বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০১৫

‘‘ইয়ামানকে’’ আমি যে কারণে ভালোবাসি, কিন্তু আপনি কেন বঞ্চিত হবেন?

‘‘ইয়ামানকে’’ আমি যে কারণে ভালোবাসি, কিন্তু আপনি কেন বঞ্চিত হবেন?
আমাদের অনেকেই আজ আমেরিকা, রাশিয়া, চীন ও ভারত ইত্যাদি রাষ্টের ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে আছে। অথচ রাসূল (সা.) এর হাদীস দ্বারা যেই সব রাষ্টের ভালোবাসার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে, তার থেকে আমরা বে-খবর। তাই আজ এমন একটি রাষ্ট তথা ইয়ামানকে নিয়ে আলোচনা করা হবে....
 
 রাসূল (সা.) যেই হাদীস দ্বারা ইয়ামানকে ভালোবাসার প্রতি ইংঙ্গিত দিয়েছেন....
 ০১ নং হাদীস-
صحيح البخاري (5/ 173)
4388 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ ذَكْوَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَتَاكُمْ أَهْلُ اليَمَنِ، هُمْ أَرَقُّ أَفْئِدَةً وَأَلْيَنُ قُلُوبًا، الإِيمَانُ يَمَانٍ وَالحِكْمَةُ يَمَانِيَةٌ، وَالفَخْرُ وَالخُيَلاَءُ فِي أَصْحَابِ الإِبِلِ، وَالسَّكِينَةُ وَالوَقَارُ فِي أَهْلِ الغَنَمِ»


অর্থ : হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) এর সূত্রে নবী কারীম (সা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইয়ামানবাসীরা তোমাদের কাছে এসেছে। তারা অন্তরের দিক থেকে অত্যন্ত কোমল ও দরদী। ঈমান হলো ইয়ামানীদের, হিকমত হলো ইয়ামানীদের। আন্তরিকতা ও অহংকার রয়েছে উট-ওয়ালাদের মধ্যে, বকরী পালকদের মধ্যে আছে প্রশান্তি ও গাম্ভীর্য। বুখারী-৫/১৭৩, হাদীস-৪৩৮৮।

প্রিয় পাঠক! দেখুন, উক্ত হাদীসের মাঝে রাসূল (সা.) ইয়ামানবাসীদের ঈমান ও হিকমাত এর প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করেছেন, আমাদেরকেও তাদের প্রতি আন্তরিক হওয়া উচিৎ...।

০২ নং হাদীস-
صحيح البخاري (5/ 174)
4390 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «أَتَاكُمْ أَهْلُ اليَمَنِ، أَضْعَفُ قُلُوبًا، وَأَرَقُّ أَفْئِدَةً، الفِقْهُ يَمَانٍ وَالحِكْمَةُ يَمَانِيَةٌ»
অর্থ : হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) এর সূত্রে নবী কারীম (সা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইয়ামনবাসীরা তোমাদের কাছে এসেছে। তারা অন্তরের দিক থেকে অত্যন্ত কোমল। আর মনের দিক থেকে অত্যন্ত দয়াদ্র্র। ফিকহ হলো ইয়ামানীদের আর হিকমাত হলো ইয়ামানীদের। বুখারী-৫/১৭৪, হাদীস-৪৩৯০।

প্রিয় পাঠক! দেখুন উক্ত হাদীসের মাঝেও রাসূল (সা.) ইয়ামানবাসীদের ঈমান, হিকমাত, ফিকহ ও তাদের মনোভাবের অবস্থা বর্ণনা করেছেন। তাই আমাদেরকেও তাদের ভালোবাসায় মেতে উঠে রাসূল (সা.) সাজে সজ্জিত হওয়া উচিৎ..।

০৩ নং হাদীস-
صحيح البخاري (8/ 131)
6642 - حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا شُرَيْحُ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، سَمِعْتُ عَمْرَو بْنَ مَيْمُونٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُضِيفٌ ظَهْرَهُ إِلَى قُبَّةٍ مِنْ أَدَمٍ يَمَانٍ، إِذْ قَالَ لِأَصْحَابِهِ: «أَتَرْضَوْنَ أَنْ تَكُونُوا رُبُعَ أَهْلِ الجَنَّةِ» قَالُوا: بَلَى، قَالَ: «أَفَلَمْ تَرْضَوْا أَنْ تَكُونُوا ثُلُثَ أَهْلِ الجَنَّةِ» قَالُوا: بَلَى، قَالَ: «فَوَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ، إِنِّي لَأَرْجُو أَنْ تَكُونُوا نِصْفَ أَهْلِ الجَنَّةِ»
অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূল (সা.) এক সময় ইয়ামানী চামড়ার কোন এক তাঁবুতে তার পৃষ্ঠ মোবারক হেলান দিয়ে ছিলেন। তখন তিনি তার সাহাবীদের প্রতি লক্ষ্য করে বললেন : তোমরা বেহেশতিদের এক চ-তুর্থাংশ হবে, এতে কি তোমরা খুশি আছো? তারা বললেন হ্যাঁ। তিনি বললেন : তোমরা বেহেশতিদের এক তৃ-তীয়াংশ হবে, এতে কি তোমরা খুশি নও! তারা বললেন হ্যাঁ। তিনি বললেন : কসম ঐ মহান সত্ত্বার, যার হাতে মুহাম্মদ (সা.) এর প্রাণ! নিশ্চয় আমি কামনা করি তোমরা বেহেশতিদের অর্ধেক হবে। বুখারী-৮/১৩১, হাদীস-৬৬৪২।

প্রিয় পাঠক ! প্রিয় নবী (সা.) এর ইয়ামানের প্রতি এতো ভালোসাবা ছিল যে, নিজের হেলান দেয়ার তাঁবুটিও ইয়ামনী চামড়া দ্বারা তৈরীকৃত তাঁবু হিসেবে গ্রহণ করেছেন। এটিও কি ইয়ামান এর প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ নয়? আমাদেরকেও ইয়ামান এর প্রতি এমন ভালোবাসা থাকা আবশ্যক....।

০৪ নং হাদীস-
صحيح البخاري (8/ 119)
6580 - حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ  قَالَ: «إِنَّ قَدْرَ حَوْضِي كَمَا بَيْنَ أَيْلَةَ وَصَنْعَاءَ مِنَ اليَمَنِ، وَإِنَّ فِيهِ مِنَ الأَبَارِيقِ كَعَدَدِ نُجُومِ السَّمَاءِ»
অর্থ : হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন : আমার হাউযের পরিমাণ হলো ইয়ামনের ‘আয়লা’ ও ‘সানআ’ নামক স্থানদ্বয়ের দূরত্বের সমান। আর তার পানপাত্র সমূহ আকাশের তারাকারাজির সংখ্যাতুল্য। বুখারী-৮/১১৯, হাদীস-৬৫৮০।

প্রিয় পাঠক!  মহান আল্লাহর আখেরাতে বড় নেয়ামত তথা হাউযে কাওসারের সীমানা নির্ধারণ করতে গিয়েও প্রিয় নবীজি (সা.) ইয়ামান এর কথা ভুলেননি। তাহলে আমাদের কি করা উচিৎ...?

০৫ নং হাদীস-
صحيح مسلم (1/ 109)
185 - (117) حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَأَبُو عَلْقَمَةَ الْفَرْوِيُّ، قَالَا: حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ سَلْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ اللهَ يَبْعَثُ رِيحًا مِنَ الْيَمَنِ أَلْيَنَ مِنَ الْحَرِيرِ، فَلَا تَدَعُ أَحَدًا فِي قَلْبِهِ - قَالَ أَبُو عَلْقَمَةَ مِثْقَالُ حَبَّةٍ، وَقَالَ عَبْدُ الْعَزِيزِ: مِثْقَالُ ذَرَّةٍ - مِنْ إِيمَانٍ إِلَّا قَبَضَتْهُ "
অর্থ : হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ (কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে) ইয়ামান দেশের দিক থেকে এক মৃদু বায়ু প্রবাহিত করবেন, যা হবে রেশমের চেয়েও মোলায়েম। আবু আলকামার বর্ণনা অনুযায়ী যার অন্তরে শস্য বীজের পরিমান, আর আব্দুল আযীয এর বর্ণনা অনুযায়ী যার অন্তরে অনু পরিমাণ ঈমান থাকবে, এই বায়ু এমন কোন ব্যক্তিকে ছেড়ে দিবে না। বরং তাকে মৃত্যুর কোলে ঢলিয়ে দিবে। মুসলিম-১/১০৯, হাদীস-১১৭।

প্রিয় পাঠক! কিয়ামাতের পূর্বে আল্লাহর প্রিয় বান্দাগণ যেই রহমতের বাতাস এর মাধ্যমে দুনিয়া থেকে বিদায় নিবে, তাও ইয়ামান থেকে প্রবাহিত হবে.. সর্বোপরি এটি ইয়ামান এর প্রতি মহান আল্লাহ এক ধরনের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ... আমাদেরকেও তাদের প্রতি ভালোবাসায় মুগ্ধ হওয়া উচিৎ....।

০৬ নং হাদীস-
صحيح مسلم (4/ 1968)
223 - (2542) حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنِي سَعِيدٌ الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أُسَيْرِ بْنِ جَابِرٍ، أَنَّ أَهْلَ الْكُوفَةِ وَفَدُوا إِلَى عُمَرَ، وَفِيهِمْ رَجُلٌ مِمَّنْ كَانَ يَسْخَرُ بِأُوَيْسٍ، فَقَالَ عُمَرُ: هَلْ هَاهُنَا أَحَدٌ مِنَ الْقَرَنِيِّينَ؟ فَجَاءَ ذَلِكَ الرَّجُلُ فَقَالَ عُمَرُ: إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ قَالَ: «إِنَّ رَجُلًا يَأْتِيكُمْ مِنَ الْيَمَنِ يُقَالُ لَهُ أُوَيْسٌ، لَا يَدَعُ بِالْيَمَنِ غَيْرَ أُمٍّ لَهُ، قَدْ كَانَ بِهِ بَيَاضٌ، فَدَعَا اللهَ فَأَذْهَبَهُ عَنْهُ، إِلَّا مَوْضِعَ الدِّينَارِ أَوِ الدِّرْهَمِ، فَمَنْ لَقِيَهُ مِنْكُمْ فَلْيَسْتَغْفِرْ لَكُمْ»

অর্থ : উসাইর ইবনে জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত। কুফার একটি প্রতিনিধিদল উমর (রা.) এর কাছে আসে। প্রতিনিধিদলে এক ব্যক্তি ছিলো, যে উয়াইসকে ঠাট্রা-বিদ্রুপ করত। উমর (রা.) জিজ্ঞাসা করলেন, এখানে ‘কারান’ এলাকার কোন লোক আছে কি? ঐ লোকটি উঠে আসল। উমর (রা.) বললেন : রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন :  ইয়ামান থেকে  উয়াইস নামে এক ব্যক্তি তোমাদের কাছে আসবে। ইয়ামানে তার মা ছাড়া তার আর কেউ নেই। তার কুষ্ঠ রোগ হয়েছিল। সে আল্লাহর কাছে দোয়া করল। তিনি তার দেহ থেকে কুষ্ঠ রোগ দূর করে দিলেন। কিন্তু একটি দীনার অথবা দিরহাম পরিমাণ জায়গা আরোগ্য হয়নি। তোমাদের যে কেউ তার সাক্ষাৎ পাবে, সে যেন তাকে দিয়ে তোমাদের জন্য ক্ষমার দোয়া করিয়ে নেয়। সহীহ মুসলিম-৪/১৯৬৮, হাদীস-২৫৪২।

প্রিয় পাঠক! উক্ত হাদীস দ্বারাও ইয়ামান এর গুরুত্ব ও মহত্ব্য বুঝা যায়। কেননা ইয়ামান এর একজন অধিবাসী ‘‘উয়াইস কারানী’’ (রহ.)। রাসূল (সা.) তার প্রিয় সাহাবীদেরকে তার (উয়াইস কারানী) মাধ্যমে মহান আল্লাহ থেকে ক্ষমা নেয়ার ওসিয়ত করেছেন! তাহলে বলুন! ইয়ামান এর এই অধিবাসী কতই না সৌভাগ্যবান..মহান আল্লাহও আমাদেরকে ইয়ামানকে ভালোবাসার মাধ্যমে এমন সৌভাগ্যবান হওয়ার তাওফীক দান করুন।

০৭ নং হাদীস-
صحيح البخاري (2/ 33)
1037 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ المُثَنَّى، قَالَ: حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ الحَسَنِ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ: «اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي شَامِنَا، وَفِي يَمَنِنَا» قَالَ: قَالُوا: وَفِي نَجْدِنَا؟ قَالَ: قَالَ: «اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي شَامِنَا وَفِي يَمَنِنَا» قَالَ: قَالُوا: وَفِي نَجْدِنَا؟ قَالَ: قَالَ: «هُنَاكَ الزَّلاَزِلُ وَالفِتَنُ، وَبِهَا يَطْلُعُ قَرْنُ الشَّيْطَانِ»
অর্থ : হযরত ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত। নবী (সা.) বলেন, হে আল্লাহ! আমাদের শামে (সিরিয়া) ও ইয়ামানে বরকত দান করুন। লোকেরা বলল, আমাদের নজদেও। নবী (সা.) বললেন : হে আল্লাহ! আমাদের শামদেশে ও ইয়ামানে বরকত দান করুন। লোকেরা তখন বলল, আমাদের নজদেও। রাবী বলেন, নবী (সা.) তখন বললেন : সেখানে তো রয়েছে ভুমিকম্প ও ফিৎনা-ফাসাদ আর শয়তানের শিং সেখান থেকেই বের হবে। বুখারী-২/৩৩, হাদীস-১০৩৭।

প্রিয় পাঠক ! রাসূল (সা.) নিজ মুখে যেই রাষ্টের মাঝে বরকতের দোয়া করেছেন, তাহলে ঐ রাষ্ট কতই না সৌভাগ্যবান হতে পারে? তাই আমরাও তাকে ভালোবাসার মাধ্যমে তার সৌভাগ্যের কিছু অংশ অর্জন করার চেষ্টা করি।

০৮ নং হাদীস-
صحيح البخاري (2/ 75)
1264 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ المُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُفِّنَ فِي ثَلاَثَةِ أَثْوَابٍ يَمَانِيَةٍ بِيضٍ، سَحُولِيَّةٍ مِنْ كُرْسُفٍ لَيْسَ فِيهِنَّ قَمِيصٌ وَلاَ عِمَامَةٌ»
অর্থ : হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) কে তিনটি ইয়ামানী সাহুলী সাদা সূতী কাপড় দিয়ে কাফন দেওয়া হয়। তার মধ্যে কামীস এবং পাগড়ী ছিল না। বুখারী-২/৭৫, হাদীস-১২৬৪।

প্রিয় পাঠক! সর্বোপরি  রাসূল (সা.) কে দুনিয়া থেকে বিদায় দেয়ার মুহুর্তের পোষাকও ছিল ইয়ামানের । তাহলে, প্রিয় নবীজির ইয়ামান এর প্রতি ভালোবাসার আর কী নির্দশন এর সন্ধানে আপনি নিমজ্জিত???

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে কোরআন ও সুন্নাহে বর্ণিত ফযিলতপূর্ণ রাষ্ট্রগুলোকে ভালোবাসার তাওফীক দান করুন। আমীন 

ইতি মুফতী মো. ছানা উল্লাহ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন