বৃহস্পতিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

এমন কি দোয়া যা পড়লে পাহাড়ও স্থানচ্যুত হয়ে যায়......

এমন কি দোয়া যা পড়লে পাহাড়ও স্থানচ্যুত হয়ে যায় অথবা নড়ে যায় 
আরোও অনেক ফযীলত....... ✔

مجمع الزوائد ومنبع الفوائد (5/ 115)
8469 - وَعَنْ حَنَشٍ الصَّنْعَانِيِّ، «عَنْ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ قَرَأَ فِي أُذُنِ مُبْتَلًى، فَأَفَاقَ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " مَا قَرَأْتَ فِي أُذُنِهِ؟ " قَالَ: قَرَأَتُ: (أَفَحَسِبْتُمْ أَنَّمَا خَلَقْنَاكُمْ عَبَثًا)، حَتَّى فَرَغَ آخِرُ السُّورَةِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " لَوْ أَنَّ رَجُلًا مُوقِنًا قَرَأَ بِهَا عَلَى جَبَلٍ لَزَالَ».

 
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি একদা (জ্বীনে আক্রান্ত) বেহুশ এক রোগির কানে (একটি দোয়া) পড়লো, অতপর সে রোগী সাথেসাথে সুস্থ হয়ে গেলো। রাসূল (সা.) এ দৃশ্য দেখে বললেন, তুমি তার কানে কি পড়লে? তিনি বললেন আমি কোরআনে কারীমের আয়াত-
{ أَفَحَسِبْتُمْ أَنَّمَا خَلَقْنَاكُمْ عَبَثًا وَأَنَّكُمْ إِلَيْنَا لَا تُرْجَعُونَ (115) فَتَعَالَى اللَّهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ (116) وَمَنْ يَدْعُ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ لَا بُرْهَانَ لَهُ بِهِ فَإِنَّمَا حِسَابُهُ عِنْدَ رَبِّهِ إِنَّهُ لَا يُفْلِحُ الْكَافِرُونَ (117) وَقُلْ رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ (118) } [المؤمنون: 115 - 118] সূরায়ে মু’মিনুন 115 থেকে শেষ পযন্ত তেলাওয়াত করেছি। অতপর রাসূল (সা.) তাকে বললেন, যদি কোন কোন ঈমানদার ব্যক্তি বিশ্বাস এর সহিত এই আয়াতগুলো কোন পাহাড়ের উপর পড়ে তা হলে ঐ পাহাড় স্থানচ্যুত অথবা নড়ে যাবে। (সুবহানাল্লাহ)

 
✏ প্রমাণসূত্র : মাজমাউজ যাওয়ায়েদ-5/115, হাদীস নং-8469, আদ দোয়উ লিত তাবরানী-1/331, হাদীস-1081,আমালুল ইয়াওমী ওয়াল লাইলা লি ইবনেস সুন্নি-1/585, হাদীস-631, আদ দাওয়াতুল কাবীর লিল বায়হাকী-2/231, হাদীস-594,

উল্লেখিত হাদীসটি হাসান তথা প্রমাণযোগ্য। আল্লাম সূয়ূতী (রহ.) ও ইবনে হাজার (রহ.) ও আল্লামাম হায়সামী (রহ.)সহ একাধীক ইমামগণ উল্লেখিত হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। আল ফুতুহাতুর রাব্বানিয়া-4/45, আন নুকাত আলাল মাওজুয়াত-63।

✪✿ অন্য বর্ণনায় আছে উল্লেখিত আয়াতগুলো যদি কোন যুদ্ধে যাওয়ার পূবে পড়া হয় তাহলে ঐ যুদ্ধ থেকে সকল মানুষ গনিমতসহকারে নিরাপদে ফিরে আসবে। নাতায়েজুল আফকার-2/406, তাফসীরে আবূ হাতেম-8/2013, ইবনে কাসির-5/501 ইত্যাদি।

✪✿ অন্য বর্ণনায় আছে কোন ব্যক্তি নৌকায় উঠার পর যদি উক্ত আয়াতগুলো পড়ে তাহলে ঐ নোকা কখনো ডুববে না। (সুবহানাল্লাহ)
দেখুন- তাফসীরে আবূ হাতেম-8/2013, ইবনে কাসির-5/501 ইত্যাদি।

প্রিয় পাঠক বৃন্দু তাহলে আসুন আর বিলম্ব না করে আমরা আজ থেকে সূরায়ে মুমিনুন এর 15 আয়াত থেকে শেষ পর্যন্ত মুখস্ত করে নি, যার দ্বারা জ্বীনে আক্রান্ত রোগী, বেহুশ মানুষ এর জ্ঞান ফিরে আসা, নৌকায় নিরাপদে ভ্রমনসহ অনেক সমস্যার সমাধান পাওয়া যাচ্ছে ।
উল্লেখ্য যে, যে সব ভাইগণ সব ধরনের ঝাড়ফুককে শিরক মনে করেন তারা উক্ত হাদীসের কি জবাব দিবেন?

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন

❀ ইতি মুফতী মো. ছানা উল্লাহ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন