বাপ্নের মাঝে আল্লাহর সাথে কথা বলে থাকে। ফাতাওয়ায়ে ইবনে তাইমিয়া-15/98)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন