শুক্রবার, ২২ মে, ২০১৫

ইসলাম স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা বৃদ্ধির জন্য আর কি ভূমিকা রাখবে.......?

ইসলাম স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা বৃদ্ধির জন্য আর কি ভূমিকা রাখবে.......?
❁ সন্মানিত পাঠক বর্তমান বিশ্বে এক ধরনের মানুষ আছে যারা নিজ জ্ঞান স্বল্পতার কারণে মহান আল্লাহর নির্দশন ও ইসলামের বিধানগুলো জানার পরও ঈমান গ্রহন করতে পারে না। আমি তাদের প্রতি খুবই মর্মাহত..
আসলে ইসলাম যে এতো পূর্নাঙ্গ ধর্ম যা সম্পূর্ণ ভাবে বুঝানো আমার পক্ষে সম্ভব না। তাই মাঝে মাঝে কিছু বিষয়কে বুঝানোর চেষ্টা করি, তার মধ্যে থেকে আজকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করবো । আর তা হলো....
‘‘ইসলাম স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা বৃদ্ধির জন্য একটি অবৈধ কাজকেও বৈধ করেছেন আর তাহলো ‘‘মিথ্যা কথা বলা’’। (কিন্তু তা ক্ষেত্র বুঝে, সব সময় সব জায়গায় না।’’)


✏ যেমন ভালোবাসা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বৈধ। দেখুন হাদীস এর মাঝে-
صحيح مسلم (4/ 2011)
101 - (2605) حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، أَنَّ أُمَّهُ أُمَّ كُلْثُومٍ بِنْتَ عُقْبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيْطٍ، وَكَانَتْ مِنَ الْمُهَاجِرَاتِ الْأُوَلِ، اللَّاتِي بَايَعْنَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَخْبَرَتْهُ، أَنَّهَا سَمِعَتْ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ يَقُولُ: «لَيْسَ الْكَذَّابُ الَّذِي يُصْلِحُ بَيْنَ النَّاسِ، وَيَقُولُ خَيْرًا وَيَنْمِي خَيْرًا» قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: وَلَمْ أَسْمَعْ يُرَخَّصُ فِي شَيْءٍ مِمَّا يَقُولُ النَّاسُ كَذِبٌ إِلَّا فِي ثَلَاثٍ: الْحَرْبُ، وَالْإِصْلَاحُ بَيْنَ النَّاسِ، وَحَدِيثُ الرَّجُلِ امْرَأَتَهُ وَحَدِيثُ الْمَرْأَةِ زَوْجَهَا
অর্থ : হযরত হুমায়েদ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে আওফ বর্ণনা করেন, তার মা উম্মু কুলসূম বিনতে ওকবা ইবনে আবূ মঈত [যিনি প্রথম সারির মুহাজির মহিলাদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন এবং নবী (সা.) এর কাছে বায়‘আতকারিনীদেরও একজন ছিলেন] তাকে বলেছেন, তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছেন। নবী (সা.) বলেছেন : যে লোকদের মধ্যে সন্ধি ও মিল করে দেয়ার উদ্দেশ্যে ভাল কথা বলে ও একজনের ভাল কথা অপরকে শুয়ে সন্ধি করে দেয় সে মিথ্যুক নয়। ইবনে শিহাব (রহ.) বলেন, মিথ্যা বলার কোন অবকাশ দেয়া হয়েছে বলে আমি শুনিনি। তবে তিনটি স্থানে এর অবকাশ রয়েছে যথা (ক) যুদ্ধে (খ) লোকদের মধ্যে সন্ধি ও মিল করার জন্যে এবং (গ) স্বামীর জন্য স্ত্রীর কাছে এবং স্ত্রীর জন্যে স্বামীর কাছে। সহীহ মুসলিম-৪/২০১১, হাদীস-২৬০৫।

✏ সহীহ মুসলিম শরীফ এর বিখ্যাত ব্যাখ্যাবিদ ইমাম নববী (রহ.) ‍উক্ত হাদীস এর যে ব্যাখ্যা করেছেন-
شرح النووي على مسلم (16/ 158)
[2605] (لَيْسَ الْكَذَّابُ الَّذِي يُصْلِحُ بَيْنَ النَّاسِ وَيَقُولُ خَيْرًا أَوْ يُنْمِي خَيْرًا) هَذَا الْحَدِيثُ مُبَيِّنٌ لِمَا ذَكَرْنَاهُ فِي الْبَابِ قَبْلَهُ وَمَعْنَاهُ لَيْسَ الْكَذَّابُ الْمَذْمُومُ الَّذِي يُصْلِحُ بَيْنَ النَّاسِ بَلْ هَذَا مُحْسِنٌ قوله (قال بن شهاب ولم أسمع يرخص في شئ مِمَّا يَقُولُ النَّاسُ كَذِبٌ إِلَّا فِي ثَلَاثٍ) الْحَرْبُ وَالْإِصْلَاحُ بَيْنَ النَّاسِ وَحَدِيثُ الرَّجُلِ امْرَأَتَهُ وَحَدِيثُ الْمَرْأَةِ زَوْجَهَا) قَالَ الْقَاضِي لَا خِلَافَ فِي جَوَازِ الْكَذِبِ فِي هَذِهِ الصُّوَرِ وَاخْتَلَفُوا في المراد بالكذب المباح فيها ماهو فَقَالَتْ طَائِفَةٌ هُوَ عَلَى إِطْلَاقِهِ وَأَجَازُوا قَوْلَ مَا لَمْ يَكُنْ فِي هَذِهِ الْمَوَاضِعِ لِلْمَصْلَحَةِ وَقَالُوا الْكَذِبُ الْمَذْمُومُ مَا فِيهِ مَضَرَّةٌ وَاحْتَجُّوا بِقَوْلِ إِبْرَاهِيمَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَلْ فعله كبيرهم وإني سقيم وَقَوْلُهُ إِنَّهَا أُخْتِي وَقَوْلُ مُنَادِي يُوسُفَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيَّتُهَا الْعِيرُ إِنَّكُمْ لَسَارِقُونَ قَالُوا وَلَا خِلَافَ أَنَّهُ لَوْ قَصَدَ ظَالِمٌ قَتْلَ رَجُلٍ هُوَ عِنْدَهُ مُخْتَفٍ وَجَبَ عَلَيْهِ الْكَذِبُ فِي أَنَّهُ لَا يَعْلَمُ أَيْنَ هُوَ وَقَالَ آخَرُونَ مِنْهُمُ الطَّبَرِيُّ لَا يَجُوزُ الْكَذِبُ في شئ أَصْلًا قَالُوا وَمَا جَاءَ مِنَ الْإِبَاحَةِ فِي هَذَا الْمُرَادُ بِهِ التَّوْرِيَةُ وَاسْتِعْمَالُ الْمَعَارِيضِ لَا صَرِيحُ الْكَذِبِ مِثْلَ أَنْ يَعِدَ زَوْجَتَهُ أَنْ يُحْسِنَ إِلَيْهَا وَيَكْسُوَهَا كَذَا وَيَنْوِي إِنْ قَدَّرَ اللَّهُ ذَلِكَ وَحَاصِلُهُ أَنْ يَأْتِي بِكَلِمَاتٍ مُحْتَمَلَةٍ يَفْهَمُ الْمُخَاطَبُ مِنْهَا مَا يُطَيِّبُ قَلْبَهُ وَإِذَا سَعَى فِي الْإِصْلَاحِ نَقَلَ عَنْ هَؤُلَاءِ إِلَى هَؤُلَاءِ كَلَامًا جَمِيلًا وَمِنْ هَؤُلَاءِ إِلَى هَؤُلَاءِ كَذَلِكَ وَوَرَّى وَكَذَا فِي الْحَرْبِ بِأَنْ يَقُولَ لِعَدُوِّهِ مَاتَ إِمَامُكُمُ الْأَعْظَمُ وَيَنْوِي إِمَامَهُمْ فِي الْأَزْمَانِ الْمَاضِيَةِ أَوْ غَدًا يَأْتِينَا مَدَدٌ أَيْ طَعَامٌ وَنَحْوُهُ هَذَا مِنَ الْمَعَارِيضِ الْمُبَاحَةِ فَكُلُّ هذا جائز وتأولوا قصة ابراهيم ويوسف وماجاء مِنْ هَذَا عَلَى الْمَعَارِيضِ وَاَللَّهُ أَعْلَمُ وَأَمَّا كَذِبُهُ لِزَوْجَتِهِ وَكَذِبُهَا لَهُ فَالْمُرَادُ بِهِ فِي إِظْهَارِ الْوُدِّ وَالْوَعْدِ بِمَا لَا يَلْزَمُ وَنَحْوُ ذَلِكَ فَأَمَّا الْمُخَادَعَةُ فِي مَنْعِ مَا عَلَيْهِ أو عليها أو أخذ ماليس لَهُ أَوْ لَهَا فَهُوَ حَرَامٌ بِإِجْمَاعِ الْمُسْلِمِينَ والله اعلم
❐ সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা : উপরে হাদীস এর মাঝে যে তিনটি স্থানে মিথ্যা বলার কথা বর্ণিত হয়েছে, তার দ্বারা  উদ্দেশ্য হলো এমন মিথ্যা যা নিন্দনীয় নয় (এক কথায় যার মাঝে শুভ কামনা থাকে)। আর সরাসরি মিথ্যা না বলে (তাওরীয়া) করা অর্থাৎ কথাকে একটু ঘুরিয়ে বলা বা পরোক্ষভাবে উল্লেখ করা। যেমন যুদ্ধ ক্ষেত্রে মিথ্যা বলা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, কাফেরদেরকে ভয় দেখানোর জন্য একথা বলা যে, তোমাদের লিডার / নেতা মারা গেছেন। কিন্তু তার দ্বারা উদ্দেশ্য নেয়া হবে অতীতে যারা মারা গিয়েছে তাদেরকে, ইত্যাদি ইত্যাদি। আর দুইজন লোকের মাঝে সমাধানের লক্ষ্যে মিথ্যা বলা। যেমন দুইজন ব্যক্তির মাঝে সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য বলা যে, ভাই অমুক ব্যক্তি আপনার প্রশংসা করেছে (অথচ সে প্রশংসা করেনি) অথবা একজন ব্যক্তি চোর কি না? তার মাঝে সন্দেহ এখন যদি তাকে পাকড়াও করার জন্য এমন ব্যক্তির কাছে জিজ্ঞাসা করা হয় যে তার অবস্থান সম্পর্কে জ্ঞাত, কিন্তু সে বললো আমি কি করে জানি সে কোথায়? ইত্যাদি।
আর স্বামী স্ত্রীর মাঝে ভালোবাসা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বৈধ, যেমন স্বামী স্ত্রীকে বলা আমি তোমাকে এই এই মানের কাপড় পরাবো ইত্যাদি ইত্যাদি আচরণ, স্ত্রীকে খুশি রাখার জন্য এবং স্ত্রীও স্বামীর সন্তষ্টির জন্য এমন আচরণ করা। কিন্তু এমন কথা বলবে না যা সম্পূর্ণ ধোকা হয়, তাহলে কিন্তু গুনাহগার হবে। 
আমার এক শায়খ বলেন, যেমন স্বামী স্ত্রীকে অফিসে যাওয়ার সময় বলা যে, অফিসে গেলেও একটু পর পর তোমার কথা স্বরণ করি, এ একটি কথাই সারা দিন স্ত্রীর মনে বিনোদন দিয়ে যাবে।

❖ বি. দ্র. এধরনের আচরণগুলে হযরত ইব্রাহীম  (আ.) এবং ইউসূফ (আ.) ইত্যাদি নবী গণের অনেক ঘটনা থেকেও সাব্যস্ত হয়। যেমন কাফেররা হযরত ইব্রাহীম (আ.) কে প্রশ্ন করল, তাদের মুর্তি কে ভেঙ্গেছে? এই প্রশ্নের জবাবে হযরত ইব্রাহীম (আ.) বলেছেন তোমাদের মুর্তিগুলো থেকে বড় মূর্তি.  এ কাজ করেছে......! [অথচ ইব্রাহীম (আ.) নিজেই এ কাজ করেছেন।] ইত্যাদি। শারহুল মুসলিম লিন নববী-১৬/১৫৮।

✏ অন্যত্র দুই ব্যক্তির মাঝে মিমাংশা করার বিষয়ে  নবী কারিম (সা.) বলেন-
سنن الترمذي ت بشار (4/ 244)
2509 - حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الجَعْدِ، عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَلاَ أُخْبِرُكُمْ بِأَفْضَلَ مِنْ دَرَجَةِ الصِّيَامِ وَالصَّلاَةِ وَالصَّدَقَةِ، قَالُوا: بَلَى، قَالَ: صَلاَحُ ذَاتِ البَيْنِ، فَإِنَّ فَسَادَ ذَاتِ البَيْنِ هِيَ الحَالِقَةُ.
অর্থ : হযরত আবূ দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমি কি তোমাদেরকে রোজা, নামায ও সাদকা থেকে উচ্চ মানের ইবাদতের কথা বলে দিবো না? সাহাবায়ে কেরাম (রা.) উত্তর দিলেন হ্যাঁ। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন তাহলো বিচ্ছেদ ঘটে যাওয়া ব্যক্তিদের মাঝে মিমাংশা করে দেয়া, কেননা দুই ব্যক্তির মাঝে বিচ্ছেদ দ্বীনকে ধ্বংশ করে দেয়। তিরমযী-৪/২৪৪, হাদীস-২৫০৯। হাদীসটি সহীহ।


░▒▓█►তারপরও আপনি সত্য কথায় অভ্যস্ত হন, দেখুন তার ফাযায়েল◄█▓▒
❀ মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন-
{ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ } [التوبة: 119]
অর্থ : হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক। সূরা তাওবাহ-১১৯।
❀ তিনি আরো বলেন-
{مِنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ فَمِنْهُمْ مَنْ قَضَى نَحْبَهُ وَمِنْهُمْ مَنْ يَنْتَظِرُ وَمَا بَدَّلُوا تَبْدِيلًا (23) لِيَجْزِيَ اللَّهُ الصَّادِقِينَ بِصِدْقِهِمْ وَيُعَذِّبَ الْمُنَافِقِينَ إِنْ شَاءَ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ إِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَحِيمًا } [الأحزاب: 23، 24]
অর্থ : মুমিনদের মধ্যে কতক আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদা পূর্ণ করেছে। তাদের কেউ কেউ মৃত্যুবরণ করেছে এবং কেউ কেউ প্রতীক্ষা করছে। তারা তাদের সংকল্প মোটেই পরিবর্তন করেনি। এটা এজন্যে যাতে আল্লাহ সত্যবাদীদেরকে তাদের সত্যবাদিতার কারণে প্রতিদান দেন এবং ইচ্ছা করলে মুনাফিকদেরকে শাস্তি দেন অথবা ক্ষমা করেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। সূরা আহযাব-২৩, ২৪।

❀ তিনি আরো বলেন-
{قَالَ اللَّهُ هَذَا يَوْمُ يَنْفَعُ الصَّادِقِينَ صِدْقُهُمْ لَهُمْ جَنَّاتٌ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ ذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ} [المائدة: 119]
অর্থ :  আজকের দিনে সত্যবাদীদের  সত্যবাদিতা তাদের উপকারে আসবে। তাদের জন্য উদ্যান রয়েছে, যার তলদেশে নির্ঝরিণী প্রবাহিত হবে; তারা তাতেই চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তষ্ট। এটিই মহান সফলতা। সূরা আল মায়েদাহ-১১৯।

❀ রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন-
صحيح مسلم (4/ 2013)
105 - (2607) حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ، قَالَا: حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «عَلَيْكُمْ بِالصِّدْقِ، فَإِنَّ الصِّدْقَ يَهْدِي إِلَى الْبِرِّ، وَإِنَّ الْبِرَّ يَهْدِي إِلَى الْجَنَّةِ، وَمَا يَزَالُ الرَّجُلُ يَصْدُقُ وَيَتَحَرَّى الصِّدْقَ حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللهِ صِدِّيقًا، وَإِيَّاكُمْ وَالْكَذِبَ، فَإِنَّ الْكَذِبَ يَهْدِي إِلَى الْفُجُورِ، وَإِنَّ الْفُجُورَ يَهْدِي إِلَى النَّارِ، وَمَا يَزَالُ الرَّجُلُ يَكْذِبُ وَيَتَحَرَّى الْكَذِبَ حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللهِ كَذَّابًا»
অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : তোমরা অবশ্য সত্য কথা বলবে। কেননা সত্য পুণ্যের পথ প্রদর্শন করে  এবং পুণ্য জান্নাতের দিকে পথ প্রদর্শন করে। কোন লোক যখন সত্য বলে এবং সত্য বলার দৃঢ় ইচ্ছা পোষণ করতে থাকে শেষ পর্যন্ত তার নাম আল্লাহর কাছে সত্যবাদী হিসেবে লেখা হয়। আর তোমরা মিথ্যা থেকে বেঁচে থাকবে। কেননা মিথ্যা পাপাচারের পথ প্রদর্শন করে এবং পাপাচার দোযখের পথ প্রদর্শন করে। কোন ব্যক্তি যখন মিথ্যা বলতে থাকে, শেষ পর্যন্ত আল্লাহর কাছে তাকে মিথ্যুক হিসেবে লেখা হয়। মুসলিম-৪/২০১৩, হাদীস-২৬০৭।

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সত্য মিথ্যার স্থান যাচাই করে কথা বলা, নিজ স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সঠিক পন্থা অবলম্বন করা ও সত্যর উপর জীবন যাপন করার তাওফীক দান করুন। আমীন

✍ ইতি মুফতী মো. ছানা উল্লাহ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন