রবিবার, ৮ আগস্ট, ২০২১

অগ্নি সংযোগ, বিল্ডিং ধ্বস, জাহাজ ডুবীসহ ইত্যাদি অপমৃত্যু থেকে বাচাঁর দোয়া

 প্রত্যেক দিন খবর দেখলেই দেখা যায়, পৃথীবির কোথাও না কোথাও অগ্নি সংযোগে মৃত্যু, বিল্ডিং ধ্বসে মৃত্যু, লঞ্চ ও জাহাজ ডুবে মৃত্যু, কুপে পড়ে মৃত্যু, বিষাক্ত প্রাণীর ছোবলে মৃত্যুসহ নানা অপমৃত্যু খবর দেখতে পাই।

 আমরা সকলেই উক্ত খবর পড়ে দুঃখ প্রকাশ করি ও দোয়া করি। এছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। কিন্তু আমাদের কি জানা আছে? আমাদের প্রিয় নবী (সা.) বিশুদ্ধ হাদীস এর মাধ্যমে, আমাদেরকে এই সব অপমৃত্যু থেকে বাঁচার দোয়া শিখিয়ে গিয়েছেন?

 হযরত আবূল ইয়াসার (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) এভাবে দু‘আ করতেন :-

 1552 سنن أبي داود (2/ 92)

 حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا مَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ صَيْفِيٍّ، مَوْلَى أَفْلَحَ، مَوْلَى أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي الْيَسَرِ، أَنَّ رَسُولَ صَلَّى عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَدْعُو: «اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الهَدْمِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ التَّرَدِّي، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْغَرَقِ، وَالْحَرَقِ، وَالْهَرَمِ، وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ يَتَخَبَّطَنِي الشَّيْطَانُ عِنْدَ الْمَوْتِ، وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ أَمُوتَ فِي سَبِيلِكَ مُدْبِرًا، وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ أَمُوتَ لَدِيغًا»ا»،

উচ্চারণ : ‘‘আল্ল-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল হাদমি ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিনাত্ তারাদ্দী ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিনাল গরাকি ওয়াল হারক্বি ওয়াল হারামি ওয়া আ‘ঊযুবিকা আন্ ইয়াতাখব্বাত্বানিশ্ শায়ত্ব-নু ‘ইন্‌দাল মাওতি ওয়া আ‘ঊযুবিকা আন্ আমূতা ফী সাবীলিকা মুদবিরান ওয়া আ‘ঊযুবিকা আন্ আমূতা লাদীগা-’’

❀ অর্থ :   হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই [আমার ওপর] কিছু ধসে পড়া হতে। আমি তোমার কাছে আরও আশ্রয় চাই উপর হতে পড়ে যাওয়া থেকে, আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই পানিতে ডুবা, আগুনে পোড়া ও বার্ধক্য হতে। আরো আশ্রয় চাই তোমার কাছে মৃত্যুর সময় শয়তানের প্ররোচনায় নিমজ্জিত হওয়া থেকে। আর তোমার পথ হতে পৃষ্ঠপ্রর্দশন [জিহাদের ময়দান হতে পিছ পা] অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা হতেও আশ্রয় চাই। আরো আশ্রয় চাই দংশিত হয়ে মৃত্যুবরণ করা হতে। আবু দাউদ খন্ড-০২, পৃষ্ঠা-৯২, হাদীস নং-১৫৫২।

 হাদীস এর মান ও প্রমাণ সূত্র : 

০১।মুসতাদরাকে হাকেম খঃ-১/৭১৩  হাদীস নং-১৯৪৮ ইমাম হাকেম (রহ.) মৃত্যু-৪০৫হি., তার উক্ত গ্রন্থে হাদীসটিকে সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন।

০২। সুনান আন-নাসায়ী খঃ-৮/২৮২ হাদীস নং-৫৫৩১, আস-সুনানুল কুবরা খঃ-৭/২৩৮ হাদীস নং-৭৯১৭, দুটি গ্রন্থ ইমাম নাসায়ী (রহ.) মৃত্যু-৩০৩হি., কর্তৃক রচিত।

০৩।  মুসনাদ আহমেদ খঃ-২৪/২৮১ হাদীস নং-১৫৫২৩ ইমাম আহমাদ ইবনে হামবল (রহ.) মৃত্যু-২৪১হি. কর্তৃক রচিত।

০৪। আল-মুযামুল কাবীর খঃ-১৯/১৭০ হাদীস নং-৩১৮, আদ-দোয়া লিত-তাবরানী পৃ.-৪০৬হাদীস নং-১৩৬৩, দুটি গ্রন্থ ইমাম তাবরানী (রহ.) মৃত্যু-৩৬০হি. কর্তৃক রচিত।

৫। আল-আহাদ ওয়াল মাসানী খঃ-০৩/৪৬০ হাদীস নং-১৯১৯, আল জিহাদ খঃ-২/৬৩৭ হাদীস নং-২৬৯  দুটি গ্রন্থ ইমাম ইবনে আবি আসেম (রহ.) মৃত্যু-২৮৭হি. কর্তৃক রচিত।

৬। সহীহ আবু দাউদ খঃ-৫/২৭৪ হাদীস নং-১৩৮৮ শায়খ আলবানী মৃত্যু-১৪২০হি. কর্তৃক রচিত গ্রন্থেও উক্ত হাদীসটি “সহীহ”(বিশুদ্ধ) বলে উল্লেখ করেছেন।

এছাড়াও হাদীস গ্রন্থের অসংখ্য কিতাবে উক্ত হাদীসটি উল্লেখ রয়েছে।

❀ হাদীসে বর্ণিত শব্দের বিশ্লেষন:

هدم : কোন স্থাপনা ধ্বসে পড়া । উক্ত হাদীসে কোন বিল্ডিং অথবা স্থাপনার নিচে পড়ে মৃত্যু থেকে আশ্রয় চাওয়াকে বুঝানো হয়েছে।

تردى : কোন উচ্চ স্থান থেকে পড়ে মৃত্যুকে বুঝানো হয়েছে, যেমন পাহাড় ও ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু বরণ করা অথবা কোন নিচু স্থান তথা কূপে পড়ে মৃত্যুকেও বুঝানো হয়েছে। 

غرق : পানিতে ডুবে মৃত্যুকে বুঝানো হয়েছে।

حرق : আগুনে পুড়ে মৃত্যুকে বুঝানো হয়েছে।

هرم : অধিক বার্ধক্যজনিত মৃত্যু অর্থাৎ যে বয়সে পৌছালে, বয়োবৃদ্ধ, মানসিক বিকৃতি, দুর্বলমনস্কতা ও অন্যের উপর নির্ভর হয়ে চলতে হয়, এমন মৃত্যু থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়েছে। 

ان يتخبطنى الشيطان عند الموتমৃত্যুর সময় শয়তানের প্ররোচনায় নিমজ্জিত হয়ে (বিকৃত মস্তিষ্ক ও ধর্ম পরিবর্তন করে মৃত্যু থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়েছে। কেননা অপর একটি বশুদ্ধ হাদীসে এসেছে যে, “শেষ ভালো যার সব ভালো তার” অতএব, আমরা মৃত্যু মুহুর্তে শয়তানের প্ররোচনায় নিমজ্জিত না হয়ে মৃত্যু বরন করি ও জান্নাত বাসি হতে পারি তার জন্য আশ্রয় চাওয়া উচিৎ।

لديغا : বিচ্ছু অথবা সাপের মাধ্যমে দংশিত হয়ে মৃত্যু বরণ করাকে বুঝানো হয়েছে। 

***আওনুল মাবুদ খঃ-৪/২৮৭ আল্লামা আযিম আবাদী (রহ.) মৃত্যু-১৩২৯হি. কর্তৃক রচিত।

***হাশিয়াতুস সিন্দী আলা সুনানিন-নাসায়ী খঃ-৮/২৮২ ইমাম নুরুদদ্বীন আস-সিন্দী (রহ.) মৃত্যু-১৩৩৮হি. কর্তৃক রচিত।

✔ মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাহকীক (বিশ্লেষন) যেনে আমল করার তাওফীক দান করুন  (আমীন)


 মুফতী সানা উল্যাহ
প্রধান মুফতী ও গবেষক
মারকাযুল ইসলাহ, বাংলাদেশ।
০৮-০৮-২০২১ ইং

বুধবার, ২৫ মে, ২০১৬

পবিত্র কোরআনের বেশ কিছু কপিতে সূরায়ে তাওবা এর শুরুতে লিখিত দোয়াটির তাহকীক...


❀ প্রশ্ন : পবিত্র কোরআনের বেশ কিছু কপিতে সূরায় “তাওবা” এর শুরুতে “ أعوذ بالله من النار، ومن شر الكفار، ومن غضب الجبار، العزة لله ولرسوله وللمؤمنين ” এই দোয়াটি পাওয়া যায়। অনেকেই উক্ত দোয়ার বিভিন্ন ফযিলত বলে থাকেন। আবার কেউ কেউ বলে থাকেন যে, সূরায়ে তাওবা এর শুরুতে বিসমিল্লাহ.. নেই, তাই উক্ত দোয়াটি পড়তে হয়।
এখন আমার জানার বিষয় হলো, কোরআন ও সুন্নাহের মাঝে এর কোন ভিত্তি রয়েছে কি?
❀ উত্তর : কোরআন ও সুন্নাহ এর মাঝে এর কোন ভিত্তি পাওয়া যায় না।

মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৫

সাক্ষাতের সময় মুসাফাহা করা সুন্নাত : বিদায় বেলা মুসাফাহা করা কি বেদআত?

সাক্ষাতের সময় মুসাফাহা করা সুন্নাত : বিদায় বেলা মুসাফাহা করা কি বেদআত?
সাক্ষাতের সময় মুসাফাহা করা সুন্নাত, এটি আমাদের সকলেরই জানা। নিম্মে এর দলীল নিয়ে কিছু আলোচনা করা হবে। ইনশাআল্লাহ
কিন্তু অনেক ভাইকে বলতে শুনা যায় যে, বিদায় বেলা মুসাফাহা করা বেদআত। আসলে এর বাস্তবতা কতটুকু....

বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৫

ইমাম আবূ হানিফা (রহ.) কে বেদআতী আক্ষাকারীর শেষ অবস্থা ও লা-মাযহাবী বন্ধুদের কিছু ব্যবস্থা

ইমাম আবূ হানিফা (রহ.) কে বেদআতী আক্ষাকারীর শেষ অবস্থা ও লা-মাযহাবীদের কিছু ব্যবস্থা

তারিখে বাগদাদে নিম্ম সনদসহ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক (রহ.) এর একটি ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে-
 تاريخ بغداد ت بشار (15/ 463)
أَخْبَرَنِي أَبُو بشر الوكيل، وأبو الفتح الضبي، قالا: حَدَّثَنَا عُمَر بن أَحْمَد الواعظ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَحْمَد بن مُحَمَّد بن عصمة الخراساني، قَالَ: حَدَّثَنَا أَحْمَد بن بسطام، قَالَ: حَدَّثَنَا الفضل بن عبد الجبار، قال: سمعت أبا عثمان حمدون بن أبي الطوسي، يقول: سمعت عبد الله بن المبارك، يقول: قدمت الشام على الأوزاعي فرأيته ببيروت، فقال لي: يا خراساني، من هذا المبتدع الذي خرج بالكوفة، يكنى: أبا حنيفة، فرجعت إلى بيتي فأقبلت على كتب أبي حنيفة، فأخرجت منها مسائل من جياد المسائل، وبقيت في ذلك ثلاثة أيام، فجئت يوم الثالث، وهو مؤذن مسجدهم وإمامهم، والكتاب في يدي، فقال لي: أي  شيء هذا الكتاب؟ فناولته، فنظر في مسألة منها وقعت عليها، قال: النعمان بن ثابت، فما زال قائما بعد ما أذن حتى قرأ صدرا من الكتاب، ثم وضع الكتاب في كمه، ثم أقام وصلى، ثم أخرج الكتاب حتى أتى عليها، فقال لي: يا خراساني، من النعمان بن ثابت هذا؟ قلت: شيخ لقيته بالعراق، فقال: هذا نبيل من المشايخ، اذهب فاستكثر منه، قلت: هذا أَبُو حنيفة الذي نهيت عنه.

বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৫

লা-মাযহাবী, না কি পাগল!!!

                                                                      লা-মাযহাবী, না কি পাগল!!!
বেশ কিছু বিষয় নিয়ে, প্রায় সময় মুখামুখি হতে হয় লা-মাযহাবী বন্ধুদের। কিন্তু তাদের সাথে আলোচনার মাঝে একটা বিষয়ে ফুটে উঠে, আর তা হলো, তারা নিজেদেরকে মুজতাহিদ ভেবে, এমন অনেক কথা বলে, যা কোন ফকীহ বা মুহাদ্দীস বলেন নি! আমি সংক্ষেপে তাদের পাগল বলে সম্বোধন করি।

বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৫

বিবাহ সংত্রুান্ত হাদীসে একটি ভুল সংশোধনের জন্য, ৮০হাজার দেরহাম পুরুস্কার!!!

বিবাহ সংত্রুান্ত হাদীসে একটি ভুল সংশোধনের জন্য, ৮০হাজার দেরহাম পুরুস্কার!!!
আল্লামা ইবনে খাল্লেকান তার রচিত কিতাব ‘‘ওফায়াতুল আ’য়ান’’ এর ৫/৩৯৭ নং পৃষ্ঠায় ৭৬৪নং জীবনী دار صادر - بيروت থেকে প্রকাশিত ‘‘নযর বিন শুমাইলের’’ জীবনী আলোচনা করতে গিয়ে খুব সুন্দর একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন।
❖  যার সারসংক্ষেপ হলো এই যে, একদা নযর বিন শুমাইল, মামুনুর রশিদের দরবারে আগমন করেন। তারা উভয়েই হাদীস এর ব্যাপারে আলোচনা করতে থাকেন।
মামুনুর রশিদ হুসাইমের সূত্রে একটি হাদীস আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করে বলেন-
الفتح الكبير في ضم الزيادة إلى الجامع الصغير (1/ 88)
(852) ((إِذا تَزَوَّج الرَّجُلُ المَرْأةَ لِدينِها وَجَمالِها كانَ فِيهَا سَدَادٌ مِنْ عَوَزٍ)) (الشِّيرَازِيّ فِي الألقاب) عَن ابْن عَبَّاس وَعَن عَليّ.
ضعيف
رواه الديلمي (1/1/156) من طريق الطبراني عن النضر بن شميل: حدثنا الأموي: حدثنا هشيم عن مجالد عن الشعبي عن ابن عباس مرفوعا. قلت: وهذا إسناد ضعيف. مجالد - وهو ابن سعيد - ليس بالقوي. والأموي، لم أعرفه، وهم جماعة ينسبون هذه النسبة فمن هو منهم؟ والحديث عزاه السيوطي للشيرازي في " الألقاب " عن ابن عباس وعلي، وقال المناوي: " وفيه هشيم بن بشير؛ أورده الذهبي في " الضعفاء "، وقال: حجة حافظ يدلس، وهو في الزهري لين، وحكم ابن الجوزي بوضعه ".

শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৫

দেখুন! রাসূলের অভিশাপের বাস্তবতা..

দেখুন! রাসূলের অভিশাপের বাস্তবতা..
কোরআন ও হাদীসের অসংখ্য স্থানে আল্লাহ ও রাসূল (সা.) বিভিন্ন বিষয়ে অভিশাপ দিয়েছেন। যেমন :- মদ খাওয়া, জুয়া খেলা, সুদী লেনদেন ইত্যাদি।
কিন্তু আমরা এগুলোকে কোন গুরুত্ব দিতে অভ্যস্থ নই, অথচ কাফেররাও রাসূল (সা.) এর অভিশাপকে গুরুত্ব দিতো ও ভয় পেতো।

তার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ-
دلائل النبوة لأبي نعيم الأصبهاني (ص: 454)
380 - حَدَّثَنَا أَبُو نَصْرٍ مَنْصُورُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مَنْصُورٍ الْأَصْبَهَانِيُّ ثنا إِسْحَاقُ بْنُ أَحْمَدَ الْفَارِسِيُّ ثنا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ ثنا سَلَمَةُ بْنُ الْفَضْلِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ هَبَّارِ بْنِ الْأَسْوَدِ قَالَ : كَانَ أَبُو لَهَبٍ وَابْنُهُ عُتَيْبَةُ قَدْ تَجَهَّزَا إِلَى الشَّامِ وَتَجَهَّزْتُ مَعَهُمَا، فَقَالَ ابْنُهُ عُتَيْبَةُ: وَاللَّهِ لَأَنْطَلِقَنَّ إِلَيْهِ فَلَأُوذِيَنَّهُ فِي رَبِّهِ , فَانْطَلَقَ حَتَّى أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ , هُوَ يَكْفُرُ بِالَّذِي دَنَا فَتَدَلَّى فَكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَى فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ ابْعَثْ عَلَيْهِ كَلْبًا مِنْ كِلَابِكَ ثُمَّ انْصَرَفَ عَنْهُ فَرَجَعَ إِلَيْهِ فَقَالَ: أَيْ بُنَيَّ , مَا قُلْتَ لَهُ؟ قَالَ: كَفَرْتُ بإِلَهِهِ الَّذِي يَعْبُدُ قَالَ: فَمَاذَا قَالَ لَكَ؟ قَالَ: قَالَ اللَّهُمَّ ابْعَثْ عَلَيْهِ كَلْبًا مِنْ كِلَابِكَ فَقَالَ: أَيْ بُنَيَّ , وَاللَّهِ مَا آمَنُ عَلَيْكَ دَعْوَةَ مُحَمَّدٍ قَالَ: فَسِرْنَا حَتَّى نَزَلْنَا الشَّرَاةَ وَهِيَ مَأْسَدَةٌ فَنَزَلْنَا إِلَى صَوْمَعَةِ رَاهِبٍ فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ الْعَرَبِ مَا أَنْزَلَكُمْ هَذِهِ الْبِلَادَ وَإِنَّهَا مَسْرَحُ الضَّيْغَمِ؟ فَقَالَ لنا أَبُو لَهَبٍ: إِنَّكُمْ قَدْ عَرَفْتُمْ حَقِّي؟ قُلْنَا: أَجَلْ يَا أَبَا لَهَبٍ فَقَالَ: إِنَّ مُحَمَّدًا قَدْ دَعَا عَلَى ابْنِي دَعْوَةً وَاللَّهِ مَا آمَنُهَا عَلَيْهِ , فَاجْمَعُوا مَتَاعَكُمْ إِلَى هَذِهِ الصَّوْمَعَةِ , ثُمَّ افْرِشُوا لِابْنِي عُتَيْبَةَ ثُمَّ افْرِشُوا حَوْلَهُ قَالَ: فَفَعَلْنَا جَمَعْنَا الْمَتَاعَ حَتَّى ارْتَفَعَ ثُمَّ فَرَشْنا لَهُ عَلَيْهِ , وَفَرَشْنَا حَوْلَهُ فَبَيْنَا نَحْنُ حَوْلَهُ وَأَبُو لَهَبٍ مَعَنَا أَسْفَلَ وَبَاتَ هُوَ فَوْقَ الْمَتَاعِ , فَجَاءَ الْأَسَدُ فَشَمَّ وُجُوهَنَا، فَلَمَّا لَمْ يَجِدْ مَا يُرِيدُ تَقَبَّضَ ثُمَّ وَثَبَ فَإِذَا هُوَ فَوْقَ الْمَتَاعِ فَجَاءَ الْأَسَدُ فَشَمَّ وَجْهَهُ ثُمَّ هَزَمَهُ هَزْمَةً فَفَضَخَ رَأْسَهُ فَقَالَ: سَيْفِي يَا كَلْبُ لَمْ يَقْدِرْ عَلَيَّ غَيْرُ ذَلِكَ وَوَثَبْنَا فَانْطَلَقَ الْأَسَدُ وَقَدْ فَضْخَ رَأْسَهُ فَقَالَ لَهُ أَبُو لَهَبٍ: قَدْ عَرَفْتُ وَاللَّهِ مَا كَانَ لِيَنْقَلِبَ مِنْ دَعْوَةِ مُحَمَّدٍ