মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০১৫

ইসলামে তাহনীক এর বিধান রয়েছে কি?

ইসলামে তাহনীক এর বিধান রয়েছে কি?
✏ তাহনীক : সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর কোন নেককার বা বড় আলেম এর মুখের লালা, খেজুর, মিষ্টিদ্রব্য  ইত্যাদি চিবানোর পর ঐ বাচ্চাকে খাওয়ানোকে তাহনীক বলে এবং এর দ্বারা আপনার সন্তানও ঐ সব নেককার ব্যক্তিদের ন্যায় গড়ে উঠা সম্ভব। 

❖ প্রশ্ন :  শুনেছি সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর কোন হক্কানি আলেমের মুখ থেকে লালা, মিষ্টিদ্রব্য, খেজুর ইত্যাদিকে চাবানোর পর সন্তানের মুখে দিতে হয়। এমন বিধান কি কোন হাদিসে আছে? দলীলসহ জানিয়ে বাধিত করবেন। আল্লাহ আপনাকে হায়াতে তায়িবা দান করুন। আমিন


❖ জবাব : হ্যাঁ,  তাহনীক করানো সুন্নাত (চাই তা লালা, খেজুর, বা কোন মিষ্টিদ্রব্য দ্বারা হোক কিন্তু খেজুর দ্বারা করানো মুস্তাহাব। হাদীসের মাঝে এমন বিধান উল্লেখ রয়েছে এবং সাহাবায়ে কেরাম (রা.) থেকেও এমন আমলের দলীল মিলে। নিন্মে তা বিস্তারিত আলোচন করা হলো।

০১. হযরত আয়েশা (রা.) এর হাদীস-
صحيح مسلم (3/ 1691)
27 - (2147) حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ يَعْنِي ابْنَ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ: «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُؤْتَى بِالصِّبْيَانِ فَيُبَرِّكُ عَلَيْهِمْ وَيُحَنِّكُهُمْ»
অর্থ : হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী কারিম (সা.) এর নিকটে বাচ্চাদেরকে নিয়ে আসা হতো তিনি তাদের জন্য বরকতের দোয়া করতেন এবং তাহনীক করতেন। সহীহ মুসলিম-৩/১৬৯১, হাদীস-২১৪৭।

০২. হযরত আনাস (রা.) এর হাদীস-
صحيح مسلم (3/ 1689)
22 - (2144) حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: ذَهَبْتُ بِعْبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ الْأَنْصَارِيِّ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ وُلِدَ، وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي عَبَاءَةٍ يَهْنَأُ بَعِيرًا لَهُ، فَقَالَ: «هَلْ مَعَكَ تَمْرٌ؟» فَقُلْتُ: نَعَمْ، فَنَاوَلْتُهُ تَمَرَاتٍ، فَأَلْقَاهُنَّ فِي فِيهِ فَلَاكَهُنَّ، ثُمَّ فَغَرَ فَا الصَّبِيِّ فَمَجَّهُ فِي فِيهِ، فَجَعَلَ الصَّبِيُّ يَتَلَمَّظُهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «حُبُّ الْأَنْصَارِ التَّمْرَ» وَسَمَّاهُ عَبْدَ اللهِ
অর্থ : হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ তালহা আনসারীর পুত্র আব্দুল্লাহ ভুমিষ্ঠ হলে আমি তাকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নিকট আসি। তখন তিনি কম্বল গায়ে তার উটের শরীরে তেল মাখছিলেন। তিনি বললেন : তোমার কাছে কি খেজুর আছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। আমি তাকে কয়েকটা খেজুর দিলাম। তিনি সেগুলো মুখে দিয়ে চিবালেন। অতঃপর বাচ্চার মুখ খুলে তাতে তা রেখে দেন। বাচ্চা তা চুষতে লাগল। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন : আনসারগণ খেজুর পছন্দ করে। তিনি ঐ বাচ্চার নাম রাখেন আব্দুল্লাহ। মুসলিম-৩/১৬৮৯, হাদীস-২১৪৪।

০৩. হযরত উরওয়াহ ইবনুয যুবাইর ও ফাতিমা বিনতুল মুনযির ইবনে যুবাইর (রা.) এর হাদীস-
صحيح مسلم (3/ 1690)
25 - (2146) حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى أَبُو صَالِحٍ، حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ يَعْنِي ابْنَ إِسْحَاقَ، أَخْبَرَنِي هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَفَاطِمَةُ بِنْتُ الْمُنْذِرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّهُمَا قَالَا: خَرَجَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ أَبِي بَكْرٍ حِينَ هَاجَرَتْ وَهِيَ حُبْلَى بِعَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، فَقَدِمَتْ قُبَاءً، فَنُفِسَتْ بِعَبْدِ اللهِ بِقُبَاءٍ، ثُمَّ خَرَجَتْ حِينَ نُفِسَتْ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيُحَنِّكَهُ «فَأَخَذَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهَا، فَوَضَعَهُ فِي حَجْرِهِ، ثُمَّ دَعَا بِتَمْرَةٍ» قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: فَمَكَثْنَا سَاعَةً نَلْتَمِسُهَا قَبْلَ أَنْ نَجِدَهَا، «فَمَضَغَهَا. ثُمَّ بَصَقَهَا فِي فِيهِ، فَإِنَّ أَوَّلَ شَيْءٍ دَخَلَ بَطْنَهُ لَرِيقُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»، ثُمَّ قَالَتْ أَسْمَاءُ: «ثُمَّ مَسَحَهُ وَصَلَّى عَلَيْهِ وَسَمَّاهُ عَبْدَ اللهِ، ثُمَّ جَاءَ، وَهُوَ ابْنُ سَبْعِ سِنِينَ أَوْ ثَمَانٍ، لِيُبَايِعَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَمَرَهُ بِذَلِكَ الزُّبَيْرُ، فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ رَآهُ مُقْبِلًا إِلَيْهِ، ثُمَّ بَايَعَهُ»
অর্থ : হযরত উরওয়াহ ইবনুয যুবাইর ও ফাতিমা বিনতুল মুনযির ইবনে যুবাইর (রা.) থেকে বর্ণিত। তারা উভয়ে বলেন, আসমা বিনতে আবূ বাকর (রা.) যখন হিজরতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন তখনও তিনি গর্ভবতী ছিলেন এবং আব্দুল্লাহ (রা.) তখন তার পেটে ছিলেন যখন তিনি কুবা পল্লীতে পৌঁছেন, আব্দুল্লাহ (রা.) ভূমিষ্ঠ হল। অতঃপর তিনি তার তাহনীক করানোর জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নিকট আব্দুল্লাহকে নিয়ে কোলে বসালেন। অতঃপর তিনি খেজুর চাইলেন। আয়েশা (রা.) বলেন, খেজুর পাওয়ার আগে কিছুক্ষণ আমরা খেজুর তালাশ করছিলাম। তিনি খেজুর চিবালেন এবং আব্দুল্লাহর মুখে তার লালা দিলেন। অতএব সর্বপ্রথম রাসূলুল্লাহ (সা.) এর লালাই তার পেটে গেল। আসমা (রা.) বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা.) আব্দুল্লাহর ওপর হাত বুলান এবং তার জন্য দোয়া করেন। আর তার নাম রাখেন আব্দুল্লাহ। তার বয়স যখন সতা বা আট বছর, তিনি যুবায়ের (রা.) এর নির্দেশে তাকে বায়আত করানোর জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নিকট হাযির হন। রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন তাকে সামনে আসতে দেখলেন, মুচকি হাসলেন। অতঃপর তাকে বায়আত করালেন। মুসলিম-৩/১৬৯০, হাদীস-২১৪৬।

০৪. হযরত আসমা (রা.) এর হাদীস-
صحيح مسلم (3/ 1691)
26 - (2146) حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَسْمَاءَ، أَنَّهَا حَمَلَتْ بِعَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ بِمَكَّةَ قَالَتْ: فَخَرَجْتُ وَأَنَا مُتِمٌّ، فَأَتَيْتُ الْمَدِينَةَ فَنَزَلْتُ بِقُبَاءٍ فَوَلَدْتُهُ بِقُبَاءٍ، ثُمَّ أَتَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «فَوَضَعَهُ فِي حَجْرِهِ، ثُمَّ دَعَا بِتَمْرَةٍ فَمَضَغَهَا، ثُمَّ تَفَلَ فِي فِيهِ، فَكَانَ أَوَّلَ شَيْءٍ دَخَلَ جَوْفَهُ رِيقُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ حَنَّكَهُ بِالتَّمْرَةِ، ثُمَّ دَعَا لَهُ وَبَرَّكَ عَلَيْهِ، وَكَانَ أَوَّلَ مَوْلُودٍ وُلِدَ فِي الْإِسْلَامِ»
অর্থ : হযরত আসমা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি মক্কায় আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইরকে পেটে ধারণ করেন( গর্ভবতী)। তিনি বললেন, আমি যখন মদীনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম, তখন গর্ভের সময় পুরা হয়েছিল। আমি মদীনায় আসলাম এবং কুবা পল্লীতে অবতরণ করলাম। সেখানেই আব্দুল্লাহ ভূমিষ্ঠ হল। অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) এর কাছে আসলাম। তিনি আব্দুল্লাহকে কোলে বসালেন এবং একটা খেজুর চেয়ে নিয়ে চিবালেন। অতঃপর আব্দুল্লাহর মুখে তার লালা দিলেন। সর্ব প্রথম আব্দুল্লার মুখে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর লালাই গিয়েছিলো। অতঃপর তিনি খেজুর মুখের তালুতে লাগিয়ে দিলেন এবং বরকতের জন্য দোয়া করলেন। অধস্তন রাবী বলেন, আব্দুল্লাহ (রা.) ছিল হিজরতের পরে ইসলামের প্রথম শিশু। মুসলিম-৩/১৬৯১, হাদীস-২১৪৬।

০৫. হযরত আবূ মূসা (রা.) এর হাদীস-
صحيح مسلم (3/ 1690)
24 - (2145) حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَبْدُ اللهِ بْنُ بَرَّادٍ الْأَشْعَرِيُّ، وَأَبُو كُرَيْبٍ، قَالُوا: حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ: «وُلِدَ لِي غُلَامٌ فَأَتَيْتُ بِهِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَمَّاهُ إِبْرَاهِيمَ وَحَنَّكَهُ بِتَمْرَةٍ»
অর্থ : হযরত আবূ মূসা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আমার এক ছেলে হল। আমি তাকে নিয়ে নবী (সা.) এর কাছে গেলাম। তিনি তার নাম রাখলেন ইব্রাহীম এবং একটা খেজুর দিয়ে তার তাহনীক করালেন। মুসলিম-৩/১৬৯০, হাদীস-২১৪৫।

شرح النووي على مسلم (14/ 123)
وَفِي هَذَا الْحَدِيثِ فَوَائِدُ مِنْهَا تَحْنِيكُ الْمَوْلُودِ عِنْدَ وِلَادَتِهِ وَهُوَ سُنَّةٌ بِالْإِجْمَاعِ كَمَا سَبَقَ وَمِنْهَا أَنْ يُحَنِّكَهُ صَالِحٌ مِنْ رَجُلٍ أَوِ امْرَأَةٍ وَمِنْهَا التَّبَرُّكُ بِآثَارِ الصَّالِحِينَ وَرِيقِهِمْ وَكُلُّ شَيْءٍ مِنْهُمْ وَمِنْهَا كَوْنُ التَّحْنِيكِ بِتَمْرٍ وَهُوَ مُسْتَحَبٌّ وَلَوْ حَنَّكُ بِغَيْرِهِ حَصَلَ التَّحْنِيكُ وَلَكِنَّ التَّمْرَ أَفْضَلُ وَمِنْهَا جَوَازُ لُبْسِ الْعَبَاءَةِ وَمِنْهَا التواضع وتعاطى الكبير أشغاله وأنه لاينقص ذَلِكَ مُرُوءَتَهُ وَمِنْهَا اسْتِحْبَابُ التَّسْمِيَةِ بِعَبْدِ اللَّهِ وَمِنْهَا اسْتِحْبَابُ تَفْوِيضِ تَسْمِيَتِهِ إِلَى صَالِحٍ فَيَخْتَارُ لَهُ اسْمًا يَرْتَضِيهِ وَمِنْهَا جَوَازُ تَسْمِيَتِهِ يَوْمَ ولادته والله أعلم
░▒▓█►ব্যাখ্যা : সহীহ মুসলিম শরীফের বিখ্যাত ব্যাখ্যাবিদ ইমাম নববী (রহ.) বলেন, সর্বসম্মতভাবে তাহনীক সুন্নাত..... এবং কোন নেককার পুরুষ কিংবা স্ত্রীলোক দিয়েই তাহনীক করানো উচিত। তাতে এ সন্তানও নেককার ব্যক্তিদের অনুসারী হয় চাই তা তাদের লালা অথবা অন্য কিছু দিয়েও হতে পারে। যেমন  খেজুর দিয়ে করা মুস্তাহাব। খেজুর ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে তাহনীক করা হলেও তা জায়েয। কিন্তু খেজুর হলো উত্তম।..... হাদীস থেকে এটিও বুঝা গেল যে, অনুরূপভাবে আব্দুল্লাহ নাম রাখা মুস্তাহাব এবং কোন নেককার লোক দিয়ে তার পছন্দ অনুসারে নাম রাখাও মুস্তাহাব। আর সন্তান ভুমিষ্ঠ হওয়ার দিনও নাম রাখা বৈধ। (শারহুন নববী আলা মুসলিম-১৪/১২৩)।
সহীহ বুখারী শরীফ এর বিখ্যাত ব্যাখ্যাবিদ আল্লাম ইবনে হাজার আসকালানী (রহ.) ও ইমাম নববী (রহ.) এর সহমত পোশন করেছেন। নিন্মে দেখুন তার রচিত কিতাব ফাতহুল বারী-৯/৫৮৮ থেকে।
فتح الباري لابن حجر (9/ 588)
وَالتَّحْنِيكُ مَضْغُ الشَّيْءِ وَوَضْعُهُ فِي فَمِ الصَّبِيِّ وَدَلْكُ حَنَكِهِ بِهِ يُصْنَعُ ذَلِكَ بِالصَّبِيِّ لِيَتَمَرَّنَّ عَلَى الْأَكْلِ وَيَقْوَى عَلَيْهِ وَيَنْبَغِي عِنْدَ التَّحْنِيكِ أَنْ يَفْتَحَ فَاهُ حَتَّى يَنْزِلَ جَوْفَهُ وَأَوْلَاهُ التَّمْرُ فَإِنْ لَمْ يَتَيَسَّرْ تَمْرٌ فَرُطَبٌ وَإِلَّا فَشَيْءٌ حُلْوٌ وَعَسَلُ النَّحْلِ أَوْلَى مِنْ غَيْرِهِ
✏ ০৬. আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) বলেন-
البداية والنهاية  (9/ 274)

ولد الحسن في خلافة عمر بن الخطاب وأتى به إليه فدعا له وحنكه.
অর্থ :  হযরত হাসান বসরী (রহ.) হযরত ওমর (রা.) এর  খেলাফতের সময় জন্ম গ্রহণ করেন। তখন তাকে হযরত ওমর (রা.) এর কাছে নিয়ে আসা হয়, তিনি তার জন্য দোয়া করেন ও তাকে তাহনীক করান। আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া-৯/২৭৪।

তাহনীক সম্পর্কে উপরে সরাসরি রাসূল (সা.) বাস্তব আমল ও সাহাবায়ে কেরাম (রা.) এর আমলও তুলে ধরা হলো, তাই মহান আল্লাহ আমাদেরকেও এই সুন্নাত বাস্তবায়ন করার তাওফীক দান করুন। আমীন

ইতি মুফতী মো. ছানা উল্লাহ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন